Logo
শিরোনাম

বাঁশের খুঁটিতে সুখের বিদ্যুৎলাইন

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মোজাহিদ সরকার, কিশোরগঞ্জঃ 

কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিঠামইন জোনাল অফিসের অধীনে তিন হাওর উপজেলা ইটনা, অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বিদ্যুৎ সরবরাহে ১০৭ কিলোমিটারে ৩৩ হাজার ভোল্টেজ (কেভি) ও ১৩৬০ কিলোমিটারে ১১ হাজার ভোল্টেজ (কেভি) বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। 

এখন ভরা বর্ষা, দৃষ্টিসীমা অবদি পানি আর পানি, তার মাঝে কয়েক শত কিলোমিটার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন। প্রতিদিন বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটি ঘেঁষে অবাধে চলাচল করে হাজারো নৌকা, ট্রলার ও লঞ্চ। ঝড়ের রাতে ঘটে যাত্রী ও নৌযান দুর্ঘটনা। সাময়িক বন্ধ হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক খুঁটির পরিবর্তে, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের খুঁটিতে চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ। চলতি বর্ষায় কিশোরগঞ্জ হাওরাঞ্চলে নির্মিত হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ চারটি বাঁশের খুঁটি। 

বর্ষাকালে বিস্তৃর্ণ হাওরের পানিতে থাকা খুঁটির গোড়ার মাটি নরম থাকে। এসময় পানির স্রোত, ঝড় ও নৌযানের সামন্য ধাক্কায় নড়ে উঠে বা পড়ে যায় খুঁটি। বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ। এসময় গ্রাহকের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হাওরে বাঁশ-কাঠ দিয়ে নির্মাণ করা হয় ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি। 

এই বছর কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের কাকুরিয়া হাওর,  ইটনা উপজেলার বড়িবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাঁক হাওর ও মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের মুন্সীপুর ও গোপদিঘী ইউনিয়নের ডুবি হাওরে ৪টি বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছে মিঠামইন জোনাল অফিস। 

কলমা হাওরে মৎস্য শিকারী হরিচরণ দাস (৪০) বলেন, নড়বড়ে বাঁশের খুঁটি সামনে দিয়া নাও (নৌকা) লইয়্যা যাতায়াত করতে, ডর (ভয়) লাগে। কখন যে কোন বিপদে পড়ি বলা মুশকিল। সব সময় আতংকে থাহি (থাকি)। 

ঢাকী ইউনিয়নের মাঝি রফিকুল মিয়া (৩৭) বলেন, ভরপুর বাইষ্যার (বর্ষা) সময় জ্বানডা (প্রাণ) হাতে লাইয়্যা নৌকা চালাতে হয়। ডর-ভয় করলে নিরুপায় হয়ে চলাচল করি। 

কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সুত্রে জানা যায়, ভৌগোলিকভাবে হাওর উচু এলাকা থেকে ভিন্ন ধাচের। এখানে বর্ষামৌসুমে খুঁটি ভাঙ্গলে নতুন করে পুঁতা যায় না। শুষ্ক মৌসুমে পানি নেমে গেলে নতুন খুঁটি পুঁত্তে হয়। কিন্তু গ্রাহেক কথা চিন্তা করে বাঁশের খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোন বিকল্প নেই। 

প্রবল স্রোত ও বিস্তৃর্ণ পানিতে ১০-১২জন শ্রমিক ও টেকনিশিয়ান মিলে নৌকা দিয়ে ১-২দিনে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচে তৈরি করা হয় এসব খুঁটি। প্রতিবছর বর্ষায় কয়েকটি খুঁটি নির্মাণ করলেও শুষ্ক মৌসুমে বৈদ্যুৎতিক নতুন খুঁটি বসানো হয়। তবে, স্থানীয় সমাধানে বিশেষ পরিকল্পনা প্রস্তাব উর্ধ্বতন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে দুই বছর আগে। 

মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন বলেন, হাওরে প্রবল স্রোতের কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে সমস্যা হলে, মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে অস্থায়ী বাঁশের খুঁটি নির্মাণ করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে মেরামত করা হয়। তবে, স্থায়ী সমাধানে উর্ধ্বতন কর্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। 



আরও খবর



নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। বিভিন্ন সময় ভোক্তা অধিদপ্তর নানা উদ্যোগ নিলেও তেমন কোনো কাজে আসছে না।

রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের নিজেদের মতো বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এতে করে সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে কিছু কিনতে গিয়েও থমকে দাঁড়ান মধ্যবিত্তরা।

তাছাড়া গত বছর রোজায় সাধারণ ক্রেতা যে দামে পণ্য কিনেছে। চালতি বছরের রমজানে তা বেড়েছে অনেক। ফলে খরচও বেড়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিটি জিনিসের দাম দফায় দফায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাড়ছে।

বাড়তি খরচের কথা চিন্তা করে সকল ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, রমজান আসলে আমাদের দেশে সকল জিনিসের দাম বেড়ে যায়। জিনিসের দাম বাড়লেও কারো আয় বাড়েনি। ফলে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্থির হয়ে আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ যখন কাজে আসছে না। কারণ অতি মুনাফাখোর জোট বেঁধে সিন্ডিকেট করেছে। প্রতিটা পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত কোন না কোনোভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে স্বস্তির দেখা যাচ্ছে না ক্রেতারা।

রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর কঠালবাগান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, রোজাকে সামনে রেখে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়লেও মান বাড়েনি। আমি গত সপ্তাহে যে-সকল দামে মালামাল কিনেছি আজ তা অনেকটাই বেড়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে কথাটি ঠিক নয়। তবে আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর দামই বাড়তি অবস্থায় রয়েছে। এতে করে ক্রেতা কমেছে আগের তুলনায় অনেক। আবার অনেকে দাম বেশির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম জিনিস কিনেছে।

একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী মাহদীউজ্জামান কাঠাবাগান কাঁচাবাজারে আসেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত কিছু দিন আগে যে দাম ছিল আজ তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। প্রতিদিনই কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ছে।

আরিফ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, রমজানে অন্য মাসের তুলনায় বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। কিন্তু প্রতিটি পণ্যের দামের বৃদ্ধির ফলে তা সম্ভব হবে না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই দাম রাড়ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০  থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫০০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার ব্রয়লার মুরগি থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

মাছ বাজারে দেখা যায়, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন  বলেন, ব্যবসায়ীরা রমজান মাসকে সুযোগ হিসাবে নিয়েছে। তাদের এক মাস ব্যবসা করে সারা বছরের লাভ করতে চায়। ব্যবসায়ীরা গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে দাম বাড়ার পেছনে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কথা বলছে। অথচ এসবই হচ্ছে ভিত্তিহীন অজুহাত। তারা অতি মুনাফা লাভের মনোভাব থেকেই দাম বৃদ্ধি করছে।

কিছুদিন আগে এস আলমের চিনি কারখানায় আগুন লাগার পরপরই চিনির দামটি বেড়ে গেছে। সেখানে যে চিনি নষ্ট হয়েছে তার রিফাইন যোগ্য চিনি ছিল না। কিন্তু তারপরেও দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা যখন অজুহাত পায় তখনই দাম বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

ক্যাবের সহ-সভাপতি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে সাথে দেশের পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। অথচ অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে দাম বৃদ্ধির কোন নিয়ম নেই। ব্যবসার নিয়ম হচ্ছে পণ্য যদি বেশি দামি কেনা হয়, তাহলে বেশি দামে বিক্রি করবে। আর যদি কম দামে কেনা হয়, তাহলে কম দামে বিক্রি করতে হবে। এসবের পেছনে ব্যবসায়ীরা মূল দায়ী। আমাদের দেশীয় পণ্যের সাথে ডলারের কোন সম্পর্ক নেই। অথচ এই সকল জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এরজন্য ব্যবসায়ীর সাথে সাথে যারা তদারকি করছেন তাদের গাফিলতি রয়েছে। সঠিক আইনের প্রয়োগ করলে তখনই এই অনিয়ম বন্ধ হওয়া সম্ভব। বিভিন্ন সময় অভিযান হলে সব জায়গায় হচ্ছে না। ফলে এর প্রভাব তেমন একটা নেই। মন্ত্রিপরিষদের বিরাট একটি অংশ ব্যবসায়ী শ্রেণি হওয়ার কারণে এসব দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বা দাম বাড়ার পরও কমছে না বলে মন্তব্য করেন ক্যাবের এই সহ-সভাপতি।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




বাংলাদেশে বিনিয়োগে বাধা ঘুষ দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ঘুষ, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৯ মার্চ) মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর (ইউএসটিআর) প্রকাশিত ২০২৪ সালের বৈদেশিক বাণিজ্যে বাধাবিষয়ক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বাধাগুলো চিহ্নিত করা হয়।

প্রতিবেদনে অশুল্ক বাধা হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখনও কাস্টমস ভ্যালুয়েশন লেজিসলেশন সম্পর্কে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে (ডাব্লিউটিও) অবহিত করেনি। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ও বাছাইপ্রক্রিয়ার কথা বলে থাকে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় ইলেকট্রনিক প্রকিউরমেন্ট পোর্টাল চালু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদাররা বিভিন্ন দরপত্রে প্রত্যাশিত পণ্যের পুরনো কারিগরি মান নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। এছাড়া কারিগরি মান পছন্দের দরদাতাদের কাজ দেওয়ার উদ্দেশ্যে নির্ধারণ করা হয় কি না, তা নিয়ে মার্কিন অংশীদারদের সন্দেহ আছে।

মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কয়েকটি কোম্পানি দাবি করেছে, বাংলাদেশে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীরা ক্রয়প্রক্রিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির দরপত্র ঠেকাতে বাংলাদেশি অংশীদারদের ব্যবহার করেছে। মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে সরকার নিলামে ক্রয়প্রক্রিয়ায় দরপত্র বাছাইয়ে কারচুপির অভিযোগ করেছে। বাংলাদেশ সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত ডব্লিউ চুক্তির অংশীদার বা সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত ডব্লিউটিও কমিটির পর্যবেক্ষক নয়।

মেধাসম্পদ সুরক্ষায় বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উদ্যোগ নিলেও এর কার্যকর প্রয়োগ নিয়ে নিশ্চিত নয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নকল পণ্য সহজলভ্য। ভোগ্য পণ্য, পোশাক, ওষুধ ও সফটওয়্যার খাতের পণ্যগুলো বাংলাদেশে নকল হচ্ছে বলে মার্কিন অংশীদাররা অভিযোগ করেছেন।

বাংলাদেশে ডিজিটাল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিভিন্ন আইন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিনিয়োগ থেকে লভ্যাংশ বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার কথা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা তুলে ধরেছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে রেমিট্যান্স বিদেশে পাঠাতে আইনি জটিলতার কথাও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

শ্রম ইস্যুতে উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৩ সালে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করে। এটি এখনো বহাল রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




নেত্রকোনায় গণহত্যা দিবসে পালন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক দলিলপত্র এবং ছবি প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার(২৫ মার্চ) দুপুরে শহরের রাজুরবাজার এলাকায় রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের গেইটে এই প্রদর্শন করা হয়। 

স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে প্রদর্শনী ঘুরে ঘুরে দেখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্তার।

এসময় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ এই প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। 

পরে উক্ত প্রদর্শনীর উপর দলীয় প্রতিবেদন তৈরি করায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে বই উপহার তুলে দেন।


স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, ১৭৫৭ সন থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের যুদ্ধ সংক্রান্ত একশত ছবি সংগ্রহ করে এখানে রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ছবি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই। 

কারণ ওই পরিস্থিতি যেহেতু তাদেরকে দেখানো যাবে না। 

সে জন্য ছবি দেখে যেন নতুন প্রজন্ম জানতে পারে এর জন্যই এই আয়োজন। এই দুর্লভ ছবি গুলো যেখানে সেখানে পাবে না। এগুলো দেখতে  জাতীয় যাদুঘরে যেতে হবে।  


এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানান, এ প্রদর্শনী মাধ্যমে আমরা স্বচক্ষে বিভিন্ন ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারলাম। এখানে পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দলিল সহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন দুর্লভ ছবি, অবিভক্ত বাংলা মানচিত্রসহ ২৫ শে মার্চ কাল রাত্রির বিভিন্ন চিত্র উপস্থাপন করা হয়। 

চাইলেও এই চিত্রগুলো যেকোনো জায়গায় দেখা সম্ভব নয়, একমাত্র জাতীয় জাদুঘর ও সরকারি কোন উদ্যোগ ছাড়া। আমরা স্যারের এই উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই, তিনি দুর্লভ কিছু জিনিস সংগ্রহ করে আমাদের মাঝে প্রদর্শন করেছেন। 


আরও খবর



মানিকদির ‘আতঙ্ক’ নাজিমের দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

 ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার এলাকারআতঙ্কনাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না অন্তত ৩০ মামলা অসংখ্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের হলেও জমি দখল, হামলা, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ চলছে সমান তালে তার বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটে এলাকাবাসীর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাসিক হাজার টাকা বেতনে ভাঙারীর দোকানে চাকরি নেয়া নাজিম উদ্দিন অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন

জমি দখলে ব্যবহার করছেন নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে সাইনবোর্ড তার কর্মকান্ড দিনদিন এতোই ভয়ংকর হয়ে উঠছে যে, সম্প্রতি তার নির্মাণাধীন নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাতে গেলে নাজিমের বাহিনীর তোপের মুখে পড়ে

এলাকাবাসী জানায়, সমপ্রতি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন হত্যা চেষ্টা মামলায় জেল খেটে এসে অতীতের চেয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছেন নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয়ার পর ঊর্ধ্বতন আরো কয়েকজন কর্মকর্তাসহ জোয়ার সাহারা মৌজার ৫৬১, ৫৬২ ৫৬৩ নম্বর দাগের কয়েক বিঘা জলাশয় জমি কেনেন নিজেদের টাকায় মাটি কিনে জমিতে ফেলে ভরাট করেন ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েও বারবার নাজিম বাহিনীর হাতে নির্মম অত্যাচারের শিকার হন তিনি প্রায় ১৫-২০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার জমি নাজিম উদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন বলে মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে জমির কাছে গেলেই লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে নাজিমের বিরুদ্ধে


