Logo
শিরোনাম

বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ নেতার অপকর্ম ঢাকতে বিএনপি দলের নামে মিথ্যাচার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ আওয়ামী লীগ নেতার অপকর্ম ঢাকতে বিএনপির নামে মিথ্যাচার করে অপপ্রচার করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলেছেন ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আমির আলী তালুকদার।

    শুক্রবার বেলা ১১টায় মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তাব্যে ভূক্তভোগী ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আমির আলী তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে জড়িয়ে গত ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগ নেতা শাহবুদ্দিন তালুকদারের ছেলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান শুভ সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করে বিএনপি দল ও তাকে জড়িয়ে ৯টি দোকান ঘর দখলের অভিযোগ তুলেছে তা আদৌ সঠিক নয়। ২০০৯ সালে তার চাচাতো ভাই শাহবুদ্দিন তালুকদার আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তার পৈত্রিক ১ একর ১১ শতক জমি লোকজন নিয়ে দখল করে নেয়। এ ছাড়াও ২০১৭ সালে আমির আলী তালুকদারের নব্বইরশী বালুর রাস্তা সংলগ্ন আরও একটি জমি আওয়ামী লীগ দলীয় লোকজন নিয়ে দখল নিতে গেলে জনতার তোপের মুখে পড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা।  

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জেলা পরিষদের সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান মৃত. শাহবুদ্দিন তালুকদার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালিন বাগেরহাট-৪, আসনের সাবেক এমপি, মন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেনের একান্ত কাছে লোক হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে নিজেকে ধরা বলে সরা মনে করতেন না তিনি। তার একক ছত্রছায়ায় বিশারীঘাটা বাজার, কেজি স্কুল রোডে সাবেক কসাইখানার জমি,দখল করে পাকা ইমারাত নির্মাণ, ভাষানদল এলাকায় জমিসহ একাধিক বিবাধমান জমি নাম মাত্র ক্রয়ের নামে তার লোকজন নিয়ে দখলে নেয়।

    বিএনপি নেতা আমির আলী তালুকদার আরও বলেন, তার পিতার রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে তিনে ভোগ দখল করছেন। কারও জমি  জোরপূর্বক তিনি দখল করেনি। প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মাহমুুদুল হাসান শুভ নিজেদের দোষ বিএনপি দলেরকাঁেধ চাপিয়ে অপপ্রচার করছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মৃত. শাহবুদ্দিন তালুকদার ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ’র বিগত অনিয়ম করে অর্থ সঞ্চয় জমার ব্যাংক হিসাব স্থাবর অস্থাবর ক্ষতিয়ে দেখার দাবি জানান অন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রতি।

 এ সর্ম্পকে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ বলেন,  তার পিতার জীবিত থাকাকালিন কাগজপত্রের আলোকে জমি জমা ক্রয় করে পাকা ইমারাত করেছেন। ৫ আগষ্টের পর আমাদের ৯টি দোকান ঘর দখল করা হয়েছে। ন্যায় বিচার  চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছি। 


আরও খবর



৬ কোটিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

শেষ মুহূর্তে চলতি আইপিএলে দল পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যক্তিগত কারণে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানো জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের পরিবর্তে মুস্তাফিজকে স্কোয়াডে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৬ কোটি রুপিতে তাকে দলে টেনেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নিলামে তার ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। যদিও নিলাম থেকে টাইগার পেসারের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কেউ। মূলত, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর আইপিএলে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আইপিএল কর্তৃপক্ষ মুস্তাফিজের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফলে চলতি ২০২৫ আইপিএলের বাকি অংশে দিল্লির জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে ‘দ্য ফিজ’কে। সাময়িক বিকল্প হিসেবে মুস্তাফিজের সঙ্গে চুক্তি করেছে দিল্লি। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, পরের আসরের জন্য তাকে ধরে রাখতে পারবে না এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। অর্থাৎ, শুধুমাত্র চলমান আসরের বাকি অংশে মুস্তাফিজকে খেলাতে পারবে দিল্লি।

৬ কোটি রুপিতে দল পেয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে মুস্তাফিজই এখন সবচেয়ে বেশি টাকায় আইপিএলে ডাক পাওয়া ক্রিকেটার। এর আগে ২০০৯ সালে মাশরাফিকে ৬ লাখ ডলারে কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সে সময়ের বাজারদরে তা চার কোটি টাকার কাছাকাছি ছিল।

