Logo
শিরোনাম

বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়: সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image



বিডি টুডে ডিজিটাল ডেস্ক:


সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, বছরে ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বা ৮১ থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। টাকা পাচার থেকেই ডলার সংকটের শুরু। তাই জরুরি ভিত্তিতে এটি রোধ করার পদক্ষেপ দরকার।



বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি। 



সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঋণের ২২ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ব্যাংকের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর রাশ টানতে হবেই। ব্যাংক কমিশন করলে ভালো, না হলে অন্তত শক্তিশালী একটা কমিটি করা উচিত বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের নিয়ে।


এডিপি বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা হওয়ার কথা এডিপি। হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে ধনীদের করহার বাড়ানো, সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে করমুক্ত সুবিধা প্রত্যাহারের মতো প্রস্তাব সাহসী পদক্ষেপ।’


ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর ১ শতাংশ কমানো মূল্যস্ফীতি কমাতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কিছু পণ্যের দাম কমছে। বাজেটের পর দাম বাড়েনি। মে পর্যন্ত ১১ মাসে প্রবাসী আয় ২ বিলিয়ন বেড়েছে।


এবারের বাজেটে সরকার বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে শামসুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর উদ্দেশ্যে সরকার এবার বাজেটের আকার কমিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে এবারের বাজেট হওয়ার কথা ছিল ৯ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা।


 সেখানে এবার বাজেট সংকুচিত করে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে অর্থাৎ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার বাজেট সংকুচিত করা হয়েছে। টাকার সরবরাহ কমলে মূল্যস্ফীতি কমবে। এবারের বাজেটে কৃপণতা দেখানো হয়েছে। 



এ ছাড়া ঘাটতিও কমানো হয়েছে, যা খরচ কমানোর স্বার্থে করা হয়েছে। সে জন্য বলছি, এটি একটি সাহসী বাজেট। বাজেটে করপোরেট কর হার কমানো হয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে বাজেটের ইতিবাচক দিক হলো রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, কৃষি হচ্ছে বাংলাদেশের আসল জায়গা। কৃষি না হলে বাংলাদেশ চলবে না। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে কৃষিকে সামনে রেখেই কাজ করতে হবে। কেন না কৃষিই আমাদের দেশের প্রাণ।


বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট খুব কঠিন জিনিস। এবার অনেক চিন্তা-ভাবনা করে বাজেটটি দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার যে বাজেটটি দিয়েছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। এটি জনবান্ধব বাজেট। বাজেট এখনো পাশ হয়নি। তা পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে এবং করা হবে।


বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান বলেন, বিগত ১৫ বছরের বাজেট পর্যালোচনায় দেশজ উৎপাদন ৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে দারিদ্র্যের হার ১৮ শতাংশ কমে এসেছে। আগে আয়ু ছিল ৪২ বছর, বর্তমানে তা বেড়ে ৭২ বছর হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষির উৎপাদন বেড়েছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসারকালে ৩০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি ছিল, বর্তমানে তা উদ্বৃত্ত রয়েছে। 


অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জিয়াকুন শি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব মিজানুর রহমান কাজলসহ অনেকে।




আরও খবর



ইরানে ‘বোমা হামলার’ হুমকি ট্রাম্পের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, তেহরান যদি তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমঝোতায় না আসে, তাহলে দেশটির ওপর বোমা হামলা ও শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

ট্রাম্প বলছেন, 'তারা যদি চুক্তিতে না আসে, তাহলে বোমা হামলা হবে। তবে একটা সম্ভাবনা আছে যে, যদি তারা চুক্তি না করে, তাহলে আমি তাদের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করব, যেমনটা চার বছর আগে করেছিলাম।'

এর আগে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন। ওই চুক্তির আওতায় ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি বাতিল করার পর ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়, ফলে দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম আরও বাড়ায়।

তেহরান এখন পর্যন্ত কোনো সমঝোতায় রাজি হয়নি। ইরানের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাঠানো এক চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছে, যা ওমানের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। চিঠিতে ট্রাম্প নতুন একটি পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির গোপন পরিকল্পনার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। তারা বলছে, দেশটি যে মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, তা বেসামরিক পারমাণবিক শক্তির প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি।

তবে ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং কেবল জ্বালানি উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।


আরও খবর



প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে জাটকা নিধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নদীর অভয়াশ্রম এলাকা মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স, জনপ্রতিনিধি, জেলে নেতা ও জেলেদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছেন জেলা প্রশাসক ও মৎস্য অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসন।

এছাড়া নদী উপকূলীয় জেলেপাড়া ও মৎস্য আড়তগুলোতে জাটকা না ধরার জন্য সচেতনতামূলক সভা, লিফলেট বিতরণ ও ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।

এদিকে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার। মাছ ধরা বন্ধে নদীর সীমানায় বসানো হয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা টাস্কফোর্স এবং কোস্টগার্ডের ক্যাম্প। তবে এতেও থামছে না জাটকা নিধন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে জাটকা মাছ নিধন। বিষয়টি শিকারও করেছেন জেলে ও মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরা। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলেছেন, অপপ্রচার চালাচ্ছেন জেলে ও আড়তদাররা।

দিনের আলোয় নদীতে মাছ ধরার দৃশ্য তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেলেও রাতের আঁধারে সরকার ঘোষিত অভয়াশ্রম থাকছে মৎস্য শিকারি জেলেদের দখলে। ভোরের আলোয় মেঘনা নদীর তীরে সারি সারি নৌকায় ভর্তি ভেজা জাল লক্ষ্য করা গেছে।

মেঘনা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক জেলে নৌকায় ভেজা জাল পরিষ্কার করছেন। দূরে কিছু নৌকা তখনও মাছ ধরায় ব্যস্ত। কিছু নৌকা থেকে পাইকাররা মাছ উঠাচ্ছেন বাজারে বিক্রির জন্য।

উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের মালোপাড়া-সংলগ্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। দুপুরে আমিরাবাদ মৎস্য আড়তে গিয়ে একই চিত্র দেখার মেলে। আড়তে অসংখ্য পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতার কোলাহল। মাছ বেচাকেনার দামদরের কাজে ব্যস্ত সবাই। খানিকটা দূরে অপেক্ষমাণ কয়েকটি পিকআপ ভ্যান। সেসব ভ্যানে করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাবে জাটকা ইলিশ।

মতলব উত্তরের জেলে ইসমাইল, মালেক বেপারী, আরশাদ প্রধান, রমিজ ছৈয়ালসহ একাধিক জেলে জানান, তারা মৎস্য অফিসে ইমান আলীর মাধ্যমে টোকেন নিয়েছেন। এ টোকেন দিয়ে তারা নদীতে মাছ ধরেন। টোকেন ছাড়া নদীতে মাছ ধরতে নামলে প্রশাসন তাদের জেল-জরিমানা করে।

উপজেলার ষাটনল এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা ফুলচান বর্মনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, জেলেদের পর্যাপ্ত সুবিধা ও বিকল্প কর্মসংস্থান দিতে না পারলে সরকারের উদ্দেশে বাস্তবায়ন হবে না।

উপজেলার এখলাসপুর, আমিরাবাদ, বাবুবাজার ও কালিরবাজার আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরা বলেন, মাছ না ধরলে মানুষ না খেয়ে মরবে। জেলেরা আছে খুবই অভাব অনটনে। জাল দিয়ে মাছ ধরে চলে তাদের সংসার। তাই আমরা সবকিছু ম্যানেজ করেই বাজার চালিয়ে যাচ্ছি।

অভিযোগের বিষয়ে ইমান আলী বলেন, টাকা নিয়ে টোকেন দেওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত জেলেদেরকে তাদের মতো করে নদীতে নামায় আড়তদাররা।

রাতে মেঘনা নদী জেলেদের দখলে থাকে আপনারা কি রাতে অভিযান করেন এমন প্রশ্নের জবাবে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, ফোর্স কম। তাই রাতে অভিযান পরিচালনা করতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।

মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, আমরা নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যারা আইন অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। জেলেদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের নামে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা সঠিক নয়।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে মৎস্য বিভাগকে আরো আন্তরিক হতে হবে।


আরও খবর



উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে আলু বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বগুড়ায় বর্তমানে জাতভেদে প্রতি মণ (৪২ কেজি) আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায়। এতে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে সাড়ে ৭ টাকা থেকে ৯ টাকা। 

বগুড়া জেলার মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়। আলীগ্রামের কৃষক নাফিসুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। গড়ে ৯০ মণের মতো এবার ফলন হতে পারে। সে হিসাবে, প্রতি মণে প্রায় ৪৫০-৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। 

'কিন্তু বাজারে দাম এর অর্ধেক। এ কারণে এখনও তুলিনি। আরও কয়েকদিন পর তুলে কোল্ড স্টোরেজে রাখব।

কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধি আরেক দফা চাপ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'গত বছর বস্তা ৩৫০ টাকায় রাখতাম। ৫০ কেজির বস্তায় ৬৫ কেজি আলু ধরত। কিন্তু এবার কেজিতে ৮ টাকা দিতে হবে। ৮ টাকা স্টোরেজ ভাড়া দিয়ে পরে কয় টাকায় আলু বিক্রি করতে পারি, বলতে পারছি না।

একই কথা জানান ফেনিগ্রামের আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, 'পাকড়ি ও স্টিক আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় পাকড়ি ৬৫-৭০ মণ এবং স্টিক ৯০ মণের মতো হবে। আমার প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে যারা বীজ কিনে আলু চাষ করে তাদের খরচ আরও অনেক বেশি। গত বছর আলুর দাম বেশি ছিল, এ কারণে বেশি জমিতে আলু চাষ করেছি। কিন্তু এই দামে আলু চাষ করলে কৃষক নিঃস্ব হয়ে যাবে।

গত বছরের বেশিরভাগ সময় আলুর দাম ছিল অস্বাভাবিক বেশি। ফলে বাড়তি লাভের আশায় কৃষকরা আলু চাষ বেশি করেছেন। তবে এখন উৎপাদন খরচও ওঠাতে পারছেন না তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে ৪.৬৭ লাখ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে এরই মধ্যে আবাদ হয়েছে ৫.২৪ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে আলুর আবাদ হয়েছিল ৪.৫৭ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার ৬৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পুরো মার্চ মাসজুড়ে মূল মৌসুমের আলু উত্তোলন করেন কৃষকরা। তবে গত বছর আলুর ভরা মৌসুমেই দাম ছিল বেশি। এরপর মে মাসে তা ৫০ টাকা পেরিয়ে যায়। নভেম্বরে আলুর দাম দাঁড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নাগদাহ গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন, 'এখন আমাদের এলাকায় প্রতি কেজি আলু ১০-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে ৮ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। গত দুই দিন ধরে কিছুটা বাড়তির দিকে। তবে ২০ টাকার নিচে হলে কৃষকদের লোকসান হবে।'

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম টিবিএসকে বলেন, 'যে বছর দাম বেশি থাকে এর পরের বছর কৃষকরা সে ফসল বেশি করেন। আবার দাম কম থাকলে পরের বছর কম ফসল করেন। এটা কমন সমস্যা। এখন ফলন বেশি হলে আবার দাম কমে যায়। 

'এজন্য আলুর ক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাড করার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত গ্রুপ মার্কেটিংয়ে ফোকাস করতে হবে। অর্থাৎ ১০ জন কৃষক আলু চাষ করেন; এর মধ্যে একজন সেগুলো বাজারজাত করবেন। এতে সরাসরি বাজারের সঙ্গে কৃষকরা যুক্ত হবেন।'


আরও খবর



ঈদের জামায়াতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ মাঠ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতের আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫,০০০ মুসল্লির জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিকগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। এছাড়া, মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে:

বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

ওজু ও টয়লেটের সুব্যবস্থা: মুসল্লিদের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস: জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে।

বিকল্প ব্যবস্থা: বৃষ্টি বা প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ঈদের জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মাননীয় প্রশাসক ঢাকাবাসীকে প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছি, যাতে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।”

পরিশেষে, তিনি আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মহান আল্লাহর কাছে সবার ইবাদত কবুল হওয়ার প্রার্থনা করেন।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

অবরোধে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। ঢাকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর আরও শিক্ষার্থী কর্মসূচিতে অংশ নিতে ওই এলাকায় জড়ো হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অবরোধ আর যানজটের কারণে সড়কে চলাচলকারী মানুষ পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। অবরোধের কারণে সৃষ্ট যানজট ইতোমধ্যে মহাখালী পর্যন্ত চলে গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়কের অবস্থা খারাপ। যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। চারদিকের সড়ক বন্ধ। আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। শিক্ষার্থীরা উঠে গেলেই কেবল সচল হবে সড়ক।

তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর সাতরাস্তায় সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আমরা বলেছি, তোমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন চলো সচিবালয়ে, শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে তোমাদের দাবিগুলো পৌঁছে দিই। তারা রাজি হয়নি।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা আগেও একাধিকবার একই দাবি উত্থাপন করেছি, কেউ কর্ণপাত করেনি। এখন আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি। দাবির ব্যাপারে কথা বলতে হলে আমাদের কাছে আসতে হবে। সচিবালয়ে কেউ যাবে না।

তাদের অবরোধের কারণে তেজগাঁও-মগবাজার সড়কে যানজট সীমাহীন আকার ধারণ করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।


আরও খবর