Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের কমিটি গঠন

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

সালেহ দোহা শাহীন সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি ঃ

বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের নবম এজিএম সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পার্করয়েল হোটেলের জেড বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজনেস চেম্বারের সহ-সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান রাহিম।

সভা পরিচালনা করেন বিজনেস চেম্বারের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির সাহান। বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির সাহান স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় বিজনেস চেম্বারের বিগত কার্যক্রম ও আর্থিক বিবরণী সাধারণ সদস্যদের নিকট উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ আসাদ মামুন এবং বিজনেস চেম্বারের সার্বিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সদস্যদের মাঝে তুলে ধরেন বিজনেস চেম্বারের সাবেক সভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান।

সভায় সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ ও বিজনেস চেম্বারের ভাবমূর্তি নষ্ট ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সদস্যদের সম্মতিক্রমে ৫ সদস্যকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন- মির্জা গোলাম সবুর, আজহারুল ইসলাম, নাসিরুল ইসলাম মনি, সৈয়দ ফয়সাল আহমেদ পাভেল ও এমএ রাহীম।

বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বারের নবনির্বাচিত সদস্যরা হলেন-১.মোঃশাহিদুজ্জামান,২.মোঃ মনিরুজ্জামান,৩.আমানুল ইসলাম,৪.আসাদ মামুন,৫.ইশতিয়াক আহমেদ, ৬.আবু সায়েম আজাদ,৭. ফিরোজ আহমেদ চৌধুরী,৮.মোহাম্মদ হোসাইন, ৯.শামসুর রহমান ফিলিপ,১০.মাহাবুব আলম, ১১.আলী মোস্তফা,১২. আশ্রাফুর রহমান খান,১৩.জাহেদুল কবির,১৪.মোঃ তুহিন ও ১৫.সাব্বির হাসান শাহান।


আরও খবর



ক্রেতার চেয়ে পশু বেশি, লোকসানের মুখে খামারিরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ |

Image

ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে আনন্দ উল্লাস। কোরবানির হাট জমে উঠেছে। প্রতিহাটে কোরবানির পশুর ব্যাপক সরবরাহ থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। গরুর দাম কম হওয়ায় খামারিরা বিপাকে পড়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকেই তাদের কোরবানির পশু ক্রয়ের জন্য ছুটে চলেছে বিভিন্ন হাট সহ খামারিদের বাড়ি বাড়ি।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের কালিয়া কান্দাপাড়া, শালুয়াভিটা, রতনকান্দি, চান্দাইকোনা, তালগাছি, সোহাগপুর, পোড়াবাড়ি, সমেশপুর, কামারখন্দ, বলরামপুর, তাড়াশ ও কাজিপুরে প্রতিবছরের ন্যায় বসছে গরু ছাগলের হাট। তবে এবারের হাটে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।

কোরবানি পশু, বিক্রেতা, ক্রেতাদের ভীরে হাট প্রঙ্গনে এক উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এবারের কোরবানির পশুর মূল্য প্রথম দিকের চেয়ে অনেকটাই কম। কারণ হিসেবে বগুড়া থেকে কান্দাপাড়া হাটে বিক্রির জন্য ট্রাকে করে নিয়ে আসা গরুর মালিক জানায়, একদিকে বৈরি আবহাওয়া গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি সহ অনেক ক্রেতাই শেষ হাটের দিকে তাকিয়ে আছে।

অপর এক বিক্রেতা বাহাদুর আলী জানায়, দুর থেকে নিয়ে এসেছি গরু। দাম কম হওয়ায় গরু বিক্রি সম্ভব নয়। তাছাড়াও ফেরত নিতে পরিবহন খরচ, গো-খাদ্য খরচতো লেগেই আছে। তাই আমাদের মত বিক্রেতারা হতাশায় ভূগছে। যে পরিস্থিতি চলমান তাতে কোরবানির গরু-ছাগল বিক্রয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

তালগাছি হাটে ১৮ টি গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা আব্দুল হালিম জানায়, নিজেস্ব খামারে নয় বিভিন্ন জায়গায় থেকে এসকল গরু বিক্রির জন্য নিয়ে আসলেও এবারে গরুর দাম কম হওয়ায় আমাদের হয়তো লোকসানে মুখে পড়তে হচ্ছে।

