Logo
শিরোনাম

আসছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার। ৩ দিনের সফরে তিনি সোমবার ঢাকা পৌঁছাবেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও সরকারের অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন রেইজার। এ সময় দেশের উন্নয়ন খাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে।

মার্টিন রেইজার বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। ৫০ বছরের এই অসামান্য যাত্রায় অংশীদার হতে পেরে বিশ্বব্যাংক গর্বিত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো করোনাভাইরাস, জলবায়ু পরিবর্তন ও বাড়তে থাকা বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির আঘাতে জর্জরিত। এই প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ কীভাবে মোকাবিলা করছে, তা জানতে আমি আগ্রহী।

জার্মান নাগরিক রেইজার গত ১ জুলাই থেকে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে তিনি চীন ও মঙ্গোলিয়ায় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং কোরিয়ার ডিরেক্টর পদে কাজ করেছেন। এ ছাড়া, তিনি তুরস্ক ও ব্রাজিলেও কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন।


আরও খবর



অডিও রেকর্ড সহ এসপি'র কাছে আলামত

নারীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলেন চারঘাট থানার ওসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

মাদক ব্যবসা করার জন্য এক নারীর কাছে ৫ লাখ টাকা ঘুষ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ এর পরিদর্শককে বদলির জন্য আরো ২ লাখ, মোট ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করার ''আলাপ-চারিতার'' ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিও রেকর্ড সহ এক নারীর অভিযোগ। 

অবশেষে রাজশাহীর চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম কে সাময়িক প্রত্যাহার সহ ঘটনাটি তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্বামী জেল-হাজতে রয়েছে সেই সুযোগে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সহ কয়েক জন ঐ নারীর কাছে চাঁদা দাবী করেছেন এমন অভিযোগ নিয়ে ভিকটিম নারী (২৮) চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম এর অফিসে যাওয়ার পর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম ঐ নারীকে তার কোয়াটারে ডেকে নিয়ে ''মাদক ব্যবসা করার জন্য ৫ লাখ এবং ঐ নারীর স্বামীকে গোয়েন্দা শাখার যে কর্মকর্তার নের্তৃত্বে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই কর্মকর্তাকে বদলী করার জন্য আরো ২ লাখ  টাকা দাবি করেন ওসি। এছাড়াও ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিওতে নারীর সুন্দর চেহারা নিয়ে ও আলাপ-চারিতায় মন্তব্য করেন ওসি। 

ঘটনাটি প্রকাশের পরই গত শনিবার রাতেই চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে প্রত্যাহার করে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয় বলে নিশ্চিত করেন রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম। তিনি বলেন, জেলা পুলিশ সুপার জনাব সাইফুর রহমান মহোদয় ঐ রাতেই চারঘাট থানার ওসি কে থানা থেকে প্রত্যাহার পূর্বক পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার আদেশ দেন।গত শনিবার ঐ নারী (২৮)

 ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর আলাপ-চারিতার অডিও রেকর্ড সহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। 

উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তার কোয়ার্টার এর কক্ষে ঐ নারীকে ডেকে নিয়ে মাদক ব্যবসা করার জন্য ৫ লাখ দাবি করে অবাধে মাদকের কারবার করতে দিবেন সহ মাদকের মামলায় ঐ নারীর স্বামীকে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি'র) যে কর্মকর্তা গ্রেফতার করেছেন তাকে বদলী করার জন্য আরো ২ লাখ টাকা মোট ৭ লাখ টাকা চান ওসি। এসময় আলাপ-চারিতায় ঐ নারীর রুপ (সুন্দর চেহারা) নিয়েও কথা বলেন তিনি। অডিও রেকর্ড তথা

ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর থেকে বিশেষ করে চারঘাট থানা এলাকা জুড়ে লোকজনের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

তবে সর্বশেষ মঙ্গলবার একটি সুত্র জানায়, ঐ নারীর স্বামী পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। আর সোর্স হিসেবে কাজ করার সুবাদে মাদকের সাথে জড়ীত হয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন পূর্বে ডিবি পুলিশ নারীর স্বামীকে মাদক সহ গ্রেফতার পূর্বক মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে জেল-হাজতে প্রেরন করেন। তবে ঐ নারীর স্বামী গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন বলেও জানিয়েছেন সুত্র। 

