Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশ নারী নির্যাতন বন্ধ সম্ভব হচ্ছে না

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

বুলবুল আহমেদ সোহেল ঃ

“নারী ও কন্যা নির্যাতন বন্ধ করি, নতুন সমাজ নির্মাণ করি”’ এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ ২০২২ উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে রবিবার ৪ ডিসেম্বর তারিখ দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী’র সভাপতিত্বে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এডভোকেট হাসিনা পারভীন।

বক্তব্য প্রদান করেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও জেলার সাবেক সভাপতি আনজুমান আরা আকসির, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ও জেলার সহ সভাপতি রীনা আহামেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে আরোও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ সাধারণ সম্পাদক রহিমা খাতুন, সদস্য রাশিদা বেগম, প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজ, অফিস সহকারী সুমী সরকার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এবং নারী ও শিশু কন্যা নির্যাতন বিরোধী সংস্কৃতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সারা বিশ্বে প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর- ১০ ডিসেম্বও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদও দেশব্যাপী নানা ধরণের কর্মসূচী পালন করছে। সাংবাদিক সম্মেলন, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারী-পুরুষের সাথে মতবিনিময় সভা, প্রশাসনের সাথে আলোচনা সভা, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকের সাথে মতবিনিময় সভা, স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেও সাথে মতবিনিময় সভা ইত্যাদি কর্মসূচী পালন করছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কাজ করলেও নির্যাতন বন্ধ সম্ভব হচ্ছে না। সাংবাদিক সমাজের সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে। প্রশাসনের অসহযোগিতায় অনেক সময় মামলা সঠিকভাবে চলে না। চাঞ্চল্যকর নারায়ণগঞ্জে গৃহবধু কলি হত্যার মামলা, গৃহবন্ধী ডলির মামলার এষনও সুরাহা হয় না। আমাদের এসব কাজে সংবাদ মাধ্যম বন্ধু হিসেবে সবসময় সহযোগিতা করে আসছে। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা নিশ্চয়ই লক্ষ্যে পৌছাতে পারব।


আরও খবর



গরম নিয়ে দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

কয়েক দিনের টানা গরমের দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রবৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া কিছুটা শীতল হয়েছে। তবে গত কয়েক দিন অধিকাংশ জায়গায় আবহাওয়া শীতল থাকার পর ফের উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা আবহাওয়া অফিসের। কয়েক জেলায় তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারেও ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ দুঃসংবাদ জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এ সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় সোমবার (৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আজ মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা এ তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। এ সময় সারা দেশেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া বুধবার (১০ এপ্রিল) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে। এরপর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।ঐ দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলোউভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি।

আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলোকূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।


আরও খবর



সুন্দরবনে আগুন নেভাতে সময় লাগবে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের গভীরে লাগা আগুন নেভাতে পুরো এলাকা ঘিরে ফায়ার লাইন করে অর্থাৎ আগুনের চারপাশের এলাকায় গাছপালা এবং মাটিতে নালা কেটে পানি ছেড়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলা-সংলগ্ন সুন্দরবনের আগুন লেগে যায়।

রোববার সকালে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়, এখন সেখানে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনীর ফায়ার ফাইটিং টিম এবং কোস্টগার্ড কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোড়েলগঞ্জ ও মোংলাসহ চারটি উপজেলার দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর মো: কায়মুজ্জামান বলেন, রোববার সকাল নাগাদ গভীর বনের প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভেতরে গিয়ে আগুন যে এলাকায় লেগেছে সেটি ঘিরে ফেলা সম্ভব হয়েছে। আশা করি দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

সকাল ১০টার দিকে গভীর বন থেকে আবার লোকালয়ের দিকে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসার পর কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলেই আছি। আমরা সুন্দরবনের আড়াই কিলোমিটার ভেতরে কাজ করছি। তবে নেভাতে কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আশা করছি, আগুন আর বাড়বে না।

এ তথ্য নিশ্চিত করে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, একটি পয়েন্টে আগুন নেভানো হয়েছে আর আড়াই কিলোমিটার ব্যপ্তি নিয়ে যে আগুন সেটি ফায়ার লাইন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। পুরোদমে কাজ চলছে।

মূলত নৌবাহিনীর ফায়ার ফাইটিং টিম, কোস্টগার্ড ছাড়াও স্থানীয়দের সাথে মিলে আগুন নেভানোর কাজটি করছে ফায়ার সার্ভিস।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য। সুন্দরবনের যেখানে আগুন লেগেছে সেটি পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া বন হিসেবেই স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। এটি লোকালয় থেকে অন্তত চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে এবং সেখানে আশপাশে কোনো খাল বা পানির উৎস নেই।

