Logo
শিরোনাম

আসছে ৭ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নেওয়ার সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে কয়েকটি নির্দেশনা ও শর্ত দেওয়া হয়েছে। এ সব নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে এ ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। এতে মূল্যস্ফীতির প্রভাবে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবনে দেখা দিয়েছে আর্থিক অনটন। আগামী সংসদ নির্বাচনে সাধারণ মানুষের সমর্থন পেতে চায় সরকার। একারণে আইএমএফের নির্দেশগুলোর সবদিক বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সরকার ধীরে চল নীতি গ্রহণ করেছে।

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন প্রকার জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি থাকবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বিভিন্ন বৈঠক এবং একাধিক সরকারি সূত্রে এসব কথা জানা গেছে। এছাড়া জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে হবে ৭ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকার।

আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেলে চাপে পড়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ঋণের জন্য আবেদন করে সরকার। তবে এই ঋণ যেন যথাসময়ে পরিশোধ হয়, সেজন্য সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানোসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারকে। এসব নির্দেশনা মানায় এরই মধ্যে ঋণের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছে সরকার।

তবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে, অপরদিকে এসবের কারণে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বল্প ও মাঝারি আয়ের পরিবারগুলো সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। মানুষকে এই আর্থিক কষ্ট থেকে পরিত্রাণ দিতে এবার আইএমএফের নির্দেশনাগুলোকে পাশ কাটাতে যাচ্ছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকার চাইলেও আগামী বাজেটে ভর্তুকি খুব বেশি কমাতে পারবে না। কারণ চাপে থাকা অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার করতে হবে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি খাতে ভর্তুকি কমানো যাচ্ছে না। আইএমএফের চাপ ও শর্ত সত্ত্বেও না, এমনই ভাবছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। কিন্তু আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এই আকার ৭ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি ভর্তুকির আকারও বাড়ানো হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ৮১ হাজার ৪৯০ কোটি। কিন্তু আসন্ন বাজেটে এই পরিমাণ ৩৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস খাতে চলতি অর্থবছর ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার।

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বাজেটেও ভর্তুকি এই পরিমাণ অব্যহত থাকবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমিয়েছে সরকার। আগামী অর্থবছরেও এই খাতে তেমন কোনো পরিবর্তন আসছে না। তবে বিদ্যুৎ খাতে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি ১৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা আরো ৬ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ২৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আসন্ন বাজেটে এই খাতে ভর্তুকি আরো বাড়তে পারে।

সূত্র জানায়, গত এপ্রিলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল অন বাজেট ম্যানেজমেন্ট, কারেন্সি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রেটের এক সভায় বিদ্যুৎ সচিব বলেছেন, প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ হারে বাড়ানোর কথা থাকলেও গতমাসে তা বাড়ানো হয়নি। আগামী দুমাসের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই। সে সময় অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা সভা শেষে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ব্যবসায়ীরা প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সরকার প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। এর বাইরে কৃষি উৎপাদনকে প্রাধান্য দিয়ে সারে ভর্তুকিও বাড়তে পারে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলেছেন, বিশ্ববাজারে সারের দাম কিছুটা কমলেও এখন পর্যন্ত কোভিডপূর্ব মূল্যে ফিরে আসেনি। ফলে এই খাতে ভর্তুকি বাড়বে। বর্তমান বাজেটে এই খাতের জন্য বরাদ্দ আছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। এদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে খাদ্য ভর্তুকিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়াচ্ছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আগামী অর্থবছরে খাদ্য ভর্তুকিতে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ রাখা হতে পারে। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে কমমূল্যে খাদ্যপণ্য দেওয়াসহ সরকার পরিচালিত খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস) এবং ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কর্মসূচিগুলোর সরবরাহ ঠিক রাখতে এই বাড়তি বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। এছাড়া বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার মতো সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৫ হাজার বাড়ানো হচ্ছে। শুধু উপকারভোগীর সংখ্যাই নয়, মাসিক ভাতার হারও বাড়ানো হচ্ছে এসব খাতে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা, যা এখন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে।


