Logo
শিরোনাম

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিতে গতি ফেরাতে ২ জন কর্মকর্তা ও ৩৫কর্মচারী নিয়োগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আনোয়ার হোসেন - নিজস্ব প্রতিনিধি::

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি ফেরাতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি ফেরাতে নতুন করে ২ জন কর্মকর্তা ৩৫ কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল স্থল বন্দর পরিচালক বলেন, বন্দরে জনবল স্বল্পতা ছিল। পাশাপাশি বন্দরের বিরাজমান সমস্যা নিরসনে চাহিদা দাবির প্রেক্ষিতে এই নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার থেকে তারা কর্মস্থলে যোগদান করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানায়।

রেজাউল বলেন, বেনাপোল স্হল বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সহ সার্বিক কার্যক্রমে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, বেনাপোল স্হল বন্দরের স্টেক হোল্ডারদের কে যথাসময়ে সেবা প্রদান করা ও বেনাপোল স্হল বন্দরের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে ২ জন কর্মকর্তা ও ৩৫ কর্মচারী কে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এই ৩৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওরিয়েন্টেশন সহ দুই দিন ব্যাপী ইনহাউজ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের বেনাপোল স্হল বন্দরের বিভিন্ন শেড, ইয়ার্ড, দপ্তর, শাখায় পোস্টিং দেওয়া হয়ে হয়েছে বলে জানান


আরও খবর



নওগাঁয় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে মিলছে স্বস্তির টিসিবি'র পণ্য

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় রমজান মাস উপলক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে মিলছে স্বস্তির টিসিবি'র পণ্য। এই পণ্য নিতে মধ্যরাত রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে এবং প্রচন্ড রোদকে উপেক্ষা করে টিসিবি'র ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেক মানুষকে। একটু কষ্ট হলেও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উর্দ্ধগতির বাজার দরে বিশেষ করে রমজান মাসে স্বল্প মূল্যে টিসিবি'র এই পণ্য পেয়ে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন নওগাঁর নিম্ম আয়ের মানুষরা।

শহরের চকমুক্তার এলাকার বাসিন্দা মোছাঃ ফারজানা জানান তিনি টিসিবির পণ্য পেতে বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এসে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে সিরিয়াল দিয়ে বসেছিলেন। শুধু তিনিই নন অনেকে সেহরির খাবার সঙ্গে এনে রাত ১টা থেকে লাইনে সিরিয়াল দিয়ে বসে ছিলেন। প্রতিদিন পাবেন ৪শত জন আর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন ৬ থেকে ৭শ জন মানুষ। একটু কষ্ট হলেও অনেক কম দামে পণ্যগুলো পাওয়ায় অনেক উপকৃত হচ্ছেন তাদের মতো নিম্ম আয়ের মানুষরা। তবে প্রতি দিনই আবার অনেকেই পরিবারের এক একজন সদস্যদের দিয়ে পণ্য নিচ্ছেন। ফলে অনেক পাওয়ার যোগ্য মানুষরা বঞ্চিতও হচ্ছেন। তারপরও আমরা নিম্ম আয়ের মানুষরা অনেক খুশি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইবনুল আবেদীন জানান, পবিত্র রমজান মাসে নিম্ম আয়ের মানুষদের কাছে স্বল্প মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌছে দিতে সরকার দেশের ৬৪টি জেলায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে নওগাঁতেও জেলা প্রশাসক স্যারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও সদর উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গত ৫মার্চ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল প্রধান অতিথি হিসেবে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। আগামী ২৮মার্চ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। পৌর সভাসহ সদর উপজেলার পাঁচটি পয়েন্টে ৩৯০ টাকা প্যাকেজ মূল্যে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এবং এক কেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন জেলা শহরের দুই হাজার পরিবার সাশ্রয়ী মূল্যে এই পণ্যগুলো পাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন প্রতিটি পয়েন্টে পণ্যের চেয়ে চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় এবং সিরিয়াল লাইনে পেছনে থাকার কারণে অনেকেই প্রথম বার না পেয়ে চলে যাচ্ছেন। তবে প্রথমবার যারা পাচ্ছেন না তারা পরের দিন পণ্য নিচ্ছেন। আবার পণ্য বিতরণে যেন কোন প্রকারের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রতিটি পয়েন্টে একজন করে ট্যাগ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধি ও রোগীসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। আমরা চেস্টা করছি একজন মানুষ যেন একাধিকবার পণ্যগুলো ক্রয় করতে না পারেন। তবুও স্বল্প মূল্যে টিসিবির এই পণ্যগুলো পেয়ে নওগাঁর নিম্ম আয়ের মানুষরা অনেকটাই স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন। এছাড়াও ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকেও সকল শ্রেণি পেশার মানুষরা স্বল্প মূল্যে বিভিন্ন পণ্য নিতে পারছেন। সরকারের এমন কার্যক্রমের প্রভাব পড়েছে খোলা বাজারে। ফলে চলতি রমজান মাসে খোলা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য গুলোর দাম তেমন একটা বৃদ্ধি পায়নি।


