Logo
শিরোনাম

বায়ুতে আয়ু টান : অ্যাকশনের এখনই সময়

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

মোস্তফা কামাল :

বায়ুদূষিত শহরের তালিকায় অবিরাম ঢাকার শীর্ষত্ব অটুট আবারও। এর মাঝে রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতির সংযোগ নেই। একেবারেই অরাজনৈতিক। রোগাক্রান্ত রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক, দলীয়-অদলীয় সব মানুষের সঙ্গে সুস্থ মানুষের জন্যও ভীষণ ক্ষতিকর।

আশপাশের খবরও ভালো নয়। সর্বশেষ শনিবারের তথ্য বলছে, বিশ্বের ১২৬টি শহরের মাঝে খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে দূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয়তে উগান্ডার কাম্পালা শহর। শীর্ষ চারে নেমে গেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি পাঁচে মঙ্গোলিয়ার উলানবাতার শহর। বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তাকে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ। সেই হিসাবে দূষণের মাত্রার দিক থেকে ঢাকার বাতাস পরপর দুদিনই খুব অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বায়ুমানের অবনতির ব্যাপকতা বাড়ছেই। গত বছর থেকে বছর নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে। আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত। শীতকালে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বরাবরই বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় বিশেষত শীতকালে দূষণের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে। বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের নজরে ধরা পড়েছে ঢাকার বাতাসে দূষণের প্রধান কারণ বা উৎস অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম .)

বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি তৈরি করে। এর চেয়ে বড় কথা বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যসমস্যায় প্রতিবছর কত মানুষের মৃত্যু হয়, সংক্রান্ত তথ্য আমাদের নেই। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে গত বছরের নভেম্বরে একটি সমীক্ষা দিয়েছিল ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল-বিএমজে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে মৃত্যু হয় ৬৭ লাখ মানুষের।

রাজনৈতিক-রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক-সামাজিক নানা বাস্তবতায় ঢাকা বা অন্যান্য শহরের বায়ুদূষণ নিয়ে আমাদের ভাবনার সময় কই! এই বাতাসে যে বুকভরে শ্বাস নিতে পারছি না, এজন্য আমরা নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে দায়ী করতে অভ্যস্ত। অনেকে জানিও না শ্বাসের সঙ্গে যেসব দূষিত বায়ু দেহে ঢুকে তা আয়ুতে টান ফেলে কোন গন্তব্যে নিয়ে ঠেকাচ্ছে আমাদের! ঢাকার দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নিতে বলা হয়েছে। নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরনো ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতেও বলা হয়েছে।

বাস্তবে কে শোনে কার কথা! এসব নির্দেশনা বা ডাকদোহাইর খবর আমরা অনেকে জানিও না। বায়ুদূষণ ত্বকের কী ক্ষতি করে তা নিয়ে নতুন এক গবেষণায় উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটেনের বায়োব্যাঙ্কের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা (পিএম১০) অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম .)-এর মাত্রা বাড়লে তা ত্বকের রন্ধ্র দিয়ে ঢুকে ত্বকের বিভিন্ন জটিল রোগ তৈরি করে। বিশেষ করে সোরিয়াসিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগের বৃদ্ধি ঘটায়। বায়ুদূষণ সোরিয়াসিস রোগীদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এমনকি করোনাও আমাদের দমাতে পারেনি। ত্বক বা নিঃশ্বাস সমস্যা আর কী করবেÑ এমন একটি মনমানসিকতা অনেকেরই।

সরকারের দিক থেকেও বায়ুদূষণকে মোস্ট প্রায়োরিটিতে নেওয়ার লক্ষণ নেই। মানুষের কাছেও বুকভরে শ্বাস নেওয়ার বাইরে আরও কত বিষয়। পরিবেশকর্মীরা কিছু কর্মসূচি পালন করলেও সেগুলো পত্রিকায় সিঙ্গেল কলাম বা ব্যাক পেজের নিউজ। আর টেলিভিশনে জায়গা সেকেন্ড পার্টে বা খুচরা নিউজের সঙ্গে। ঢাকাকে বায়ুদূষণমুক্ত করতে চাইলে সরকারকে এখনই কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার উৎকৃষ্ট সময়। রাজনৈতিক বা দলীয় সরকারের জন্য তা একটু জটিল। তারা সমস্যা স্বীকারই করতে চায় না, যদি না দলীয় কারও ক্ষতি হয়ে যায়! ইটভাটা, যত্রতত্র কল-কারখানা, গ্যারেজগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। যে কারণে পরিবেশ নিয়ে কথা বলা ব্যক্তিরাও ক্ষমতায় গেলে তা চেপে যান। এখন কিন্তু পরিবেশ নিয়ে কাজ করার মহাসুযোগ।

ঢাকার বায়ুদূষণের একটা বড় উৎস নির্মাণকাজ। ইটভাটা, কারখানা, যানবাহন, বর্জ্য পোড়ানো থেকে বায়ুদূষণ হচ্ছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, দূষিত বায়ুতে থাকার কারণে বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বছর মাস কমে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে ২০১৯ সালে অন্তত ৭৮ হাজার ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপির দশমিক শতাংশ ক্ষতি করছে। বায়ুদূষণ দূর করা সময়সাপেক্ষ হলেও অন্তর্বর্তী সরকার বায়ুমানের দুর্যোগপূর্ণসময়ে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। নিয়ম-কানুনের তদারকি চালু করতে পারে শক্ত হাতে। কারণ বাদ সাধার হোমচোমড়ারা এখন মাঠে নেই।

আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী কোনো এলাকায় পরপর দিন ঘণ্টা বায়ুর মানসূচক ৩০০ বেশি থাকলে ওই এলাকায় বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এটা আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিংবা উভয়ে মিলে নিতে পারে। এই জরুরি অবস্থার সময়ে, বিশেষ করে স্কুল-কলেজগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা, দূষণকারী শিল্পকারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ, যান চলাচলে কঠোরতা জারি এবং স্বাস্থ্যগত সহায়তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া যায়। বায়ুমান ৩০০-এর বেশি হলেই তা দুর্যোগপূর্ণ হয়।

আর পরপর তিন দিন টানা তিন ঘণ্টা করে দূষণ পর্যায়ে থাকলে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণার রীতি আছে। এসব রীতি জরুরি বিবেচনায় প্রচলন শুরুতে দৃশ্যত কোনো বাধা নেই। বলা হয়ে থাকে, ‘উন্নয়নপরিবেশ রক্ষাদুটি বিপরীত শব্দ। উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশের ক্ষতি হবেই। ফলে বিশে^ উন্নত উন্নয়নশীল দেশসমূহে দূষণ বেশি! তবে সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলংকা, লাওস, ভুটান, ইন্দোনেশিয়ার মতো অনেক দেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক উন্নতি করেছে। তবে পৃথিবীব্যাপী এখন দূষণকে দেখা হচ্ছেবিপর্যয়হিসেবে।

প্রকৃতির বাইরে মানবসৃষ্ট নানা কারণে পরিবেশ দূষণের প্রতিকার চাইলে বাংলাদেশে এর চেয়ে জুতসই সময় আর আসবে, সেই আশা নেই। শিল্প-কলকারখানার ময়লা বর্জ্য পদার্থ, জমিতে অতিরিক্ত মাত্রার কীটনাশক সারের ব্যবহার, যানবাহন কলকারখানার ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের সূচনাটা অন্তত শুরু হোক। ইটভাটার ধোঁয়া, গাড়ির কালো ধোঁয়া বায়ুসহ গোটা পরিবেশের কী সর্বনাশ করছে তা নতুন করে প্রচারের আর দরকার নেই। তা কমবেশি সবারই জানা। বিষয়ের একজন সংশ্লিষ্ট কীর্তিমান উপদেষ্টা তো আছেনই।

 বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ, মাটিদূষণ, পানিদূষণ, বর্জ্যদূষণ তার ভালো করেই জানা। নিয়ে অনেক কাজের স্বাক্ষর রয়েছে তার। তাই নতুন সচেতনতা জরুরি নয়। জরুরি হচ্ছে পদক্ষেপ। তার হাত দিয়ে অন্তত মহরতটা হয়ে যাক না। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ রক্ষা করেই এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা পরিবেশ ধ্বংস করতে করতে এমন একটা সময় আসবে যখন থাকবে শুধু অপরিকল্পিত উন্নয়ন, দূষণ আর রোগগ্রস্ত জীবন। তখন কোনো কিছুর বিনিময়ে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সুস্থ জীবনযাপন করা বাস্তবতা সাধ্যের বাইরে চলে যেতে পারে।

মোস্তফা কামাল : সাংবাদিক-কলাম লেখক; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন


আরও খবর



আমাকে হোটেল থেকেও বের হতে দেয়নি

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ ৪০৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এই অভিনেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার খবর সামনে আসতেই ক্ষোভে ফুসছে শোবিজ দুনিয়া।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে থাকার পরও কেন ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা- জানতে চেয়েছেন নেটিজেনরাও। এই অভিনেতার হয়ে কথা বলেছেন অনেকেই। সেই তালিকায় আছেন উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ও।

ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে তুলে ধরেছেন নিজের জীবনের কথাও। তিনি জানিয়েছেন, মাসখানেক আগে তার বিরুদ্ধে যখন মামলা হয় তখন কিভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল তাকে।

আজ সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে জয় লিখেছেন, অভিনেতা ইরেশ যাকেরের নামে মামলা দেওয়ায় সকল শিল্পী সমাজের সাথে আমিও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আজ থেকে আট মাস আগে আমার বিরুদ্ধেও এরকম একটি হয়রানিমূলক মামলা হয়েছিল। একমাত্র আশফাক নিপুণ ছাড়া আর কাউকে পাশে পাইনি। বরং বাদ পড়েছি বিভিন্ন কাজ থেকে।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকায় শো করতে গিয়ে দুই একজন অতি উৎসাহী কলিগের কারণে মঞ্চে উঠা তো দূরের কথা আমাকে হোটেল থেকেও বের হতে দেয়নি। মামলার কারণে সামাজিকভাবে হেনস্তা হয়েছি। অনেক অতি উৎসাহী আত্মীয় আত্মীয়তা ভঙ্গ করেছে। অনেক কলিগ ফোনও ধরেনি। যোগাযোগ করেনি।

জয়ের বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি মামলা করেছেন তিনি বর্তমানে থানায় আছেন জানিয়ে অভিনেতা বলেন, শুনেছি, আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল সেই বাদী এখন থানায় আটক আছে। বিভিন্ন জনের নামে মামলা দিয়ে টাকা খাওয়ার অপরাধে। আমার বিরুদ্ধে পুলিশ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে আমার কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি। পুলিশ এবং রাষ্ট্র কোনো হয়রানি করেনি। বরং হয়রানি করেছে আমার পরিচিত কাছের স্বজনেরা এবং চিরকালের বন্ধুরা।

সবশেষ জয় লিখেছেন, যাক আমি কারো প্রতি দোষারোপ করছি না। সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমার নিজের ছোটখাটো ভুলের জন্য বারবার ক্ষমা চেয়েছি। বড় অপরাধী এবং অপরাধকে ছোট করে ফেলে এই ধরনের মামলা। যেখানে এমন একজন সেলিব্রেটির নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে মামলার চেয়ে সেলিব্রেটিকে নিয়ে চর্চা হয় বেশি। তখন আসল অপরাধীরা মুচকি হাসে। মামলাটাকে হাস্যকর মনে করে। এতে বিচার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। আমরা চাই অপরাধীর বিচার হোক। যে যার জায়গা থেকে নতুন বাংলাদেশে ভুল সংশোধন করে নতুন করে বাচুক। সকলে সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল হোক।


আরও খবর



দ্রুতই তারেক রহমানের দেশে ফেরার ইঙ্গিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

চার মাস পর লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ দেশে ফিরেছেন। তার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনও ফিরেছেন। দেশে ফিরেই তিনি দ্রুতই তারেক রহমানের দেশে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন।রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ ইঙ্গিত দেন তিনি।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক বলেন, জুবাইদা রহমান এসেছেন। ১৭ বছর তাকে সরকার আসতে দেয়নি। তাদের মেয়ে জাইমা রহমান কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে একটা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ, সেই দিন আর বেশিদিন নেই- দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এই মাঠে এসে নেতৃত্ব দেবেন।

তিনি আরও বলেন, ব্রিটেন থেকে যে নেতৃত্ব তিনি দিচ্ছেন, অর্থাৎ শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি চলে আসবেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. জুবাইদা রহমানকে নিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনি দেশে এসেছেন। সময় বলে দেবে তিনি কতদিন থাকবেন। তবে আবার সেখানে ফিরে গিয়ে স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে সবকিছু গুছিয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।

গত জানুয়ারিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। পুরো সময়ে লন্ডনে ছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ।

সুস্থভাবে দেশে ফিরতে পারায় দেশবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশে ফিরতে খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টার ভ্রমণ করতে হয়েছে। এতে শারীরিকভাবে ক্লান্তি থাকলেও মানসিকভাবে সুস্থ রয়েছেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন এখনও আগের মতোই দেশের মানুষের পাশে থাকতে চান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন প্রেম, প্রকৃতি আর প্রশান্তির অনন্য প্রতীক

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

গ্রীষ্মকাল মানেই বাংলার প্রকৃতিতে রঙের বিস্ফোরণ। সেই রঙিন উৎসবের প্রাণভোমরা যেন কৃষ্ণচূড়া ফুল। আর এই কৃষ্ণচূড়ার জাদুতে মোড়ানো একটি পথ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’ নামে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স থেকে দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনের দিকে যেতে যে পথ ধরে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী, শিক্ষক আর কর্মচারী চলাচল করেন, সেই পথের দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জীবন্ত গহনা। লেনটির পাশে বয়ে গেছে শান্ত এক খাল, যার জলে প্রতিবিম্বিত হয় চারপাশের সবুজ আর ফুলের রঙিন ছটা।এখন গ্রীষ্মে গাছগুলোর ডালপালায় লাল-কমলালার এক অভাবনীয় দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছে। মনে হয়, আকাশ ভেঙে যেন আগুনরাঙা ফুলের বৃষ্টি নেমেছে।

এই রাস্তাটির নাম ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’ হলেও এর পেছনের গল্প আরও গভীর এবং আবেগঘন। ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অষ্টম ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের উদ্যোগে ও অর্থায়নে রোপণ করেন কৃষ্ণচূড়ার চারা। সময়ের সঙ্গে সেই চারাগুলো বড় হতে থাকে, শাখা ছড়ায়, আর গ্রীষ্মকালের আগমনে ফুটে ওঠে কৃষ্ণচূড়ার ঝাঁকড়া রূপ। ধীরে ধীরে সেই রাস্তাটি রূপ নেয় এক অনন্য প্রাকৃতিক লেনে। শিক্ষার্থীরাই ভালোবেসে রঙিন অক্ষরে লেখেন ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’ নামটি, যা আজ মাভাবিপ্রবির সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ হয়ে উঠেছে।

প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই পথে হেঁটে যান, কিন্তু হাঁটার অভিজ্ঞতা কখনও একঘেয়ে নয়। প্রতিটি পদক্ষেপ যেন নতুন এক আবিষ্কার। পাতার ফাঁক গলে সূর্যের সোনালি রশ্মি ঝরে পড়ে ফুলে, রঙিন ছায়ায় ভেসে যায় পথ। এখন গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ওপরে তাকালে মনে হয়, লাল ফুলে মোড়া এক বিশাল তোড়া মাথার ওপর ঝুলে আছে।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, এই পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়, প্রকৃতি তার নিজস্ব ভাষায় কথা বলছে। এই রঙিন দোল খাওয়া ফুলগুলোর সৌন্দর্য হৃদয়ে প্রশান্তি এনে দেয়।

শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, মাভাবিপ্রবির এই কৃষ্ণচূড়া লেন পর্যটকদের কাছেও এক বিশেষ আকর্ষণ। অনেকেই পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসেন এখানে। ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা পর্যটক ঊর্মি আক্তার বলেন, আমি যখন প্রথম এই লেন দিয়ে হেঁটে যাই, মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুল যেন প্রকৃতিকে এক জীবন্ত ক্যানভাসে রূপ দেয়। আমার কাছে এই ফুল ভালোবাসার প্রতীক, এক রকম আবেগেরও।

অর্থনীতি  বিভাগের শিক্ষার্থী কামাল  বলেন, ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে নানা ফুল ফুটলেও কৃষ্ণচূড়ার জন্য যে বিশেষ এক প্রতীক্ষা থাকে, তা মনে করিয়ে দেয়। এই গ্রীষ্মে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে সেজেছে পুরো ক্যাম্পাস, আমার কাছে এখন মনে হয় উৎসব শুরু হয়েছে প্রকৃতির আপন ঘরে।”

এ যেন শুধুই ফুল নয়, একটি আবেগ, একটি গল্প, এবং প্রকৃতিপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। কেউ কেউ বলেন, কৃষ্ণচূড়া লেন হলো ‘ক্যাম্পাসের হৃদস্পন্দন’। বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম এসেছে আগমনী বার্তা নিয়ে, কৃষ্ণচূড়া লেন হয়ে উঠেছে ভালোবাসার বার্তাবাহক। এখানে প্রেমিক-প্রেমিকার দেখা হয়, বন্ধুরা বসে আড্ডায় মেতে ওঠে, কেউ হয়তো একা হেঁটে নিজের ভেতরের ক্লান্তিকে প্রকৃতির কোলে রেখে আসে।

