Logo
শিরোনাম

আসছে ৭ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নেওয়ার সময় সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে কয়েকটি নির্দেশনা ও শর্ত দেওয়া হয়েছে। এ সব নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে এ ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। এতে মূল্যস্ফীতির প্রভাবে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবনে দেখা দিয়েছে আর্থিক অনটন। আগামী সংসদ নির্বাচনে সাধারণ মানুষের সমর্থন পেতে চায় সরকার। একারণে আইএমএফের নির্দেশগুলোর সবদিক বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সরকার ধীরে চল নীতি গ্রহণ করেছে।

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন প্রকার জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি থাকবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বিভিন্ন বৈঠক এবং একাধিক সরকারি সূত্রে এসব কথা জানা গেছে। এছাড়া জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে হবে ৭ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকার।

আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেলে চাপে পড়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ঋণের জন্য আবেদন করে সরকার। তবে এই ঋণ যেন যথাসময়ে পরিশোধ হয়, সেজন্য সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানোসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারকে। এসব নির্দেশনা মানায় এরই মধ্যে ঋণের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছে সরকার।

তবে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে, অপরদিকে এসবের কারণে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বল্প ও মাঝারি আয়ের পরিবারগুলো সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। মানুষকে এই আর্থিক কষ্ট থেকে পরিত্রাণ দিতে এবার আইএমএফের নির্দেশনাগুলোকে পাশ কাটাতে যাচ্ছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকার চাইলেও আগামী বাজেটে ভর্তুকি খুব বেশি কমাতে পারবে না। কারণ চাপে থাকা অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার করতে হবে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি খাতে ভর্তুকি কমানো যাচ্ছে না। আইএমএফের চাপ ও শর্ত সত্ত্বেও না, এমনই ভাবছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। কিন্তু আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এই আকার ৭ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি ভর্তুকির আকারও বাড়ানো হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ৮১ হাজার ৪৯০ কোটি। কিন্তু আসন্ন বাজেটে এই পরিমাণ ৩৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস খাতে চলতি অর্থবছর ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার।

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বাজেটেও ভর্তুকি এই পরিমাণ অব্যহত থাকবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমিয়েছে সরকার। আগামী অর্থবছরেও এই খাতে তেমন কোনো পরিবর্তন আসছে না। তবে বিদ্যুৎ খাতে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি ১৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা আরো ৬ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ২৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আসন্ন বাজেটে এই খাতে ভর্তুকি আরো বাড়তে পারে।

সূত্র জানায়, গত এপ্রিলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল অন বাজেট ম্যানেজমেন্ট, কারেন্সি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রেটের এক সভায় বিদ্যুৎ সচিব বলেছেন, প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ হারে বাড়ানোর কথা থাকলেও গতমাসে তা বাড়ানো হয়নি। আগামী দুমাসের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই। সে সময় অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা সভা শেষে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ব্যবসায়ীরা প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সরকার প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। এর বাইরে কৃষি উৎপাদনকে প্রাধান্য দিয়ে সারে ভর্তুকিও বাড়তে পারে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলেছেন, বিশ্ববাজারে সারের দাম কিছুটা কমলেও এখন পর্যন্ত কোভিডপূর্ব মূল্যে ফিরে আসেনি। ফলে এই খাতে ভর্তুকি বাড়বে। বর্তমান বাজেটে এই খাতের জন্য বরাদ্দ আছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। এদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে খাদ্য ভর্তুকিসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়াচ্ছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আগামী অর্থবছরে খাদ্য ভর্তুকিতে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ রাখা হতে পারে। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে কমমূল্যে খাদ্যপণ্য দেওয়াসহ সরকার পরিচালিত খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস) এবং ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কর্মসূচিগুলোর সরবরাহ ঠিক রাখতে এই বাড়তি বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। এছাড়া বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার মতো সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৫ হাজার বাড়ানো হচ্ছে। শুধু উপকারভোগীর সংখ্যাই নয়, মাসিক ভাতার হারও বাড়ানো হচ্ছে এসব খাতে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা, যা এখন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে।