আরও খবর



মেঘনায় উপজেলা আ'লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ১০

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ জন ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজন নারায়ণগঞ্জ এর সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে এবং আশংঙ্কাজনক কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত ব্যক্তি নলচর গ্রামের আক্কাস মেম্বারের ছেলে ও বর্তমান চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুম কবির এর ছোট ভাই নিজাম সরকার (৩৫)। নিজাম সরকার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩) সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নস্থ নলচর, ফরাজি কান্দি ও চালিভাঙ্গা এই তিন গ্রামের আ'লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বাগ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন, স্থানীয় টিটু (৩০), রমজান (৩৫), ইব্রাহীম (২৮), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), দেলোয়ার (৩২), আনিছ সরকার (২৫), সুমন (২৪), হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।

জানা গেছে, গত দুইদিন ধরেই থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে আসছিল। এতে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। গত দুই দিনের জের ধরে স্থানীয় সানাউল্লাহ গ্রুপ ও কাইয়ুম গ্রুপ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে৷ এ সময় দুই গ্রুপের লোকেরাই টেঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষকে হামলা করে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সানাউল্লাহ গ্রুপ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ। অপর দিকে জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের আরও একটি অংশ। যা কাইয়ুম গ্রুপ নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত।

এ বিষয়ে চালিভঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, বিগত কয়েক মাস ধরেই এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব লেগে আছে। একাধিকবার মিমাংসা করা হলেও জেলা পরিষদের সদস্য কায়ুম গ্রুপ খুব বেশি তৎপর ছিলো। তারই নেতৃত্বে কয়েকজন ছেলে - ফেলে দিয়ে অন্তত ১০ জনকে আহত করে এবং ১ জনকে নিহত করে।

এ ব্যাপারে কায়ুমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুইদিন ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলছিল। গতকাল একটা মামলা দায়ের করেছি আমরা। আমাদের গ্রেফতার তৎপরতা চলছিল। এরইমধ্যে আজ সকালে আবার সংঘর্ষ হয়। এতে ১ জন নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।



আরও খবর



রাণীনগরে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত : পানিবন্দি দেড় হাজার পরিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ছোট যমুনা নদীর বেড়িবাঁধের দুইটি এবং আত্রাই উপজেলার আত্রাই নদীর একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে দুই উপজেলার ৮/১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পরেছে প্রায় দেড় হাজার পরিবার। এছাড়া পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে আমন ধান,ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বুধবার গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এই বাঁধগুলো ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।দ্রুতই পানিবন্দি পরিবারগুলোকে খাদ্যসহায়তাসহ সার্বিক সহায়তা করা হবে।

রাণীনগর উপজেলার নান্দাইবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন,গত দুই/তিন থেকে হঠা’ করেই ছোট যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বুধবার গভীর রাতে নান্দাইবাড়ী হাফেজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে পানির তোরে মাদ্রাসার একটি কক্ষের ইটের দেয়ালও ভেঙ্গে যায়।এছাড়া আধা কিলোমিটার দুরেই দক্ষিন নান্দাই বাড়ীর বেরিবাধ ভেঙ্গে যায়।এতে ওই এলাকার কিষ্টপুর,মালঞ্চি,নান্দাইবাড়ীসহ কয়েকটি গ্রামের মধ্যে পানি ঢুকে পরে। এতে প্রায় ৪/৫শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছে। এছাড়া ওই এলাকার পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া জমির ধান,সবজি পানিতে তলে গেছে।

রাণীগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান জানান,বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় দেড়/দুইশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে। কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক বলেন,বন্যার পানিতে ওই এলাকার প্রায় ২০ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। ডুবে গেছ সবজি ক্ষেত। ম’স্য কর্মকর্তা শিল্পী রায় জানান,২৩টি পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ২৬লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

আত্রাউ উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বলেন,বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আত্রাই নদীর নন্দনালী বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে ওই এলাকার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আত্রাই-বান্দাইখাড়া পাকা সড়কের নন্দনালী সরদারপাড়া তালতলা এলাকায় পাকা সড়ক পানির তোরে ভেঙ্গে গেছে।

আত্রাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন,বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে প্রায় একহাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেছে। কৃষি কর্মকর্তা জানান,বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ১০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন,সকাল থেকেই আমরা দূর্গত এলাকায় রয়েছি এবং ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া দূর্গতদের জন্য খাদ্যসহায়তা থেকে সার্বিক সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। আসা করছি খুব দ্রæতই আমরা সহযোগিতা করতে পারবো।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে বিএনপি’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দোয়া ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। শুক্রবার দুপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন করা হয়। বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজন করে। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব মানিক সওদাগরের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম ক্বারী,যুগ্ম আহবায়ক শান্তি বেগম,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক বিপ্লব সওদাগর,পৌর যুবদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশেদ আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শহিদুল হক দুলাল,সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজীউর রহমান ও বাট্টাজোড় ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ ও  ওলামা দল নেতা মওলানা রুহুল আমিন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বকশীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,হামলা মামলা করে আমাদের আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। নির্দদলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন না দেয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আপনাদের ভয়ের কোন কারন নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা গনতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবো।