পর্যটক ইউসুফ সরকার বলেন, “এই ক্যাম্পাসে আমি মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসি, শুধু এই কৃষ্ণচূড়ার রঙ দেখার জন্য। আমার কাছে এটি শুধু একটা রাস্তা নয়, বরং এটি পুরো মাভাবিপ্রবির সবচেয়ে মুগ্ধকর জায়গা।”

জীবনের ব্যস্ততা, ক্লান্তি আর যান্ত্রিকতার মাঝেও এই পথটি যেন এক নীরব আশ্রয়। কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় হাঁটা মানে প্রকৃতির সঙ্গে আত্মার এক নিবিড় সংযোগ। অনেক শিক্ষার্থীরই প্রিয় স্মৃতি গাঁথা এই লেনকে ঘিরে—ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটা, কবিতা লেখা, কিংবা নীরবে কারও অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা।

মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন আজ আর কেবল কিছু গাছের সমষ্টি নয়, এটি হয়ে উঠেছে একটি  সৌন্দর্যের প্রতীক, যেখানে প্রকৃতি তার শিল্পশৈলীর শ্রেষ্ঠ উদাহরণ গড়ে তুলেছে। ফুলে ফুলে গড়ে ওঠা এই লেন যেন জানিয়ে দেয়—প্রকৃতির কোলে এখনও রয়ে গেছে ভালোবাসা, প্রশান্তি আর কিছুটা স্বপ্নময়তা। আর তাই, মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন এখন শুধু একটি রাস্তার নাম নয়, এটি হয়ে উঠেছে সৌন্দর্যের এক জীবন্ত নিদর্শন।


আরও খবর



ঢাকায় বাড়তে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের অঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা আজ দুপুর পর্যন্ত আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এসময় দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরো জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। আর মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের আজকের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সেইসঙ্গে রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে কাতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

কুয়েতের মতো কাতারও বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নেবে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। কাতারের দোহাতে আর্থনা সামিটের সাইডলাইনে হওয়া বৈঠকে একথা কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, গালফ যুদ্ধের সময় থেকেই কুয়েতে আমাদের সৈন্যরা (বাংলাদেশের) দায়িত্ব পালন করছেন। কাতার আমাদের জানিয়েছে, তারাও বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে। স্থায়ীভাবে প্রতি ৩ বছর পরপর একটা ব্যাচ আসবে। আমরা চাইছি যেন এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬০০ বা আরও বেশি যাতে করা যায়। আমাদের সামরিক সচিব এবং এসএসএফ প্রধান আমাকে আজ সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে একজন সৈন্যের প্রারম্ভিক বেতন আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকার মতো। আমরা আশা করি, দুই মাসের মধ্যে পাঠাতে পারবো। এছাড়া আরও ইস্যু আছে, আমরা কাতারে আরও বেশি শ্রমিক পাঠাতে চাই। আজকে আরেকটা বড় মিটিং আছে কাতারের জ্বালানিমন্ত্রীর সঙ্গে। কাতার হচ্ছে পৃথিবীতে এলএনজি’র জন্য এক নম্বর দেশ। কাতারের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি আছে। এটা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি কিন্তু আমরা চাইছি আরও অনেক বেশি এলএনজি আমদানি করতে। কারণ প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগকারী আমাদের জানাচ্ছে যে, তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। দেশে থাকা ৬০০ প্রতিষ্ঠানই নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করেছে। আমাদের নিজস্ব গ্যাস তো কমে যাচ্ছে।

সরকার কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুন্দর করতে চাইছে, যাতে করে এলএনজি আরও ভালো মূল্যে পাওয়া যায়, জানান শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘কাতারের কাছে পতিত স্বৈরাচার প্রচুর টাকা দেনা রেখে গেছে। কয়েকশত মিলিয়ন দেনা তারা দেয়নি। এতে দেখা গেছে, কাতারের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। আমাদের সরকার এসে পুরো টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এখন বোধহয় ৩৭ মিলিয়ন ডলারের মতো দেনা আছে। কালকে (বুধবার) বা এই সপ্তাহের মধ্যে পুরো টাকা পরিশোধ করা হবে।


আরও খবর