আরও খবর



জিমেইলে আসছে নীল টিক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

জিমেইল নির্মাতা গুগল তাদের ইমেইল সেবায় নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। ইনবক্সে আসা ইমেইলের ডান পাশে নীল টিক চোখে পড়বে কিছুদিনের মধ্যেই। যা নিশ্চিত করবে ইমেইলটি প্রকৃত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আসা কিনা।

নীল (চেকমার্ক) হচ্ছে গুগল ব্র্যান্ড ইন্ডিকেটর ফর মেসেজ আইডেন্টিফিকেশন (বিআইএমআই) প্রযুক্তির সবশেষ বাস্তবায়ন। ২০২০ সালে গুগল (বিআইএমআই) নিরাপত্তায় জিমেইলে পরীক্ষা শুরু করে। প্রেরকের ইনবক্সে আসা ইমেইলকে বিআইএমআই তালিকায় নথিভুক্ত করে ব্র্যান্ডগুলোকে প্রমাণযোগ্য লোগো হিসেবে ফিল্টার করবে। তখন নীল চেক বৈধ প্রেরকের সুস্পষ্ট সূচক হিসেবে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

ইনবক্সে আসা ইমেইলের পাশে পপ আপ দৃশ্যমান হলে তা পর্দায় দেখা যাবে। পপ আপে সঙ্গে থাকা লিঙ্ক ইমেইল ভোক্তাকে বার্তা প্রেরকের বিশদ তথ্য নিশ্চিত করবে।

মূলত শক্তিশালী যাচাই-বাছাইয়ে ইমেইল সুরক্ষায় স্প্যাম শনাক্ত ও বন্ধ করতে সহায়তা করবে জিমেইলের নতুন ফিচার। তা ছাড়া প্রেরকদের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি পূর্ণ আস্থা নিশ্চিতেও সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) যুগে ইমেইলকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করতে জিমেইল ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাইছে। ব্র্যান্ড ও ব্যক্তির কাছে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হতেই নতুন পদ্ধতির সূচনা করতে যাচ্ছে গুগল। সবার জন্য ফিচারটি এখনও উন্মুক্ত হয়নি। তবে তা চালু হতে খুব বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হবে না বলে জানিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যে বিশ্বের নিবন্ধিত ভালো ব্র্যান্ডগুলো বিআইএমআই তালিকায় নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে খবরে প্রকাশ।


আরও খবর



নওগাঁয় ছাত্রীর সাথে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১২০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় ছাত্রীর সঙ্গে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের অভিযোগে নহলা কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক মখলেছুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা স্বাক্ষরিত পত্রে গত বুধবার থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক মকলেছুর রহমান নওগাঁর মান্দা উপজেলার কয়লাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে নহলা কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। 

ইতি পূর্বেও এমন অভিযোগে নুরুল্লাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেও তাকে বাথইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শাস্তিমুলক বদলি করা হয়েছিল। 

ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রীর বাবা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে আমার মেয়ের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছিলেন শিক্ষক মকলেছুর রহমান। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের জানানোর পরও তাঁর আচরণের পরিবর্তন হয়নি। অবশেষে প্রতিকার চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেছিলাম। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেব আলী বলেন, শিক্ষক মখলেছুর রহমান এর আচার-আচরণ সন্তোষজনক ছিল না। তাকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরে ছাত্রীর বাবা গত ১৪ মার্চ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পত্রটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত একটি পত্র পেয়েছি।

সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল বাশার শামসুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর সেটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। পরে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মোতাবেক শিক্ষক মকলেছুর রহমানকে ১০ মে থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা শিক্ষা অফিসার।


আরও খবর



সোলার প্যানেল পার্বত্যবাসীর রাতের অন্ধকারকে আলোকিত করেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

মো. রেজুয়ান খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা:

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, পার্বত্যবাসীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সোলার প্যানেল পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘদিনের অন্ধকারকে দুর করে দিয়েছে। রাতের আঁধারে একসময় দুর্গম পার্বত্যবাসীদের কাছে জোনাকির মিটমিট আলো, হারিকেন ও কুপির আলো ছাড়া অন্য কোনো আলোর ব্যবস্থা ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্গম পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য এ মুহূর্তে যেখানে বিদ্যুতের আলো পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না সেই সমস্ত পাহাড়ি দুর্গম এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে প্রতিটি ঘরে ঘরে অন্ধকার ঘুচাতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সোলার প্যানেল বিতরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরই ভিত্তিতে তিন পার্বত্য জেলায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ৪২ হাজার ৫ শত দুর্গম পাহাড়ি পরিবারের মাঝে সোলার প্যানেলের ব্যবস্থা করে রাতের অন্ধকারকে দুর করেছে। অন্ধকার গুচিয়ে আলোকিত এখন পার্বত্যাঞ্চল।