আরও খবর



নওগাঁ শিক্ষক সমিতির নতুন সভাপতি মহাতাফ সাধারণ সম্পাদক গফুর

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র  রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা শিক্ষক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে আগের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নওগাঁ সেন্টাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহাতাফ হোসেন ও দ্বিতীয়বারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রাণীনগর উপজেলার মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল গফুর প্রাং। 

জানা যায়, গতকাল শনিবার জেলার ১১টি উপজেলার নির্ধারিত কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে আনন্দ ঘন ও উৎসব মুখর পরিবেশে নওগাঁ সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলে এই কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাউন্সিল অধিবেশন পরিচালিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী বদলগাছি উপজেলার বালুভরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব। কাউন্সিলে ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

জানতে চাইলে শিক্ষক মোঃ আব্দুল গফুর প্রামাণিক বলেন, আমাকে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত করায় আমি জেলার সকল শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আশাবাদী আগামীতে মানসম্মত শিক্ষার মান আরো প্রসারিত করতে এবং শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবী আদায়ে নতুন গঠিত জেলা শিক্ষক সমিতি দৃঢ় ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট থাকবো।

নওগাঁ জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মহাতাফ হোসেন বলেন, আমাকে ঐতিহ্যবাহী এ জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত করায় জেলার সর্বোস্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানায়। সেই সাথে সকলের কাছে দোয়া চাই আমি যেন আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি।


আরও খবর



স্পর্ধাই এখন ভরসা তাদের, ক্ষমতার লাগাম পরানোর কাজ আমাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মেজর জিল্লুর রহমান অবঃ

আমেরিকার  পত্রিকার সম্পাদক  বেন  ব্রেডলির উক্তি দিয়ে শুরু করলাম  বুঝার সুবিধার্তে।   হায়রে সেই  উৎসবের ভোটের দিনের আমেজ ! বড় নেতা মেঝ নেতা সেঝ নেতা নোয়া নেতা ,  চ্যালা চামুন্ডারা কি যতনে সম্মানে ঘাড়ের  উপর হাত সযত্নে রেখে কানের কাছে মুখ  লাগিয়ে ভোটের মাঠে সমার্থন ভিক্ষা করছে । সাথে নিশ্চয়তা দিচ্ছে আপনার জমির আইল নিয়ে যে ঝামেলা আছে নেতার নলেজে আছে আগামীকালই আপনার কষ্ট বিসমিল্লাহ বলে শেষ করে আপনার সাথে বাড়িতে ডাল ভাতের  নাস্তা খাব। 

 ভোটের মাঠে কত  কদর কত জামাই আদর । ১৪ সালে এক ধাক্কায়  সে মালিকানার  স্বত্ব  অক্কা পেয়ে  শ্মশানে  শুব্র  বস্ত্র উরাচ্ছে। সেই যে ভোটারের  কপাল পুড়ল সে কপাল আর ভাল হল না। এখন ভোটেরদিন কেন্দ্রে যেতে বাধা।  কেউ  বলে কষ্ট করে আপনার যাওয়া লাগবে  না আপনার দায়িত্ব আমরা সেরে ফেলেছি কাকা। 

 আগে রাতে ঘুম ভাঙ্গায় ঘরে ঢুকে চরন ধরে বলত ক্ষমা করেন আমার বাবা নাই আপনি আমার আব্বা কথা দেন  এতিমকে সন্তানের স্নেহ দিবেন কথা দেন ভোট আমায়  দিবেন। সেই ছেলে এখন আমারে দেখে ষাঁড়ের মত কুন্দায়,  আর কয় আমি নৌকা মার্কা কিনে আনছি ভোট না দিলেও আমি নির্বাচিত। দেশের মালিক হওয়ার গৌরবের  সেইদিন  খুশি আর অপমানের সাগরে ফেলে গেলি কই । 