আরও খবর



নওগাঁয় পুলিশের অভিযানে ৩ জন ডাকাতসহ ৪ জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক অভিযানে ৩ জন ডাকাতসহ মোট ৪ জনকে আটক করেছে জেলা পুলিশ। শনিবার দুপুর ১ টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর সোনাইচন্ডি হাটে মহিষ বিক্রি শেষে নয় জন ভটভটিযোগে ফেরার পথে নওগাঁ জেলার সাপাহার থানা মাইপুর খারী সংলগ্ন ব্রিজের পাশে রাস্তার উপর নয়-দশ জনের একটি ডাকাত দল তাদের পথ রোধ করে। এ সময় দুই তিনটি মাঝারি আম গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ভটভটির যাত্রীদের নামিয়ে তাদের কাছে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে ভটভটির যাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে ৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা লুট করে নেয়। ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হলেও ডাকাতির পর থেকেই জেলার নিয়ামতপুর থানার পরানপুর বড়াইল গ্রামের বিদেশ পাহানের ছেলে বিকাশ পাহান ও দামপুরা রাজবংশী পাড়া গ্রামের ইন্দ্র বর্মনের ছেলে জয় কুমার পলাতক ছিল। পরবর্তীতে নিয়ামতপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গতরাতে তাদের আটক করেন পুলিশ। অপর ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬ টার দিকে আত্রাই থানার দাড়িয়াগাথী গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্রী নান্টু কুমার আত্রাই নতুন বাজারে অবস্থিত তার জুয়েলার্স থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে আহসানগঞ্জ হাটের দক্ষিণ পাশে মালাধর ব্রিজের উপর পৌছে। এ সময় পেছন থেকে দুটি মোটরসাইকেলে এসে ৫ জনের ডাকাত তার মাথায় আঘাত করে পথ রোধ করে তার হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার সূত্র ধরে ডিবি পুলিশের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী আহসান রাজকে মান্দা থানার ফেরিঘাট থেকে গতকাল আটক করেন। পৃথক একটি অভিযানে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ মান্দা থানার দেলুয়াবাড়ি বাজারে যোগী মন্ডবের সামনে হতে ২০ গ্রাম হিরোইনসহ দেলুয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মেহেদী হাসান পাইলট নামে এক জনকে আটক করেন।


আরও খবর



সানস্ক্রিন ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

একেকজনের ত্বক একেক রকম, তেমনি ত্বকের সমস্যাও ভিন্ন। ত্বকে যা দারুণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, আরেকজনের ক্ষেত্রে হয়ত হিতে বিপরীত। তবে ত্বকের যত ধরনের সমস্যা দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার পেছনে অনেকটাই দায়ী সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি।

এছাড়াও ত্বকের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল সানবার্ন বা পোড়াত্বক। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। এই অতিবেগুনী রশ্মি বা সানবার্ন থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখাই মূলত সানস্ক্রিনের কাজ।

প্রতিদিন আমাদের ত্বক ২ ধরনের সূর্য রশ্মির মুখোমুখি হয়। একটি ইউভি-এ অন্যটি ইউভি-বি। ইউভি-এ রশ্মি ত্বকের ভেতর পর্যন্ত যেয়ে ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশন কমিয়ে দেয়। যার ফলে চামড়া কুঁচকে যায়, বলিরেখা দেখা দেয়, ত্বকে বয়সের ছাপ বোঝা যায়, ফাইন লাইনের মতো সমস্যা এবং রিংকেল তৈরি হয়। ইউভি-বি রশ্মি মূলত সানবার্নের মতো সমস্যার জন্য দায়ী। এছাড়া ত্বকের কালো দাগ বা পিগমেন্টেশনের সমস্যাগুলো হয় ইউভি-বি এর কারণে।

কানাডিয়ান ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন এবং আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি উভয় সংগঠনই মেলানোমা এবং ননমেলানোমা উভয় ত্বকের ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে এবং প্রতিরোধের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহারের সুপারিশ করে। কেননা কানাডায়, প্রতি বছর ৮০ হাজারেরও বেশি ত্বকের ক্যান্সার ধরা পড়ে। যার ৮০-৯০ শতাংশ অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরণের সংস্পর্শে হয় বলে অনুমান করা হয়।

ইউভি-এ এবং ইউভি-বি দুরকম সূর্য রশ্মিই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে সেটি ইউভি-বি এর পাশাপাশি কত ভালো ইউভি-এ রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে তা বিবেচনা করতে হবে। কেনার আগে লেবেলে পিএ+, পিএ++, পিএ + + + এরকম কিছু লেখা আছে কিনা দেখে নিতে হবে যতগুলো প্লাস চিহ্ন থাকবে ত্বক তত সুরক্ষিত থাকবে।

সানস্ক্রিন কিংবা যেকোনো প্রসাধনী ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করলেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব। সাধারণত মানুষের ত্বকের ধরণকে ৪টি ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়। স্বাভাবিক, তৈলাক্ত, সংবেদনশীল ও শুষ্ক। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধরনের ত্বকের জন্য আর্দ্রতা বজায় রাখবে এমন সানস্ক্রিন বাছাই প্রয়োজন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে যদি ঘাম হয় বিশেষত তৈলাক্ত ত্বক যাদের, তারা সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার না করে তার পরিবর্তে ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন, জেল সানস্ক্রিন, কিংবা স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারে। এতে ত্বক সহনশীল থাকবে এবং ঘামও কম হবে। অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যায়। সমুদ্রের পানিতে নামতে অথবা সুইমিং পুলে গোসল করতেও ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তা নাহলে পানি এবং ঘামের সঙ্গে সানস্ক্রিন উঠে যাবে। অর্থাৎ তেলতেলে ত্বক হলে জেল বেসড বা ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন। শুষ্ক ত্বক হলে অয়েল বেসড সানস্ক্রিন ভালো কাজ করবে।

সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের অপশন থাকে। কিন্তু সবচেয়ে বড় যে বিষয় লক্ষ্য করা প্রয়োজন তা হচ্ছে এসপিএফ। এসপিএফ হল সান প্রটেক্টর ফ্যাক্টর। সানস্ক্রিন ক্রিম ছাড়া রোদে গেলে ত্বক মাত্র ২০ মিনিটেই ত্বক পুড়ে যায়। এই পুড়ে যাওয়ার সময়টুকুকে বর্ধিত করে দেয় এসপিএফ। মূলত এসপিএফ এর উপরেই নির্ভর করে সানস্ক্রিন একজনের ত্বককে কত সময়ের জন্য সুরক্ষা দিতে পারে।

এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি থাকলে তা ত্বককে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করতে পারে। এসপিএফ-৩০ আল্ট্রাভায়োলেট-বি ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়। আবার এসপিএফ-৫০ আল্ট্রাভায়োলেট-বি ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়।

কেউ যদি এসপিএফ-১৫ এর একটি সানস্ক্রিন ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে এসপিএফ-১৫ কে ১০ দিয়ে গুন করে যত মিনিট পাওয়া যাবে তত সময় সূর্য রশ্মি থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে ফলাফল আসে ১৫০ মিনিট অর্থাৎ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের জন্য নিশ্চিন্ত। এভাবে যে যত এসপিএফ এর সানস্ক্রিন ব্যবহার করছেন তা ১০ দিয়ে গুন করলে পেয়ে যাবে কতক্ষণ ইউভি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত আছে। মূলত এজন্যই সানস্ক্রিন বাছাই করার সময় অনেকেই বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন পছন্দ করেন।

সানস্ক্রিনগুলো প্রায়শই ২টি বিভাগে বিভক্ত হয়: রাসায়নিক ও খনিজ। রাসায়নিক সানস্ক্রিনগুলোতে অ্যাভোবেনজন, অক্টিসালেট, অক্টোক্রাইলিন, হোমোসালেট এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করা হয়। খনিজ সানস্ক্রিনে জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে। রাসায়নিক এবং খনিজ উভয় সানস্ক্রিন একইভাবে কাজ করে (অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে এবং সেই শক্তিকে অল্প পরিমাণে তাপে রূপান্তর করে) ।

কারো কারো জন্য, রাসায়নিক সানস্ক্রিন ত্বকে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে, ঘন ঘন প্রতিক্রিয়া হলে খনিজ সানস্ক্রিন সেদিক থেকে ভাল হতে পারে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার

বাইরে বের হওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এতে ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় পাওয়া যায়। না হলে সূর্যের আলোতে বের হওয়ার পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করে কোনো লাভ হয় না।

রোদ না থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রায় ৮০ ভাগই আটকাতে পারেনা মেঘ। তাই মেঘাচ্ছন্ন এমনকি বৃষ্টির দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়।

শুধু মুখে নয় বরং শরীরের যেসব অংশ রোদের সংস্পর্শে আসতে পারে, সেখানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়। প্লাস ওয়ানের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রায় ২০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাদের চোখের পাতায় সানস্ক্রিন প্রয়োগ করেননি। অংশগ্রহণকারীদের ধারণাও ছিল না তারা এই স্থানটি বাদ দিয়েছেন। কিন্তু এটি ছিল তাদের জন্য ভীষণ উদ্বেগজনক কেননা চোখের পাতার ত্বকে প্রতি একক জায়গায় স্কিন ক্যান্সারের ঘটনা সর্বোচ্চ।

দিনের বেলায় বাসায় যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় সেখানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাসায় থাকলে কম এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও চলবে কিন্তু বাইরে বের হলে বেশি এসপিএফ যুক্ত বাছাই করতে হবে।

কোন সানস্ক্রিনই পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই সানস্ক্রিনের এসপিএফ এর উপরই কেবল নিশ্চিন্ত না থেকে ২ ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস করা উচিত।

সতর্কতা

১) সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিতে পারেন। এতে করে এলার্জি কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রভাব প্রথমেই চেহারার পড়বে না।

২) সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর অতিরিক্ত ঘাম হলে প্রয়োজনমত সানস্ক্রিনের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ঘামের সমস্যা কমে যাবে।

৩) সানস্ক্রিনের কাজ শেষ হলে অবশ্যই ভালো করে ক্লিনজিং করতে হবে।


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




৭ মাস পর বাবা হলেন ঝালকাঠীর শহীদ সেলিম

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

হাসপাতালে নবজাতকের কান্নার সঙ্গে সঙ্গে আত্মীয় স্বজন সবাই কেঁদে উঠলেন। নবজাতক জন্মের পরে আনন্দের পরিবর্তে শোকার্ত আহাজারি ও বিলাপে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। সবাই স্মৃতিচারণ করে শহীদ সেলিম তালুকদারের অনুপস্থিতি স্মরণ করেন। ছাত্রজনতার আন্দোলনে নলছিটির শহীদ সেলিম তালুকদারের (২৮) স্ত্রী সুমী আক্তারের ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে শনিবার (৮ মার্চ) রাত ৮টার দিকে। ঝলকাঠি শহরের একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান দুনিয়ার আলো দেখতে পায়। নলছিটি উপজেলার মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা সেলিম তালুকদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৩১ জুলাই নিহত হন। অথচ এর তিনদিন পরই ছিল (৪ আগস্ট) প্রথম বিবাহবার্ষিকী। ৮ আগস্ট পরীক্ষায় ধরা পড়ে সেলিমের স্ত্রী সুমী আক্তার অন্তঃসত্ত্বা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সুমী আক্তারের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান দুনিয়ার আলো দেখতে পায়, কিন্তু সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারেননি সেলিম। মৃত্যুর সাত মাস সাতদিন পর সেলিমের উত্তরাধকিার আসল পৃথিবীতে। সেলিম একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হন। ৩১ জুলাই রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ২ আগস্ট সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয় সেলিমকে। সেলিম নলছিটি উপজেলার মল্লিকপুর এলাকার সুলতান হোসেন তালুকদারের ছেলে। তিনি বিজিএমই ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে আড়াই বছর আগে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সহকারী মার্চেন্ডাইজার পদে চাকরি শুরু করেন। তারা তিন বোন ও এক ভাই। সেলিম ছিলেন মেজ। সেলিমের স্ত্রী সুমী জানান, ওইদিন সকালে বাড্ডা লিংক রোডের কুমিল্লাপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে আন্দোলনে যোগ দেন সেলিম। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের মধ্যে আটকে পড়েন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ হন। সুমী আক্তার বলেন, আমার স্বামী শহীদ হয়েছেন। তার স্মৃতি হিসেবে এই সন্তানই আমার কাছে থাকবে। আমার একটাই চাওয়া আমার সন্তানকে যেন কারও কাছে হাত পাতা না লাগে। আমি যতদিন বাঁচব শহীদ সেলিমের স্ত্রী হিসেবে বাঁচব। সন্তানকে তার পরিচয় দেব।

ছেলের শোকে এখনো কাতর মা সেলিনা বেগম। তিনি বলেন, এখন যদি সেলিম বেঁচে থাকত তাহলে প্রথম সন্তান, কত আনন্দ পেত। তাও সেলিমের ভাগ্যে নেই। সেলিনা বেগম আরও বলেন, আমার ছেলের চিকিৎসার পেছনে প্রায় ১৮ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। ধারদেনা করে এসব টাকা জোগাড় করেছি। সেই টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। তিনি  ছেলের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মাননা চান। 


আরও খবর



ত্বক ভালো রাখতে ঘুমানোর আগে কী কী করবেন?

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং বাতাস আপনার ত্বকে বিশেষ করে কঠোর হতে পারে। শীতের এই সময়ে আপনার ত্বককে নরম এবং কোমল রাখার জন্য এখানে কিছু সহজ টিপস রয়েছে। বিউটি এক্সপার্টরা বলছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করলেই উপকার মিলবে ত্বকের। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই পাঁচ মিনিটে কী কী করবেন?

প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

তারপর ত্বকের ধরন বুঝে মেখে ফেলুন টোনার।

ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং, অর্থাৎ সিটিএম-এর নিয়ম মেনে সবশেষে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হয়। রূপচর্চা শিল্পীরা বলেছেন, এই পর্যায়ে ময়েশ্চারাইজারের বদলে মাখতে পারেন নারকেল তেল।

নারকেল তেল দিয়ে মিনিট দুয়েক মুখে ম্যাসাজ করুন। ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তাহলে সারারাত ওইভাবে মুখে তেল রেখে দিতে পারেন।

ত্বক তৈলাক্ত ভাব হলে ম্যাসাজ করার পর ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন।

নারকেল তেলের মধ্যে কী এমন আছে?

নারকেল তেল সাধারণত চুলেই মাখা হয়। তবে এর মধ্যে যে পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ফলে বলিরেখা তো পড়েই না, উল্টে মুখের টান টান ভাব বজায় থাকে। এ ছাড়া ত্বকের প্রয়োজনীয় নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে নারকেল তেলে। এগুলো নিষ্প্রাণ ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে দিতে পারে।

মুখে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে কী হবে?

ত্বকের জেল্লা বজায় রাখবে নারকেল তেল। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সঠিক পদ্ধতিতে মুখে এই তেল ম্যাসাজ করতে পারলে জেল্লা বৃদ্ধি পাবে। লিম্ফ্যাটিক নিষ্কাশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুখের জমে থাকা ফ্লুইড বের করে দেওয়া যায়।

যেহেতু নারকেল তেলে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। ত্বকের যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি পূরণ হয় রাতে। তাই হালকা গরম তেল মুখে ম্যাসাজ করলে উপকার মিলবে।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে নারকেল তেলে, যার মাধ্যমে ত্বকে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায়। ওপেন পোরসের সমস্যাও ধীরে ধীরে কমে আসে।


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