Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

বাজারে শীতকালীন সবজি, কমেছে দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

নিত্যপণ্য নিয়ে অস্বস্তি কাটছেই না। মাঝেমধ্যে দু-একটি পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বমূল্য নিম্নআয়ের মানুষকে বেকায়দায় ফেলেছে। চড়া বাজারে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। এ নিয়ে ভোক্তাদের অভিযোগ আর ক্ষোভের শেষ নেই।

তবে সবজির বাজারে এবার সুখবর মিলেছে। শীতের আগমনী বার্তায় বাজারে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। তবে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। চড়া দামে আটকে আছে পেঁয়াজ। ডিম-মুরগির দামও স্থিতিশীল।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স, পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা কেজিতে নেমেছে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ২০ টাকা কম। এছাড়া বেগুন, করলা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা ও পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিছুদিন আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল।

বাজারে ফুলকপি ৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা এবং লাউ ৮০-১০০ টাকা থেকে ৫০-৬০ টাকায় নেমেছে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৬০ টাকা দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ২৫০ টাকার ওপরে।


আরও খবর

পেঁয়াজ উৎপাদনে আশার খবর

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম

শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫




‎রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অফ মাওলানা ভাসানীর ২০তম ইনস্টলেশন ও বর্ষসমাপ্তি অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:‎

‎"রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব মাওলানা ভাসানী টাংগাইল" এর ২০তম ক্লাব ইনস্টলেশন সেরেমনি ও বর্ষসমাপ্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎বৃহস্পতিবার(৩ জুলাই)  সন্ধ্যা ৭ টায় টাংগাইল জেলার ভিক্টোরিয়া ফুড জোন এন্ড পার্টি সেন্ট্রারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অফ মাওলানা ভাসানী টাংগাইল কর্তৃক এই প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

‎ভিক্টোরিয়া ফুড সেন্টারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত বোর্ড মেম্বারদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় এবং বিদায়ী কমিটির কার্যক্রমের মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

‎অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রোটারিয়ান অধ্যাপক ডা. রতন চন্দ্র সাহা বলেন, "গত এক বছরে রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অসাধারণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। কমিউনিটি সার্ভিস, ক্যারিয়ার গাইড, আরও নানা সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে সবাই মিলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আপনারা সত্যিই এই ক্লাবের সুনাম অটুট রেখেছেন।"

‎অনুষ্ঠানের সভাপতি পলাশ হোসেন বলেন, "আজকের দিনে, নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের পরিচয় ও উত্তীর্ণদের স্বীকৃতি, পুরস্কার বিতরণ ও বরণীয় মুহূর্তগুলোকে তুলে ধরবে আমাদের ভবিষ্যত পথচলার মানচিত্র। আমি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও উৎসাহ নিয়ে  প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমরা আগামী বছর এই ক্লাবকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব।"

‎প্রোগ্রামের চেয়ারম্যান এস এম জাহিদ হোসেন বলেন, "আমরা গত এক বছরে অনেক কিছু অর্জন করেছি—সেবামূলক কর্মকাণ্ড, মিলনমেলা ও উঠতি প্রজন্মের জন্য নানা উদ্যোগ। আজকের এই আয়োজন আমাদের পুরনো সাফল্যকে স্মরণ করে নতুন সংস্কৃতি ও দায়িত্বের অঙ্গীকার করে।"

‎এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে রোটারিয়ান মেজবাহ উদ্দিন, সাব্বির আহমেদ পল, হামিদুল হক চৌধুরী শেলি এবং ক্লাব এডভাইজর অধ্যাপক ড. পিনাকী দে উপস্থিত ছিলেন। উক্ত প্রোগ্রামে ক্লাব ট্রেনিং সেশন পরিচালনা করেন পিডিআরআর মোস্তাফিজুর রহমান।