  সেবার নির্বাচনে  প্রার্থিদের বাড়িতে ঘন ঘন  রাতবেরাত হানা দেওয়ায়   বিরক্ত হয়ে  রজব ভাই ভাবী  হাতের খড়ের তৈরি কাথার  নিচে ডুব মেরেছে অতিস্ট হয়ে। জির্ন কাঠের দরজায়  উপরের চৌকাতে  জং ধরা লোহার  শিকল ঝুলন্ত  ছিল। পালাক্রমে  কয়েকজন প্রার্থি  সজরে  ঝাকিয়ে ডেকে তাদের সাড়া না পেয়ে চলে যায়। শেষবার নাছোড়বান্দা  ক্যান্ডিডেট  ইয়াহিয়া  শিকল ঝাকাতে লাগল  ও  কাকি  ও কাকা দরদের সুরে মায়াবী ডাক শিকল আছড়ানো তালে তালে বেশ সঙ্গিত উপভোগ করলাম । হায়রে !! মিনিট দশেক পর খড়াত করে আমার সেকল ছিড়ে গেলে বুঝতে পারলাম । ছেড়া শিকল ইয়াহিয়া  হাতে নিয়ে সে কেটে পড়ে। সকালে আমার কাছে বিচার আনে।  ইয়াহিয়াকে বল আমার শিকল গুতাতে গুতাতে ছিড়ে নিয়ে গেছে গত রাতে । ইয়াহিয়া নতুন শিকল কিনে মিস্ত্রি দিয়ে লাগিয়ে দিল। রজব মিয়া বলল তোমারে ভোট দেব , তুমি জিতবা যে মানুষ বাইশ মিনিট বিরামহীন শিকল ঝাকাতে পারে  ভোটের  জন্য সে ভোট পাওয়ার যোগ্য তোমার অসীম  ধৈর্য  ।  এই  ছিল  ভোটার আর  নেতার   সম্পর্কের  কেমিস্ট্রি । 

  প্রতিবার ভোটের আগে  উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দাঙ্গা।  অবস্থা দিষ্টে  প্রমান করে লুটপাটের অংশী হতে ভাগ বাটোয়ারায় ভাগ বসাতে  দল গুলো  মরনপণ  লড়াই  চালায় । এবার অবস্থা বেগতিক।  রাজনৈতিক সংঘাত দিব্যি ছড়িয়ে পড়ছে দু ধারায় । নির্দলিয় সরকারের অধিন নির্বাচন চায় সকল বিরোধী দল  এক ধারা । শুধু সরকারী ধারা সংবিধান নিদেন রক্ষা কবচ কামড়ে তাদের কমান্ডে  রথ পাড়ি দিতে চায় । ক্ষমতা হারা দলের নিরাপদ প্রস্থান তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত্তের গ্যারান্টি দিতে পারলে গনতান্ত্রিক সকল প্রক্রিয়া সমাধান সহজ হবে। 

  ভোট বড়  সকলের বালাই কাকে ভোট দিয়া উচিৎ  ভোটারের ভাবনায় কুলায়  উঠে না। তারা মিডিয়া দ্বারা,  দলের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। জনজীবনে  কে নেতা হবে না হবে জনগণ আজ  গ্রাহ্য করে না ।  এখন মাইকে ডেকে কেন্দ্রে ভোটার  ভিড়ানো  যাচ্ছে না । ভোট সে তো  দেশের খাজাঞ্চি  নিয়ন্ত্রণ এবং  প্রভাব-প্রতিপত্তি  জাহির  করার  স্বার্থে  ক্ষমতা  দখলই  ভোটের রাজনীতির  প্রধান  আদি কথা। 

 জনহিতের  কথা  নিছক ভাঁওতাবাজি  কেতাবি বুলি। গায়ের জোরে  অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোট  কেটে  আখের গোছাতে গিয়ে  যদি  জন কল্যাণ  হয়ে যায়, তাই প্রকৃতির  দয়ায় মানুষের লাভ।  বেহুদা উন্নয়নের  কাজগুলো ভোটের আগে ভাগে  করতে পারলে সব  দিক  দিয়ে লাভ হয় ।  যে প্রকল্প না  করলে  কর্মির, নেতার  দলের  লাভ  নেই  তা  চড়া গলায়  বক্তৃতায়  পুষিয়ে  দেওয়া হয়। ধাপ্পা বাজীর রাজনীতি জনগণ  বুঝে । কিন্তু  প্রশ্ন হল  এর প্রতিরোধ করার উদ্যোগ কে করবে?  প্রার্থী  একটু এ দিক-ও দিক করতে পারলে  জিতে  যাওয়ার  সম্ভাবনা নিশ্চিত । প্রশাসন,  কমিশন, পুলিশ  সেভাবে  সাজানো  থাকে । এমনই  মন মেজাজ  থেকে প্রার্থীরা  ও তাঁদের দলবল  লাঠিয়াল মাঠে  অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে।  এই   ভোটের  পরিণাম   মৃত্যু  পর্যন্ত গড়ায় তাতে কি । 