আগামী শনিবার থেকে আবারও শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ। দিল্লি ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট অর্জন করে টেবিলের ৫ নম্বরে আছে। সুযোগ আছে শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার। প্লে অফের আগে এখনও ৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে মুস্তাফিজের দলের।

আইপিএলে মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা বেশ সমৃদ্ধ। এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচে ৬১ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ১০৬ ম্যাচ, নিয়েছেন ১৩২টি উইকেট।

২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। এরপর খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সর্বশেষ ২০২৪ আসরে ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। এবার আবারও দিল্লির হয়ে মাঠে নামছেন তিনি।


আরও খবর



হাইকোর্টে জামিন পেলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে এ জামিন দেন।

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন চেয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দিয়েছিলেন।তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা ওই রুলে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাবেশ আয়োজন করে সনাতন জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। এ সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে সামনে আসেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। ওই সমাবেশের পর গত বছরের ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। চিন্ময় ছাড়াও মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়।

পরে গত বছরের ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় দাসকে গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পরদিন ২৬ নভেম্বর জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করে তার অনুসারীরা।

গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। গত ২ জানুয়ারি তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। 


আরও খবর



৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায়আব্দুল গনি (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকরাবুনিয়া ইউনিয়নের সিংবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত আবদুল গণিকে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাড়ির পাশেই অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল ৭ বছরের ওই শিশুটি। গত বুধবার, ৯ এপ্রিল দুপুরে দক্ষিণ গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুল গনি চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যান। মুখ চেপে ধরে পরনে থাকা জামাকাপড় টেনে হেঁচড়ে খুলে ফেলে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন ও শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বৃদ্ধ গণি। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে কৌশলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত গণি।

পরে এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল মেয়েটির মা বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইমুনালে আব্দুল গনি বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলার আবেদন করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে এজাহার গ্রহণের আদেশ দেন। এরপর গত ২৪ এপ্রিল মির্জাগঞ্জ থানায় মামলাটি রুজু হয়।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার জানান, শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় আব্দুল গনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হবে।


আরও খবর



অদৃশ্য মহামারি থ্যালাসেমিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বাংলাদেশে রেজিস্ট্রারভুক্ত থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা ৪ থেকে ৫ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা অনেকটা অদৃশ্য মহামারিতে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসা ব্যয়ের ভার এতটাই বেশি যে, সব রোগীর জন্য সেবা দিতে বছরে প্রয়োজন অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা। অথচ রোগটি শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য— যদি সচেতনতা এবং বিবাহপূর্ব থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা নিশ্চিত করা যায়।

৭ মে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসায় প্রতি মাসে একজন রোগীর খরচ হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে দেশে প্রায় এক লাখ রেজিস্ট্রারভুক্ত রোগী রয়েছে, যাদের চিকিৎসায় বছরে ব্যয় হচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকা। আর প্রকৃত রোগী সংখ্যার ভিত্তিতে হিসাব করলে এই ব্যয় দাঁড়ায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ যার ব্যয়ে কোনো উদ্বৃত্ত নেই। এর চিকিৎসা ব্যয় শুধু বাড়তেই থাকে। সমস্যা আরও গভীর হয় যখন দুইজন বাহক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সন্তান জন্ম দেয়, যেটি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহন করে। একমাত্র সমাধান হলো সচেতনতা এবং বিবাহপূর্ব পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা। আমি নিজে এই বিষয়ে সামাজিকভাবে কাজ শুরু করব এবং আমার তিনটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি জায়গায় এই রোগ নিয়ে আলোচনার আয়োজন করব।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন শিশু হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক। তিনি বলেন, বিবাহপূর্ব থ্যালাসেমিয়া বাহক শনাক্তকরণ বাধ্যতামূলক হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই রোগ থেকে রক্ষা পাবে।

শিশু হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক বলেন, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। এটি প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ, কিন্তু জনসচেতনতার অভাবে প্রতিদিনই নতুন রোগী যুক্ত হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, এই রোগীদের নিয়মিত রক্ত প্রয়োজন। তাই নিরাপদ রক্তের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাও জরুরি, যাতে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে নতুন কোনো রোগ ছড়িয়ে না পড়ে।