ঘটনা যেটিই হোক না কেন, ৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ট এর অডিও এর বিষয়টি সহ সম্পূর্ণ ঘটনাটি'র সত্য রহস্য উদঘার্টন পূর্বক জড়ীতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল সহ সাধারন লোকজন।


আরও খবর



কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ইউএনজিএর ৭৮তম অধিবেশনের সাইডলাইনে শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিক : ইনোভেটিভ অ্যাপ্রোচ অ্যাচিভিং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডিজঅ্যাবিলিটি শীর্ষক উচ্চ-স্তরের সাইড-ইভেন্টের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কমিউনিটি ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের চাবিকাঠি। সবার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর এ প্রচেষ্টাকে সহায়তার জন্য উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বহুপাক্ষিক অর্থায়ন সংস্থাগুলোসহ আমাদের উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি উন্নয়নশীল বিশ্বে কমিউনিটি-ক্লিনিক স্বাস্থ্য সেবায় তাদের সহায়তার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। টেকসই উন্নয়ন ও সার্বজনীন স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমাদের সম্মিলিত কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য এ বছর শপথ নেওয়ার সময় আমরা আপনাদের উপস্থিতিতে উৎসাহিত বোধ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, গ্লোবাল সাউথের উদীয়মান কণ্ঠস্বর হিসেবে বাংলাদেশ অর্থপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের সম্ভাব্য উপায় হিসেবে ইস্যুটিতে চ্যাম্পিয়ন হবে। আমাদের দিক থেকে, বাংলাদেশ আগ্রহীদের সঙ্গে উপলব্ধি এবং দক্ষতা বিনিময় করতে প্রস্তুত। সব সুখের মূলে রয়েছে স্বাস্থ্য। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চারদিকে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা আশা করি, এ সাইড ইভেন্ট স্বাস্থ্য এবং আমাদের সব জনগণ ও কমিউনিটির কল্যাণে আমাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের আরেকটি নিদর্শন হয়ে থাকবে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, তারা বুঝতে পেরেছেন যে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো আবার চালু করা ও এগুলোর টেকসইয়ত্ব শুধুমাত্র এগুলোর মালিক ও রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী স্থানীয় জনগণের ওপর নির্ভর করে। কেন ৯০ শতাংশ সেবাপ্রার্থী কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতি তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে- তা এ চিত্রটিই বলে দেয়।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে তাদের পার্লামেন্ট কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট পাশ করেছে। যাতে এর কার্যক্রম ও ফান্ডিং পদ্ধতি আরো সহজতর করা যায়।

স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা ভাবেন। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় রোধ করতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করার জন্য পাঁচটি অগ্রাধিকার অন্তর্ভুক্ত করা, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে বিশেষত এনসিডিগুলোর জন্য উন্নত ডিজিটাল স্বাস্থ্য ও ডায়াগনস্টিক পরিষেবা দিতে সক্ষম করে তোলা এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মতো ক্রমবর্ধমান জলবায়ু-জনিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সক্ষমতা আরও উন্নত করা।

অবশিষ্ট দুটি হলো- মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়ুবিক ব্যাধির জন্য স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সেবা উন্নত করা, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সেবা দেওয়াসহ একটি শক্তিশালী ডেটা-চালিত স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিক বিল্ডিং ব্লক হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ব্যবহার করা যায়।