 গত দুই টার্ম ইলেকশনের কারিশমা  নিয়ে অভিজ্ঞ রাজনিতিক দির্ঘকাল মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন  মঞ্জু এক স্বাক্ষাতকারে লজ্জিত হয়ে বললেন আমার এলাকার মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি নাকি এম পি হয়েছেন? যারা  আমাকে ভোট  দিয়ে এম পি নির্বাচিত  করবে  খোদ  তারাই জানে না কিভাবে এম পি হলাম  ।  তিনি ক্ষেদের সাথে বললেন জনগণের সমর্থন এড়িয়ে এম পি হব  এই  জন্য দেশ স্বাধীন করা হয়নি। 

 অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে ছলে বলে  কলে কৌশলে বিচিত্র আবরনে যুক্ত। ফলে তাঁরা প্রার্থীদের সরাসরি প্রশ্ন করে,  “আপনাকে ভোট দিলে আমি কী পাব?”  ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য আজগুবি প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ব্র্যান্ড নিউ  প্রার্থীরা। একটা পরিবারের যত সদস্য আছে, সবাইকে কিছু না কিছু দিতে হবে। তাঁর সত্যিই চাকরি পদোন্নতি  সাহায্য  পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে কি না, তা নিয়ে কথা বলতে গেলেই বিপদ। এমন জোড়াতালি দিয়ে  ক্ষমতায় এসে প্রত্যাশা  আর  প্রাপ্তির  বিস্তর  ফারাগ ফেরাস্তাও  সীমাহীন চাহিদা   মিটাতে পারবে না তাই সরকার তাদের  দলীয়  প্রার্থির  আকাম কুকর্ম  অন্ধ হয়ে না দেখার ভান করে  ।  

 আমরা আর কত দিন ভোটের নামে এই  প্রহসন  সন্ত্রাস,  ক্ষমতায় যেয়ে  দুর্নিতি, অর্থ  পাচার,  ব্যাংক লুট দেখব ।  মেগা প্রজেক্টে হরিলুট মুখ বুজে   সহ্য করে যাব?  বিকল্পের রাস্তা আমাদেরই  খুঁজে বের  করতে হবে। এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে, সৎ প্রার্থি দরকার।  দলীয় প্রতিক বাতিল সহ ভোটগ্রহণ পদ্ধতির অবিলম্বে পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। দু’টি আধুনিক ও অভিনব পদ্ধতির শরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে। অনলাইনে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত  পোর্টালে লগ ইন করে ভোট প্রদান করা যেতে পারে। বর্তমানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ স্মার্টফোন ব্যবহারে পারদর্শী। নির্ভয়ে তাঁরা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে সক্ষম হবে। নির্দলিয় সারকার ভোট পরিচালনা করবে। 

 চিরাচরিত ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় যে বিপুল  পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়, তার থেকেও অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে । এ  ব্যবস্থায়  মাস্তানি গুণ্ডামি লোপ পাবে ।  

গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল ভোটাধিকার এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ। কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগ যদি শেষ পর্যন্ত  নির্বোধ  জনগণের  সামনে  খেল  তামাশা হয়ে দাঁড়ায়, তা হলে আর গণতন্ত্রের থাকে কী! নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত চলে লাগামহীন সন্ত্রাস। এমনকি ভোটের পরেও সে সন্ত্রাসের অবসান হয় না। যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে, পুলিশ-প্রশাসনকে কব্জা করে ভিন্ন মত বা দলকে আটকাতে সব রকম অগণতান্ত্রিক কলাকৌশল প্রয়োগ করে। তাই আমাদের   দেশে   সন্ত্রাস, রক্তপাত আর মৃত্যু নির্বাচনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে।  সর্বশক্তি খাটিয়ে  জনবিচ্ছিন্ন  দলের অথর্ব লোকটির   নামে সিল মেরে বাক্স  ভরে পেশি শক্তিধারীরা তাই ভোট নামক  জনপ্রিয়তার পরিক্ষায় মানুষ  ঘৃণায় মুখ  ফিরিয়ে নিয়েছে  । এখন আমরা  নিয়ন্ত্রিত  মিডিয়ার মাধ্যমে, বিশেষ  করে  ডিজিটাল  সামাজিক  মাধ্যমের দৌলতে ‘গণতন্ত্র নিধনের মহোৎসব’ ঘরে বসে প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি।