সভায় আরো বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. মো. সেলিমুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. মো. মাজির হোসেন এবং অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন। বক্তারা থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ের নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।


আরও খবর



সরকারের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা দৃশ্যমান

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আবারও আহ্বান জানিয়ে বলবো— পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। জনগণের ভোটে, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা না করা গেলে পতিত স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না। লোভ-লাভের প্রলোভন থেকে মুক্ত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব পালন করবে এই আশা করছি বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে এনডিএম-এর অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তাদের পরিকল্পনা-কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একটি রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে আসছে। সকল কিছু বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাই— সরকার কিন্তু সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। সরকার জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে সুকৌশলে অল্প সংস্কার-বেশি সংস্কার এরকম একটি অভিনব শর্তের বেড়াজালে বলা যায় আটকে দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ছে। আমরা প্রতিদিন দেখছি— কোনও না কোনও দাবি নিয়ে মানুষ রাস্তায় নামছে। মাত্র ১০ মাসের মাথায় সরকারের ভেতরে এবং বাইরে কিন্তু এক ধরনের অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। সরকার জনগণের ভাষা-আশা-আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে। আমরা মনে করি, অস্থিরতা এভাবে বাড়তে থাকলে এই সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই। গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো মিলে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা একসঙ্গে রাজপথে ছিলাম, আমাদের অবস্থান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শক্তি ও সামর্থ্যের প্রতি নেতিবাচক মন্তব্য করিনি। তবে আমরা চুপ থাকলেও জনমনে এই সরকারের প্রতি প্রশ্ন উঠছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে এবং জুলাই আন্দোলনে হাজারো মানুষের প্রাণের বিনিময়ে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক বৈধতার ভিত্তি রচিত হয়েছে। অথচ জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কতজন শহীদ হয়েছেন, কতজন আহত হয়েছেন, দশ মাসেও কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শহীদদের তালিকা ও সংখ্যা চূড়ান্ত করতে পারেনি। অথচ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় কতজন মানুষ শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, এই মুহূর্তে যদি গুগলে সার্চ করা যায় তাহলে হতাহত মানুষের পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে। অথচ এখন যদি কেউ জুলাই-আগস্টের শহীদদের হতাহতদের তথ্য জানতে চান তাহলে কি নির্দিষ্ট সেই তথ্য পাওয়া যাবে? এ ব্যাপারে কিন্তু বিরাট সন্দেহ বা প্রশ্ন রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে গণঅভ্যুত্থানের সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে দশ মাসেও যদি জুলাইআগস্টের শহীদদের তালিকা চূড়ান্ত না করতে পারে, তাহলে সেটা সরকারের সক্ষমতা বহন করে কিনা এই প্রশ্নটি রেখে যাচ্ছি। এখানে আরেকটি প্রশ্ন এসে যায়— সরকার কি হতাহতদের ব্যাপারে উদাসীন নাকি ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন? এটি দেশের বহু মানুষের বড় জিজ্ঞাসা।

বর্তমান সরকার জবাবদিহিমূলক নয় মন্তব্য করে বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, করিডোর কিংবা বন্দর দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়। এই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ বা জনগণের সরকার। বর্তমান সরকারের আইনগত ও রাজনৈতিক বৈধতা নিয়ে হয়তো প্রশ্ন নেই। তবে এই সরকার কোনভাবেই জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার নয়। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রাধিকার হতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরে সংস্কার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, এনবিআর সংস্কার নিয়ে তেমন কোনও দ্বিমত নেই। তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা না করে তড়িঘড়ি করে সংস্কার শুরু করায় হিতে বিপরীত হয়েছে। নিয়মিত রাজস্ব আদায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে চলতি বছরের হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, এনডিএম কোনও ড্রয়িং রুমে জন্মগ্রহণ করেনি, আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনসেবা করাই আমাদের লক্ষ্য। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনেও রাজপথে থেকে ভূমিকা রেখেছে নেতা-কর্মীরা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— এনডিএমের মহাসচিব মমিনুল আমিন, উচ্চ পরিষদ সদস্য পারভেজ খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খানসহ বিদেশি অতিথি ও দলটির নেতাকর্মীরা।


আরও খবর