Logo
শিরোনাম

আত্মহননের সাংবাদিকতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক :

আত্মহত্যা অবশ্যই বেদনাদায়ক। এর পেছনের ঘটনাও সাধারণত সংবেদনশীল ও বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। তাই আত্মহত্যার ঘটনার সংবাদ-মূল্য অনস্বীকার্য। কিন্তু নিউজ ভ্যালু আছে এবং পাঠক চাহিদা আছে বলেই কি এই জিনিস প্রকাশ্যে বিক্রি করা উচিত?

বিষের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আত্মহত্যার ঘটনাগুলো বিষ স্বরূপ, যা বিতরণের সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যম এর নেতিবাচকতা বিবেচনায় নেয় না, যা দুর্ভাগ্যজনক।

পেছনের ঘটনা যতই বেদনাদায়ক হোক, আত্মহত্যা একটি অপরাধ। এই অপরাধটি সংক্রামক বৈশিষ্ট্যর। আত্মহননের মনস্তত্ব সংক্রামক এবং এটি একটি ব্যাধি – যা গবেষণায় প্রমাণিত। আত্মহত্যার ভাইরাস জনসমাজে ছড়ানোর দায়িত্ব মিডিয়া নেবে কেন?

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ'র আত্মহত্যার সংবাদ প্রচারের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সেলিব্রেটির বেশ কয়েজন তরুণ ভক্ত আত্মহত্যা করেছিল। মিডিয়া সেই সংবাদগুলিও প্রচার করেছিল।

একটি আত্মহত্যার ঘটনা অন্যকেও আত্মহননে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। সাংবাদিকতায় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়। আমরা যখন বিদেশি মিডিয়ায় কাজ করি তখন সম্পাদকীয় নীতিমালার এই বিষয়গুলো মানি। অথচ নিজ দেশে মানি না।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢুকে একজন মানুষ নিজেকে হত্যার মতো গর্হিত কাজ করার ফলে, এরপর অন্যকেউ এরকম কর্মে উদ্বুদ্ধ হবে কিনা তা মাথায় রাখা উচিত।

প্রথমত: সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আত্মহননকে দুস্কর্ম হিসেবেই উপস্থাপন করা উচিত। পিছনে যে কারণই থাক, সেই কারণে একজন ব্যক্তি যেমন কাউকে হত্যা করার অধিকার রাখে না, তেমনি নিজেকেও হত্যা করার অধিকার রাখে না।

নিজেকে হত্যাকারী ব্যক্তিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না, যেমন একজন খুনি, ডাকাত বা আত্মঘাতি জঙ্গিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যায় না।

আত্মহননকারীর প্রতি সহানুভূতি মিশ্রিত সংবাদ পরিবেশন অন্যকেও এধরনের অপকর্মে উৎসাহিত করতে পারে। এধরনের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহানভূতিব্যঞ্জক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাইরাল হলে তা সমাজের জন্য আরও ক্ষতির কারণ হয়।

যতই সংবেদনশীল হোক, এই নিউজ পত্রিকার প্রথম পাতায় কভার করা উচিত নয়। ভেতরের পাতায় দিতে হবে, যাতে এর ফোকাস কম হয়। সংবেদনশীলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে সংবাদটি উপস্থাপন করতে হবে। গণপাঠক টার্গেট করে নয়, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং একাডেমিক প্রয়োজনে সতর্কতার সাথে সংবাদটি যাবে।

এধরনের সংবাদ টেলিভিশনে প্রচার না করাই ভাল।

আত্মহত্যার বহুবিধ কারণ থাকে। সেগুলো নিরসন করতে না পারা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। ঘটনার তদন্ত করে কারণ খুঁজে বের করা এবং প্রতিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।



আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




নওগাঁয় মেয়ের বাড়ি জোর করে দখলে নিয়ে বিক্রি করলো সৎ পিতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় মেয়ের বাড়িঘর ও সম্পত্তি পাওয়ার অব এ্যাটনীর বলে নিজ নামে খরিজ করে দখল করে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ঐ বাড়ি থেকে মারপিট করে মেয়ে ও মেয়ের সন্তানদের বের করে দেয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেয়ে মাসুদা খানম। সোমবার দুপুরে মাসুদা খানম নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। এসময় লিখিত বক্তব্যে মাসুদা খানম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে বসবাস করে আসছেন। এরই এক পর্যায়ে নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ সরদারপাড়া এলাকায় পিতা আব্দুল মজিদ সরকারের নিকট থেকে দলিলমুলে প্রাপ্ত সম্পত্তির উপর একটি বাড়ি তৈরী করেন। যেহেতু তিনি সিঙ্গাপুরে থাকেন সেহেতু উক্ত বাড়িঘর তত্ত্বাবধান করার জন্য আব্দুল মজিদ সরকার কন্যা (মেয়ের) নিকট থেকে পাওয়ার অব এ্যাটর্নী গ্রহন করেন। এই বলে পরবর্তীতে মাসুদা খানমের পিতা উক্ত সম্পত্তি নিজ নামে খারিজ করে নেন এবং পরবর্তীতে তা বিক্রিও করেন। এ কথা তার মেয়ে জানতেন না। যথারীতি সিঙ্গাপুর থেকে এসে ৩সন্তান নিয়ে ঐ বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। তখন তার পিতা আব্দুল মজিদ সরকার তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে গত ২৬ এপ্রিল দুপুর ১২টায় আব্দুল মজিদ সরকার ওরফে হাসু, তার তৃতীয় স্ত্রী মোছাঃ মেরিনা খাতুন সহ ১০/১৫ জনের একটি দল ঐ বাড়ির তালা ভেঙ্গে জোর পূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় মাসুদা খাতুন পাশের বাড়িতে পানি আনতে গিয়েছিলেন। তার বড় ছেলে মাসুক ইসলাম ওরফে আলিফ ঘরে পড়াশোনা করছিল। তাদের বাধা দিলে হামলাকারীরা বাঁশের লাঠি, লোহার রড ও ধারালো চাকু দিয়ে আলিফের উপর আক্রমন চালায়। এতে মারাত্মক ভাবে আহত হয় সে। তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে পুরো বাড়ি দখল করে নেয়। আহত অবস্থায় আলিফকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘরের মধ্যে নগদ ৩ লাখ টাকা, ২২ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল ফোন, ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের ১টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ১টি ল্যাপটপ, ৫ লাখ ৭৫ টাকা মূল্যের স্বর্নালঙ্কার, ১২টি পাসপোর্ট, ব্যাঙ্কের ক্রেডিটকার্ড, ডেবিটকার্ড সব রয়েছে। সেগুলো তাকে ফেরত দেয়া হয়নি। কোন রকমে অন্য একটি ভাড়া বাসায় উঠেছেন। এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নওগাঁ সদর মডেল থানা মামলা নম্বর ৫৫, তারিখ: ২৮-০৪-২০২৫ ধারা ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৮০/৫০৬ (২) /১১৪ পেনাল কোড। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। এমনকি নগদ টাকা, ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, ডেবিটকার্ড, স্বর্নালঙ্কার, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, পাসপোর্ট কিছুই উদ্ধার করেনি। আসামী আটকের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বরং আসামীরা তাকে হুমকি প্রদর্শন করছে। এতে তিনি আতঙ্কে রয়েছেন। এসময় তিনি পুলিশ প্রশাসনের নিকট আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য আবেদন জানান। মেয়ের বাবা আব্দুল মজিদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি জন্য বক্তব্য নেওয়াও সম্ভব হয়নি। তবে তার চাচা আলী হাসান সরকার জুয়েল জানান, ভাতিজি মাসুদা খাতুন অন্য একজন বাবার রেখে যাওয়া মেয়ে। তার অত্যাচারে পরিবারের সকলে অতিষ্ঠ। বাড়ির মালিকানা, বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা সত্য নয়।


আরও খবর



নওগাঁয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৭১৯ কেজি চাল জব্দ, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৭শ' ১৯ কেজি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় জানা জানির পর লোকজনের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা যেন কোন ভাবেই পার না পায় সেই বিষয়ে প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। রাণীনগর