  নির্বাচন কমিশনের আশ্বাস, কোর্টের কড়া নির্দেশ, এ সব উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের হত্যালীলা চলতেই থাকে। ভোটে সন্ত্রাস, বেনিয়ম এ সব নিয়ে কিছু দিন আলোচনা, তর্কবিতর্ক, এক সময় তা থিতিয়ে যায়। ভোট ‘লুট’ করে  ছিন্তাই করে  জেতা প্রার্থীরাও ‘নির্বাচিত’ শংসাপত্র নিয়ে দিব্যি কোনও না কোনও পদ আলোকিত  করে  বেসরমের  মত  বসে পড়েন। সব দেখে-শুনেও ঠুঁটো জগন্নাত  নির্বাচন কমিশন বা আদালতকে আর তেমন টু শব্দ করতে  দেখা যায় না। এ ভাবেই চলছে আমাদের আবিষ্কৃত  গণতন্ত্র এবং চলবেও।

একজনের বংশীর সুরে হেলা দুলা চলছে  দেশের শব কাঠামো।  

 সরকার ও তাদের চেলা চামুণ্ডারা   ধরাকে সরা জ্ঞান করে কি হনু রে তত্তে ভর করে চলছে!!  ক্ষমতার উত্তাপে দিশেহারা দলবাজরা  যেদিক তাকায়  একান্ত  অনুগত প্রজারা  জি হুজুর শব্দ উচ্চারণের উদগ্র বাসনায় গলা খাকড়া দিয়ে  আওয়াজ  দিতে সদা প্রস্তুত দেখে । সন্ত্রাসীরা দখল বানিজ্যের বণিক নেতা,  চাঁদাবাজ নেতা, দুর্নিতিবাজ নেতার ইশারায় দিন শেষে পকেটে  ভাগ পায়।

  বিনা পরিশ্রমে পকেটে   টাকা আমদানি হলে সেই জাত পায়ে দাড়াতে পারে না। আশা  জাগায় ভরসা জাগায় এমন কথা  শুনা যায় না। দম্ভের গনতন্ত্র অসীম ক্ষমতার  বিরামহীন আস্ফালন উদ্বেগের বার্তা মনে ঘুরপাক খাচ্ছে আমজনতার । জনগনের  শাসনই গনতন্ত্র সে কথা জাতি ভুলে যেতে বাধ্য হয়েছে। ক্ষমতায় আসিনরা এক এক জন  প্রাচীন  সম্ম্রাজ্জের রাজতন্ত্রের বহুদা ক্ষমতার সম্রাট  ভয়ঙ্কর প্রতীক। তাদের চাটুকারিরা  নির্লজ্জ আবিজাবি সুত্র ধরে নেতাদের তাদের পোষ্যদের পর্যন্ত  শুভেচ্ছে বাণীর  প্লাবনে ভাসিয়ে দেয় নেট দুনিয়া। ঘুনে ধরা সমাজ দাড়াতে পারবে না ঘুনের লেশমাত্র অবশিষ্ট থাকতে। আপাদামস্তক সংস্কার আমাদের এখন দরকার।  

 সরকার সত্যের মুখমুখি হতে ডরায় । তাই সত্য প্রকাশের উদ্দত হলে গলাটিপে শ্বাস রোধ করে ধরে। শাসকের বিরোধিতা  করাকে অনুগত মিডিয়া দিয়ে  রাষ্ট্রদ্রোহ  বলে  নির্বিচারে  প্রচার চালাচ্ছে । কয়েদ খানায় ভরছে প্রতিবাদি কন্ঠ  । কতদিন কতদূর  এক পরিবার কেন্দ্রিক শাসন পদ্ধতি চালান যায় । দুর্নিতি  গনতন্ত্র, দেশের মানুষের পছন্দমত   ভোটোধিকার, মানব্ধিকার,  অর্থ পাচার নিয়ে দেশে  বিদেশে এখন বাংলাদেশ নিয়ে   প্রবল  দুর্নামের আলোড়ন । জাতি সঙ্গের ডেমোক্রাসি কাউন্সিল থেকে  বাংলাদেশকে বহিষ্কারের  চিঠি বিশ্ব মিডিয়ায় । 