এ সময় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক একটি ধারণা- যা বাংলাদেশে সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়ে গেছে। এটি এখন আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এ মডেলটিকে বাকি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি সর্বোত্তম অনুশীলন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা আমাদের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমার পিতা, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই, জাতির পিতা সমগ্র জনগণের জন্য চিকিৎসা সহায়তার ন্যূনতম সুযোগ দেওয়ার জন্য গ্রামীণ চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করতে চেয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো তার স্বপ্ন এবং প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। এখন প্রায় ১৪ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, যা স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা এবং পুষ্টি-সম্পর্কিত পরিষেবাগুলোর জন্য ওয়ান-স্টপ সেন্টার হিসেবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল, যা এখন সারা দেশে কাজ করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নবজাতক, শিশু এবং মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রায় ৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক জন্মদানের জন্য দক্ষতাপূর্ণ সেবার সুবিধা দিচ্ছে। এতে গড়ে প্রতি মাসে ৯ দশমিক ৫ থেকে ১০ মিলিয়ন লোক ক্লিনিকে সেবা নিতে আসেন এবং এ সেবাপ্রার্থীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ নারী ও শিশু। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সর্বজনীন টিকাদানের স্থানীয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এবং তারা কোভিড-১৯ টিকার কভারেজ সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসংক্রামক রোগের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়বিক ব্যাধিও পরীক্ষা করার সুযোগ রয়েছে। আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এবং যেখানে সম্ভব মানসিক স্বাস্থ্যের সহায়তা প্রসারিত করতে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছি। এ জন্য কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কফোর্সের প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা আপডেট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ২৭টি প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং তিনটি পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী বিনামূল্যে দিয়ে আসছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অ্যান্টিবায়োটিকগুলোকে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এবং অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ এজেন্ট দিয়ে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো জরুরি ও জটিল ক্ষেত্রে উচ্চতর চিকিৎসা সুবিধার জন্য রেফারেল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, সেবা প্রদানকারীরা স্বাস্থ্য ডেটা রেকর্ড করার জন্য ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে সজ্জিত। তারা স্বাস্থ্য এবং বিকলতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য সামাজিক এবং আচরণগত পরিবর্তনের বিষয়গুলোতেও তারা সম্পৃক্ত।

কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর প্রতিটি ৬ হাজার জন লোককে সেবার আওতায় আনবে বলে আশা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্লিনিকগুলো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের একটি অনন্য মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, স্থানীয় লোকেরা এর জন্য জমি সরবরাহ করে এবং সরকার পরিচালনার খরচ বহন করে। নারীদের বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণসহ সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে নেওয়া এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের দ্বারা এগুলো পরিচালিত হয়।

তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় আসার পর, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রায় সাত বছর ধরে অবহেলিত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রাখা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদ।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে, সিন্ট মার্টেনের প্রধানমন্ত্রী সিলভেরিয়া এলফ্রিডা জ্যাকবস জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা কভারেজ অর্জনকারী বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মালদ্বীপের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সাফিয়া মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, এত শক্তিশালী নারী নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে পেরে তিনি অভিভূত। তিনি সবার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার উপায়গুলো সহজ করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমিকা নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও দেখানো হয়।

সূত্র : বাসস

 


আরও খবর

দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ওমরাহ পালনে নারীদের পোশাক নির্ধারণ করল সৌদি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ওমরাহ পালন করতে যাওয়া মুসলিম নারীদের পোশাক নির্ধারণ করল সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে এ পোশাক পরিধান করেই মক্কার গ্রান্ড মসজিদে ওমরাহ করবেন নারীরা।

সৌদির ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওমরাহ পালনের সময় নারীরা চাইলে তাদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো পোশাক পরতে পারবেন। তবে তা হতে হবে নির্ধারিত নিয়ম-নীতির মধ্যে।

দেশটির মন্ত্রণালয় জানায়, নারীরা যে পোশাকই পরিধান করবে তা হবে ঢিলেঢালা, শরীরে কোনো ধরনের অলংকার থাকতে পারবে না এবং শরীর সম্পূর্ণভাবে ঢাকা থাকতে হবে।

পবিত্র হজের সময় ব্যতিত যে কোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। তবে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় ওমরাহ করতে বেশি মানুষের আগমন ঘটে। যেটিকে ওমরাহ মৌসুম হিসেবে বলা হয়। যা হজের পরপরই শুরু হয়।

গত দুই মাস আগে থেকেই সৌদি আরবে ওমরাহর মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। দেশটি ধারণা করছে এবার ১ কোটি মুসলিম ওমরাহ করতে পবিত্র নগরী মক্কাতে আসবেন।


আরও খবর



রাণীনগরে ইউএনও‘র বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন এর বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পবিার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এই মানববন্ধন করেন।

