Logo
শিরোনাম

বায়তুল্লাহ- এর প্রেম মানুষকে বদলে দেয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী :


বায়তুল্লাহ। আল্লাহর ঘর। এর প্রেম মানুষকে বদলে দেয়।  কেননা ঘর তো আল্লাহর।  তার ঘরের সাথে প্রেম মানে তার সাথেই প্রেম।  আর আল্লাহর সাথে ভালবাসা মানেই দুনিয়া - আখেরাতের কামিয়াবী।    এভাবেই একজন মানুষ  বদলে যায়। বদলে যায় তার দেহমন- হৃদয়। ভালবাসা সর্বোচ্চ শিখরে পৌছে যায়। ঈমান- ইসলামের শিখরে অবস্হান করতে শেখে।


মক্কায় অবস্হিত বায়তুল্লাহ।  আল্লাহতায়ালা এ ঘর কে সর্বোপ্রথম বানিয়েছেন। যেটাকে করেছেন বরকতময়।  সেই বরকতময় ঘরের সাথে লটকে আছে লক্ষ- কোটি মুমিন- মুসলমানের হৃদয়। সেই ঘরের প্রতি সকল মুমিন- মুত্তাকীদের অপরিসীম ভালবাসা। প্রতিনিয়ত সে প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে অজস্র ঈমানদার মানুষ।  আর এটা এমন প্রেম এমন ভালবাসা, যে একবার এ সুধা পান করেছে তার পিপাসা আরো বেড়ে যায়। বারবার পান করতে চায় সেই আল্লাহ প্রেমের শরাব।


বহু হজ ওমরা পালনকারীদের ব্যাপারে আমার জানা আছে, এ জায়গাতে বারবার আসছেন, বারবার এ ঘর তাওয়াফ করছেন, তারপরেও তাদের যেন পিপাসা মেটেনা। বরং আরো বেশী ইশকের আগুন জ্বলে ওঠে। শত ব্যস্ততার মধ্যে বায়তুল্লাহ - তে এসে পড়ে। লুটে পড়ে মহান রবের দরবারে। ফরিয়াদ করতে থাকে তাঁর কাছে। দুনিয়ার সকল কর্মযজ্ঞের অবসান ঘটিয়ে মহান আল্লাহর প্রেমে মাতুয়ারা হয়ে ওঠে। 


বায়তুল্লাহ এমন এক ঘর যার উপর প্রতিদিন ১২০ চি রহমত নাজিল হয়। তাওয়াফকারীদের উপর ৬০ টি রহমত, অন্যান্য ইবাদতকারীদের উপর ৪০ টি রহমত এবং যারা  ঘরের প্রেমে পাগল হয়ে তাকিয়ে থাকে তাদের প্রতিও ২০ টি রহমত নাজিল হয়। মোটকথা খোদাপ্রেমিকগণ মোটেও বঞ্চিত নন এখানে। খালি হাতে কেউ ফেরে না এ জায়গাতে। বরং  এই বায়তুল্লাহপ্রেমিকগণ তৃপ্ত হৃদয় এবং মহান রবের অনুকম্পা নিয়েই বাড়ি ফেরে।  


তাই তো বদলে যায় বায়তুল্লাহর মুসাফিরগণ। পূর্বের অভিশপ্ত জীবনের ইতিটেনে নতুন স্বপ্নের বাসা বুনতে থাকে।।  নতুন জীবন পা রেখে ঈমানী তাকাতে উজ্জীবিত হতে থাকে। দিনে দিনে বদলে যায় তার জীবন। বায়তুল্লাহ প্রেমে পাগল হয়ে আবারো ছুটে চলে মক্কার পানে। তেমনি এক বায়তুল্লাহ প্রেমিকের দেখা হল।   বারবার তিনি ছুটে যান সেখানে। এভাবে নিজের জীবনকে  রাঙিয়ে দিচ্ছেন।


আল্লাহতায়ালা সকল মুমিন বান্দাকে তাঁর ঘরের প্রেমে পাগল  হয়ে সেখানে হাজিরি দেওয়ার তাওফিক দান করেন। আমিন।


লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট


আরও খবর

চুক্তি নবায়ন করতে হবে এজেন্সিগুলোর

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হঠাৎ ভয়ংকর বন্যা, বিপর্যস্ত ৯ জেলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



হঠাৎ ভয়ংকর বন্যা, বিপর্যস্ত ৯ জেলা

আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যার পানি নামলেও ফুরাচ্ছে না দুর্ভোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখেছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের ৯ জেলার মানুষ। যদিও বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে, নেমে গেছে অধিকাংশ এলাকার পানি, তবুও মানুষের দুর্ভোগ ফুরানোর যেন নাম নেই। বসতভিটা হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে এখনও দিনযাপন করছেন হাজারো মানুষ। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু নদীপাড়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতের চিহ্ন। নষ্ট হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার সড়ক, ভেঙে গেছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সাম্প্রতিক বন্যার প্রথম ধাক্কাটা এসে লাগে ফেনীতে। এখন পর্যন্ত বন্যায় জেলাটিতে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বজন হারানোর শোক কাটিয়ে এখন নতুন এক জীবনযুদ্ধে ব্যস্ত জেলার বন্যার্ত মানুষগুলো। ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মোমারিজপুর গ্রামের বাসিন্দা তাহেরা বেগম। মেয়ে, নাতিসহ আরও চার সদস্য নিয়ে ছনের ছাদ দেওয়া মাটির একটা ঘরে থাকতেন সত্তরোর্ধ্ব এই নারী। এবারের বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তার একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁইটি। দুর্ভোগের কথা বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাহেরা বেগম; বলতে থাকেন, ‘ঘরে একটু চাল নাই, চাল যে পাকাবো ওই হাড়ি চুলা কিছুই নাই। আমার ঘরের সব ভাসায় নিয়া গেছে।

এবারের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী। দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও এখানকার ৫টি উপজেলা জলমগ্ন এখনও। আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর জীবন কাটছে ঘরহারা মানুষগুলোর। বন্যার কারণে নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। অনেক মুরগির খামার বানে ভেসে গেছে। বন্যার পানির কারণে গবাদি পশুর খুরা রোগ দেখা দিতে শুরু করেছে। বন্যার পানি যতো নামছে ততোই স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির অসংখ্য চিহ্ন। এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক রূপে ফিরবে সেই সদুত্তর নেই কারও কাছে। তবে, জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় কিছু স্থানে খাল পরিষ্কারের কাজ করছেন স্থানীয়রা

এদিকে আরেক ক্ষতিগ্রস্ত জেলা কুমিল্লায় এখনও পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। পুনর্বাসন সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। জেলার অধিকাংশ সড়কে কংক্রিটের স্তর ভেঙে গেছে। পরিস্থিতি এমন যে সেখানে কোনও অটোরিকশা চলার অবস্থা নেই। আরো খারাপ অবস্থা গ্রামের ভেতরে ছোট অলিগলি ও কাঁচা সড়কগুলোতে। এমন অবস্থায় কুমিল্লার বন্যাপীড়িত অনেক গ্রাম এখনও বলতে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে

আরিফুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, রাস্তাঘাট একদমই ব্যবহার উপযোগী নাই। তার মধ্যে সন্ধ্যা হলেই রাস্তায় চলতেও ভয় হয়। বন্যায় ছোট-বড় সড়কগুলো যে ক্ষতির মুখে পড়েছে সেগুলো মেরামতে সরকারি, বেসরকারি প্রতিটি পর্যায় থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় আছেন মাছের ব্যবসায়ীরাও। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বহু মাছ চাষি ও খামারি একদম নিঃস্ব হয়ে গেছেন এবারের বন্যায়

লক্ষ্মীপুরেও অনেক এলাকা এখনও পানির নিচে। বহু বছরের দখলে খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায়, বন্যার পানি নামতে সময় লাগছে। চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান বলেন, তারা বিগত ৪০ বছরে এরকম বন্যা দেখেননি। এবারে বন্যা প্রলম্বিত হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। পানি যখন নামতে থাকে তখন অবকাঠামো নষ্ট হওয়া, রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। তবে, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। সবার আগে সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী করাই প্রধান লক্ষ্য

এদিকে চলতি মাসের শেষদিকে আরেকটি বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি এ বন্যা গ্রাস করতে পারে উত্তরাঞ্চলকেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতির পাশাপাশি প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামোগত উন্নয়ন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানিসমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী, সাঙ্গু, মাতামুহুরি ইত্যাদি নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে

অন্যদিকে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল কমতে দেখা যাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কমছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের সারিগোয়াইন, মনু, খোয়াই এবং পূর্বাঞ্চলের মুহুরি ও গোমতী নদীর পানি সমতল


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রাজশাহীতে জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী ::


রাজশাহীতে জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ কল্যাণসভা। 

এ সভায় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের সম্মানিত ডিআইজি জনাব মোঃ আলমগীর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা পুলিশের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুজ্জামান। 

এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মোঃ আশরাফুল আলম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোঃ খায়রুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ রফিকুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সার্কেল) মো: রাজিবুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (চারঘাট সার্কেল) প্রণব কুমার, সহকারী পুলিশ সুপার (গোদাগাড়ী সার্কেল) মোঃ সোহেল রানা, সহকারী পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) রেজাউল কবীর খান, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) সরদার মোঃ মজনু-সহ সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফগণ।

 এ সভায় পুলিশ সদস্যবৃন্দের বক্তব্য সম্মানিত ডিআইজি মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাদের দাবী পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও খবর

বিচার বিভাগে ব্যাপক রদবদল

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খালেদার ১১ মামলায় হাজিরা ৩১ অক্টোবর

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাকৃবির প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পেলেন ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
বাকৃবি প্রতিনিধি::

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পেলেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক এবং কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) এ বিষয়ে জারিকৃত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি ২৮/১০/২০২৪ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ১৯৯৩ সনের ২০ জুন প্রভাষক হিসেবে কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগে যোগদান করেন। পরবর্তী পর্যায়ে তিনি ১৯৯৬ সনে সহকারী অধ্যাপক, ২০০২ সনে সহযোগী অধ্যাপক ও ২০০৬ সনে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। বর্তমানে তিনি কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োজিত আছেন।

আরও খবর



রাঙ্গাবালীতে আ’লীগের ১৬৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ কাওছার আহম্মেদ , রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)


পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৬৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে। এতে আরও ১৫০-১৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। 

৬ বছর আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় পঙ্গু হওয়া উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বশির ফকির বাদী হয়ে রোববার রাঙ্গাবালী থানায় মামলাটি (মামলা নম্বর-৩) করেন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আমলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ তুলে এ মামলা করা হয়। 

তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত এ মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সদ্য অপসারিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু.  সাইদুজ্জামান মামুন খানকে প্রধান আসামি করা হয়। 

এছাড়া এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি একে সামসুদ্দিন আবু মিয়া, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির তালুকদার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাহাথির মোহাম্মদ রেশাদ মল্লিক, সহ-দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন শোভন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস আলম, উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শিবলী, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহিদ খান রাজ, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাওয়াদুল কবির প্রিতম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান আরিফ, সাধারণ সম্পাদক জামিল প্যাদা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শিমুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওয়ালিদ তালুকদারের নাম রয়েছে। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ বিএনপির সভা-সমাবেশে বাঁধা এবং নেতাকর্মীদের গুম-হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনায় আসামিরা ক্ষমতার দাপটে আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড করেও ধরাছোয়ার বাহিরে ছিল। 

এজাহারে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর বিকেল চারটায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ধানের শীষের সমর্থনে উপজেলার নিজ হাওলা গ্রামে (খালগোড়া বাজার) জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে পূর্ব ঘোষিত পথসভা শুরু হলে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে সাইদুজ্জামান মামুন খানের (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) নেতৃত্বে ককটেল বিস্ফোরণ করে সভামঞ্চ এবং চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। সেদিন বিএনপির শত শত নেতাকর্মীকে পিটিয়ে-কুপিয়ে জখম করে আসামীরা। 

এজাহারে বাদীর অভিযোগ, এ হামলার সময় প্রধান আসামি মামুন খানের নির্দেশে দুই নম্বর আসামি মাহাথির রেশাদের (উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক) হাতে থাকা  ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোশাররফ হোসেনের মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসে মামলার বাদী বশির ফকির। তখন কোপটি লক্ষ্মভ্রষ্ট হলে বশিরের ডান পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বশির থানায় এসে মামলা করতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশে তখন মামলা নেওয়া হয়নি।       

এ ব্যাপারে সোমবার বিকেলে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরও খবর