 বিরোধিরা এককাট্টা  নির্দলিয়  সরকারের অধিন নির্বাচনের দাবীতে। দু দলের মুখমুখি সমরে গন মাধ্যম নিরব, সুশীল সমাজ মুখে কুলুব এঁটেছে। উচ্ছিষ্ট ভোগী  স্বঘোসিত বুদ্ধিজীবী চাপা চালিয়ে যাচ্ছে  যার যার  দলের পক্ষে ।  এফ বি  সি  আই  এর সভায়  তাজা তাজা বণিক নেতারা যা  বললেন তাতে মনে হল তারা সকলে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য , তৃপ্তির সাথে  প্রধানমন্ত্রীর   স্থুতি  গাইলেন। প্রশ্নাতীত ভক্তি  প্রতিযোগীতা করে কে  কার আগে   স্তুতির ছোপে  প্রধানমন্ত্রীর  নেক নজরে  আসন সংরক্ষিত করতে পারে তার মহড়া দেখাল। 

 চ্যানেল  গুলি আছে সরকারের বন্দনা ডালি সাজিয়ে।  বিরোধীদের প্রতিবাদ সমাবেশর  তীব্রতা ঘোমটা  পরাতে  ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায় । বিরোধীদের শক্তি মত্তা জাহিরের  জানালা খিড়কি  দিতে মোলায়েম কন্ঠে সকল কূটপন্থা  জারি থাকে বিলম্ব অনুমতি হাজার শর্ত  । পত্রিকা টি ভি  চ্যানেল সরকারের অধিনস্থ একান্ত  বাধ্যগত ছাত্র  বুঝাই যায়। প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়া করেছে এক নেতা ঘোষনা দিলেন কি আর বাকি আছে সর্বনাশের।  

 সংবাদ মাধ্যম  নিজেদের ভুমিকা পালন না করে জনতার অনাস্থার সৃস্টি করছে এখন তারা টোপা শ্যালারমত জনতার অবিশ্বাসের দিঘীতে ভাসছে । সরকারের  সত্যি ভাল ভাল  কাজ  প্রচার করলেও  এখন তা   বিশ্বাস করাতে তাদের বেগ  পেতে হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের  দোষ ত্রুটি দুর্নিতি লুটপাট স্বজনপ্রীতিসহ  সকল অপকর্ম  চোখের  আড়াল করতে সংবাদ মাধ্যম  মায়ের আচঁলে  ঢেকে রাখছে এমন ধারনা উৎপাদন  করে যাচ্ছে । বাংলার বানী, দিনকাল, জঙ্কন্ঠ  মানুষ  ছুয়ে দেখে না পড়েও না। অতি তোষামোদির ফলে পত্রিকা  চলার শক্তি হারিয়েছে  মনে রাখতে হবে।  

 নেতারা কর্মিরা  চাটুকাররা  অনেক পেয়েছে  আর কত নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া।  শাসকের জিগির গাইতে বড় বড় পত্রিকার সম্পাদক  সরকার বসিয়েছে। তাদের হাল চাল কর্ম সব ক্ষমতাসিন্দের  তোয়াস করা  তাদের কর্মে  প্রকাশ পায়। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে  ঘোড়ার মত হটাত উলটা লম্পপ দিয়ে সোস ফেলে দিবে। ঘোড়া বেশী দুরত্তে দেখতে পায় না তাই  দ্রুত গতিতে চলার সময় সামনে খানা খন্দক খাল বিল যখন  হঠাত  চোখে পড়ে তখন আর ব্রেক করে নিজের দেহ সাম্লাতে পারে না তাই উলটা পিছনে ডিগবাজী খায় । 

 অবস্থা এমনি হবে জনগণের জানার অধিকার কার্পেটের নীচে চেপে রাখলে  ঘোড়ারমত ডিগবাজী সরকারকে দিতে হবে । নির্লজ্জ তেল মর্দন  এমন পরিস্থিতি করবে।  সাগরিকা সিনেমায় কেদার দা  অনেক আগেই বলে গেছে তেল মারা  যার অভভাস সে চরকা পেলেই তেল মারে আপন পর দেখেনা। এরা বাতাশের গতিবিধি দেখে পাল তোলে । তেল চরকায় মারা শুরু করে। গলার সুর অনেকের পরিবর্তন হওয়া শুরু হয়েছে। 

