Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

বার্ড ফ্লু আতঙ্কে জরুরি অবস্থা জারি ক্যালিফোর্নিয়ায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

বার্ড ফ্লু ভাইরাসের আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এক বিবৃতিতে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। খবর সিবিএস নিউজের।

গভর্নর গ্যাভিন নিউজম বিবৃতিতে জানান, সরকারি সংস্থাগুলো যাতে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে সেজন্য রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন লুইসিয়ানায় প্রথম একজন গুরুতর বার্ড ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির খবর জানিয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত অঙ্গরাজ্যটিতে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার কোনো ঘটনা পায়নি বলে জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, দেশটির ১৬টি অঙ্গরাজ্যে মোট ৬১ জনের দেহে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের ঘটনা রেকর্ড করেছে-যার ৩৪টিই ক্যালিফোর্নিয়ায়।


আরও খবর



এমন ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে, যা এখনো ব্যবহার করিনি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত সপ্তম দিনে গড়িয়েছে। যদিও দুদিন আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, বাস্তবে পরিস্থিতি সে দিকে না গড়িয়ে আরো জটিল আকার ধারণ করেছে।

মঙ্গলবার রাতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির এক হুঁশিয়ারিমূলক বার্তা সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করে। ওই বার্তায় তিনি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে বলেন, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

এরপর রাতেই ইরান আবারও এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে। জেরুজালেম ও তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, সঙ্গে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বিমান সতর্কতা জারি করা হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সাতটি স্থানে আঘাত হেনেছে, এতে অন্তত ৬৫ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বেয়ার শেভায় সোরোকা হাসপাতালে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি তেল আবিব, রামাত গ্যান এবং হোলোন শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের খবর মিলেছে।

ইসরায়েল বলছে, যতদিন প্রয়োজন ততদিন তারা অভিযান চালিয়ে যাবে এবং নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করবে। তবে যুদ্ধ বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিমাণ এখন আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে।

ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ইরানের পশ্চিম সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলো— ইলাম, কুর্দিস্তান, পূর্ব ও পশ্চিম আজারবাইজান এবং কেরমানশাহে অবস্থিত অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এতে ইরানের হামলার সক্ষমতা অন্তত ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।

তবে ইরান পাল্টা দাবি করে জানিয়েছে, তাদের কাছে এমন উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র রয়েছে, যা এখনো ব্যবহার করা হয়নি। বুধবার ইরান জানায়, তারা নতুন প্রজন্মের উচ্চগতিসম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা আগের তুলনায় অনেক দ্রুত ইসরায়েলে পৌঁছাতে সক্ষম। এই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি উন্নত রাষ্ট্রেরই রয়েছে বলেও জানায় তেহরান। তথ্যসূত্র : বিবিসি ও ইরনা নিউজ


আরও খবর



ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ০২ জুলাই 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের জন্য সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন তথ্য জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প এ সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করে এক স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা চালানো হবে।

ট্রাম্পের ভাষায়, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় শর্তে সম্মত হয়েছে। আমরা চাই, এ সময়ে সব পক্ষ মিলে স্থায়ীভাবে সংঘাতের অবসানে কাজ করুক।

তিনি কাতার ও মিসরের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, শান্তি আনার জন্য তারা অনেক পরিশ্রম করেছে। এখন তাদের চূড়ান্ত প্রস্তাব উপস্থাপন করার কথা। আমি আশাবাদী, হামাস চুক্তি গ্রহণ করবে— কারণ এই সুযোগ হাতছাড়া হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।

দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই সাময়িক যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছিল। ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফের প্রস্তাবের মাধ্যমে এর সূচনা হয়। টাইমস অব ইসরায়েল-এর মতে, ট্রাম্প সম্ভবত সেই প্রস্তাবকেই ইঙ্গিত করেছেন।

তবে আলোচনার অগ্রগতি দীর্ঘ সময় থেমে ছিল। এর মূল কারণ ছিল— ইসরায়েল চাইছিল, সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর গাজায় নতুন করে হামলার অধিকার তার বজায় থাকুক। অন্যদিকে হামাস বারবার বলেছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা না থাকলে তারা কোনো অস্থায়ী চুক্তিতে রাজি হবে না।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ট্রাম্প উভয়পক্ষকে খুশি রাখতে এবং যুদ্ধবিরতিকে কার্যকর করতে স্থায়ী সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। মধ্যস্থতাকারী কাতার-মিসরসহ আরব দেশগুলো এখনো উভয় পক্ষের অবস্থান ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে দুই দিন আগে ট্রাম্প সরাসরি বলেন, তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি চান। এরপর হোয়াইট হাউস থেকেও জানানো হয়, ট্রাম্প গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞের ইতি দেখতে চান এবং শান্তি স্থাপনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।

এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে চোখ আটকে আছে— হামাস এই প্রস্তাবে সাড়া দেয় কি না এবং মধ্যপ্রাচ্যে অবশেষে এক নতুন শান্তির পথ খুলে যায় কি না।


আরও খবর



মাওলানা আরিফ মাহমুদ কেনো ইতালির সংসদে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক :

ইতালির প্রায় সব সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছেন- একজন বাংলাদেশী ইমাম আরিফ মাহমুদ। তাকে নিয়ে সংসদে কথা হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমে টক'শো হচ্ছে, পত্রিকাগুলো দিস্তা দিস্তা কলাম লিখছে। কিন্তু কেনো আরিফ মাহমুদ এতো আলোচিত, সমালোচিত হচ্ছেন?


ভেনিসে মাদ্রাসাতুল ইত্তিহাদ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালান আরিফ মাহমুদ। ওখানে প্রবাসী বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়। একই সাথে শহরের মধ্যে প্রাক্তন একটি সুপার মার্কেটের জায়গা ভাড়া নিয়ে আরিক মাহমুদ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন। স্থানীয় আইন অনুসারে শহরের মধ্যে নতুন কোনো উপাসনালয় করার অনুমতি নেই, সুতরাং প্রশাসন মসজিদ প্রতিষ্ঠার শুরুতেই বাধা প্রদান করে। আরিফ মাহমুদ বিষয়টি নিয়ে আদালতে যান। আদালত দুইবার তার মামলার বিপক্ষে রায় দেয়। সম্প্রতি তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। অর্থাৎ মামলাটি এখনো চলমান।


আরিফ মাহমুদ মসজিদ বন্ধের প্রতিবাদে প্রতি জুমার নামাজ আদায় করেন স্থানীয় একটি পার্কে। সেখানে প্রায় হাজার খানেক মুসল্লি প্রতি জুমায় অংশগ্রহণ করেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেন। 


আরিফ মাহমুদের জুমার খুতবা নিয়ে কমুনিটির অনেকের আপত্তি আছে, ক্ষোভ আছে। কারো ক্ষোভ- ইমাম সাহেব কেনো রাজনৈতিক আলাপ করেন! ধর্মের নামে কেনো রাজনীতি করেন! তিনি কেনো বিএনপি- আওয়ামীলীগের সমালোচনা করেন! 


ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ- তিনি কেনো হালাল-হারামের ওয়াজ করেন! নিয়মমাফিক জবাই না করা পশুর মাংস মুসলিমদের জন্য হারাম, ইমাম সাহেবের এমন ওয়াজের প্রভাব পড়ে মাংসের বাজারে। 


মদ ব্যবসায়ীদের ইনকাম হারাম, মদের দেশে বাস করে তিনি কেনো এমন ওয়াজ করবেন!


তিনি কেনো বাচ্চা মেয়েদেরও হিজাব পরতে উৎসাহিত করেন!


তিনি কেনো নারীদের বেপর্দা চলাফেরার ওয়াজ এই দেশে করেন!


তিনি কেনো মসজিদ কমিটিতে কমিউনিটি নেতাদের জায়গা দেন না, কেনো নেতাদের কথা বলতে দেন না, কেনো সামনের কাতারে জায়গা রাখেন না, কেনো নেতাদের 'তোয়াজ' করেন না!


স্থানীয় কমিউনিটিতে এমন সব ক্ষোভ দানা বাঁধতে বাঁধতে এতো বড় হয়েছে যে- তা এখন ইতালির সংসদে গিয়ে পৌঁছেছে।


এরমধ্যে বহুবার আরিফ মাহমুদকে নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে, সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। আমাদের কমিউনিটির অনেকেই সংবাদমাধ্যমগুলোকে তথ্য দিয়েছে- ইমাম সাহেব উগ্রবাদ ছড়ান, ইমাম সাহেব মৌলবাদী, ইমাম সাহেব নারী বিদ্বেষী, ইমাম সাহেব যা বলেন- তা ইসলামে নেই, ইত্যাদি।


আরিফ মাহমুদ শুধু বাংলাদেশের রাজনীতির সমালোচনা করেই ক্ষ্যান্ত হন না, তিনি ইতালীয় রাজনীতিকদেরও কড়া সমালোচনা করেন। যা অনেকটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রকাশ করে মিডিয়াগুলো এবং এতেই গাত্রদাহ শুরু হয় ইতালির ডানপন্থী রাজনীতিকদের। 


ইতালির সরকারি দল ফ্রাতেল্লি দি ইতালিয়ার একজন প্রভাবশালী সিনেটর- কিছুদিন আগে আরিক মাহমুদকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস লেখেন। তিনি আরিফ মাহমুদকে উগ্রবাদী, জঙ্গিবাদী, ইতালির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ হিসাবে উল্লেখ করেন। তাকে ইতালি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। এমনকি তার যদি ইতালির নাগরিকত্ব থাকে তাও বাতিলের দাবি জানান সিনেটর। 


১ জুলাই তারিখে সরকারি দলের অন্য দুজন সিনেটর সংসদে লিখিত প্রশ্ন তুলেছেন- তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ভেনিসের মসজিদটি এখনো বন্ধ করা হয়নি কেনো? (মসজিদটি কার্যত বন্ধ) ইমাম আরিফ মাহমুদ ইতালিতে উগ্রবাদ ছড়ান, ইতালির সরকারী দলকে 'ফ্যাসিবাদী' বলেন, প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে কটাক্ষ করেন, লেগা নেতা  সালভিনি কে তিরস্কার করেন, নারী অধিকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তার বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেনো? সকল ডকুমেন্ট বাতিল করে, তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়নি কেনো?


সংসদে এই আলোচনার পর ইতালির মিডিয়াগুলোয় ঝড় উঠেছে, আরিফ ঝড়। কড়া ভাষায় লেখালেখি, সংবাদ প্রচার চলছে সংবাদ মাধ্যমগুলোয়। অথচ ইতালির আইনে রাজনীতিকদের কটাক্ষ করা, সমালোচনা করা, অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। যেমন, গতকাল এক ইতালীয় বন্ধুর পোস্ট পড়লাম- 'তোমার যদি পায়খানা না আসে, তুমি সালভিনির কথা চিন্তা করো!


রাজনীতিকদের এমন বা এর চেয়ে অনেক শক্ত সমালোচনা আমরা অহরহ দেখি। সেগুলো নিয়ে কোনো শোরগোল না হলেও আরিফ মাহমুদের বেলায় হয়েছে। কারণ তিনি একজন আলেম, একজন ইমাম। বুক ফুলিয়ে 'ইসলাম' প্রচার করেন।


ইতালীয় সংবাদ মাধ্যম বা রাজনৈতিক পাড়ায় এমন আলোচনা হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে কি হচ্ছে? মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, গুজবে ভরে ফেলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া, কিন্তু কেনো? এতে কি লাভ হচ্ছে আমাদের? 


আরিফ মাহমুদ মেম্বরে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক সমালোচনা করেন, হালাল হারাম বুঝে বাজার থেকে মাংস কিনতে বলেন, মসজিদে কারো নেতাগিরি বরদাস্ত করেন না, এগুলোই তার অপরাধ?


একজন আরিফ মাহমুদকে থামিয়ে দিলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে?


আরও খবর



এবার তিন আসনে প্রার্থী হচ্ছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

প্রায় দুই দশক ধরে সরাসরি নির্বাচনী মাঠে অনুপস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারেন। এই খবরেই যেন নতুন করে চাঙা হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু বগুড়া।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, খালেদা জিয়াকে এবার বগুড়া, ফেনী ও দিনাজপুর- এই তিনটি আসনে প্রার্থী করার সম্ভাবনা বেশি। এর মধ্যে বগুড়া-৬ অথবা ৭ আসন থেকে তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনেকটাই নিশ্চিত। বগুড়া-৭ আসনটি (গাবতলী-শাহজাহানপুর) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি হওয়ায় এটি বরাবরই বিএনপির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

বগুড়া দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে একাধিকবার এখান থেকে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং প্রতিবারই জয়ী হয়েছেন। ফলে বিএনপির রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ও শক্তি পুনর্গঠনে বগুড়া থেকে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ দল ও সমর্থকদের মধ্যে ভরসা ও আশার আলো জাগিয়েছে।

বিএনপির এক নেতা বলেন, বগুড়া আমাদের জন্য শুধু একটি আসন নয়, এটি আমাদের রাজনীতির প্রতীক। খালেদা জিয়া এখান থেকেই গণমানুষের বার্তা দিতে চান। এতে দলের ভেতরে যে বিভক্তি শুরু হয়েছিল, সেটিও অনেকটা বন্ধ হবে।

দলীয় উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেগম খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ অথবা ৭ এবং দিনাজপুর জেলার একটি আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। এরই মধ্যে সম্ভাব্য মনোনয়নের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, বেগম জিয়ার মতো শুধু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও একাধিক আসনে নির্বাচন করার অনুমতি পাবেন।

ম্যাডাম জিয়া এখন দেশে ফিরেছেন, শারীরিকভাবে আগের চেয়ে ভালো আছেন। তিনি মনোবল হারাননি। আমরা আশাবাদী, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং আবারও আমাদের নেতৃত্ব দেবেন।

২০০৮ সালের পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থী হলেও কথিত দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা আদালতের রায়ে খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট তাকে দুটি মামলায় খালাস দেওয়ায় তার নির্বাচনে অংশগ্রহণে আর কোনো আইনি বাধা নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া জেলা বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, ‘ম্যাডাম জিয়া এখন দেশে ফিরেছেন, শারীরিকভাবে আগের চেয়ে ভালো আছেন। তিনি মনোবল হারাননি। আমরা আশাবাদী, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং আবারও আমাদের নেতৃত্ব দেবেন।’

বগুড়া জেলা বিএনপির নেতাদের মতে, খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ শুধু দলের কর্মীদের নয়, সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও বড় ধরনের সাড়া ফেলবে। দলের একজন সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, বেগম জিয়ার প্রার্থিতা মানেই মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার প্রতীক। বগুড়া থেকে তার অংশগ্রহণ আমাদের আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে।

১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়ে সবগুলোতেই জয়ী হন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালে চেয়েও আইনি জটিলতায় লড়তে পারেননি। এবার তার সরাসরি অংশগ্রহণ শুধু নির্বাচন নয়, একটি নতুন রাজনৈতিক সময়েরও বার্তা দিচ্ছে।

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বেগম জিয়া হচ্ছেন জনগণের আস্থার প্রতীক। আমরা বিশ্বাস করি, তার নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র আবার প্রতিষ্ঠিত হবে। তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ মানে হচ্ছে দেশে ভোটাধিকার ও ন্যায়ের বিজয়।

বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনী ইতিহাস এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে। একাধিকবার একাধিক আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রতিবারই তিনি জয়লাভ করেছেন। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির উত্থান-পতনের নানা সময়েও বেগম জিয়ার নির্বাচনী মাঠে অবস্থান ছিল দৃঢ় ও প্রভাবশালী।

খালেদা জিয়ার বগুড়া থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করাই একটি রাজনৈতিক বার্তা। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর বগুড়া তার প্রত্যাবর্তনের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে—এতে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হবে।

বিশেষ করে বগুড়া, ফেনী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা- এই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এলাকাগুলোতে তার জনপ্রিয়তা এবং ভোটের ব্যবধান ছিল অত্যন্ত লক্ষণীয়। তিনি কখনোই নির্বাচনী মাঠে পরাজয়ের মুখ দেখেননি, যতবারই ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন, বিজয় তার পক্ষেই এসেছে।

১৯৯১ সালে নির্বাচনে তিনি ৫টি আসনে প্রার্থী হয়ে ৫টিতেই জয়ী হন। উল্লেখযোগ্য আসন ছিল বগুড়া, ফেনী ও ঢাকা। ১৯৯৬ সালেও তিনি একইভাবে ৫টি আসনে প্রার্থী হয়ে সবগুলোতেই জয় পান। তখন তার নির্বাচনী এলাকা ছিল বগুড়া ও চট্টগ্রামসহ আরও কয়েকটি।

২০০১ সালের নির্বাচনেও তিনি ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫টিতেই বিজয় অর্জন করেন। তখন তিনি বগুড়া ও খুলনা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

২০০৮ সালে, রাজনৈতিকভাবে কঠিন এক সময়ে খালেদা জিয়া তিনটি আসনে প্রার্থী হয়ে তিনটিতেই বিজয়ী হন। এর মধ্যে বগুড়া-৬ ও ফেনী-১ ছিল গুরুত্বপূর্ণ আসন।

এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে, তিনি তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। ফলে সেই নির্বাচন তিনি অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

বগুড়া জেলা বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বগুড়া থেকে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করাই একটি রাজনৈতিক বার্তা। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর বগুড়া তার প্রত্যাবর্তনের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে—এতে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হবে। দেশের রাজনীতিতেও এটি হবে একটি নতুন অধ্যায়।


আরও খবর



হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন এমবাপে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে। বৃহস্পতিবার ক্লাব জানিয়েছে, তীব্র গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসে (পেটের পীড়া) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ফরাসি তারকা।

অসুস্থতার কারণে গেল বুধবার মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে আল হিলালের বিপক্ষে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়ালের ১-১ গোলে ড্রয়ের ম্যাচে অংশ নিতে পারেননি এমবাপে। এমনকি গত কয়েক দিন ধরে অনুশীলন থেকেও বিরত ছিলেন।

এক বিবৃতিতে রিয়াল মাদ্রিদ বলেছে, কিলিয়ান এমবাপে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং রিয়াল মাদ্রিদ ক্যাম্পে ফিরে এসেছেন। তিনি এখন বিশেষায়িত চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং ধীরে ধীরে দলের অনুশীলনে ফিরবেন।


আরও খবর