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান জানান, একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ চাল মজুদ আছে এমন খবর পেয়ে বুধবার রাতে উপজেলার পারইল ইউপির ধোপাপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঐ বাড়িতে ৫০ কেজি ওজনের ৩৪ বস্তা চাল এবং ১৯ কেজি চালের একটি বস্তা পাওয়া যায়। তবে ঐ চালগুলো সরকারি কিনা তা তদন্তের পরই জানা সম্ভব। পরে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, জব্দকৃত সব চাল সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। এসব চাল বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইটের। তিনি ও তার সহযোগীরা এসব চাল ঐ বাড়িতে রেখেছিল। এই চালের মূলহোতা ডিলার সুইট। চালের বস্তার পাশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের সরকারি খালি বস্তা পড়ে ছিল। আর চালগুলো অন্য প্লাষ্টিকের বস্তায় প্যাকেট করা ছিল। এমনকি রাতেই ঐ বাড়িতেই চাল মাপ করার কাজ চলছিল। এসব চাল বাহিরে বেশি দামে বিক্রির জন্য ঐ বাড়িতে রাখা হয়েছিল। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের। বাড়ির মালিক আশরাফ আলী বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। এসে জানতে পারি ডিলার সুইট আমার বাড়িতে চাল রেখেছে। আমি তাকে চাল নিয়ে যেতে বললে তিনি পরে নিয়ে যাবে বলে জানায়। এরপর আমি আর কিছু জানিনা।

উপজেলার বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইট বলেন, চালগুলো আমার না। বাড়ির মালিক আমার নামে মিথ্যা কথা বলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।


আরও খবর



বাংলাদেশিদের জন্য ইউএই ভিসা পুনরায় চালু

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে টেকসই কূটনৈতিক উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা ইস্যু পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে ইউএই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।


রবিবার ইউএইর বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আলহামুদি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ইউএই সরকারের সঙ্গে সিদ্দিকীর সক্রিয় যোগাযোগের প্রশংসা করেন, যার মধ্যে ভিসা সুবিধা ও বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত একাধিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অন্তর্ভুক্ত ছিল।


রাষ্ট্রদূত আলহামুদি বিশেষ দূতকে জানান, ইউএই দূতাবাস এখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য দলভিত্তিক ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে, যা জনগণের চলাচল ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে।


এক বড় অগ্রগতির অংশ হিসেবে, ইউএইর মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেম পুনরায় চালু করেছে।

এর ফলে, মার্কেটিং ম্যানেজার ও হোটেল কর্মীদের মতো পেশাজীবীদের জন্য ইতিমধ্যে ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়া, নিরাপত্তা প্রহরী পদের জন্য ৫০০টি ভিসা প্রদান করা হয়েছে এবং আরও ১,০০০টি ভিসা অনুমোদিত হয়ে ইস্যুর অপেক্ষায় রয়েছে।


অপেক্ষা করা হচ্ছে যে ইউএই ধাপে ধাপে আরও ভিসা সীমাবদ্ধতা শিথিল করবে। রাষ্ট্রদূত আরও জানান, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত মানবিক ও সহানুভূতিশীল মামলাগুলোর বিষয়ে নমনীয়তা অব্যাহত থাকবে।


বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এসব অগ্রগতিকে স্বাগত জানান এবং রাষ্ট্রদূতের খোলামেলা মনোভাব ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বাংলাদেশ-ইউএই মধ্যে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (CEPA) বিষয়ক আলোচনা শুরুর জন্যও কৃতজ্ঞতা জানান, যা ইতিমধ্যে নীতিমালার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে।

এই মাসের শেষ দিকে একটি উচ্চপর্যায়ের ইউএই মন্ত্রিসভা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে, যাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করা যায়।