কোরবানীর পশু হাটগুলোতে প্রশাসনের পক্ষে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান, সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কালিয়া কান্দাপাড়া হাট ইজারাদার আকতার মন্ডল। অন্যান্য বাড়ের তুলনায় এবারের বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসা গরু-ছাগলের সংখ্যা অনেক বেশি। ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় বিক্রয় অনেকটাই কম। তাছাড়াও বৈরি আবহাওয়া বাধসাজছে কেনা বেচায়।

কান্দাপাড়া হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতা হামিদুল ইসলাম জানান, গরু রক্ষণাবেক্ষণের অসুবিধার কারণ সহ ঈদের পূর্ব মুহুর্তে দাম অনেকটাই কম হয়। তাই গরু কিনতে দেরি করেছি। আমি গত হাটেও এসেছিলাম সে হাটের চেয়ে আজকের হাটে ওঠা গরু-ছাগলের দাম কিছুটা কম।

এলাকার সচেতন মহল জানান, বিক্রেতাদের এক হাট থেকে অন্য হাটে আনা নেয়ার খরচ, গো-খাদ্যে প্রদানের অসুবিধার কথা ভেবে অনেকেই রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলায় তাদের গরু ছাগল বিক্রি করতে শুরু করেছে। অপর দিকে অল্পদামে কেনার জন্য বসে থাকা ক্রেতাদের আশায় বালি পড়তে পারে। কারণ হিসেবে জানা যায়, গত কয়েক হাটের তুলনায় আজকের হাটে কোরবানি পশুর আমদানি কিছুটা কম।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ । পশুবাহী যানবাহন এবং হাট কেন্দ্রিক যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় জানান, অনুমোদিত পশুর হাট ছাড়া অন্য কোথাও অস্থায়ী হাট বসালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর

কালো টাকা বৈধ করার পথ বন্ধ

রবিবার ২২ জুন ২০২৫




নির্বাচন সুষ্ঠু করাই এখন লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই এখন লক্ষ্য বকলে জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে হওয়া বৈঠক নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই অধ্যাপক ইউনূসকে, যিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে সংকটপূর্ণ এক মুহূর্তে তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানান। চতুর্দিকে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকে অনেক কথা বলেছেন বিভিন্নভাবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন সবচেয়ে প্রয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। অতীতের ছোটখাটো ভুল-ভ্রান্তি ভুলে গিয়ে আমাদের সামনে তাকাতে হবে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটি যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়, এটাই এখন লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আজকে এই দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন এবং সেই হিসেবেই বাংলাদেশের মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই বৈঠক নিয়ে গোটা জাতি উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। আমি তো আগেই বলেছিলাম, এই বৈঠক একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। সত্যিকার অর্থেই বৈঠকটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে যে ফ্যাসিস্ট কাঠামো গড়ে উঠেছে, সেটিকে ভেঙে নতুন একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার সময় এখন এসেছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর পর গণতন্ত্রে উত্তরণের একটি সুযোগ পাচ্ছি এবং সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তারেক রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি (তারেক রহমান) আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরত সব জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।


আরও খবর

ইসির নিবন্ধন চায় ১৪৭টি দল

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




যানজটের নগরী ঢাকা এখন ফাঁকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে কর্মব্যস্ত রাজধানী। সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় এরইমধ্যে রাজধানী ছেড়েছেন অসংখ্য মানুষ। যার ফলে, যানজটের নগরী ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। কমেছে মানুষের কোলাহল, হকারের হাঁকডাক আর যন্ত্রযানের হুইসেল। নেই চিরচেনা যানজট। তবে গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, আর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এখনো রয়েছে ঘরমুখো মানুষের আনাগোনা। শেষ মুহূর্তে যারা বাড়ি ফিরছেন, তাঁদের ভিড়ে এসব জায়গা এখনো ব্যস্ত।

