ইয়াশফি রহমান : কাতার বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে আগামী নভেম্বরের ২১ তারিখে। জমজমাট এই আসর উপলক্ষে বিশ্ব ভ্রমণে রয়েছে ট্রফি। সেই ধারাবাহিকতায় ট্রফি এবার বাংলাদেশে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি’ বরণ উপলক্ষ্যে বুধবার (৮ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের লবিতে আগত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন।
ফিফা ট্রফির বাংলাদেশ ভ্রমণের ফলে দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম উৎসাহিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি তার পরিবারের সদস্যদের খেলাধুলায় বিশেষ করে ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্মৃতিচারণ করেন।
শেখ হাসিনা জানান, তার পিতামহ, পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাইয়েরা অত্যন্ত ক্রীড়ামোদী ও ক্রীড়াবিদ ছিলেন। তার সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিরাও ক্রীড়ামোদী ও ক্রীড়াবিদ।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফির আগমনে ফিফা, কোকাকোলা ও বাফুফে কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।’
সবশেষে ফিফা ও কোকাকোলার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব (সিনিয়র সচিব) খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দীন, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক, মো. আবু নাইম সোহাগসহ ফিফা, কোকাকোলা ও বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে বিকালে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতিনিধিরাসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফিটি প্রদর্শন করেন।
কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে গত ১২ মে দুবাই থেকে কোকাকোলার আয়োজনে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্বভ্রমণ শুরু হয়। ৫৬টি দেশ ঘোরার পথে ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক কোকাকোলার উদ্যোগে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহায়তায় বাংলাদেশে এসেছে ট্রফিটি।