আজ শুক্রবার বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পাহাড়ি দুর্গম এলাকার ৩৩৮ পরিবারের মানুষের মাঝে সোলার প্যানেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, দুর্গম পার্বত্য এলাকাগুলোতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর ফলে সেখানকার মানুষ সকল দুর্গমতাকে কাটিয়ে এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারছে। আগামিতেও পার্বত্য এলাকার যেসমস্ত দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা নাই, সেই সমস্ত এলাকায় বিনামূল্যে সোলার প্যানেল সিস্টেম প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সোলার হোম সিস্টেম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. লুৎফর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো. ইয়াছির আরাফাত, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুরসহ সরকারি কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।



আরও খবর



নওগাঁয় এক ব্যাক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১৩৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় গণেশ নামে এক সুইপার এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় একটি হার্ডওয়ারের দোকানের সাটারিং গেটের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন মহাদেবপুর থানা পুলিশ। নিহত সুইপার গণেশ বাঁশফোড় (৩৮) দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা সদরের পার্বতীপুর বাবুপাড়ার মৃত কেদার বাঁশফোড়ের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন থেকে মহাদেবপুর উপজেলা সদরে থেকে বিভিন্ন বাসা-বাড়ির বাথরুমের ট্যাংকি পরিষ্কার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরিবার পরিজন না থাকায় বিভিন্ন হোটেলে খেতেন এবং অধিকাংশ রাতে ওই দোকানের সামনের বারান্দায় ঘুমাতেন। স্থানীয়রা আরো জানান, তিনি অধিকাংশ সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকতেন। এ দিন রাতের কোন এক সময় বন্ধ দোকানের সাটারের সাথে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ধারনা করছেন। তবে মৃতদেহ এর পা মাটির সাথে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল।

সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, সকালে স্থানীয়রা তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ উদ্ধার করে বুধবার দুপরে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।


আরও খবর



পর্যবেক্ষণে মিয়ানমার গেল রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

রাখাইন রাজ্যের মংডুতে পরিবেশ-পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে গেছে। ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ২০ জন রোহিঙ্গা এবং পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন।

শুক্রবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা টেকনাফের জেটিতে আসেন। সকাল ৯টার দিকে তারা নৌপথে স্পিডবোটে রওয়ানা দেন।

প্রতিনিধি দলটি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে রাখাইনের সার্বিক পরিস্থিতি কতটুকু অনুকূলে রয়েছে তা দেখবে। বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দলটি রাখাইনে যাচ্ছে।

এর আগে বাংলাদেশে বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করতে গত ১৫ মার্চ টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসেন মিয়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি টানা সাত দিন টেকনাফের স্থল বন্দর রেস্টহাউসে অবস্থান করে বাংলাদেশে আশ্রিত ১৪৭ রোহিঙ্গা পরিবারের মোট ৪৮৬ রোহিঙ্গার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং তাদের দেওয়া বক্তব্য রেকর্ড করেন।

২২ মার্চ সকালে প্রতিনিধি দলটি নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়। ওই সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যাদের প্রত্যাবাসন করা হবে সেই সব রোহিঙ্গা যাতে প্রত্যাবাসনের আগে রাখাইনের সার্বিক পরিবেশ স্বচক্ষে দেখে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে গেল।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী কয়েক মাস গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে।

সর্বাত্মক চেষ্টা করেও গত প্রায় ছয় বছরে সরকার একজন রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে পারেনি। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বারবার আশ্বাস দিলেও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নানা টালবাহানা করছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে সামরিক শাসন ফিরে আসায় প্রত্যাবাসনের আলোচনা অনেকটা এতদিন থমকে ছিল। তবে সম্প্রতি দেশটির একটি প্রতিনিধি দলের সফরের পর আবার নতুন করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এবার রোহিঙ্গ প্রতিনিধি দলের সফরে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে।

 


আরও খবর