‎অনুষ্ঠানে বক্তারা রোটার‌্যাক্ট ক্লাবের সমাজসেবামূলক কার্যক্রম, নেতৃত্ব বিকাশ ও যুবসমাজকে ইতিবাচক পথে পরিচালনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও, বিগত বছরে ক্লাবের কার্যক্রম তুলে ধরা হয় এবং আগামী বছরের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।

‎পরবর্তীতে সাকিব হাসান খানের নেতৃত্ব নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।


আরও খবর



ইশরাক না সরলে ঢাকার দুই সিটিতে নতুন নির্বাচন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়রের দায়িত্ব পালনের দাবিতে নগর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখা বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন স্বেচ্ছায় না সরলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নতুন নির্বাচনের পথে হাঁটবে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’তে উপদেষ্টা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে উপস্থিত একাধিক উপদেষ্টা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সরকারের ৯ জন উপদেষ্টা অংশ নেন। বৈঠকে ইশরাকের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। বিশেষ করে শপথ না নিয়েই মেয়রের ‘দায়িত্ব’ পালন এবং নগর ভবন অচল করে রাখায় উপদেষ্টারা ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেন। অনেকে সরকারপ্রধানকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও পরামর্শ দেন।

বৈঠকে উপদেষ্টারা জানান, সরকার ইতোমধ্যেই ইশরাকের কর্মকাণ্ডে ভীষণভাবে বিরক্ত। একাধিক উপদেষ্টা বলেন, নাগরিক সেবা বন্ধ করে রেখে তিনি নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়িয়েছেন। সেইসঙ্গে সরকারের কর্তৃত্বকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উঠে আসে।

তবে বিএনপির সঙ্গে সরকারের সাম্প্রতিক আস্থার সম্পর্ক এবং লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহার এখনই না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আশঙ্কা করা হয়, ইশরাকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে তিনি রাজনৈতিকভাবে সহানুভূতি পেতে পারেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী হন। বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ফল বাতিল চেয়ে মামলা করেন। গত ২৭ মার্চ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করে। এরপর ইসির গেজেট প্রকাশ এবং হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে মামলার রায় ইশরাকের পক্ষে গেলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় শপথ পড়াতে অস্বীকৃতি জানায়।

গত ১৪ মে থেকে ইশরাকের সমর্থকরা ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে নগর ভবন ঘেরাও করে রাখে। বিভিন্ন কক্ষে তালা দিয়ে নাগরিক সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর তারা তিন দিন ধরে যমুনা বাসভবনও ঘেরাও করে রাখেন। ইশরাক নিজেও বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে সভা করেন, যেখানে তাকে ‘মাননীয় মেয়র’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১ জুন। এরপরও ইশরাক মেয়র দাবি করে নগর ভবনে সক্রিয় আছেন। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপিসহ আরও কয়েকটি দল সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

এ পরিস্থিতিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ইশরাক যদি স্বেচ্ছায় সরে না দাঁড়ান এবং নগর ভবনের অচলাবস্থা না সরান, তাহলে সরকার নতুন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পথে এগোবে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরকারের নতুন নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এখন আর চুপ করে থাকার সময় নেই। সরকার জানে, কী ঘটছে। সবকিছু সমন্বয়ের মাধ্যমেই হচ্ছে। তিনি বলেন, নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে ঠিকই, তবে বাইরে থেকেও যতটা সম্ভব সেবা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ পরিস্থিতিতে সরকার, বিএনপি ও ইশরাক—সবপক্ষই বাড়াবাড়ি করছে। তার মতে, আইন অনুযায়ী এখন ইশরাকের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই। তবে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে চাইলে তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। তিনি ইশরাকের বর্তমান ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও লজ্জাজনক।


আরও খবর



মাওলানা আরিফ মাহমুদ কেনো ইতালির সংসদে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক :

ইতালির প্রায় সব সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছেন- একজন বাংলাদেশী ইমাম আরিফ মাহমুদ। তাকে নিয়ে সংসদে কথা হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমে টক'শো হচ্ছে, পত্রিকাগুলো দিস্তা দিস্তা কলাম লিখছে। কিন্তু কেনো আরিফ মাহমুদ এতো আলোচিত, সমালোচিত হচ্ছেন?


ভেনিসে মাদ্রাসাতুল ইত্তিহাদ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালান আরিফ মাহমুদ। ওখানে প্রবাসী বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়। একই সাথে শহরের মধ্যে প্রাক্তন একটি সুপার মার্কেটের জায়গা ভাড়া নিয়ে আরিক মাহমুদ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন। স্থানীয় আইন অনুসারে শহরের মধ্যে নতুন কোনো উপাসনালয় করার অনুমতি নেই, সুতরাং প্রশাসন মসজিদ প্রতিষ্ঠার শুরুতেই বাধা প্রদান করে। আরিফ মাহমুদ বিষয়টি নিয়ে আদালতে যান। আদালত দুইবার তার মামলার বিপক্ষে রায় দেয়। সম্প্রতি তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। অর্থাৎ মামলাটি এখনো চলমান।


আরিফ মাহমুদ মসজিদ বন্ধের প্রতিবাদে প্রতি জুমার নামাজ আদায় করেন স্থানীয় একটি পার্কে। সেখানে প্রায় হাজার খানেক মুসল্লি প্রতি জুমায় অংশগ্রহণ করেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেন। 


আরিফ মাহমুদের জুমার খুতবা নিয়ে কমুনিটির অনেকের আপত্তি আছে, ক্ষোভ আছে। কারো ক্ষোভ- ইমাম সাহেব কেনো রাজনৈতিক আলাপ করেন! ধর্মের নামে কেনো রাজনীতি করেন! তিনি কেনো বিএনপি- আওয়ামীলীগের সমালোচনা করেন! 


ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ- তিনি কেনো হালাল-হারামের ওয়াজ করেন! নিয়মমাফিক জবাই না করা পশুর মাংস মুসলিমদের জন্য হারাম, ইমাম সাহেবের এমন ওয়াজের প্রভাব পড়ে মাংসের বাজারে। 


মদ ব্যবসায়ীদের ইনকাম হারাম, মদের দেশে বাস করে তিনি কেনো এমন ওয়াজ করবেন!


তিনি কেনো বাচ্চা মেয়েদেরও হিজাব পরতে উৎসাহিত করেন!


তিনি কেনো নারীদের বেপর্দা চলাফেরার ওয়াজ এই দেশে করেন!


তিনি কেনো মসজিদ কমিটিতে কমিউনিটি নেতাদের জায়গা দেন না, কেনো নেতাদের কথা বলতে দেন না, কেনো সামনের কাতারে জায়গা রাখেন না, কেনো নেতাদের 'তোয়াজ' করেন না!


স্থানীয় কমিউনিটিতে এমন সব ক্ষোভ দানা বাঁধতে বাঁধতে এতো বড় হয়েছে যে- তা এখন ইতালির সংসদে গিয়ে পৌঁছেছে।


এরমধ্যে বহুবার আরিফ মাহমুদকে নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে, সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। আমাদের কমিউনিটির অনেকেই সংবাদমাধ্যমগুলোকে তথ্য দিয়েছে- ইমাম সাহেব উগ্রবাদ ছড়ান, ইমাম সাহেব মৌলবাদী, ইমাম সাহেব নারী বিদ্বেষী, ইমাম সাহেব যা বলেন- তা ইসলামে নেই, ইত্যাদি।


আরিফ মাহমুদ শুধু বাংলাদেশের রাজনীতির সমালোচনা করেই ক্ষ্যান্ত হন না, তিনি ইতালীয় রাজনীতিকদেরও কড়া সমালোচনা করেন। যা অনেকটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রকাশ করে মিডিয়াগুলো এবং এতেই গাত্রদাহ শুরু হয় ইতালির ডানপন্থী রাজনীতিকদের। 