সরকার সহি  চেস্টা করলে  কষ্ট  জনগণ  মেনে নেয়।   কিন্তু নেতা কর্মিদের লুটপাট  দলীয় দাপট মানুষের  প্রতিহিংসার ক্ষোভ তৈরি করে।  

টক শোর  উপস্থাপক অনেকে সরকারী দলের নয়া কাডারদেরমত   বাকবাকুম রবে  দলীয় প্রপাগান্ডা চালান যা শ্রুতি কটু।   

সংবাদ  মাধ্যম নেতাদেরা  নৈতিক শিক্ষার ঘাটতি কেটে উঠতে  অনুকরন করতে পারেন  অনেক  বিশ্বনন্দিত প্রবাদ পুরুষ সম্পাদকের নীতি। অনেক  প্রাতঃ   সরণীয় সম্পাদক   লোভ মোহ ভয় উপেক্ষা করে  পৃথিবিতে  অনুকরণীয় নজির তৈরি করে রেখেছে। আমেরিকার কথাই ধরুন ।  

ভিয়েতনাম  যুদ্ধ সংক্রান্ত  গোপন নথি  যা পেন্টাগন পেপারস নামে পরিচিত । ঐ গোপন নথী  প্রকাশ করার দায়ে ওয়াশিংটন পোস্টকে সুপ্রিম কোর্টে  নিয়ে যায় তৎকালিন আমেরিকার সরকার । রিপোর্ট  আলোয়  আসবে কি না  তা নিয়ে  সংবাদপত্রের সম্পাদকের মধ্যে বিতর্ক  চলে।  

দি পোস্টের   প্রবাদ প্রতিম সম্পাদক বেন ব্রাডলি ঐ নাজুক পরিস্থিতে  মেরুদণ্ড সোজা রেখে  সরকারকে  ছবক দিয়ে বলেছিলেন ,”  ওদের  ক্ষমতার লাগাম পরানোর  কাজটা তো আমাদের” আমাদের সংবিধানে গণতন্ত্রে আমাদের নিজেদের  ভুমিকা যথাযথ পালনের  ক্ষমতা  দেওয়া আছে  সংবাদ মাধ্যমকে । গন মাধ্যমের  কাজ শাসকের গুনাগুন করা আর দোষ ত্রুটি ঢেকে চলা নয়  বরং দোষ গুলি যথাযথ প্রচারের আলোতে আনা চাই, যাতে গণতন্ত্র সঠিক পথে চলে । 

  গণতন্ত্রে সংবাদ পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম , সংবাদ মাধ্যমের কাছে  প্রত্তাশাও  অনেক বেশী। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে ডাকা হয় চিহ্নিত তোসামোধকারি সুবিধাবাদীদের  । তারা মাইক্রোফোন হাতে প্রশংসায় বলে ফেলেন এত উন্নতি কি করে করলেন কি ম্যাজিক বাক্স আপনার আছে । এসব বলবে তো দলীয় নেতারা তেলমারা  সাংবাদিকের কাজ না। সংবাসদ সম্মেলন না বলে  প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা সভা বললে সঠিক হবে। কি বিপরীত নিতি দুই দেশের  সাংবাদিকদের মধ্যে। 

পছন্দমত  নেতা নির্বাচন করার সুজগ দিতে আমেরিকা মাজায় গামছা বেঁধে নেমেছে। মানব ধিকার ভটাধিকার গণতন্ত্র নামে এবার খেল তামাশা কেউ করতে পারবে না । জনতার ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে পারলে ভাল। পশ্চিমারা  আমেরিকা জাতিসংগ  গুস্রা প্রকাশ করছে । কৌশলে এদের অভিযোগ অনুযোগ সুরাহা করতে হবে দেশের স্বার্থে। এদের যত দূরে রাখা যায় ততই ভাল।   

। আমাদের সংবাদ  মাধ্যম কি সেই পথে  হাটতে  পারছে চাইলেও কি পারে ? ঠ্যাঙ ভেঙ্গে দিবে গুঙ্কির্তন  ছাড়া বেসুরা কির্তন ছাপালে। জেনে শুনে এই ঝুকি নিতে পারলেই একজন নন্দিত বেন ব্রাডলি বাংলাদেশ পাবে।    


লেখক, মেজর জিল্লুর রহমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক 

[email protected]


আরও খবর