এদিকে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে প্রধান করে সুন্দরবনের আগুনের ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে বন বিভাগ।

ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি ও কিভাবে নেভানোর কাজ হচ্ছে


মো: কায়মুজ্জামান বলেন, আগুন সুনির্দিষ্ট এক জায়গায় জ্বলছে না। বরং খণ্ড খণ্ড আকারে বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে বিরাট এলাকা জুড়ে।

তিনি বলেন, আমরা যে অঞ্চলটিতে আগুন জ্বলছে সেটি পুরোটা ঘিরে কাজ শুরু করেছি। অনেক দূর থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। এখন আর এই আগুন বাড়বে না বলেই আমরা আশা করছি।

তবে আগুন বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকাতে পুরোপুরি নেভাতে বেশ সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুনের পুরো এলাকা ঘিরে কর্ডন লাইন করে পানি ছেড়ে দেয়ায় আগুন ওই লাইনের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুন নেভানোর ওই দলের সাথেই ঘটনাস্থলে আছেন বেসরকারি একটি টেলিভিশনের স্থানীয় সাংবাদিক মো: ইয়ামিন আলী।

তিনি জানান, সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, আমি দেখছি যে অন্তত অর্ধ-শতাধিক জায়গায় আগুন জ্বলছে। আবার আগুন কমলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে ধোয়ার কুণ্ডলী দেখতে পাচ্ছি অনেক জায়গায়।

ধারণা করা হচ্ছে, দেড় থেকে দুই কিলোমিটার এলাকায় ৪০-৫০টি জায়গায় আগুন জ্বলছিল। যেসব জায়গায় শুকনো পাতা বা গুল্ম বেশি সেখানেই আগুন জ্বলেছে।

ইয়ামিন আলী বলেন, ধরেন এক জায়গায় গুল্ম চলছে। আবার ৫০ মিটার দূরে আরেক জায়গায় জ্বলছে। এমন করে বিশাল এলাকা জুড়ে ছোট আকারে আগুন বা ধোঁয়া এখনো দেখা যাচ্ছে।

কিভাবে ও কখন আগুন লাগলো


মোড়েলগঞ্জের জিওধরা এলাকার আমুরবুনিয়া গ্রামের পাশেই ভোলা নদী। সেই নদী পার হলেই সুন্দরবনের ওই অংশের শুরু। সেখান থেকেই আগুনের দূরত্ব কমপক্ষে আড়াই কিলোমিটার ভেতরে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তারা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবনের এত ভেতরে কিভাবে আগুন লাগলো সে সম্পর্কে তারা এখনো নিশ্চিত নন।

তবে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে যে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, এ সময়ে সুন্দরবনের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় পাতা ও গুল্মের স্তূপ তৈরি হয়।

কোনো কারণে তার একটিতে আগুন লেগে হয়তো ধীরে ধীরে আশপাশে ছড়িয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। তবে এর বাইরে গত এক দশকে অনেকবারই এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের পর জীবিকার তাগিদে বনের ভেতরে ঢোকেন এমন ব্যক্তিদের ধূমপানের প্রবণতা কিংবা মৌমাছি তাড়াতে মশালের ব্যবহারের কথাও অনেকে বলে থাকেন।

তবে স্থানীয় বন কর্মকর্তারা এখনই এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি আগুনের সূত্রপাত কখন হয়েছে সেটি সম্পর্কেও এখনো কেউ নিশ্চিত নন।

সাংবাদিক ইয়ামিন আলী বলেন, লোকালয় থেকে বনের ভেতরে অন্তত চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের এই আগুন নজরে আসতে সময় লাগাটাই স্বাভাবিক।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন বনের ভেতরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখে বন বিভাগকে খবর দেয়। যে এলাকায় আগুন লেগেছে তার থেকে বন বিভাগের কার্যালয় অনেক দূরে। আর গভীর বন হওয়াতে ওই এলাকায় মানুষের উপস্থিতি খুবই কম।

নেভানোর চেষ্টা শুরু হলো কখন


রোববার সকাল নাগাদ আগুন নেভানোর কাজ সরাসরি ঘটনাস্থলে শুরু হলেও এর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে শনিবার থেকেই। বিকেলেই ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয় ফায়ার সার্ভিসের দল। কিন্তু রাতের অন্ধকার আর সুন্দরবনের ওই এলাকায় বন্যপ্রাণীর ঝুঁকির কারণে রাতে কাজ শুরু করতে পারেনি তারা। এছাড়া ওই এলাকায় কাছাকাছি খাল বা নদী না থাকায় পানিও নিতে হয়েছে বেশ দূর থেকে।

