Logo
শিরোনাম

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৪৯

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আরও ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৭টি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রুমার পাহাড়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এই অভিযানে আরও ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে রোববার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগ এবং দুই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে পুড়ছে প্রায় সারাদেশ।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছরই এপ্রিল মাসে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও এক-দুটি তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এর মধ্যেই সোমবার (১৫ এপ্রিল) পটুয়াখালির খেপুপাড়ায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গাতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

দেশজুড়ে চলমান এই তাপপ্রবাহ এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়েও থাকবে বলেও জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। মাঝখানে বৃষ্টির কারণে কিছুটা সময় তাপমাত্রা সহনীয় ছিল। ১১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে, যা এ মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। তবে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে। এ মাসে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।

এছাড়াও আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ২০ এপ্রিলের পর দেশের কোথাও কোথাও স্থানীয়ভাবে অস্থায়ীভাবে দমকা বাতাস, ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ও বজ্রপাত হতে পারে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে।

উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তাকে বলে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর, তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে আবার বলে তীব্র তাপপ্রবাহ।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, কোনো জায়গার দৈনিক যে গড় তাপমাত্রা, সেটি পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে গেলে এবং পরপর পাঁচদিন তা চলমান থাকলে তাকে হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহ বলা হয়।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শুনছে না ইসরায়েল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই চাপকে উপেক্ষা করেছে দখলদার ইসরায়েল।

শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোয় হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যায়। সেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

আরববিশ্ব ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছেযদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয়, তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে।

এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি নয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য শনিবার মিসরের কায়রোয় ইসরায়েলকে প্রতিনিধিদল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু তাদের কথা শোনেননি। তিনি কায়রোয় প্রতিনিধিদল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।

এদিন হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি না, তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবে না।

ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাহতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয়, তাহলে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে জিডি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন। মঙ্গলবার ঢাকার শাহবাগ থানায় তিনি এ জিডি করেন।

১৪২৭ নম্বর জিডিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মোজাম্মেল হক চৌধুরী মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

জিডিতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর যাবত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই। এক পর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরেো বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরো বলেন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এ মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।

শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, এখন আইন অনুযায়ী জিডির কপি আদালতে পাঠানো হবে। আদালত অনুমোদন দিলে তদন্ত শুরু হবে।

 


আরও খবর



বৈশাখের প্রভাবে ইলিশের দাম চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

আর একদিন পরই পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের পয়লা দিনটি বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়। দিনটিকে কেন্দ্র করে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে পান্তা-ইলিশ শোভা পায় বাঙালির পাতে। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কেন্দ্র বাজারে ইলিশের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এবার সরবরাহ কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে ইলিশ কম ধরা পড়ায় বাজারে সরবরাহ কম। বৈশাখ উপলক্ষে চাহিদা গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ বাড়েনি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পয়লা বৈশাখের প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে। জুরাইন, যাত্রাবাড়ী ও সূত্রাপুরের মাছ বাজারে  ৭০০ ও ৮০০ গ্রাম ওজনের জাটকা ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এক কেজির চেয়ে একটু বড় ইলিশ একবারেই কম। ইলিশ, চিংড়ি, রুইসহ অল্প কিছু মাছও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা কম।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর ১ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ মানুষ শহর ছেড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতা নেই। ক্রেতা না থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন। আর বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দামও একটু বেশি।


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪




উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত হোঁচট খাচ্ছে তৃণমূলে

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক:

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেগুলোর মাঠে বাস্তবায়ন একেবারেই কম। 

বিশেষ করে মন্ত্রী এমপিদের স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল সেটি বাস্তবায়নের প্রবণতা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। 

প্রথম পর্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আজ শেষ দিন ছিল। শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে যে, একমাত্র নাটোরের সিংড়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কোন স্বজনই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে ২৫ জনের মতো। এর মধ্যে ১৫ জন আছেন প্রথম পর্বে। বাকিরা অন্য পর্বে থাকবেন। আওয়ামী লীগের এই ১৫ জনের মধ্যে একমাত্র রুবেল ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। 

বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূচকগুলো বলছে, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করার ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছেন এবং নানা রকম টালবাহানা করে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল ধরবাড়ি উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন তার খালাতো ভাই হারুনুর রশীদ হীরা। 

এখন বলা হচ্ছে যে, হিরা রাজনীতিতে ড. রাজ্জাকের চেয়ে প্রবীণ এবং তিনি ভাইয়ের পরিচয়ের রাজনীতি করেন না।

আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-১ আসনের এমপি শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান সদর উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। তিনিও শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন বলে কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। 

নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম বিপু প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ উপজেলায়। সেখানেও তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না বলেই স্থানীয় এলাকার লোকজনের সূত্রে জানা গেছে। 

নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন এবং তিনি সুবর্ণচর উপজেলায় প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে একরামুল করিম চৌধুরী বলে দিয়েছিলেন যে, ছেলে সাবালক হলে কি করার আছে? তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি ও হাতিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী ও এমপির স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস প্রথম ধাপে ৮ মে নির্বাচনে উপজেলা প্রার্থী হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক মোঃ সফিকুল হক নরসিংদীর পলাশ উপজেলার প্রার্থী হয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনিও নির্বাচন থেকে সরে যাবেন কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হতে প্রার্থি হয়েছেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই জামিল হাসান দূর্জয়।তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সাধারন সম্পাদক।

এভাবে দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন উপজেলায় যারা স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছিলেন তাদের বেশিরভাগই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে নানারকম টালবাহানা করছেন। 

আওয়ামী লীগ থেকে আরেকটি বড় নির্দেশনা ছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে যেন একক প্রার্থী ঘোষণা না করা হয়। মন্ত্রী- এমপিরা যেন তাদের নিজস্ব প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন না দেন। কিন্তু সেটিও এখন হচ্ছে না। 

বরং অনেকেই বলছেন যে, এই ধরণের সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট নেতারাও প্রার্থী দিচ্ছেন এবং কোথাও কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হচ্ছে। 

বরিশাল-১ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর আগৈলঝাড়া এবং গৌরনদীর আসনে ভোট হবে তৃতীয় ধাপে। এখানে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ইতোমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। 

ফলে সেখানে কোন ভোটের আমেজ দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রী এবং এমপিদের প্রভাবের কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকে নির্বাচিত হচ্ছেন।

কুমিল্লা সদর, চট্টগ্রামের রাউজান এবং রাঙ্গুনিয়া এই  ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১ জন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে এখানে বিনা ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে। 

কোথাও কোথাও একক প্রার্থী দেওয়ার ফলে অন্য প্রার্থীরাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। সব কিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা মাঠে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে।

 এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্ৰহণ করে।


আরও খবর