Logo
শিরোনাম

বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম, অস্বস্তিতে ক্রেতারা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

চলতি সপ্তাহে সবজির বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। গরু ও খাসির মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজারঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার এসব বাজারে বেগুনের কেজি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ৪০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে শীতকালীন সবজির বাজার চড়া থাকতে দেখা গেছে। ছোট বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ছোট আকারের ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাকা টমেটো ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৭০ টাকা দরে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা দাম বেড়েছে।

তালতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আউয়াল বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় আমরাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছি। দাম কমে গেলে আমরাও দাম কমিয়ে দেব।

তিনি আরও বলেন, কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, যেটি গত সপ্তাহে ছিল ৫০০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ১০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যে দাম বাড়িয়ে দেন। খুচরা বাজারে নিয়ন্ত্রণে না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।

তালতলা বাজারে মো. রিপন নামে এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে ১৭০ টাকা দরে মুরগি কিনেছিলাম। আজ ১৮০ টাকায় কিনলাম। বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন। খুচরা বাজারে সরকারের মনিটরিং জরুরি।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা।

এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙাশ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই মাছ ২২০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



দুই দশকে প্রোস্টেট ক্যান্সার হবে দ্বিগুণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ |

Image

 বিশ্বব্যাপী নতুন প্রোস্টেট ক্যান্সারের সংখ্যা আগামী দুই দশকে দ্বিগুণেরও বেশি হবে। কারণ দরিদ্র দেশগুলো ধনী দেশগুলোর বার্ধক্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে। শুক্রবার প্রকাশিত ল্যানসেটের প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে।

জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের সমীক্ষার ওপর ভিত্তি করে মেডিক্যাল জার্নালে বলা হয়েছে, আমাদের অনুসন্ধানগুলো বলেছে যে বার্ষিক নতুন প্রোস্টেট ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২০২০ সালে ১৪ লাখ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে ২৯ লাখে দাঁড়াবে।

সমীক্ষার পেছনে গবেষকরা বলেছেন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি সারাবিশ্বে বর্ধিত আয়ু এবং বয়সের পিরামিডের পরিবর্তনের সাথে যুক্ত।

গবেষকরা বলেছেন, প্রোস্টেট ক্যান্সার পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক। আক্রান্ত প্রায় ১৫ শতাংশ। এটি বেশিভাগই ৫০ বছর বয়সের পর আবির্ভূত হয় এবং পুরুষদের বয়স হিসাবে এর আশঙ্কা আরো বৃদ্ধি পায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আয়ু বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রোস্টেট ক্যান্সারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।

তারা জোর দিয়েছিলেন, জনস্বাস্থ্য নীতিগুলো ফুসফুসের ক্যান্সার বা হৃদরোগের ক্ষেত্রে পরিবর্তনকে প্রভাবিত করতে পারে না।

গবেষকরা আরো বলেছেন, কার্যকর চিকিৎসা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আগে স্ক্রীনিংয়ে উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। কারণ, এই রোগটি প্রায়শই খুব দেরিতে নির্ণয় করা হয়।


সূত্র : বাসস


আরও খবর



ইঞ্জুরি আর নেইমার একে অপরকে ছাড়ছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হওয়ার কিংবা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল যার ক্যারিয়ার, তাঁকে বারবার আটকে দিয়েছে চোট। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাই পর্বের খেলায় দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন নেইমার। সেই চোট তাঁকে এমন কঠিন অবস্থায় ফেলেছে,যে কোপা আমেরিকাতেই নেইমারের খেলা নিয়ে ভীষণ সংশয়। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেই দিয়েছেন, নেইমার আগামী কোপায় খেলতে পারবেন না।

উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের ওই হারের ম্যাচে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তখনই বোঝা গিয়েছিল, বড় দুঃসংবাদ আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। পরে জানা গেছে, বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেটা ঠিক করাতে গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অস্ত্রোপচার করান আল হিলাল তারকা। এর পর থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন নেইমার।

হয়তো এই লড়াইয়ে জিতে কোপা আমেরিকার আগেই ফিট হয়ে ফিরবেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিলের সমর্থকদের হতাশা বাড়ারই কথা। লাসমার বলেছেন, ‘কোপা খুব কাছেই। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার না করে তাড়াহুড়ো করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, সে ২০২৪ ইউরোপিয়ান মৌসুমের শুরুতে, মানে আগস্টে মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি ফিট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০ জুন থেকে, শেষ হবে ১৪ জুলাই। তার মানে, লাসমারের কথানুযায়ী,ঐ  টুর্নামেন্টে নেইমারের খেলা হচ্ছে না।

অবশ্য প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অনেকে সেরে ওঠেন অনেক চোট থেকে। তবে নেইমারের যে চোট, সেটার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করেন লাসমার,আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ৯ মাসের আগে ওর ফেরা নিয়ে কথা বলাটা জলদি হয়ে যায়। হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনের জন্য একটু সময় লাগবেই, এটা বৈশ্বিক ধারণা। জৈবিক এ সময়কে মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, লিগামেন্ট পুনর্গঠনের জন্য শরীর এতটুকু সময় নেয়।’

