Logo
শিরোনাম

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রধান পাঁচ ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতার পাশাপাশি এর বাইরে কোনো বিষয়ে আগ্রহী কিনামতামত জানতে চেয়েছে ওয়াশিংটন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব (দ্বিপাক্ষিক-পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে দুই দেশের চলমান অংশীদারিত্বের আরও ব্যাপ্ত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি ক্ষেত্র এবং এর বাইরে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে মতামত জানতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অনুরোধ করেছে।

ঢাকার এক দায়িত্বশীল কূটনীতিক বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছেন, সেখানে বলা আছে, দেশটির কোন কোন খাতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতাম, সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও কীভাবে বাড়ানো যায় তা আলোচনা হয়েছে। এটা আসলে নতুন কিছু না। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব এনগেজমেন্ট আছে সেগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে বা নতুন করে কোনো বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনাসেগুলো আমরা আলোচনা করি বা কোনো কনসার্ন থাকলে সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানো।

যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের পাঁচটি খাত সম্পর্কে এ কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে একটি অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানো, পরিবেশগত সুরক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন; এক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর বা বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। তৃতীয়ত, নিরাপত্তা সহযোগিতাএটার মধ্যে এন্টি টেরোরিজম অ্যাসিসটেন্ট রয়েছে; পুলিশ-র‌্যাবের তহবিল রয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তার সংক্রান্ত অংশীদারত্ব ইস্যু রয়েছে। তারপর মানবিক সহায়তা বিষয় রয়েছে, যা মধ্যে রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয় যুক্ত। এছাড়া রাইটস ইস্যুস আছে; এর মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র বা লেবার রাইটস ইস্যু আছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভোট শেষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ওয়াশিংটন জানায়, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। পরবর্তী সময়ে ভোট নিয়ে নিজেদের অনঢ় অবস্থানের জানান দিলেও বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশের কথা জানান খোদ ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির আলোচিত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলনে একই বার্তা দেন।

তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিতে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার সরকার।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে বাইডেনের চিঠির পর ওই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফর করেন তার (মার্কিন প্রেসিডেন্টের) বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ওই প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ছিলেন। আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রথম সফর ছিল।

ওই সফরে এইলিন লাউবাখেরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠক শেষে ড. হাছান জানিয়েছিলেন, তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় এবং আমরাও চাই একটি নতুন সম্পর্ক। যেহেতু দুদেশেরই সদিচ্ছা আছে, সুতরাং এই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, গভীরতর ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের উভয় দেশ উপকৃত হবে।

অন্যদিকে, বাইডেনের বিশেষ সহকারী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করছেন।

বাইডেনের সেই চিঠির প্রতিউত্তরের একটি কপি এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এছাড়া ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান হোয়াইট হাউজে ওই চিঠির মূল কপি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব এবং দুই দেশের নাগরিকদের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা করে।

সবশেষ, চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্ব এক‌টি প্রতি‌নি‌ধিদল নিয়ে ঢাকা সফর করে গেছেন।

মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত মো শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবাস্তয়নে যে সব রাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন সেসব রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ে কাজ করছে তারা। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই সিরিয়াস বিষয়। এই কৌশলে এবং একইসঙ্গে চীনকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশকে নিবিড়ভাবে পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের (২০২৩) মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে দেশটির অব্যাহত নজরদারির কথা বলা হয়। পরবর্তী সময়ে অব্যাহতভাবে দেশটি নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।

৭ জানুয়ারির ভোটে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

গত ১৭ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে আগামী মাসগুলোতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার প্রতীক্ষায় আছি।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় স্বর্ণ চোর চক্রের নারী সদস্যসহ ৩জন আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ জানুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অভিনব কায়দায় স্বর্ণ চুরির সাথে জড়িত আন্তঃজেলা চোর চক্রের দু'জন নারী সদস্যসহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ। এসময় চুরি যাওয়া আড়াই ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রির টাকা এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) গাজিউর রহমান।

আটকরা হলেন, দিনাজপুর জেলার কতোয়ালী থানার রাজবাড়ী তামলিপাড়া গ্রামের রমজান আলী (৪৬) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩০) এবং কালিতলা গ্রামের মৃত মোতাহারুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৫৫)। 

এসময় গাজিউর রহমান আরো বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের একটি জুয়েলার্স দোকান থেকে স্বর্ণ কেনার নামে কৌশলে ব্রেসলেট চুরি করে চোর চক্রের সদস্যরা। ঘটনায় থানায় মামলা করেন দোকান মালিক অনিমেষ চন্দ্র। মামলার পর চোরদের সনাক্তকরণ, গ্রেফতার ও চোরাই মালামাল উদ্ধারে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে পুলিশের চৌকস টিম মাঠে নামেন। এরপর মঙ্গলবার রাতে প্রযুক্তির সহায়তায় দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা স্বর্ণ চোর চক্রের নারী সদস্যসহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি যাওয়া ব্রেসলেট সহ আরো দুইটি স্বর্ণের চেইন এবং একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চোরাই স্বর্ণ বিক্রির ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্তে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।


আরও খবর



কলকাতার আদালতে জামিন পেলেন পি কে হালদার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) তিনজনকে জামিন দিয়েছেন কলকাতার একটি আদালত। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ব্যাঙ্কশাল কোর্টের অন্তর্গত নগর দায়রা আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

পি কে হালদারের সঙ্গে জামিন পেয়েছেন স্বপন কুমার মিস্ত্রি ও উত্তম কুমার মিস্ত্রি। প্রত্যেককে ১০ লাখ রুপির বিনিময়ে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। একইসঙ্গে শর্ত দেয়া হয়েছে, মামলা চলাকালীন তাদের আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে রাজ্য বা দেশ ত্যাগ করা যাবে না।

এদিকে এর আগে গত ২৭ নভেম্বর জামিন পেয়েছিলেন পি কে হালদারের ভাই প্রানেশ হালাদার, আমিনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার ও ইমন হোসেন।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে হালদারদের গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে দেশটিতেই বন্দি হালদাররা। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ সহযোগীকে রাখা হয়েছিল কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদারকে রাখা হযেছিল কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।

এর আগে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




বিটিআরসি’র তড়িঘড়ি নীতিমালা

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দুই বছর ধরে ঝুলে থাকা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) নীতিমালা সংশোধন না করে তড়িঘড়ি করে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ করতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি)। অভিযোগ উঠেছে, এই নীতিমালার মাধ্যমে একচেটিয়া মোবাইল ফোন অপাটেরদের হতে টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা তুলে দিতে চলেছে বিটিআরসি। ফলে বাড়বে ইন্টারনেট সেবার দাম।

টেলিযোগাযোগ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৮ সালে টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ সালের আলোকে এনটিটিএন নীতিমালা করে বিটিআরসি। যেটির সংশোধনের প্রস্তাব গত দুই বছর ঝুলিয়ে রেখে নতুন ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ করতে যাচ্ছে বিটিআরসি। ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ ও এনটিটিএন এর মধ্যে কোনো পার্থক্য না থাকায় সংশ্লিষ্টদের শঙ্কা, এটি টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি করবে। একই সঙ্গে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে দেশীয় বিনিয়োগে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে পারেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা ‘ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই সঙ্গে দেশের ইন্টারনেট সেবার দাম বাড়তে পারে।

দেশীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের হাতে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা তুলে দেওয়ার আয়োজন করতে চলেছে। এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধন না করে প্রয়োজন ছাড়াই ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ অনুমোদন করতে চলেছে।

সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) কমিশন সভায় ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ অনুমোদন করার আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই এই গাইডলাইন করার কথা জানিয়ে খসড়া ওয়েবসাইটে দেয় বিটিআরসি। এতে মোবাইল অপারেটরদের নিজস্ব ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ারও সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে টেলিযোগাযোগ খাতের সব ধরনের সেবার নিয়ন্ত্রণ শুধু তিনটি মোবাইল অপারেটরের কাছে চলে যাবে।

যদিও সংশ্লিষ্টদের দাবি, তিনটিও নয়, ২০০৮ সালের আগের মতো একটিমাত্র মোবাইল অপারেটরের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। ২০০৮ সালের আগে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে একটি মোবাইল অপারেটরের একক আধিপত্য ছিল। ওই কোম্পানি ট্রান্সমিশন এবং ব্যান্ডউইথের পাইকারি সরবরাহ করায় আরও তিনটি মোবাইল অপারেটর এবং ইন্টারেনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কোম্পানিটির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। ওই সময় প্রতি সার্কিট ট্রান্সমিশন সেবার জন্য একটি অপারেটরকে ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হতো। আর প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পরিবহনের জন্য ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। এ ছাড়া ভয়েস কলের জন্য আন্তঃসংযোগের ক্ষেত্রে অন্য তিনটি মোবাইল অপারেটরের জন্য মাত্র একশটি শেয়ারিং সার্কিট খোলা রাখা হতো। ফলে সাধারণ অন্য তিনটি অপারেটরদের গ্রাহকরা প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতেন। সে সময় বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও টেলিযোগাযোগ খাত জিম্মি করে রাখা প্রভাবশালী মোবাইল অপারেটর ট্রান্সমিশন সেবা এবং ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমায়নি।

এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ খাত বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে নতুন এই ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ তৈরির উদ্যোগ অহেতুক। এটি অনুমোদন পেলে টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার সৃষ্টি করবে। কারণ এর ফলে গত দেড় দশক ধরে টেলিযোগাযোগ ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করা দেশীয় এনটিটিএন কোম্পানি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তিনি বলেন, এর পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের ক্ষেত্রে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ব্যবসারও দখল নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে দেশে আবারও ২০০৮ সালের আগের মতো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান এনটিটিএন গাইডলাইনের দু-একটি বিষয় মোবাইল অপারেটরদের কিছু পর্যবেক্ষণ এবং বিতর্ক ছিল। এ কারণে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বিটিআরসিতে বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনের একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ প্রস্তাবের আলোকে বিটিআরসি একটি কমিটি গঠন করে। পরে ওই কমিটি তিনবার পরিবর্তন করা হয়। অথচ ওই নীতিমালা সংশোধন করা হলে এখন এ ধরনের বিতর্কিত ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ তৈরির প্রয়োজন হতো না।’

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘খসড়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইনের যে উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে, তা বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালার সঙ্গে হুবহু এক। এর অর্থ এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনই যথেষ্ট ছিল। সেটা না করে একই ধরনের নতুন একটি গাইডলাইন প্রণয়নের উদ্যোগ কী কারণে হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ঘাতকদের ক্ষমা নেই’ :রুহিন হোসেন প্রিন্স

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকার রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বীর শহীদদের প্রতি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)র পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স গত ৫৪ বছরে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে, অবিলম্বে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা এবং সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধের যেসব স্মারক চিহ্ন ধ্বংস করা হয়েছে তা পুনঃর্নিমাণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ঘাতকদের ক্ষমা নেই। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিচার দাবি করেই যাব।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর অন্যতম ঘাতক মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর পরিকল্পনায় আলবদর, আল সামস, রাজাকার বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনা করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের আগে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এই হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দেয় আল বদর বাহিনীর চৌধুরী মইনুদ্দিন আশরাফুজ্জামান খান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ এই হত্যাকাণ্ড শুরু হলেও পরবর্তীতে ওই সময় (১৪-১৬ ডিসেম্বর) ভয়াবহ রূপ নেয়।

মুক্তিযুদ্ধের  বিজয় যখন নিশ্চিত তখন এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করা হয় যাতে স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে এসব বুদ্ধিজীবীরা যেন অবদান না রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আজ অনেকে মুক্তিযুদ্ধ এবং দীর্ঘদিন ধরে গড়ে তোলা এই আন্দোলনকে নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আবার গণতন্ত্রহীনতা ও স্বৈরাচারী ক্ষমতা রক্ষার জন্য বিগত দিনের শাসকরা মুক্তিযুদ্ধকে অপব্যবহার করেছে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে মুক্তিযুদ্ধ ও তার দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাসের প্রকৃত তথ্য এবং দেশ-বিদেশের শত্রু মিত্রদের অবস্থান দেশবাসীর সামনে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা জরুরি কর্তব্য হয়ে পড়েছে। 

তিনি বলেন, এখনকার সময় আমাদের অন্যতম কর্তব্য হলো-মূক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করে সিপিবি ও বামপন্থীরা নীতিনিষ্ঠ অবস্থানে থেকে এই কাজটি করে চলেছে।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে বুকের রক্ত দিয়ে বিজয়ী হই। কিন্তু আমাদের বিজয় ছিনতাই হয়ে যায়। ব্যবস্থা বদল ছাড়া এই বিজয় আমরা ধরে রাখতে পারব না। সেই ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে সচেতন দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আজ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার, সকাল ৯টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। 

এ সময় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কোষাধ্যক্ষ ডা.ফজলুর রহমান, সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, লূনা নুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান হাবিব লাভলু, মানবেন্দ্র দেব, লাকী আক্তার, জাহিদ হোসেন খান, সাদেকুর রহমান শামীম, ঢাকা উত্তরের নেতা মোতালেব হোসেন, ঢাকা দক্ষিণের নেতা সাইফুল ইসলাম সমীর, আখতার হোসেনসহ নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন।

এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার ও সাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বধ্যভূমি থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত পদযাত্রায় সিপিবির বিভিন্ন কর্মীরা অংশ নেন

মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সিপিবির শ্রদ্ধা নিবেদন

এছাড়া সকাল ৯টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

এ সময় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক, ঢাকা উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেল, মিরপুরের পার্টি নেতা রিয়াজ উদ্দিন, সালামাত উল্লাহ, রাসেল ইসলাম সুজন, আলী কাউসার মামুন, প্রলয় মৈত্র, জামাল হোসেনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




ফুলবাড়ীতে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ এক মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ এক মাদক কারবারি কে আটক করেছে।

জানাযায়,ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ এর নেতৃত্বে, থানা পুলিশের এস আই,রাকিব ও শাহানুর সহ মাদক উদ্ধার কারী একটি চৌকস টিম বুধবার ২৫ (ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাড়ে ছয়টায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সদরের চন্দ্র খানা মৌজার কদম তলা মোড়ে অভিযান চালিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল সহ মাদক কারবারি অটো চালককে হাতে নাতে আটক করে। আটক ওই মাদক কারবারি নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণা নন্দ বকসি গ্রামের মৃত: বজলে রহমানের ছেলে, হাবিবপুর রহমান (২২)।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, ফুলবাড়ী উপজেলায় মাদক নির্মূলে থানা পুলিশ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আটককৃত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আগামীকাল কাল সকালে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।


আরও খবর