Logo
শিরোনাম

আসলে জীবনটা কী? অনেকটা সময় নিয়ে ভাবলাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

শামীমা নাছরিন, সিনিয়র সাংবাদিক :

ভেবে মনে হলো, জীবনটা আসলে যুদ্ধ। টিকে থাকার লড়াইয়ে হাজার রকমের প্রচেষ্টার সমন্বয়। একটা যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই আরেকটা যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করে। যেন সিনেমার সিকোয়েন্স। 

অবশ্য, বাবা-মার সামর্থ্য থাকলে ছোটবেলায় লড়াইটা কম করতে হয়। কিন্তু জীবনে যখন একা চলার প্রয়োজন হয় বা নিজের মতো করে গড়ে তুলতে হয় তখনই যুদ্ধটা শুরু হয়। শুধুমাত্র সময়ের সঙ্গে এর ধরণটা বদলে যায়।

শিক্ষা জীবনে পড়ালেখায় ভালো করা নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়। পরীক্ষায় কে কার চেয়ে ভালো ফল করতে পারবে এ নিয়েই মূলত যুদ্ধ। শিক্ষা জীবন শেষে চাকুরির জন্য যুদ্ধ। তবে, চাকুরির পাশাপাশি পরিবারের চাপে বিয়ে না করা ইস্যুতে যুদ্ধ করে মেয়েরা। যেসব মেয়েরা চাকুরি-সংসার দুটোই সামলান তারা জড়িয়ে পড়ে মহাযুদ্ধে। ঘর-বাহির করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হলেও  জিতে যায় বিবাহিত মেয়েরা। তবে, নতুন যুদ্ধ শুরু হয় মা হওয়ার পর। বাচ্চার দেখভাল করতে গিয়ে সংসার ও চাকরি নিয়ে রীতিমতো যুদ্ধে নামে মায়েরা। এ সময় পরাজিত হয়ে চাকুরি ছেড়ে দেয় অনেকে। চাকরি ছাড়লেও যুদ্ধ কিন্তু শেষ হয় না। কাঁধে দায়িত্ব চাপে সংসার ও সন্তানের। সন্তানের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে খারার তৈরি এবং স্কুল-কোচিং বা অন্যান্য শিখন কার্যক্রমে পুরোপুরি যুক্ত হয়ে পড়ে মায়েরা। তিন বেলা স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সন্তানকে আনা নেওয়ার জন্য সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে তারা। এক সময় সন্তান বড় হয়ে গেলে যুদ্ধ হয় নিজের শরীরের সঙ্গেই। জীবন পরিক্রমায় শরীরটাই যেন যুদ্ধক্ষেত্র হয়। আজ এ রোগ তো কাল সে রোগ। এভাবেই যুদ্ধ করতে করতে একসময় ক্লান্ত হয়ে মৃত্যুর কাছে হেরে যায় মানুষ।

তাই দুইদিনের জীবনে এতো প্যারা নিয়ে লাভ নেই। আল্লাহ আমাদের জন্য যা কিছু নির্ধারণ করে রেখেছেন তাই হবে। আমরা শুধু সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রেখে দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক রাখতে পারি।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

পুরোনো সংবিধান এবং শাসন কাঠামো রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, শুধু সরকার পরিবর্তন করে প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজাতন্ত্র গড়ার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন এবং নতুন সংবিধান প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবে নাগরিক পার্টি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক বলেন, নিবন্ধন নিতে শর্তাবলী পূরণ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগাবো। গঠনতন্ত্র প্রণয়নের কাজ চলছে।

এ সময় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা রাজধানীর রায়েরবাজারে সকাল ১০টায় চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের কবর জিয়ারত করবেন।

দুটি কর্মসূচিতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের রাজনৈতিক যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল সমাবেশের মধ্যদিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। পরে ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