 রাণীনগর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন শুরু হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা জানান,ইউএনও শাহাদাত হুসেইন এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে উপজেলার চিত্র পাল্টাতে শুরু করে। মানবিক কার্যাবলী,কর্মদক্ষতা সম্পন্ন জনবান্ধব উদ্যোক্তা এই কর্মকর্তা উপজেলার সর্ব সাধারণের ভালবাসা ও আস্থা অর্জন করেন। ইউএনও শাহাদাত হুসেই, মাদক নিয়ন্ত্রন,বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ,কিশোর অপরাধ দমনসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্ছার থেকে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়নে অতুলনিয় ভূমিকা রাখায় বিশেষ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভালবাসা অর্জনে সক্ষম হন তিনি। তিনি ভূমিহীন,অসহায়,হতদরিদ্রদের পাশে থেকে শুধু সরকারী অর্থেই নয়,ব্যক্তিগত ভাবেও সাধ্য মতো সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে আসছেন। কিন্তু হঠা’ করেই তার বদলির আদেশে ফুঁসে ওঠে উপজেলা বাসী। রাণীনগর উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে জাতির সামনে তুলে ধরতে এবং উপজেলাবাসীর জীবন মান-উন্নয়নে ইউএনও শাহাদাত হুসেইন এর বদলি আদেশ দ্রæত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় এই মানববন্ধনে। 

মানববন্ধনে রাণীনগর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চাঁদ সুলতানা,উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন তোতা,ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম,দূর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাব্বেল হোসেনসহ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন অংশ নেয়।

উল্লেখ্য,গত গত বছরের ১৭মে শাহাদাত হুসেইন এই উপজেলায় ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। সরকারী এক আদেশে গত ২৭আগষ্ট তাকে ঢাকা বিভাগের ইউএনও হিসেবে পদায়নের জন্য কমিশনার অফিসে ন্যাস্ত করা হয়েছে। 


আরও খবর



স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে সজাগ থাকতে হবে : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

স্বাধীনতা বিরোধীরা যাতে কোন মতেই ক্ষমতা আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম - মুক্তিযুদ্ধে ৭১ এর ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সেক্টরস কমান্ডার্স ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার সারওয়ার আলী, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ম, হামিদ এবং মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবো, যারা চক্রান্ত করবে তাদের বিরোধিতা করবো। সম্মিলিত কাজ করে যেতে হবে।

জাতীয় সম্মেলনে যোগদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, যারা স্বাধীনতা বিরোধীতা করেছে তারা যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিটি কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে, বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।

দেশের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে এবং স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরী সহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপতি।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে আপনারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই আন্দোলনের মধ্যমণি এবং নেতা।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এটা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক খেলা হয়েছে, অনেক নেতৃত্ব এসেছে কিন্তু এই খেলায় বিজয়ী হচ্ছেন জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি জানতেন কিভাবে ধারাবাহিকভাবে রাজনীতি করতে হয় । বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে কোন রসায়ন কাজ করেনি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির পিতা তিনি মানুষের অন্তরের কথা তিনি বুঝতেন এবং জানতেন, তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের রাজনীতি ইতিহাসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষা বাংলা অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে যে দুর্গম পথের যাত্রা শুরু হয়েছিল বা ৫২-এর ভাষা আন্দোলন ৫৪-এর যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮-এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬এর ছয় দফা, ৬৯এরনির্বাচন ও ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তার পরিসমাপ্তি ঘটে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা অনেক মানবিক ছিলেন। যারা ক্ষুধার্ত তাদের অন্ন দিতেন। তিনি প্রতিটি ধাপে ধাপে বাঙালি চেতনাকে লালন করেছেন। তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা তার এই জাতীয়তাবাদী মনোভাব, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ সবকিছুতেই ছিলেন অন্যান্য সাধারণ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি অঙ্গুলির হেলানে সমস্ত জাতীয় ঐক্যবদ্ধ হয় এরকম উদাহরণ পৃথিবীতে আমরা খুঁজে পাই নাই।

তিনি বলেন দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভ করলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত থেমে থাকেনি। তারা এখনো সক্রিয় রয়েছে।

তাঁরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধানকে তছনছ করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে পরাজিত শত্রুরাই এসব করেছে, তিনি উল্লেখ করেন। তিনি সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান ।

১৯৭১ সালের গণহত্যার প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলার মাটিতে সংগঠিত এই গণহত্যা বিংশ শতাব্দীর জঘন্যতম বৃহৎ গণহত্যা।

১৯৭১ সালের ১৩ জুন বিশ্ব সাংবাদিক এন্থনি মাসকারেনহাস এর লেখা যুক্তরাজ্যের "দি সানডে টাইমস" পত্রিকা "গণহত্যা" বিস্তারিত বিবরণ ছাপা হয়েছে, উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালির গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো করা প্রয়োজন।

এই দাবি নিয়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার ও এক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশে এখন মর্যাদার আসনে আসীন।

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উপর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত "Genocide 1971" গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর