Logo
শিরোনাম

আত্মসমালোচনার পথ খোলা রাখুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

-- আমিনুল ইসলাম কাসেমী :

আমরা মাঝে- মাঝে ভুল করি। বড় ভুল হয় আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের। তবে সে ভুল শোধরানোর চেষ্টা করিনা। বরং কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তাকে গালমন্দ করে থাকি।

আমরা কেউ চাই না আমাদের কোন সন্তান ভাদাইম্মা হয়ে যাক।কেউ চায়না তার ছেলে কট্টরপন্হী  গ্রুপে যোগদান করুক। এমনকি আজকাল কোন অভিভাবক চায়না তার সন্তান প্রচলিত রাজনীতিতে শরীক হোক বা মিছিল - মিটিং-এ যাক। কিন্তু বর্তমান যে অবস্হা তাতে সন্তানেরা গার্জিয়ানের অপছন্দের  ওইসব কর্মকান্ড টপকিয়ে ভাদাইম্মার স্তর থেকেও উপরে উঠে গেছে। এখন আর স্বাভাবিক অবস্হাতে নেই। বরং বর্তমান তাদের কার্যকলাপগুলো স্কুল- কলেজ- ভার্সিটির ছেলে-মেয়েদের হার মানিয়ে দিচ্ছে।

আমরা কারো পাগড়ি বাঁধা দেখলে ফেরেস্তা মনেকরি। মনেহয় দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল মানুষ। কিন্তু বর্তমানে  কিছু কিছু পাগড়ির নিচেও শয়তানে বাসা বেঁধে ফেলেছে সেটা ভেবে দেখিনা। 

এজন্য আত্মসমালোচনার রাস্তা খোলা রাখতে হবে।  নিজের সন্তানদের ভুল হলে সেটা সংশোধনের নিয়্যাতে ধরিয়ে দিতে হবে। যাতে তারা ইসলাহ হয়ে যায়। সামনে থেকে আর ওই ভুলগুলো না করে।

মরহুম আইনুদ্দিন আল আজাদ( রহ,)  একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে "কলরব" গঠন করেছিলেন। বিশেষ করে অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় একটা সুস্হ - সুন্দর এবং শালীন সংস্কৃতি জাতিকে উপহার দিবেন।  কিন্তু বর্তমান "কলরব" এর শিল্পিদের যে অবস্হা তাতে আর সুস্হ- সংস্কৃতি বাকি নেই। বিশেষ করে কদিন পর পর "কলরব" এর শিল্পিদের ব্যাপারে যে সব আপত্তিকর আওয়াজ শোনা  যায় সেটাতো জাহেল আর হুজুরদের মাঝে কোন ফারাক নেই।

 "কলরব" এর শিল্পিদের ব্যাপারে আমি কোন  আপত্তি করতাম না। তারা পাগড়ি - জুব্বা খুলে কলরবের সাইনবোর্ড সরিয়ে ওরা যা ইচ্ছে তাই করুক। কোনদিন আমি কথা বলবনা। কিন্তু জুব্বা- পাগড়ি লাগিয়ে  আবার প্রখ্যাত শিল্পি আইনুদ্দিন ( রহ,) এর নাম ভাঙিয়ে নিজের ইচ্ছেমত চলবেন, শরীয়াতের হুকুমের তোয়াক্কা করবেন না, তাহলে সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে চরম অন্যায়। 

 কদিন আগে কলরব এর এক শিল্পি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তার বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ভিডিওগুলো অনলাইনে ঘুরছে।   তার বিয়ের গান নাকি তিন দিনেই একলক্ষ ভিউ হয়েছে। যেটা নিয়ে তিনি খুব শুকরিয়া আদায় করলেন।  তবে  আজব ব্যাপার হল  অধিকাংশ কমেন্টার এবং রিয়েক্টার মহিলা। তারাই ওইসব ভিডিওর আগাগোড়া দেখছে,আর অন্যরকম অনুভূতি ফিল করছে।

দেখলাম, শিল্পিরা গান গাচ্ছে " বিয়ে সুন্নাত মোতাবেক হোক"  

 মানে মুখে এক বুলি আর কর্মে আরেকটা।  ওনাদের কোন জিনিসটা সুন্নাত মোতাবেক হয়েছে?  হিন্দি- বাংলা সিনেমার নায়কদের স্টাইলে শেরওয়ানী আর টোপর পরে কোন সুন্নাত আদায় হয়েছে এখানে?  সারা জীবন পাগড়ি আর জুব্বা পরে গান গাইলেন আর বিয়ের সময় শাহরুখ খান আর সাকিব খানের বেশধরা এটা কোন সুন্নতের আওতায় পড়ে।

আমি এটা নিয়ে কিছু বলতাম না,  শুনেছি তিনি নাকি  যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন। তাহলে একজন আলেম হয়ে এভাবে নায়কের বেশধরা কতটা যুক্তিযুক্ত? 

 বিয়ের আদ্যপান্ত ভিডিও করে ছাড়া হল। শেরওয়ানী গায়ে জড়ানো থেকে নিয়ে ওয়ালীমা সবকিছু ধারণ করে ইউটিউব অনলাইনে ছাড়া হল। আবার বিশাল বহর নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হানা দেওয়া হল, এগুলো কোন সুন্নাতের আওতায় পড়ে? মানে সুন্নাতের কোন খোঁজ নেই, ওদিকে গান গাওয়া হচ্ছে " সুন্নাত মোতাবেক বিয়ে হোক, মানে স্পষ্ট প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।

এই তো বেশীদিন আগের কথা নয়, মরহুম সৈয়দ ফজলুল করীম ( রহ,) এক বিয়েতে বর পক্ষকে গালমন্দ করেছিলেন। ছেলে নাকি দ্বীনদার। বিয়ে পড়ানোর সময় ছেলে এবং অভিভাবকদের বলেছিলেন, আপনারা কেমন দ্বীনদার? মেয়ের বাড়িতে গাড়ির বহর নিয়ে আসলেন এটা কেমন দ্বীনদারী? 

নব্বইদশক এবং এর পরবর্তি সময়গুলোতে দেখেছি, কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে ভিডিও করা আমাদের ওলামায়েকেরাম সে বিয়েতে শরীক হতেন না। বয়কট করতেন। অহেতুক ছবি তোলা,  ভিডিও করা এটা কোন আলেম জায়েজ বলেন নি। আজ পর্যন্ত কোন আলেম বৈধতার ফতোয়া দেয়নি। আর এখন বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ভিডিও করে আপলোড করা হচ্ছে। 

এখানেও আমি সমস্যা মনে করতাম না। যদি ওনারা এভাবে পাগড়ি - জুব্বা লাগিয়ে পাক্কা হুজুর না সাজতেন। অথবা রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য বা ইসলামী কোন বিষয় প্রতিষ্টার চিন্তাভাবনা থাকত। কিন্তু অহেতুক এবং মানুষকে বোকা বানানোর উদ্দেশ্যে এমন ভিডিও সত্যি আপত্তিকর। এর দ্বারা দলিল হয়ে গেল।  হুজুরেরা বিয়ের শুরুতে শেষ পর্যন্ত ভিডিও করে অনলাইনে ছাড়ে, তারা সিনেমার নায়কদের মত শেরওয়ানী আর টোপর পরে, তাহলে আর আমরা করলে সমস্যা কোথায়? দিনে দিনে মানুষ অহেতুক এবং অনার্থক কাজের দিকে ঝুকে যাবে। এখন তাদের বড় দলিল "কলরব"এর হুজুরদের বিয়ে।

হাদীস শরীফে এসেছে, " ইন্না আ'জমান নিকাহে বারাকাতান আইছারুহু মায়ুনাতান"

অর্থাৎ ওই বিয়েতে বরকত যেখানে আড়ম্বরি কম হয়।  কিন্তু বিয়েতে আজকাল হুজুরেরা, আলেমেরা, পীর সাহেবরা যেভাবে আড়ম্বারিতা দেখাচ্ছেন তাতে কোন বরকত বিয়ে- শাদীতে থাকছেনা। যার কারণে দেখবেন, কদিন পর পর এখন হুজুর শিল্পিদের  বউ ডিভোর্স হচ্ছে। বেশীদিন থাকছেনা। জাহেলদের বিয়েশাদীতে যা হয় আলেমদের বিয়েতে  এখন তাই হচ্ছে। একারণে বিয়ের পরে প্রায় জায়গাতে আজকাল কিছু কিছু হুজুরদের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। এর একমাত্র কারণ বিয়েতে সুন্নাত নেই। এরপর জাহেলদের মত কিছু হুজুর শরীয়াত মানছেনা।যে কারণে বিপত্তি ঘটে যাচ্ছে।  

শরীয়াতের গন্ডির মধ্যে থাকার চেষ্টা করতে হবে।  টাকা পয়সা বেশী হলেই যে খুব বাড়াবাড়ি করতে হবে তা নয়। কেননা এখন তো শিল্পিদের টাকার অভাব নেই। আইতেও টাকা যাইতেও টাকা। তাই বলে "অর্থই যেন অনার্থের মুল"  এটা না হয়ে দাঁড়ায়।

আমি কলরবের বিলুপ্তি চাই না। আমি চাই সংশোধন। তারা নিজেদের ভুলগুলো ঠিক করে সামনে কদম রাখুক।  অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় জেগে উঠুক এমনটি চাই।

আল্লাহ আমাদের সহী বুঝ দান করুন। আমিন।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট


আরও খবর

১ হাজারই বহাল থাকছে হজ এজেন্সির কোটা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




বাড়ছে শৈত্যপ্রবাহের, আরো কমবে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এসে দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা কমে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে কাঁপন ধরিয়েছে শীত। গতকাল চলতি শীতের মৌসুমে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার তিন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও আজ তার আওতা বেড়ে হয়েছে চার জেলায়।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পঞ্চগড়, রাজশাহী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আগামী কয়েকদিন মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, আগামীকাল রোববার থেকে দুই দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে এসময় মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। সেখানে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকালে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামী নির্বাচন অতীতের যে কোন নির্বাচন থেকে অনেক অনেক কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ জেলা নেতা কর্মীদের নিয়ে"রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা' ও জনসম্পৃক্তি বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা-২০২৪ ভার্চুয়ালি যুক্ত প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, সহকর্মীবৃন্দ আগামী যে নির্বাচন হবে আপনাদেরকে আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। কেউ যদি মনে মনে ভেবে থাকেন আরে এখানেতো প্রধান প্রতিপক্ষ নাই, অথবা দুর্বল হয়ে গেছে নির্বাচন খুব সহজ হবে। নো, নো এন্ড নো । এই নির্বাচন অতীতের যে কোন নির্বাচন থেকে অনেক অনেক অনেক কঠিন হবে। কাজেই নিজেদেরকে সেভাবেই প্রস্তুত করুন। আগমি যে কঠিন নির্বচন সেটি জনগণের সমর্থন নিয়ে সেই নির্বাচনের পুরসেরাত যেন আমরা পার হতে পারি। সেজন্যই সব সময় বলছি জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন।

তিনি বলেন, আমরা সেই ১৯৮১ সালের আগে থেকে দেখেছি কিভাবে জাতীয়তাবাদী দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র হয়েছে। দেশের ভিতরে এবং দেশের বাইরে আন্তর্জতিকভাবে। ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে থাকে নাই। এই দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র যখন হবে ধরে নিতে হবে ষড়যন্ত্র শুধু এই দলের বিরুদ্ধে নয়, সেই ষড়যন্ত্রের অংশের মধ্যে আছে আরেকটি ষড়যন্ত্র । যেটি হচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, স্বার্বভৌমত্যের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।

তারেক রহমান আরো বলেন, স্বৈরাচারের মাথা পালিয়েছে, কিছু কিছু ছোট ছোট মাথাও পালিয়েছে। কিন্ত লেজ ও শরীরের অনেকাংশ রয়ে গেছে। তারা কিন্তু ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে। কাজেই আপনাদের (নেতা-কর্মী) এ ব্যাপােের সজাগ থকতে হবে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের ভেতরে অনেকে অনেক এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে। এ সব ব্যাপারেও আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আপনাদের চোখ-কান খোল রাখতে হবে।

বিএনপি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির আয়োজনে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা একটি কমিউনিটি সেন্টার অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন।

বক্তব্য রাখেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান। কর্মশালায় রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার উপর বক্তব্য রাখেন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহমুদা হাবিবা।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




রাজাপুরে বর্নাঢ্য আয়োজনে প্রধান শিক্ষিকার বিদায়ী সংবর্ধণা

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান রাজাপুর ,ঝালকাঠি:

ঝালকাঠির রাজাপুরের ২ নং সাতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজনীন বেগমকে অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধণা দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ বর্নাঢ্য সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আকতার হোসেন। সমাজসেবক আনোয়ারুল হক নান্নুর সভাপতিত্বে এবং ওই স্কুলের শিক্ষক রিয়াজ হোসেন ও লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন সমীরেন্দু বিশ্বাস, বিরাজ আহসান, আরজুদা বেগম, আনোয়ারুল হক নানু, নজরুল ইসলাম বাচ্চু, এম.এস.এ মনির, আব্দুল মঈন বাদশাহ, শাহনারা খানম, খালেদা শিরিন, নিলুফা ইয়াসমিন, রফিকুল আলম, নজরুল ইসলাম, মাসুদ করীম, শামসুর রহমান আশরাফ আলী, আতিকুল ইসলাম, মো: শাহিন, হায়দার আলী, রফিকুল ইসলাম, এনামুল কবির, আব্দুল আলীম মাসুদ, শামীম হোসেন, নুরুল কবির, বর্ষা আক্তার, নিশাত জাহান নিরা, সায়েম ও আয়শা আক্তার মিম প্রমুখ।


আরও খবর



ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প, বাণিজ্য ও আর্থিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র লস অ্যাঞ্জেলেস। বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানলে ইতোমধ্যেই ১২০০ একরের কেশি এলাকা পুড়ে গেছে।

এছাড়া আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে বহু বাড়িঘর ও গাড়িও। পরিস্থিতি বিবেচনায় ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১৩ হাজার ভবন আগুনের হুমকির মুখে রয়েছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ১০ একর থেকে শুরু হয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১২০০ একরের বেশি এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ফায়ার চিফ ক্রিস্টিন ক্রাউলি বলেছেন, ৩০ হাজারেরও বেশি লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং ১৩ হাজার ভবন আগুনে পুড়ে যাওয়ার হুমকির মধ্যে রয়েছে।

দাবানলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, প্যাসিফিক প্যালিসেডেস এলাকায় আগুন জ্বলছে এবং বাসিন্দারা আগুন থেকে বাঁচতে তাদের গাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং ঘণ্টায় ৫০ মাইল (৮০ কিলোমিটার) গতির দমকা বাতাস এবং অবিশ্বাস্যভাবে শুষ্ক অবস্থার কারণে আগুন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি ফায়ার চিফ অ্যান্থনি মারোন বলেছেন, প্যাসিফিক প্যালিসেডস এখনও “বিপদমুক্ত নয়”। ক্যালিফোর্নিয়ায় লাখ লাখ মানুষ রেড অ্যালার্টের অধীনে রয়েছে, যার অর্থ সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার চরম বিপদ রয়েছে।

এমন অবস্থায় দাবানল আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাতে এই আগুন আরও তীব্র হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।


আরও খবর



ইকোস অব রেভ্যুলেশন কনসার্টের বিভিন্ন উদ্যোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে সহায়তার জন্য আয়োজন করা হচ্ছে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ শিরোনামের এই দাতব্য কনসার্ট। কনসার্টে গাইবেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান।

আগামী ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে। এর আয়োজক ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ প্লাটফর্ম। তাদের এই আয়োজনের জন্য ভেন্যু ভাড়া মওকুফ করেছে সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড।ফলে কনসার্ট থেকে আয়কৃত যে পরিমাণ অর্থ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রদানের আশা করেছিল, ভেন্যু ভাড়া মওকুফ হওয়ায় তার চেয়ে বেশি অর্থ প্রদান করতে পারবে জানিয়েছেন ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ প্লাটফর্ম। এর সঙ্গে যুক্ত সদস্যরা মনে করেছেন, তাদের উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরও বিশাল কন্ট্রিবিউশন যুক্ত হলো, যা ভবিষ্যতে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

এদিকে, আলোচিত এই কনসার্টের টিকিট অনলাইনে শ্রোতাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে আয়োজক প্ল্যাটফর্ম ‘স্পিরিটস অব জুলাই’। অনলাইন টিকিট প্ল্যাটফর্ম গেট সেট রকে সোমবার ৯ ডিসেম্বর রাত থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। টিকিট বিক্রি চলবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত।

এই কনসার্টের ভিআইপি টিকিটের মূল্য ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও দুটি ক্যাটাগরির টিকিট ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে ফ্রন্ট রো ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং জেনারেল টিকিট ২৫০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া একই দিনে কনসার্টের ফাইনাল লাইন আপ ঘোষণা করা হয়েছে। রাহাত ফাতেহ আলী ছাড়াও এদিন অনুষ্ঠানে দেশীয় ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, আফটারম্যাথ, র‌্যাপ সংগীতশিল্পী সেজান, হান্নান ও সিলসিলা গান পরিবেশন করবেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি প্রদর্শনী, মঞ্চনাটক হবে।


আরও খবর