ঝলকাঠিতে ভুয়া পরিচয়ে দুটি খেয়াঘাটের ইজারা নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠি শহরের রোনালছে রোড (পৌরসভা) খেয়াঘাট ও স্টিমার ঘাট খেয়া পারাপারের ভুয়া পরিচয়ে ইজারা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইজারা পাওয়া আব্বাস আলী ঝালকাঠি পৌরসভা ও পোনাবালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা পরিচয়ে ইজারাদাতা ঝালকাঠি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রত্যয়য়নপ‌এ জমা দিয়েছে। ভুয়া পরিচয় দিয়ে ইজারা পাওয়ায় পেশাদার মাঝি-মাল্লা (পার্টনিদের) মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রকৃত পার্টনিরা ভুয়া পরিচয়দানকারীর ইজারা পরিবর্তন করে বিধি অনুযায়ী খেয়াঘাটের ইজারা দেয়া দাবী জানিয়েছেন। নয়তো তারা উচ্চ আদালদের "স্বরণাপন্ন হবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে, ঝালকাঠি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পূরাতন কলেজ, রোনালছে বোড খেয়াঘাট (পৌরসভা খেয়াঘাট), স্টিমার খেয়াঘাট ইজারা আহ্বান করেন। ইজারা নোটিশ অনুযায়ী বেশ কিছু লোকজন টেন্ডারে অংশ নেয়। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে প্রাথমিকভাবে ইজারাদার ঘোষণা করা হয়। রোনালছে রোড  খেয়াঘাট (পৌরসভা খেয়াঘাট) এবং স্টিমারঘাট খেয়াঘাট ইজারাদার হিসেবে আব্বাস আলীর নাম ঘোষণা করা হয়। আব্বাস আলী ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড পুরাতন কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা হিসেবে এক বছর আগের দেয়া পৌর কাউন্সিলর হুমাউন কবীর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র জমা দেন । আবার সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউপি সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন শরীফ স্বাক্ষরিত কিস্তাকাঠী এলাকার বাসিন্দা হিসেবে প্রত্যয়নপত্র জমা দেন আব্বাস আলী। ওই প্রত্যয়নপত্রের কোনোটাতেই দুজন জনপ্রতিনিধির একক স্বাক্ষরের বাইরে আরো স্বাক্ষর নেই। দু'স্থানের বাসিন্দা, দুজনের কাছ থেকেই খেয়াঘাটের মাঝি হিসেবে একই ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে এ দোদুল্যমান অবস্থা কাটাতে হালনাগাদ প্রত্যয়নপত্র পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দিতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্যসূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক কুমার সমদ্দার জানান, আমরা দরপত্র বাছাই করে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্ণয় করেছি। এখনও কারো নাম চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি। সব কাগজগুলো যাচাই-বাছাই শেষে চুড়ান্ত ইজারাদারের নাম ঘোষণা করা হবে।


আরও খবর



তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং ইসলামি খেলাফতকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশার সঙ্গে তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্য লক্ষ্য করেছি, যেখানে তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘নিপীড়ন ও হত্যা’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের হুমকি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বৈশ্বিক তৎপরতা একই আদর্শ ও লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো ইসলামপন্থী খেলাফতের মাধ্যমে শাসন করা।’

তুলসি গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, ‘বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

গ্যাবার্ডের মন্তব্য কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ বা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি বলে বাংলাদেশ সরকার ওই বিবৃতিতে দাবি করে। অন্তর্বর্তী সরকার বিবৃতিতে উল্লেখ করে, তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্যে পুরো বাংলাদেশকে অন্যায় ও অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে সরকার দাবি করেছে, বিশ্বের অনেক দেশের মতো, বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, তবে এটি ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আইনশৃঙ্খলা, সামাজিক সংস্কার এবং অন্যান্য সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতার মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আসছে।

বাংলাদেশকে ভিত্তিহীনভাবে "ইসলামি খেলাফত"-এর সঙ্গে যুক্ত করার অর্থ হলো বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগীদের কঠোর পরিশ্রমকে খাটো করে দেখা, যারা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসলামি খেলাফত” ধারণার সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে বাংলাদেশ কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উচিত সংবেদনশীল বিষয়ে মন্তব্য করার আগে সে বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখা এবং ক্ষতিকর গৎবাঁধা ধারণা ও ভীতি ছড়ানো বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার মতো কোনো কিছু বলা থেকে বিরত থাকা।

সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে যৌথ বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে বাংলাদেশ সমর্থন করে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তব তথ্য ও সকল দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গঠনমূলক সংলাপ অংশগ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫

ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




রমজান:-পূর্ণ মুমিন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

সুফি মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

চলছে পবিত্র রমজান। আল্লাহর অনুগ্রহ: তিনি আমাদের মানুষ বানিয়েছেন, শেষ নবীর উম্মত নির্বাচিত করেছেন এবং দান করেছেন রমজানের মতো বরকতে পূর্ণ একটি মাস। এখন আমরা সেই রমজান-ই অতিক্রম করছি।

আল্লাহর কাছে রমজান মাস সব চেয়ে প্রিয় ও দামি। কারণ, এ মাসে তিনি পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত:১৮৫)

কোরআন নাজিল ছাড়াও রমজান মাসে ইসলামের আরও একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে। বদরের যুদ্ধ, মক্কা বিজয় ইত্যাদি এ মাসের ইউল্লেখযোগ্য ঘটনা। আর এ মাসের একটি রাত, যেটি শবে কদর নামে পরিচিত। মর্যাদা ও সম্মানে রাতটি এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।

