Logo
শিরোনাম

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের টিবয় হতে কোটিপতি হওয়া এনজিও হারুনের দৌড়ঝাপ শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

আনোয়ার হোসেন - নিজিস্ব প্রতিনিধি ::


বেনাপোল কাস্টমস হাউসে চাকরির সুবাধে টিবয় হতে রাজস্বফাঁকি কাজের বস বনে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া এনজিও হারুনের ঘুস বানিজ্যের সংবাদ সংস্থা দুসস সহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশের পর অপরাধ ঢাকতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। নিজের ঘুস বানিজ্য ও সুদ ব্যবসা পরিচালনার মত অপকর্ম ঢাকতে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীর অফিসে ধর্ণা দিতে দেখা গেছে।


এমনকি অবৈধ্য কালো টাকা দিয়ে কাস্টমসকর্তাদের ম্যানেজ করেই তার কর্মক্ষেত্রে রয়েছে বহাল তবিয়তে। নিজের অপকর্ম লুকাতে নতুন কৌশল এটে কাউকেই মোবাইল ফোন নিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রুমে ঢুকতে দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় হারুনের মোবাইল নাম্বারে(০১৭৮১১৬১৯১৮)একাধিক বার কল দিলেও তিনি কল না ধরায় বক্তব্য জানা যাইনী।


সত্যতা যাচায়ে বৃহষ্পতিবার (১৮ জুলাই২৪)সরেজমিনে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুলের অফিস কক্ষে (২নংগ্রুপে) গেলে বহিরাগত হারুনের উপস্থিতিসহ কম্পিটারে কাজ করতে দেখা যায়। ভূক্তভোগী সি এন্ড এফ এজেন্ট প্রতিনিধি আলীর দাবী কাস্টমস হাউসে লাগানো সিসি টিভির ধারাবাহিক ফুটেজ ও কর্মকর্তাদের কল লিস্ট চেক করলে বহিরাগত এনজিও হারুন কর্তৃক আমদানীকারক প্রতিনিধিদের হয়রানীর তথ্য চিত্র পাওয়া যাবে।


এ বিষয়ে জানতে রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে কল রিসিভি করে কথা না বলেই সংযোগ কেটে দেওয়ায় বক্তব্য জানা যাইনী। প্রশোধিকার সংরক্ষিত সরকারী দপ্তরে বহিরাগতদের (এনজিওকর্মি) অবাধ প্রবেশে বৈধ্যতা কি?প্রশ্নে মুঠোফোনে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী বলেন কাস্টমস হাউসে এনজিও কর্মীদের প্রবেশের তেমন কোন বৈধ্যতা নেই। বিষিয়টি তিনি উর্দ্ধতনদের জানাবেন ও সাথে সাথে সকল অভিযুক্তদেরও সতর্ক করা হবে।


সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জথানাধীন মৌতলা গ্রামের মোঃ মুনছুর মোল্লার ছেলে সামান্য বেতনে টিবয় এর কাজ করে কিভাবে অর্ধশত কোটি টাকার সম্পত্তি সহ, বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ির মালিক হলেন তা আজও বোধগম্য নই এলাকাবাসীর নিকট। তাদের দাবী দ্রুত রাজস্বফাঁকিতে সহায়তাকারী এনজিও হারুনকে আইনের আওতায় এনে তার অর্থবিত্তের উৎস খতিয়ে দেখা হোক।


আরও খবর



রাণীনগরে মহান মে দিবস পালিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ): 

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালিত হয়েছে। দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। কর্মসচির প্রথমেই সকালে উপজেলা প্রশাসন ও থানা গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বরেন্দ্র গেইটে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় থানা গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন।

এছাড়া র‌্যালিতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক লিটন, সাখাওয়াত হোসেন, শ্রমিক ইউনিয়নের সকল সদস্য, উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

অপর দিকে রাণীনগর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহান মে দিবস পালন উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করেন। বেলা ১১টায় রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নাছির উদ্দিন, জেলা পরিবহন সভাপতি আসলাম হোসেন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা মোস্তফাা ইবনে আব্বাস, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আনজির হোসেন, সেক্রেটারি শামিনুর ইসলাম শামীম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে সেখান থেকে বিশাল এক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।

এরআগে শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের পার্শ্ববর্তী সড়কে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত গণসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি সেদিন থেকে শুরু হবে, যেদিন বাংলাদেশ টাইটেল পাবে বাংলাদেশ উইদাউট আওয়ামী লীগ। আমরা সেই টাইটেল দেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ আগে মানুষের সমাগম করার জন্য এ জায়গা বেছে নিয়েছিলাম। এ জায়গা থেকে আমরা এখন রাস্তা ব্লকেড করব।

তিনি আরও বলেন, ইন্টারিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কানে আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের আওয়াজ পৌঁছায় না, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় না, আমরা এখান থেকে গিয়ে শাহবাগে অবরোধ করব। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমরা জায়গা ছাড়ব না।

এর আগে দুপুর পৌনে তিনটার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্র-জনতাকে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। রাত পেরিয়ে শুক্রবার সকালে এবং এখনো এনসিপির নেতাকর্মীদের যমুনার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তারা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।


আরও খবর



৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগামী সোমবার লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে বেশ ভালো। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি আগামী ৫ মে দেশে ফিরবেন।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন তারই দুই পুত্রবধূ তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান ওআরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফিরবেন বিএনপির চেয়ারপারসন। দেশে ফিরতে পুরোপুরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়া না গেলেও লন্ডনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও সফরসঙ্গীরা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। তারেক রহমান পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন।

লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পথে খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী থাকবেন ৮ জন। তারা হচ্ছেন- তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান, কোকর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আমিনুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান ও দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম এবং রূপা হক।

চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন খালেদা জিয়া। 

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগার ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। বর্তমানে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। সেখানে তার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জ জেলা মাদকের অভিযানে বিশেষ স্বীকৃতি পেলেন আজাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

মুন্সিগঞ্জ জেলা মাদকের অভিযানে গোয়েন্দা পুলিশকে শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি হলেন এসআই আবুল কালাম আজাদ সাহেবের চৌকস বাহিনী সোর্স সিরাজদিখান ও শ্রীনগর এবং লৌহজং থানায় এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার ও বিপুল পরিমাণের গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায়।

মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ্য ও মানবিক পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয় অদ্য ইং ২১/০৪/২০২৫ তারিখ দুপুর ১২.০০ ঘটিকার সময় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ লাইন্স শহিদ কনস্টবল বোরহান উদ্দিন খান মিলনায়তন-এ মাসিক কল্যাণ সভার সভাপতি মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ ও পুলিশ সুপার মহোদয় বিপুল পরিমাণের মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মুন্সিগঞ্জ জেলার সুযোগ্য ও মানবিক পুলিশ সুপার মহোদয় আমাকে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারী কর্মকর্তা হিসেবে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন।

 আমাদের চৌকস পদ্মা সেতু উত্তর টিমকে সম্মাননা স্মারক হিসেবে পুরস্কার প্রদান করেন । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্), মুন্সিগঞ্জ জনাব মোঃ ফিরোজ কবির। মাদকদ্রব্য উদ্ধার উদ্ধার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান সহ অভিযানের সাহস এবং অভিযানের বিষয় সার্বিক সহযোগিতা করেন মুন্সিগঞ্জ জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার মহোদয় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস্), মুন্সিগঞ্জ জনাব মোঃ ফিরোজ কবির এবং অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ ইশতিয়াক আহমেদ রাসেল, জেলা গোয়েন্দা শাখা মুন্সিগঞ্জ মহোদয়।


আরও খবর



মহাসমাবেশে আপত্তিকর শব্দচয়নে দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে কোনো কোনো বক্তা নারীদের সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন-এমন অভিযোগে নানা মহলে সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় হেফাজতে ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কোনো বক্তারা আপত্তিকর শব্দচয়ন হেফাজত সমর্থন করে না। এ ধরনের শব্দ চয়নকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যায়িত করে তা থেকে বিরত থাকতে দলেন নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। ৬ মে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এক বিবৃতিতে এই কথা বলেন।

বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, আমাদের মহাসমাবেশে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দুজন বক্তা আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন, যা আমরা সমর্থন করি না। কেউ এতে আহত হলে তাদের প্রতিও আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সাথে সেক্যুলার প্রগতিশীল ঘরানার যারা এতকাল আলেম-ওলামাকে বিদ্বেষমূলকভাবে 'জঙ্গি', 'মৌলবাদী', 'ধর্মব্যবসায়ী' ও 'সাম্প্রদায়িক' বলে কটাক্ষ করে এসেছেন, তাদেরকেও আমরা এ ধরনের আপত্তিকর শব্দচয়ন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। আর শাপলা চত্বরের গণহত্যায় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তিকে কারা উৎসাহ দিয়েছিল তা আমরা ভুলে যাইনি।

হেফাজত নেতা বলেন, নারীর প্রতি আমাদের ঘৃণার প্রশ্নই আসে না। মতাদর্শিক লড়াইকে 'নারীর প্রতি ঘৃণা' আকারে দেখাটা স্রেফ মূর্খতা। আমরা আবারও বলছি, যার যার ধর্মীয় বিধান অনুসারে নারীর ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আমরাও সংস্কারকাজে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী। কিন্তু শুরুতেই আলেম-ওলামা ও অন্যান্য ধর্মীয় বিশেষজ্ঞকে বাদ দিয়ে একদল এনজিওবাজ নারীবাদীকে নিয়ে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হলো। যার ফলে এমন একচেটিয়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সেক্যুলার প্রগতিশীল নারীসমাজের স্বার্থ ও মতাদর্শ রক্ষিত হলেও ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের ধর্মীয় চিন্তা ও বিবেচনা উপেক্ষিত হয়েছে। এই বৈষম্য মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।

আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, উগ্র ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী কর্তৃক আমাদের 'নারীবিদ্বেষী' অপবাদ দেওয়ার অপরাজনীতি বহু পুরনো। অথচ দেশজুড়ে আমাদের মহিলা কওমি মাদরাসাগুলোতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে ছাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বরাদ্দমুক্ত এসব মাদরাসায় সমাজের হাজার হাজার প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের জন্যও বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে এদেশের নারীদের স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে আমাদেরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু কখনো আলেম-ওলামার সামাজিক অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হয় না। আর আমাদের এই সামাজিক ভূমিকা ও ধর্মীয় অবস্থান আধুনিক ব্যবস্থায় এদেশের নারীকে 'পণ্য' বানানোর পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্তরায় বলেই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে একদল উগ্র নারীবাদীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ি করলে আমরা ছাড় দেবো না।


আরও খবর