অপর এক মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে বৃদ্ধ বোরহান উদ্দিনের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন এরপর নাজিম বাহিনী তাকে আক্রমণ করে তার জমি দখল করে নেয় এলাকাবাসী আরো জানায়, নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. নামে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া তার চার ভাইকে নিয়ে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন এই সন্ত্রাসী দলে এলাকার কিছু কিশোর বয়সি ছেলে এবং কয়েকজন হিজড়াও রয়েছে জমি দখলে জাল দলিল দেখিয়ে তার নিউগিনি প্রপার্টিজ লি. কোম্পানির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয় এছাড়াও লোভনীয় মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লট, জমির শেয়ার বিক্রির নামেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তার একটি জমির শেয়ার মালিক ফ্ল্যাট মালিকদের চাপে নির্মাণ কাজ শুরু করলেও জমির আসল মালিকরা আদালতে দেওয়ানী মামলা করলে আদালত নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালতের নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে রাজউকের নকশা বহির্ভূত নির্মাণকাজ চালিয়ে যান পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ মার্চ মানিকদি এলাকায় নির্মাণাধীন মারওয়া টাওয়ারের অভিযান চালায় রাজউক সময় অভিযানে আসা রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিমের তোপের মুখে পড়েন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রশাসনের কর্মকাণ্ডকে অবৈধ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নির্বাহী ম্যাজিট্রেকে হুমকিও দেন নামিজ উদ্দিন অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মারওয়া টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করিয়ে নিয়ম অমান্য করে প্রায় ১২-১৫ ফুট বাইরে কলাম নির্মাণ করে তিন তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করিয়েছেন নাজিম উদ্দিন


তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া সবসময় গণমাধ্যমকে বলে এসেছেন অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রতিপক্ষ অকারণে অসত্য তথ্য প্রকাশ করছে সবশেষ মারওয়া টাওয়ারে অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটকে তোপের মুখে ফেলার বিষয়ে বলেছেন, রাজউকের উচিত ছিল তাকে ভবনের বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার সুযোগ দেয়া


আরও খবর

১৫টি রুটে যত বাড়ল ট্রেনের ভাড়া

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




মেসি নৈপুণ্যে স্বস্তির জয় পেল মায়ামি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সময়টা ভালো যাচ্ছিলো না ইন্টার মায়ামির। শেষ পাঁচ ম্যাচের একটাতেও জিততে পারেনি তারা। শেষ ম্যাচে গোল করেও মেসি জেতাতে পারেননি দলকে। তবে আজ আর ভুল করেননি, গোল করে, করিয়ে মায়ামির ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে দিলেন তিনি।

রোববার সকালে মেজর সকার লিগে কানসাস সিটির বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি। দারুণ লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। এ জয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে মায়ামি। ৯ ম্যাচে পয়েন্ট ১৫।


চোটের কারণে টানা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। মন্তেরির বিপক্ষে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচ দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরলেও সেদিন পুরোপুরি ছন্দে দেখা যায়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। তবে আজ ম্যাচের শুরু থেকেই মেসি ছিলেন উজ্জ্বল। তাতে আলোর মুখ দেখে মায়ামিও।

তবে কানসাসের মাঠে প্রায় ৭৩ হাজার দর্শকের সামনে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে মেসির মায়ামি। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই বাঁ প্রান্ত দিয়ে এরিক টমির গোলে এগিয়ে যায় এসকেসি। অবশ্য সমতায় ফিরতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি মায়ামিকে। মেসির সুবাদে দ্রুত ফেরে সমতায়।

ম্যাচের ১৮তম মিনিটে মেসির অসাধারণ অ্যাসিস্টে দলকে সমতায় ফেরান গোমেজ। এরপর আরো বেশকিছু আক্রমণ করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মায়ামি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ না হওয়ায় সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুদল।

 

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। ৫১ মিনিটে গোলের দেখা পান বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। ডেভিড রুইজের কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে চোখ ধাঁধানো শটে বল জালে জড়ান তিনি। চলতি মৌসুমে মায়ামির হয়ে ৫ ম্যাচে যা মেসির পঞ্চম গোল, সাথে আছে পাঁচ অ্যাসিস্টও।

এগিয়ে যাওয়ার আনন্দটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি মায়ামির। ৫৮ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলে কানসাসকে সমতায় ফেরান টমি। ২-২ সমতায় খেলা তখন জমে ক্ষীর। জয়সূচক গোলের জন্যে দুই দলই চালাতে থাকে একের পর এক আক্রমণ।

তবে সব সংশয় উড়িয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ। ৭১ মিনিটে অবশ্য কানসাস সমর্থকদের উল্লাস থামিয়ে মায়ামিকে আবার এগিয়ে দেন


আরও খবর