আল্লাহ বলেন, ‘আমি কোরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জানো কদরের রাত কী ?  কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও অধিক উত্তম। এ রাতে ফেরেশতা আর রূহ ( জিবরাঈল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে প্রত্যেক কাজে অবতীর্ণ হয়। এ রাতে বিরাজ করে শান্তি আর শান্তি, ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত।’ (সুরা কদর)

এ মাসের নফল ইবাদতের সওয়াব অন্য মাসের ফরজ ইবাদতের সওয়াবের বরাবর। উল্লিখিত আলোচনায় বোঝা যায়, এ মাসের ফজিলত ও গুরুত্ব অনন্য। এ জন্য রাসুল ( ﷺ ) পবিত্র রমজানে রাব্বুল আলামিনকে খুশি করার জন্য বেশি বেশি কালিমা তাইয়্যেবা ও ইস্তেগফার পাঠের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। একইসঙ্গে প্রিয় নবী (সা.) জান্নাত প্রার্থনা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার প্রতি জোর দিয়েছেন। এ জন্য পবিত্র রমজানকে আমাদের ইবাদতের সুবর্ণ সুযোগ মনে করা উচিৎ। আমরা যদি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর নির্দেশনা অনুযায়ী মাসটিকে অতিবাহিত করতে পারি, তাহলে আমরা সহজেই অনেক সওয়াব ও উপকার হাসিল করতে পারবো।

নিচে রমজানের বিশেষ কিছু সুন্নাত আমল তুলে ধরা হলো–

১.রমজানের চাঁদ দেখলেই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা এবং সব সৃষ্টির জন্য রমজানের রহমত প্রাপ্তির দোয়া করা।

২.প্রতি দিন বেশি থেকে বেশি পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা। কারণ, হাদিসে এসেছে, কোরআন তিলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত।

৩.বেশি বেশি কালিমা তাইয়্যেবা ও মুহাব্বাতের সঙ্গে রাসুল (সা.) এর ওপর দরুদ পাঠ করা এবং তাঁর কাছে সালাম পৌঁছানো।

৪.নিজের জীবনের ছোট-বড় সব গোনাহ থেকে ক্ষমা চেয়ে ইস্তেগফার পড়া। একইসঙ্গে আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করা।

৫.একান্ত ওজর ছাড়া রমজানে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত পরিত্যাগ না করা। সেহরির আগে তাহাজ্জুদ নিয়মিত পড়া। পাশাপাশিই এশরাক, চাশত, আওয়াবিন আদায়ের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া।

৬.গিবত না করা এবং অনর্থক কোনও কাজে সময় ব্যয় না করা। প্রতিটা মুহূর্ত আল্লাহকে স্মরণ করা। রমজানই এবাদতের মাস। এ মাসে একজন পরিপূর্ণ মুমিন হয়ে ওঠার আল্লাহ আমাদের তৌফিক দেন, আমিন।


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ঢাকাসহ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন নারী শিক্ষার্থীরা। তারা ধর্ষণ এবং নারী নিপীড়নের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার করার দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত বিচার এবং শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসেন। এর মধ্যে একটি বিশেষ ঘটনায়, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করার পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের একজন কর্মচারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে আদালতে জামিন পাওয়ার পর হঠাৎ করে ‘তৌহিদী জনতা’ নামে এক দল লোক থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে, এই ঘটনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিবৃতি দিয়ে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করেন।

ঢাবির রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা প্রথমে মশাল মিছিল বের করেন। তাদের হাতে ছিল নানা স্লোগান ও ব্যানার, যেখানে লেখা ছিল, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন?’ এবং ‘ফাঁসি ফাঁসি, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’। মিছিলটি রোকেয়া হল থেকে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবার হলের সামনে ফিরে আসে। এরপর, সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা মিছিলে যোগ দেন এবং রাত ১২টার পর তারা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ এবং অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান। বিশেষ করে, তারা সরকারের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করার আল্টিমেটাম দেন। এরই মধ্যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘যদি আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণের বিচারের ব্যবস্থা না হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।’

এদিকে, মাগুরায় একটি শিশু নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শিশুটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সবাই উদ্বিগ্ন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ ও মিছিল করে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নবিরোধী প্রতিবাদ জানায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা শামসুজ্জোহা চত্বরে সমবেত হয়ে সরকারকে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। তারা বলেন, ‘নারীদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে, দেশের শাসনভার চালানোর অধিকার আপনারা হারিয়ে ফেলেছেন।’

এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আরও ঘোষণা করেছেন, তারা যতদিন না ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত হবে, ততদিন তাদের প্রতিবাদ চলবে। তাদের এই আন্দোলন ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনবিরোধী জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হতে পারে, যার মাধ্যমে সরকারের প্রতি আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