আরও খবর



সুফি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান মহোদয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সকল সুন্নী রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবাদ ও বিবৃতি আশা করছি। সংক্ষিপ্ত তাফসীরসহ কুরআনে কারিমের বিশুদ্ধ বাংলা অনুবাদ "রুহুল কুরআন", ফার্সি ভাষায় লিখিত হাজার বছর আগের তাসাউফ দর্পন "কাশফুল মাহজুব" এর বাংলা অনুবাদ, হাদিস সংকলন, ৪০ হাদিস সহ অনেক কিতাব কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জাতির খেদমতে উপহার, সিহাহ সিত্তাহ [হাদিসের বিশুদ্ধ ছয়টি গ্রন্থ]কে অধিকতর বিশুদ্ধ অনুবাদ, ব্যাখ্যা ইত্যাদি দিয়ে বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তুলে ধরা, সত্যিকারের মুফতি তৈরির মানসে বছর মেয়াদি ইফতা কোর্স, আরবি ভাষা শেখানোর জন্য এরাবিক ল্যাংগুয়েজ সেন্টার, ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক শাহাদাত-এ কারবালা মাহফিলের প্রধান পৃষ্ঠপোষকসহ বহু একাডেমিক এবং নন একাডেমিক, সামাজিক, মানবিক, দেশে - বিদেশে  সর্বত্র নিজেকে বিলীন করে দিয়ে যে মহান খেদমতের আঞ্জাম দিচ্ছেন তা সত্যিই অতুলনীয় এবং এর  দৃষ্টান্ত এ যুগে বিরল। পাশাপাশি শিল্প জগতে সততার সাথে বিপ্লব ঘটিয়ে চলছেন। অসংখ্য পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলছেন। তাছাড়া দেশে- বিদেশের ওলামা, পীর মাশায়েখদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলছেন। যেখানেই যান ৮৩তম বয়সে উপনীত হয়েও ছাত্রের মত কাগজ- কলম নিয়ে বসে পড়েন। এরকম নানান গুনের অধিকারী বিনয়ী একুশে পদকপ্রাপ্ত আলহাজ্ব মোহাম্মদ সুফি মিজানুর রহমান প্রতিহিংসার শিকার হবেন না তাতো হতেই পারেনা।  যার কারণে জুলাই আন্দোলনে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী করা হলো উনাকে। ঢাকা আলিয়ার এক শিক্ষার্থীকে পতিত স্বৈরাচারের পালিত প্রশাসন ও সন্ত্রাসীরা আক্রমন করেছে, সেখানে এ রকম মহান মানুষের সম্পৃক্ততা কিভাবে সম্ভব? আল্লাহকে ভয় করুন। একমাত্র তিনিই যাকে ইচ্ছে ক্ষমতা দান করে ইজ্জত দান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেন। আমরা অনতিবিলম্বে সুফি সাহেবের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা অবলোকন করছি, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যেখানে উপদেষ্টা ও প্রশাসনের কিছু উগ্রবাদী ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে আমরা সন্দেহ পোষণ করছি। আমি বর্তমান সরকার ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, সুন্নী জনতা আপনাদের প্রতিপক্ষ নয়, তাদেরকে জোর করে প্রতিপক্ষ বানানোর পরিণাম ভালো হবে না। সুন্নীয়তের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত চলমান এই ষড়যন্ত্র বন্ধ নাহলে সুন্নী জনতা রাজপথে ফায়সালা করে ফিরবে। অবিলম্বে এই মামলা বানিজ্য বন্ধ করুন। 


আরও খবর

মাইজভান্ডারির মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫




রোহিঙ্গাদের সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলার সহায়তা

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জাপান সরকার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। সোমবার ঢাকার জাপান দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাঈদা শিনিচি এবং আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। কক্সবাজার জেলা এবং ভাসানচরে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায় এই প্রকল্প থেকে সহায়তা পাবে।

এই প্রকল্পের আওতায় সুরক্ষা, আশ্রয়, খাদ্যবহির্ভূত পণ্য, এলপিজি বিতরণ, পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি, পাশাপাশি ভাসানচরে শরণার্থীদের জন্য জীবিকা নির্বাহ এবং কক্সবাজারে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং সুরক্ষা পরিষেবা দেওয়া হবে।

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা আশা প্রকাশ করেছেন, জাপান সরকারের সহায়তায় এই প্রকল্প রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। কক্সবাজার ক্যাম্পে আমার প্রথম সফরের ঠিক পরেই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি আশা করি এই বিস্তৃত পরিকল্পনাটি কক্সবাজার এবং ভাসানচর উভয় স্থানে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের সুরক্ষা, জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাবে। জাপান এই সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং আইওএমের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করবে।


আরও খবর