আবার রাতেই ফায়ার লাইন কেটে পানি ছাড়ার কাজ শুরু না হওয়া রাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকের মধ্যে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তেমনটা হয়নি বলেই জানান কর্মকর্তারা।

মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম তারেক সুলতান জানান, দুই কিলোমিটার দূর থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।

তবে সকালের জোয়ারের কারণে এখন পানির প্রবাহ ভালো থাকায় কাজটা কিছুটা সহজ হয়েছে।

তিনি বলেণন, ভাটার সময় হয়তো একটু ঝামেলা হবে। তবে যেভাবে ফায়ার লাইন কর্ডন করে পানি দেয়ার কাজ চলছে তাতে আশা করি দ্রুতই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

সুন্দরবন বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে অন্তত ২৪ বার সুন্দরবনে আগুন লেগেছে। এর মধ্যে ২০২১ সালের আগুন নেভাতে দুদিনের বেশি সময় লেগেছিল।

এসব আগুনের পেছনে বন ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা, বন-সংলগ্ন নদ-নদী মরে যাওয়া, অসচেতনতা, নাশকতা, ফেলে দেয়া বিড়ি-সিগারেটের আগুনকে দায়ী করা হয়।


আরও খবর



প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনে

গাজীপুর-৩ আসনে আ.লীগের রাজনীতিতে বাড়ছে ক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন,সিনিয়র রিপোর্টার:

গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ক্ষোভ হতাশা বিভেদ এবং বিভক্তি বাড়ছে।

আশাহত মানুষের কাফেলায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন মুখ।নেতৃত্বের অদুরদর্শিতা ও একক স্বার্থের নব ইতিহাসের সমুখে  সরোবমুখগুলো আবার খুঁজছে এমন একটি মুখ, যে মুখ তাদেরকে নিরাশ করবে না।এমন অভিযোগ ও প্রত্যাশা রয়েছে সর্বত্রই।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ঐক্যবদ্ধ কাফেলার সরোব পদচারণা এবং বিভিন্ন জনপদে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠি,সেই ঐক্যবদ্ধতায় ফাটল ধরেছে ফ্যাক্টরির ঝুট ব্যবসার বখরা না পেয়ে।

কথা দিয়ে কথা না রাখা,বিশেষ ব্যক্তির একক সিদ্ধান্ত,সুসম ফ্যাক্টরী ব্যবসা না পাওয়ায় এই জনপদের রাজনীতির অভ্যন্তরে যে চাপা কষ্টের সূচনা হয়েছে তার প্রতিফলন দেখা যাবে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় যে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের মুখর উদ্দীপণা ও এক মঞ্চে এসে পরিবর্তনের যে স্বপ্ন ও প্রতিশ্রুতি ছিল,বাস্তবে তা আর নেই।বাহ্যিকভাবে তা প্রকাশ না হলেও বঞ্চিত নেতৃত্বের আশীর্বাদ আর পাচ্ছেন না ক্ষমতাসীনরা।

যার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায়।ইতোমধ্যেই চুড়ান্ত মিটিং করে উপজেলায় প্রার্থি কে,তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতৃত্ব।একথা অনস্বীকার্য যে,সিংহভাগ নেতৃত্ব যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গোপনে গ্রহন করেছেন জনমত তাদের দিকেই থাকবে।

যেহেতু এবারের উপজেলা নির্বাচন প্রতিকবিহীন হতে যাচ্ছে,সে কারনে বঞ্চিত নেতৃত্ব এবার তাদের পছন্দের প্রার্থির পক্ষেই অবস্থান গ্রহন করবেন। নির্বাচিত হলে এই প্রার্থিই বঞ্চিতদের বঞ্চণা নিরসনে শক্ত অবস্থান গ্রহন করবেন।আর ঠিক সেসময়ই ক্ষমতাসীনদের সাথে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এছাড়াও এখানকার রাজনীতির মূল চাবিকাঠি চলে যাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতে।সেক্ষত্রে বর্তমান নেতৃত্বকে হয় একলা চলো নীতি গ্রহন করতে হবে,না হয় ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সকল শর্তাবলী মেনে নিতে হবে।বাস্তবতা হল উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মানা ক্ষমতাসীনদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

কারন তারা যদি ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের প্রস্তাব মেনে নেয় তবে পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্ভর হতে হবে।কাঠের পুতুল হয়ে তাদের কথা মেনে চলতে হবে,যা মানা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব।

এছাড়া ফ্যাক্টরি ও অন্যান্য অর্থনৈতিকখাতে যাদেরকে বসানো হয়েছে তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকায় শুরু করতে গেলে অনুসারিদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম হবে এবং রাজনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।দূর্বল হয়ে যাবেন ক্ষমতাসীনরা।ব্যবসায় পরিবর্তন আনতে গেলেই উত্তাল ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে রাজনীতি বর্তমান নেতৃত্বের।সেই ঝুঁকি তারা নেবেন বলে মনে হয় না।

ফলে বর্তমান নেতৃত্ব উপজেলায় তাদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বদলে হারাবেন নিজেদের আধিপত্ত।আর এখান থেকেই সূচনা ঘটবে '২৯ সালে সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তনের পদযাত্রা।

তখনও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বই সফল হবেন।কারন সামনের বছরগুলোতে বর্তমান নেতৃত্ব একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন এবং তারা জনক্ষোভের মুখে পড়বেন,যার আলামত দেখা যাচ্ছে এখনই।

অর্থাৎ সরলরেখায় বললে বলা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারনায় যে মুখগুলো প্রার্থি পরিবর্তনের পক্ষে মঞ্চ ও মাঠ কাঁপিয়েছিলেন তাদের অবস্থানের পরিবর্তন আসন্ন। সেই সব নেতৃত্ব উপজেলায় ক্ষমতাসীন পরিবারের প্রার্থির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহন করবেন বলে নানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কাজেই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পরিবার উপজেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।আর উপজেলায় যদি সত্যিই তাদের পরাজয় ঘটে তবে গাজীপুর-৩ আসনে '২৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তন ঘটতে পারে।

এছাড়াও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের চোখে এই আসনের কর্মকান্ড নিয়ে যেসব অভিযোগ জমা হয়েছে তা সুখকর নয়।সেসব অভিযোগ এবং আগামি সাড়ে ৪ বছরে যা যা ঘটবে তাতে জনক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে।

সেসব বিষয়সমুহ কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব আমলে নিলে হয়ত বা '২৯ সালে গাজীপুর-৩ আসনবাসি দেখবেন এমন এক নতুন মুখ,যে মুখ হবেন সম্ভাব্য আলোচিত প্রার্থিদের বাইরের কেউ,এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।কাজেই সাধু সাবধান!


আরও খবর



চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

ট্যানারি শিল্পের জন্য শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব প্রস্তাবনায় উঠে আসে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেমের নেতৃত্ব গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনায় সিপিডি বলছে, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড মূল্য ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। একইসঙ্গে আমাদের প্রস্তাব থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম ঠিক করে একটি গ্রেডে আনা। এই খাতে গ্রেড উন্নয়নের সুযোগ কম, কারণ একেকটি গ্রেডের কাজ একেক রকম। যেহেতু পদোন্নতির সুযোগ নেই, তাই গ্রেডের মধ্যে কয়েকটি ভাগ, যেমন: যেমন-গ্রেড-৫ এর এ, বি ও সি করে সাবগ্রেড করার প্রস্তাব রয়েছে। এর ফলে পদোন্নতির সুযোগ থাকবে ও শ্রমিকদের কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।

গোলাম মোয়াজ্জেম তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সালের চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। যার ভিতরে ট্যানারি শিল্প থেকে এসেছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খুঁজছে সে হিসাবে চামড়াজাত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের গবেষণায় এই খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব এসেছে, আমরা জানি শ্রমিকদের দাবি ২৫ হাজার টাকা আর মালিকদের প্রস্তাবনা ১৫-১৬ হাজার টাকা। আমি আশা করছি মজুরি বোর্ড সকল পক্ষে প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

সিডিপির গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সর্বপ্রথম ট্যানারি শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল, যার পরিমাণ ৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০১৮ সালে সেটা বৃদ্ধি করে শহর অঞ্চলের জন্য ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ও গ্রাম অঞ্চলের জন্য ১২ হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা কতগুলো প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে ২০২৪ সালে এসেও দেখা গেছে ৬০ শতাংশ কারখানা ওই বেতন দিচ্ছে না। প্রতিবছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটা বিবেচনায় বাস্তবায়ন হার অনেক কম পাওয়া গেছে। সিপিডি অ্যাংকর মেথডে ৩৫টি ট্যানারির ওপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