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পুরোটা অনুসরণ করে আসলে নেইমারকে আবার পুরো ছন্দে মাঠে দেখা যাবে বলেও আশা লাসমারের,আমরা যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করি, আশা করছি, সে আবার আগের 

মতো শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারবে।

কোপা আমেরিকায় ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া,প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ার খোলস ভেঙ্গে হঠাৎ করেই তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য বিভাগের জনজীবন। চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় শনিবার (৬ এপ্রিল) দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। সঙ্গে রোজাদার খেটে খাওয়া মানুষদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঈদে মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা জমে উঠলেও ভ্যাপসা গরমের কারণে দিনের বেলা লোকজন বাইরে তেমন বের হচ্ছেন না।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান তাপমাত্রা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে, গত ১ এপ্রিল থেকে জেলার ওপর দিয়ে মৃদ ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্টোকের ঝুঁকি থাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু-কিশোর ও যারা রোজায় থাকছেন না তাদেরকে ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে, চলমান তাপ প্রবাহের কারণে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ধান রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখা, ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি রাখতে হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ প্রদান করা; প্রয়োজনে গাছের শাখাপ্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজি ক্ষেতে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী ২ থেকে ৩টি সেচের ব্যবস্থা করা।

জেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা জানান, অতিরিক্ত গরমে মাঠে কৃষি কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। রোজায় তারা দিনে বেশি কাজ করতে পারছেন না।

শহরে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আর কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। বেচাকেনা জমে উঠলেও অতিরিক্ত গরমের কারণে দুপুর ১২টা পর থেকে বিকেল পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে লোকজনের আনাগোনা খুবই সীমিত।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আজ শনিবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলছি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চলমান তাপ প্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।


আরও খবর



তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।

দেশের চার জেলায় এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বয়ে যাওয়া এ দাববাহ আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সারা দেশে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ।

তবে দেশের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের তুলনায় পশ্চিমাঞ্চলে এ তাপপ্রবাহ বেশি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময় আবহাওয়া নিয়ে ভালো কোনও খবর নেই সংস্থাটির কাছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গরম আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এ তাপমাত্রা বেড়ে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।


আরও খবর



সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পরই আরব আমিরাতে ঈদের জামাত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ |

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ঈদ জামাতের সময়সূচি ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। দেশটির বিভিন্ন শহরে বা বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

তবে দেশটিতে প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পর। এছাড়া অন্যান্য শহর বা স্থানে সূর্যোদয়ের সময় ভেদে ১৯ মিনিট পর পর্যন্তও ঈদ জামাতের সময়সূচী ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন এবং সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সূর্যোদয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি সামনে এসেছে।

মূলত সোমবার আরব আমিরাতের আকাশে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখা যায়নি। আর তাই আজ মঙ্গলবার ৩০ রোজা পালন শেষে আগামীকাল বুধবার দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে এবং দেশটির জেনারেল অথরিটি অব দ্য ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এন্ডোমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের নামাজের সময় ঘোষণা করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আরব আমিরাতের এই কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে সকল আমিরাতের (এবং কিছু প্রধান অঞ্চলের জন্য) ঈদের নামাজের সময়সূচী ভাগ করে দিয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, আবুধাবিতে ঈদের জামাত সকাল ৬টা ২২ মিনিটে, দুবাইয়ে ৬টা ২০ মিনিটে, শারজাহ ও আজমানে ৬টা ১৭ মিনিটে, রাস আল খাইমাহতে ৬টা ১৫ মিনিটে, ফুজাইরাহ ও খোরফাক্কানে ৬টা ১৪ মিনিটে এবং উম্মে আল কুওয়াইনে ৬টা ১৩ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া আল আইনে ৬টা ১৫ মিনিটে এবং জায়েদ সিটিতে বুধবার সকাল ৬টা ২৬ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত।

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের তথ্য অনুযায়ী, উম্মে আল কুওয়াইন বুধবার সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টায়। অর্থাৎ সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পর ৬টা ১৩ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বুধবার সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ০৫ মিনিটে। এর ১৭ মিনিট পর ৬টা ২২ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া একইদিন দুবাইয়ে সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ০১ মিনিটে। এর ১৯ মিনিট পর ৬টা ২০ মিনিটে সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে শারজাহ ও আজমানের পাশাপাশি রাস আল খাইমাহ ও ফুজাইরাহ ও খোরফাক্কানেও সূর্যোদয়ের ১৭ মিনিট পর ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে রোজা শেষে ঈদের দিনকে ঘিরে আরব আমিরাতের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রবাসী বাঙালিরাসহ স্থানীয়রা ঈদ ঘিরে বিভিন্ন আয়োজন করেছেন।

 


আরও খবর