Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশের অনেক সন্ত্রাসী কাঠমান্ডুকে ব্যবহার করছে: ডিবিপ্রধান

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিডি টু ডে ডেস্ক:


ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেছেন, শাহীনের সহকারী সিয়াম নেপালে আটক হয়েছে বলে শুনেছি। 


হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর অন্যান্য আসামিদেরও নেপালে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইদানিং বাংলাদেশের অনেক সন্ত্রাসী কাঠমান্ডুকে ব্যবহার করছে।


শনিবার (১ জুন) সকালে হত্যাকাণ্ড তদন্তে নেপালে রওয়ানা দেয় ডিবির একটি দল। সে সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন হারুন অর রশিদ।


তিনি বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত কেউ কাঠমান্ডু থাকতে পারে। আবার কেউ সেখান থেকে অন্য দেশে চলে যেতে পারে। আগেও সন্ত্রাসীরা নেপালে পালিয়ে থেকেছে। অনেক আসামি কাঠমান্ডুকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে সেখানে থাকে।


হারুন আরও বলেন, ইন্টারপোলকে ইতোমধ্যে চি‌ঠি দেওয়া হয়েছে। কাঠমান্ডু পু‌লি‌শের সাথে তথ্য আদান-প্রদান চলছে। এ হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো ক্রস চেক করতে নেপাল যাচ্ছি।


প্রসঙ্গত, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড' আক্তারুজ্জামান শাহীনও কাঠমান্ডুর মাটি ব্যবহার করে অন্য দেশে চলে গেছেন।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




মেঘলা আবহাওয়াতেও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন শহরে প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসও। কয়েক দিন ধরেই বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে ঢাকা।

সোমবার সকালের শুরুতে মেঘলা আবহাওয়াতেও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ১৫৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় একই সময়ে ১৮৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। এছাড়া ১৭৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর, ১৫৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উগান্ডার রাজধানী কামপালা আর চতুর্থ অবস্থানে থাকা গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসার স্কোর ১৫৩।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ছয় দিন মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-লরি চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৪ থেকে ৬ জুন এবং ১২ থেকে ১৪ জুন মোট ৬ দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে পশুবাহী যানবাহন, নিত্যপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালি ও খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টসসামগ্রী, ওষুধ, সার ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত ঈদযাত্রা ও পশুর হাটকেন্দ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা মহানগর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাত্রা করবেন। ১ কোটির বেশি মানুষ ঢাকা মহানগর ত্যাগ করেন এবং প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করেন। ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা এবং কোরবানির পশুর হাটসংলগ্ন যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এমন অবস্থায় নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

রুট পারমিটবিহীন বাস কোনোক্রমেই চলাচল করতে পারবে না। আন্তজেলা বাসগুলোকে টার্মিনালের ভেতরে যাত্রী উঠিয়ে সরাসরি গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই টার্মিনালের বাইরে সড়কের ওপর বাস দাঁড় করানো যাবে না। অনুমোদিত কাউন্টার ছাড়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো ও নামানো যাবে না।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




কোন পথে হাঁটবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন, এরপর আইনি জটিলতা কী হতে পারে, তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। আইনগত দিক থেকে অন্তর্বর্তী সরকার পুনর্গঠনের সুযোগ কতটা আছে, সরকার পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে আইনি কোনো বাধা আছে কি না, এসব প্রশ্ন উঠছে।

প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনা নিয়ে আলোচনার শুরু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের দেওয়া বক্তব্যের মাধ্যমে।

নাহিদ ইসলাম গত বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তিনি ওইদিন সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে পারেন, এমন খবর পেয়েই তার সঙ্গে দেখা করেছেন উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’।

সুতরাং, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে অধ্যাপক ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে দেশের সরকার ব্যবস্থা কোন পথে চলবে? এটি কী পুনরায় গঠন করা যাবে?

আইনে সরকার পুনর্গঠনের সুযোগ কতটা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুনর্গঠনের সুযোগ আইনে কতটা আছে, এই প্রশ্নে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন আইনজীবীরা। কেউ কেউ বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়ে দলগুলোর সমর্থনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। ফলে এখন অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগ করলে কোনো সাংবিধানিক সংকট হবে না; তখন নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন আসবে।

তাদের ব্যখ্যা হচ্ছে, অধ্যাপক ইউনূস চলে গেলে রাষ্ট্রপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে দিতে পারেন, যে সরকার শুধু নির্বাচন করবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক পরিস্থিতিটাকে ব্যাখ্যা করেন ভিন্নভাবে। তিনি বলেন, আইনে কী বলা আছে, তা এখন ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। কারণ ‘আইন অনুযায়ী কিছু হচ্ছে না।’

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত বছরের ডিসেম্বরে পঞ্চদশ সংশোধনীর আংশিক বাতিল করেছে হাইকোর্ট। যে অংশটি বাতিল করা হয়েছে তার ফলে দেশের সংবিধানে আবারো নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসার পথ তৈরি হয়েছে।

শাহদীন মালিক বলছেন, অধ্যাদেশ দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর আংশিক বাতিল করে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর সুযোগ করা হলো, এই সংশোধনী করার ক্ষমতা তো সংসদ ছাড়া কারো নাই।

‘তাই, এখন জোড়াতালি দিয়ে চলতে হবে। এখন আর আইনের ভূমিকা নাই। আইন অনুযায়ী কিছু হচ্ছে না। সব আইনের বাইরে হচ্ছে। আইনের প্রশ্ন এখন অবান্তর,’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

'পদত্যাগ করলে নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন আসবে'

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার শাসনের পতনের পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শপথ নেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চেয়ে রেফারেন্স পাঠান।

তখন আদালত উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করানোর অনুমতি দেয়। শাহদীন মালিক বলেছেন, ‘রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে সংবিধানের বাইরে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। কিন্তু আপিল বিভাগের বড় দুই রায়ে বলা আছে— এটি করা যায় না। কোনো কিছুর দোহাই দিয়ে যা অসাংবিধানিক, তাকে সাংবিধানিক বলা যাবে না।’

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদও মনে করেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একটি ‘শূন্যতা’ তৈরি হয়েছিল। ‘তখন প্রয়োজনের তাগিদে একটি সরকার গঠন করা হয়েছে এবং সরকারের বৈধতা নিয়ে কেউ কোনো আপত্তি করে নাই, এটির আইনগত প্রশ্নও তখন উত্থাপন হয় নাই’ বলে মনে করেন তিনি।

তবে মুহাম্মদ ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে ‘কোনো সাংবিধানিক সংকট হবে না’ উল্লেখ করে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘উনি পদত্যাগ করলে নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন আসবে। উনি যদি থাকেনও, নির্বাচন করতে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাম দিয়ে সরকার গঠন করা যাবে।’

আইনজীবী মনজিল মোরসেদের মতে, গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজন ছিল। এখন তা নাই। এখন নির্বাচন দরকার। তাই, নির্বাচন যদি 'নেসেসিটি' হয়, তাহলে নতুন করে আবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দরকার নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করলেই হবে।

তিনি পঞ্চদশ সংশোধনীর আংশিক বাতিলের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘নির্বাচন দিতে গেলে এই সরকারের আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থাকার সুযোগ নাই। তাদেরকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। কারণ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার সুযোগ রাখা হয়েছে। আইনে এভাবেই আছে যে, নির্বাচন করবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ বলেন মনজিল মোরসেদ।

এই আইনজীবীর মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বর্তমানে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদও থাকতে পারে। আবার, রাষ্ট্রপতির মনোনয়নক্রমে নতুন করেও পরিষদ সাজানো যেতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনের অন্তত ৯০ দিন আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সময় আদালত থেকে রেফারেন্স আনা হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ওই রেফারেন্সের প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন মনজিল মোরসেদ।

তবে মুহাম্মদ ইউনূস যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে তার উপদেষ্টা পরিষদ কি বহাল থাকবে? জবাবে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ওনাদেরকে প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত করেছেন যে আমার সাথে কাজ করেন। উনি না থাকলে অন্যদেরও থাকার সুযোগ নাই।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান যদি অন্য উপদেষ্টাদের রাখতে চান, রাখতে পারেন।

আইনজীবী শাহদীন মালিকও বলেছিলেন, ‘ইচ্ছামতো করলে তো যা ইচ্ছা তা করা যায়।’

তবে তিনি মনে করেন, মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করলে পরবর্তী সরকার প্রধান নির্বাচনের জন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একজন ব্যক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে যেতে হবে।

ঠিক কী কারণে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে চাইছেন, এর ব্যাখ্যা সরকারের কেউ দেয়নি। তবে এনসিপি'র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বক্তব্য থেকে এ বিষয়ক ধারণা পাওয়া যায়। তিনি মুহাম্মদ ইউনূসের বরাতে বৃহস্পতিবার রাতে বিবিসিকে বলেছেন– প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না, এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

‘আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো,’ বলেন নাহিদ ইসলাম।

নাহিদ ইসলামের বক্তব্য থেকে এটি স্পষ্ট যে, প্রধান উপদেষ্টা মনে করছেন, বাংলাদেশের চলমান বাস্তবতায় তিনি আসলে কাজ করতে পারছেন না। তাই, পদত্যাগের কথা ভাবছেন।

পদত্যাগ সংক্রান্ত ইস্যুতে এখন পর্যন্ত সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। তবে অধ্যাপক ইউনূস ঢাকাসহ সারাদেশে চলমান একের পর আন্দোলনের কারণে সরকার যে বেকায়দায়, পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের বক্তব্যে তা স্পষ্ট।

তিনি শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে বলেন, ‘আমাদের তিনটা দায়িত্ব; সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। শুধু নির্বাচন করার জন্য আমরা দায়িত্ব নিইনি।’

‘তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যার যত রকম দাবি আছে সব দাবি নিয়ে রাস্তায় বসে রাস্তা আটকে দিচ্ছে, শহর অচল করে ফেলছে’ বলে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




বিআরটিএ বদলি নিয়ে কানামাছি খেলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দুর্নীতির প্রসঙ্গ এলে যে-সব প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে নিম্নপদ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদধারীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের আমলে এই প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি না করাই যেন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তেমনি একটি বড় চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়

৫ আগস্টের পর বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব চালিয়ে আসা গৌতম চন্দ্র পালকে ওএসডি করা হয়েছে। মো. ইয়াসীনকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গ্রেড-১ পদমর্যাদার এ কর্মকর্তাকে বদলি করে  (৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মো. ইয়াসিন এর আগে মুদ্রণ ও প্রকাশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন জনাব মো. ইয়াসিনকে অব্যহতি দিয়ে ৪ জুন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদকে বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা চলমান প্রক্রীয়ার অংশ ।

এখানে দেখা যায় চেয়ারম্যান ২ বার বদল হলেও বিআরটিএ-তে এখনো বহাল দুর্নীতির 'মাস্টারমাইন্ড' শহীদুল্লাহ  যাকে সম্প্রতি ওএসডি করা হয়েছে তারপরও চার মাসেও  তিনি স্বপদে  মিরপুরে আছেন


স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও বহাল তবিয়তে চেয়ার ধরে রেখেছেন কিছু আমলারা। পলাতক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ফান্ডে অর্থ যোগানদাতাদের তালিকায় প্রথম দিকেই আছে এই শহীদুল্লাহর নাম। 

বিআরটিএ সূত্র জানায়, সংস্থাটি থেকে ঘুষ ও চাঁদা তুলে ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত নির্বাচনী তহবিল গঠনে বড় ভূমিকা রাখতেন শহীদুল্লাহ। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন উপ-পরিচালক ছানাউল হক, তৌহিদ হোসেন  ও রফিকুল ইসলাম

তৌহিদ হোসেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের এলাকা নোয়াখালীর পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএকে উৎকোচ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন। 

বিআরটিএতে দালাল সিন্ডিকেট শক্তিশালী করার মূল কারিগরই ছিলেন এই শহীদুল্লাহ ও রফিকুল। এই দুই কর্মকর্তার কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে দালাল ছাড়া কোনো কাজই হতো না। কারণ দালাল চক্রের মাধ্যমে কাজ করলেই মিলত মোটা দাগের উৎকোচরফিকুল ইসলাম এবং তৌহিদুল হককে গত ১৪.১০.২০২৪ বদলি করা হলেও তাদের পূর্বের কর্মস্থলে এখনো কাউকে স্থলাভিত্তিক করা হয়নি । গোপন সংবাদে যানা যায় তারা উপরের মহলকে খুশি করে পুনরায় পূর্বের কর্মস্থলে যোগদানের ব্যবস্থা করেছে


আসছে বিআরটিএর ডিডি তৌহিদ হোসেন এর আমলনামা



আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




বাজেট ২০২৫-২৬: দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আসছে নতুন বাজেট। আগামী ২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার প্রায় সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। এরই মধ্যে বাজেট উপস্থাপনের প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এবার বাজেটে মূল্যস্ফীতি ও শিল্পখাতের ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে কিছু পণ্যের শুল্কহার কমানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে একদিকে ভোক্তা পর্যায়ে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, অন্যদিকে দেশীয় শিল্প খাত পড়তে পারে অসম প্রতিযোগিতার মুখে।

যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে: নতুন বাজেটে চিনির প্রতি মেট্রিক টনে শুল্কায়ন মূল্য ৫০০ টাকা কমানোর প্রস্তাব রয়েছে। পাশাপাশি শুল্ক কমানো হচ্ছে বাটার, লবণ, কম ফ্যাটযুক্ত সয়াবিন তেল, বিদেশি জুস, জ্বালানি তেল, ইনসুলিন ও এর প্যাকেজিং উপকরণ, পশুখাদ্য, চুনাপাথর, দেশীয় কাগজ, কালি, শিরিশ কাগজ, নিউজপ্রিন্ট, ১৬ থেকে ৪০ আসনের বাস, ১০ থেকে ১৫ আসনের মাইক্রোবাস, ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল, ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, ক্রাউফট লাইনার পেপার, পরিবেশবান্ধব ফ্রুট ব্যাগ, ব্রেক প্যাড এবং ক্রিকেট ব্যাটের ওপরও।

তবে বাস্তবে এসব পণ্যের দাম কতটা কমবে, তা নির্ভর করবে বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, অনেক সময় শুল্ক কমানোর সুফল সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছায় না।

যেসব শিল্প খাত পড়তে পারে চাপে: বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, শুল্ক কমিয়ে আমদানি পণ্যের প্রবাহ বাড়লে দেশে উৎপাদিত সমজাতীয় পণ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পিভিসি পাইপ, কপার ওয়্যার, মোটর ও ব্যাটারিশিল্প, লিফট, এলইডি বাতি, রাইস ব্র্যান ওয়েল এবং টায়ার-টিউব খাত।

পিভিসি পাইপ দেশে উৎপাদন হলেও এর কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এবার এ খাতে কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। একইভাবে কপার ওয়্যারের কাঁচামালে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে।

কেমিক্যাল ও সফটওয়্যার খাতে পরিবর্তন: বন্ড অপব্যবহার রোধে কেমিক্যাল পণ্যের আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদেশি সফটওয়্যার আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করায় দেশীয় সফটওয়্যার নির্মাতারা পড়তে পারেন নতুন চ্যালেঞ্জে।

বিশ্ববাজারে নজর দিয়ে রপ্তানিমুখী উদ্যোগ: জাপান, ইউরোপ ও আমেরিকায় চাহিদাসম্পন্ন জাপানিজ স্ক্যালোপ আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে, যাতে রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বাজেট বাস্তবায়নে নীতিগত সমন্বয় ও বাজার তদারকি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।


আরও খবর