ইতালির সরকারি দল ফ্রাতেল্লি দি ইতালিয়ার একজন প্রভাবশালী সিনেটর- কিছুদিন আগে আরিক মাহমুদকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস লেখেন। তিনি আরিফ মাহমুদকে উগ্রবাদী, জঙ্গিবাদী, ইতালির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ হিসাবে উল্লেখ করেন। তাকে ইতালি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। এমনকি তার যদি ইতালির নাগরিকত্ব থাকে তাও বাতিলের দাবি জানান সিনেটর। 


১ জুলাই তারিখে সরকারি দলের অন্য দুজন সিনেটর সংসদে লিখিত প্রশ্ন তুলেছেন- তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ভেনিসের মসজিদটি এখনো বন্ধ করা হয়নি কেনো? (মসজিদটি কার্যত বন্ধ) ইমাম আরিফ মাহমুদ ইতালিতে উগ্রবাদ ছড়ান, ইতালির সরকারী দলকে 'ফ্যাসিবাদী' বলেন, প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে কটাক্ষ করেন, লেগা নেতা  সালভিনি কে তিরস্কার করেন, নারী অধিকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তার বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেনো? সকল ডকুমেন্ট বাতিল করে, তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়নি কেনো?


সংসদে এই আলোচনার পর ইতালির মিডিয়াগুলোয় ঝড় উঠেছে, আরিফ ঝড়। কড়া ভাষায় লেখালেখি, সংবাদ প্রচার চলছে সংবাদ মাধ্যমগুলোয়। অথচ ইতালির আইনে রাজনীতিকদের কটাক্ষ করা, সমালোচনা করা, অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। যেমন, গতকাল এক ইতালীয় বন্ধুর পোস্ট পড়লাম- 'তোমার যদি পায়খানা না আসে, তুমি সালভিনির কথা চিন্তা করো!


রাজনীতিকদের এমন বা এর চেয়ে অনেক শক্ত সমালোচনা আমরা অহরহ দেখি। সেগুলো নিয়ে কোনো শোরগোল না হলেও আরিফ মাহমুদের বেলায় হয়েছে। কারণ তিনি একজন আলেম, একজন ইমাম। বুক ফুলিয়ে 'ইসলাম' প্রচার করেন।


ইতালীয় সংবাদ মাধ্যম বা রাজনৈতিক পাড়ায় এমন আলোচনা হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে কি হচ্ছে? মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, গুজবে ভরে ফেলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া, কিন্তু কেনো? এতে কি লাভ হচ্ছে আমাদের? 


আরিফ মাহমুদ মেম্বরে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক সমালোচনা করেন, হালাল হারাম বুঝে বাজার থেকে মাংস কিনতে বলেন, মসজিদে কারো নেতাগিরি বরদাস্ত করেন না, এগুলোই তার অপরাধ?


একজন আরিফ মাহমুদকে থামিয়ে দিলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে?


আরও খবর



খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরাইলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।’

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’

নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরাইলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরাইল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।


আরও খবর



নওগাঁয় সড়কের উপর থেকে ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর পরেছিল শাহাদাত হোসেন (২৮) নামে ব্যবসায়ীর মতদেহ। খবর পেয়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ সোমবার ২৩ জুন রাত সাড়ে ১০টারদিকে নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার পত্নীতলা টু ধামইরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার ধানতাড়া মোড় এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন ধামুরহাট থানা পুলিশ। নিহত শাহাদাত হোসেন (২৮) পাশ্ববর্তী ফতেপুর এলাকার জৈনক খোকার ছেলে। শাহাদাত হোসেন ধামইরহাট উপজেলার আমাইতাড়া বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মোবাইল ফোনের বিভিন্ন এক্সেসরিজের ব্যবসা করতেন।

ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ ইমাম জাফর জানান, রাস্তার পাশে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছো প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় আনেন। নিহতের পাশে আটো- রিকশার কিছু যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে। নিহতের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গার ক্ষত দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে,  দোকানে কেনা-বেচা শেষে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সময় সড়ক দূর্ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা শেষে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর