Logo
শিরোনাম

বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, ৭০ ভাগই শিশু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

শীত তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ। রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০-এর মতো শিশু। এমন অবস্থা যে, হাসপাতালের সামনে তাঁবু গেড়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ডায়রিয়া আক্রান্তদের।

মহাখালীর হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান গেটের পরই বড় করে টানানো হয়েছে তাঁবু। যদিও এখনো সেখানে বেড করার প্রয়োজন পড়েনি। হাসপাতালের প্রধান ভবনের শুরুতেই নার্সরা এন্ট্রি নিচ্ছেন এবং চিকিৎসকরা রোগীদের দেখভাল করছেন। এই দুই বুথে ভিড় লেগেই আছে সারাদিন। এর ভেতরেই ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা। আর আউটপেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ওপিডি) এ শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে স্যালাইন।

ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ইমার্জেন্সি রুমের বেডে তিন বছরের শিশু মুসাকে নিয়ে শুয়ে আছেন তার বাবা মো. বিপ্লব হোসেন। তারা এসেছেন কেরানিগঞ্জ থেকে। দুদিন ধরে ছেলের মাঝে মাঝে পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। শুক্রবার অনেক বেশি বেড়ে যায়, সঙ্গে জ্বরও আসে। এজন্য রাতেই তাকে নিয়ে আইসিডিডিআর, বিতে ছুটে আসেন তিনি।

পাশের আরেকটি বেডে ছেলে ইউসুফ আলীকে কোলে নিয়ে বসে আছেন মা শারমিন আক্তার। তারা এসেছেন জামালপুর থেকে। ছেলে ইউসুফ আলীর বয়স ১১ মাস। প্রায় ছয় দিন ধরে পাতলা পায়খানা ইউসুফের। জামালপুরে চিকিৎসক দেখানো হলেও লাভ হয়নি। তাই ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, তাকে স্যালাইন খাওয়াতে।

হাসপাতালে আগত শিশুদের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে গুরুতর না হলে কিছু সময় চিকিৎসা ও স্যালাইন খাইয়ে ও পরামর্শ মোতাবেক ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আইসিডিডিআর,বির তথ্য বলছে, শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৬৭ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। অন্যদিকে, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ৬৪৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসেন। ২০২৫ সালের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি চিকিৎসা নেন ৮৫০ জন।

এর আগে ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর এ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৮৯১ জন, ২৯ ডিসেম্বর ৮২৬ জন, ৩০ ডিসেম্বর ৯১৩ জন, ৩১ ডিসেম্বর ৮৮৪ জন।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই মাসে গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ২৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে গড়ে ৮৫০ থেকে ৯০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ৮০ শতাংশই শিশু।

আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ কমিউনিকেশন ম্যানেজার এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান বলেন, প্রতি বছর শীত এলেই ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। বিশেষ করে নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই চার মাস রোটাভাইরাসের প্রভাব বেশি থাকে।

তিনি আরোা বলেন, আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি ৫০তম রোগীর টয়লেট পরীক্ষা করে দেখা হয়— ডায়রিয়ার কারণ ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়াজনিত। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমান সময়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ রোগীর ডায়রিয়া হচ্ছে রোটাভাইরাসের কারণে। বাকি ৫০ শতাংশ অন্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার কারণে।



আরও খবর



ইসলাম প্রতিষ্ঠায় মা খাদিজা (রাঃ) অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় খানকা শরীফে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, বরুড়া আয়োজিত ইফতার ও মিলাদ মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেন,"প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সততায় মুগ্ধ হয়ে হযরত মা খাদিজা (রাঃ) তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি। নবুয়্যতপ্রাপ্তি ও ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে দুর্গম ও কণ্টকময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, সে কঠিন মুহূর্তে তিনি সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে সবসময় মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে ছিলেন। উঁচু হেরা পাহাড়ের গুহার সেই বন্ধুর পথ তিনি প্রতিদিন পাড়ি দিতেন শুধুমাত্র রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি তার অসীম ভালোবাসার জন্য।"


সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী আরো বলেন,"বিশেষত, ইসলামের বাণী প্রচারের সূচনালগ্নে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)  যখন কাফিরদের অত্যাচার ও বিদ্বেষের  তীরের আঘাতে জর্জরিত, তখন প্রেরণার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছিলেন মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ)। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি আত্নত্যাগের জন্যই তিনি লাভ করেছেন, 'উম্মুল মু'মিনীন' বা 'বিশ্বাসীদের মা' এর মহৎ মর্যাদা। তিনি নিজের সব ধন-সম্পদ ইসলামের প্রচারের লক্ষ্যে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কদম মুবারকে উৎসর্গ করেন। এত ধনী পরিবারের সন্তান হয়েও মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং ইসলামের জন্য তিনি রাজত্ব ছেড়ে দারিদ্র্যকে আলিঙ্গন করেছেন। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাত্র ২৩ বছরে তৎকালীন বর্বর আরব জাতিকে ইসলামি চেতনায় উজ্জীবিত একটি মানবিক জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন অগণিত ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে। ১৪০০ বছর আগে তিনি যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, আজও তার অনুসরণে বিশ্ববাসী পাচ্ছে মুক্তির দিশা। আজ ইসলামের পতাকা বিশ্বের কোণে কোণে পৌঁছে গিয়েছে। আর এ অনন্য সফলতার পেছনে হযরত মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) এর অবদান অনস্বীকার্য। তার জীবনাদর্শ থেকে আমরা প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও ইসলামের প্রতি আমাদের ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত তার যেমন শিক্ষা পাই, তেমনি আদর্শ মা এবং দাম্পত্য জীবনকেও রঙিনভাবে সাঁজাতে পারি। যে দিক থেকেই বিশ্লেষণ করা হোক না কেন, হযরত মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দেদীপ্যমান নিদর্শন আমাদের মাঝে রেখে গেছেন।

মাহ্ফিলে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের খলিফাবৃন্দ, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ এবং হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



মাগুরায় ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় আছিয়ার ধর্ষক ও হত্যাকারী হিটু শেখের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ সময় বাড়িটিতে আগুন দেয় তারা। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। খবর পেয়ে মাগুরা সদর পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের শহরের নতুন বাজার ব্রিজের মুখে আটকে দেয় জনতা।

হিটু শেখের প্রতিবেশী রাবেয়া খাতুন বলেন, ইফতারের পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতার একটি অংশ সেখানে এসে বাড়িটিতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর চালাতে থাকে। তারা টিনের চালা খুলে নিয়ে যায়। ঘরের দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা আমাদের এলাকায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই- এমন স্লোগান দেয়। সেই সঙ্গে ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করে। 

মাগুরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর পুলিশ কয়েক দফা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বিক্ষুব্ধদের প্রতিরোধের মুখে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের জানমালের যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। বোনের শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় সে।

ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বোনের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে চিকিৎসার জন্য না নিয়ে উল্টো ঘরের ভেতরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

পরদিন ৬ মার্চ সকালে প্রতিবেশী এক নারী তাদের ঘরে এলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং এরপর শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ততক্ষণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের শাশুড়ি চিকিৎসকদের জানান শিশুটিকে জ্বিনে ধরেছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বোনের শাশুড়ি।

গত ৬ মার্চ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেলে দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৮ মার্চ শনিবার তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। এতে শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাশুর ও ভগ্নিপতিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ সংগঠনঃ বিএনপি নেতা কাজী শিপন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

 জামায়াতে ইসলামী একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। এখনো এই দলটি নিবন্ধন পায়নি। সকলে এই দলটিকে বয়কট করুন’। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে এ ধরণের মন্তব্য করেছেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত একটি ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন তার বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন। জামায়াতে ইসলামী ধর্মের নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে বলেও বিএনপির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ তুলে আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কোন অস্তিত্ব নেই, এটি একটি নিষিদ্ধ সংগঠন।  

দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. শহিদুল হক বাবুল। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শিকদার ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এফ এম শামীম আহসান, সামাদ হোসেন ফকির, আফজাল জোমাদ্দার, পৌর শ্রমিকদল সভাপতি মাসুদ খান চুন্নু, মজনু মোল্লা, বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. ফিরোজ হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রভাষক ফকির রাসেল আল ইসলাম। 


আরও খবর



ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

গজারিয়া উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ছবি তোলা,স্বাক্ষর,আইরিশ ও দশ আংগুলের ছাপ গ্রহণ এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ৯ঘটিকা থেকে দিনব্যাপী 

উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এই কার্যক্রম চলমান,,

জানা যায়,২০জানুয়ারী থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সপ্তম বারের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। যাদের ইতিমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে আজ তাদের ছবি তোলা,স্বাক্ষর,আইরিশ ও দশ আংগুলের ছাপ গ্রহণ করা হয়েছে। 

# আগামীকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি--হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদে

# ২৬ফেব্রুয়ারি বাউশিয়া ইউনিয়ন এর ২৩নং মধ্য বাউশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

# ১মার্চ ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে।

# ২মার্চ--৩০নং শিমুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

# ০৩মার্চ-টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদে।

# ০৪মার্চ--গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে

# ০৫ মার্চ--৩৩নং রসূলপুর স:প্রা:বিদ্যালয়ে 

# ০৬ এবং০৭ মার্চ--উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্য্যলয়ে চলমান থাকবে বলে জানা যায়।


আরও খবর



নওগাঁয় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

''সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অঙ্গীকার'' প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় নওগাঁয় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গনে বেলুন, ফেষ্টুন ও পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক আশীষ কুমার ভট্টাচার্য। পরে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজশাহী রেঞ্জের পরিচালক লুৎফর রহমান, নওগাঁর সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম, এনএসআই এর উপ-পরিচালক মোস্তাক আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনুল আবেদীন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট নাজমুল আসফাক সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সভা শেষে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে ভালো ভূমিকা রাখায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিয়নের সদস্যদের মাঝে বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন ও অন্যান্য উপহার তুলে দেয়া হয়। এসময় অতিথিরা বলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের অনেক পুরাতন একটি বাহিনী। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রাম ভূমিকা রেখে চলেছে এই বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে প্রথমেই এগিয়ে আসে তৃণমূল পর্যায়ের এই আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। দেশের প্রতিটি মানুষের খবর রাখে এই বাহিনীর সদস্যরা। তৃণমূল পর্যায়ের সকল তথ্য যাদের কাছে পাওয়া যায় তারা হলেন এই বাহিনীর সদস্যরা। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অথচ অন্যান্য বাহিনীর চেয়ে এই বাহিনীর সদস্যরা খুবই অবহেলিত। তাই এই বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন করতে বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দ্রুতই এই বাহিনী যুগোপযোগী একটি বাহিনীতে পরিণত হবে বলে জানান অতিথিরা।


আরও খবর