সরকার ঈদ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আগামী শনিবার (১৪ জুন) পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঈদের মূল তিন দিনের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও নির্বাহী আদেশে ঘোষিত অতিরিক্ত ছুটি। তবে ছুটির ভারসাম্য রক্ষায় ১৭ মে ও ২৪ মে, দুটি শনিবার অফিস খোলা রাখা হয়।

শুক্রবার (৬ জুন) সরেজমিন রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, ফাঁকা ঢাকায় দাপটের সঙ্গে সব সড়কে ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। অফিস-আদালত বন্ধের কারণে যাত্রী কম থাকায় গণপরিবহনগুলোতে ফাঁকা সিট নিয়ে যেতে দেখা যায়। রাজধানীর, যাত্রাবাড়ি, শনির আখরা, মুগদা, বনশ্রী, রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, বিজয় সরণী, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, মৎস্য ভবন এলাকায় দেখা যায় অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা কম। সড়কগুলোতে যাত্রীর তেমন চাপ দেখা যায়নি। বেশিরভাগ যানবাহনে রয়েছে যাত্রী সংকট, যাত্রীর অভাবে আসন ফাঁকা রেখেই গন্তব্যে যাচ্ছে যানবাহনগুলো। যাত্রী সংকটে এসব পয়েন্টে কিছু সময়ের জন্য বাসগুলোকে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে। বাস ও লেগুনার স্টাফদের দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রীর জন্য ডাকাডাকি করতে শোনা গেছে।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল, বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপা‌ত এবং উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারো প্লাবিত হতে শুরু করেছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশের দেশ ভারতের আসাম এবং মেঘালয়েও হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত। ফলে পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রায় সব নদ-নদীতে বাড়ছে পানি।

ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছেন নগরবাসীও। অনেক এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়ে যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই সিলেট অঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সিলেট অঞ্চলে গত বৃহস্পতিবার থেকেই থেমে থেমে ঝরছিল বৃষ্টি। গতকাল শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের পর থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরীর জিন্দাবাজার চৌহাট্টা এলাকা।

এছাড়াও রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, সাপ্লাই, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল সড়ক, বাগবাড়ী, মিরাবাজার, মহাজনপট্টি, কালিঘাট, কাষ্টঘর, উপশহর-সুবহানীঘাট সংলগ্ন এলাকা, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুর এলাকার রাস্তাঘাটগুলো পানির নিচের তলিয়ে যায়। পরে বৃষ্টি ধারা কিছুটা কমলে জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে পানি নেমে গেলেও অন্যান্য এলাকায় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আজ শনিবার রাতে জেলার প্রায় সবগুলোর নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি বইছে। টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে আকস্মিক বন্যার আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ দৈনিক আমাদের সময়কে জানান, জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই পানি ঢল হয়ে নামলে আকস্মিক বন্যার শংকা রয়েছে। এছাড়া সিলেটে আরও অন্তত দুইদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাাঞ্চলে দ্রুত পানি বাড়ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলং ও বিছনাকান্দি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর দুর্ভোগের বিষয় জানতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য ইতোমধ্যে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। যেকোনো জরুরী পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরের (+৮৮০১৭১১৯০৬৬৪৭) নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর

ভাতা পাবেন চব্বিশের আহতরা

মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫




রাণীনগরে যুবদল নেতার পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেনের পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় ১৫লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ ওঠেছে। এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে রাণীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। আনোয়ার হোসেন উপজেলার আমগ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে এবং তিনি উপজেলা যুবদলের আহŸায়ক কমিটির সদস্য।

আনোয়ার হোসেন জানান,এলাকার কৈগাড়ী নামক তিন বিঘা জলার একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। তার পুকুরে সিং, টেংরা, সিলভার,রুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল। মঙ্গলবার বেলা অনুমান ১১টা নাগাদ পুকুরে গিয়ে দেখতে পান পূর্ব বিরোধের জ্বের ধরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে পুকুরের সবগুলো মাছ মরে ভেসে আছে। বিষ প্রয়োগে তার প্রায় ১৫লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এঘটনায় তিনি মঙ্গলবার দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

রাণীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মসলেম উদ্দীন বসুনিয়া জানান,পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের  অভিযোগে সন্দেহভাজন একজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আনোয়ার হোসেন। এবিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর