Logo
শিরোনাম

বেনজীরকে নিয়ে দুদক আইনজীবী যা বললেন

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক:


দুদক আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম জানান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের জন্য আগামী ৬ জুন পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অপেক্ষা করবে, অনথ্যায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


শনিবার (১ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।দুদক আইনজীবী বলেন, দুদক আশা করে বেনজীর আহমেদ ৬ তারিখে দুদকের মুখোমুখী হবেন।


দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আগামী ৬ ও ৯ জুন বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে তলব করেছে। কিন্তু ওই তারিখে বেনজীর আহমেদ কমিশনে আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।


এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জাসহ তাদের দুই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তলবের এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।


 চিঠিতে আগামী ৬ জুন তাদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাদের দুই মেয়ে হলেন ফারহিন রিসতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর। তবে আরেক মেয়ে জাহরা জেরিন বিনতে বেনজীর নাবালিকা হওয়ায় তাকে তলব করা হয়নি।


এরই মধ্যে আদালতের আদেশে বেনজীর পরিবারের মালিকানাধীন রাজধানীর গুলশানে বিশালাকৃতির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, গোপালগঞ্জে ৩৪৫ বিঘা ও মাদারীপুরে ২৭৩ বিঘা জমি জব্দ এবং অসংখ্য ব্যাংক ও বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করেছে দুদক। 


অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে বিপুল সম্পদ গড়েছেন বেনজীর, তার বেশির ভাগই তিনি কেনেন আইজিপি পদে আধিষ্ঠিত হওয়ার পর।


আরও খবর



গাজায় ৮২ শতাংশ মানবিক সহায়তা বন্ধ, চরম খাদ্য সংকট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

গাজায় ৮২ শতাংশ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বাধার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (OCHA)।

মার্চ ১৮ থেকে ২৪ পর্যন্ত এক সপ্তাহে এসব কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে, যা জরুরি সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং বেকারিতে জ্বালানি সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজকে কার্যত থামিয়ে দিয়েছে।

গাজায় তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ত্রাণ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর নিরাপদ চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) সতর্ক করেছে যে, গাজার লাখ লাখ মানুষ চরম খাদ্য সংকট এবং অপুষ্টির মুখে পড়তে যাচ্ছে।

WFP জানায়, গাজায় সামরিক কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমে বাধার ফলে সাহায্যকর্মীদের জীবনও বিপদে পড়ছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে গাজায় কোনো ত্রাণ প্রবেশ করতে পারেনি, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য এক চরম মানবিক সংকট তৈরি করেছে।

সূত্র : আল-জাজিরা


আরও খবর



নওগাঁয় স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দাদা ও চাচা কর্তৃক শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করে দাদা ও চাচার বিচার দাবিতে শুক্রবার ১৮ এপ্রিল নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা'র স্বজনরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা (১৬) এর মামা ফজলুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সানজিদা'র মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামানিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল ও মামা হামিদুল প্রামানিক।

লিখিত বক্তব্যে স্কুল ছাত্রী সানজিদার মামা ফজলুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী কিশোরী সানজিদা নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে ও উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী ছিলো। সানজিদার

বাবা দীর্ঘদিন ধরে সৌদী আরবে ও আরব আমিরাত (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল তার বসত-ভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মা বসবাস করাকালে সেই জায়গায় পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে এতে প্রবাসী শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধা দেয় এবং বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গাঁয় বাড়ি নির্মাণ করার জন্য বলে আসছিল। এনিয়ে বিরোধ শুরু হয়। এরপর থেকে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মায়ের সাথে তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক বিরোধ লেগে থাকতো। সেই জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে সানজিদার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে স্কুল ছাত্রী সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তার শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। 

এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সানজিদার দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন। এসময় আরে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সানজিদা প্রাইভেট পড়ে সকাল ১১টারদিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে এক পর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর করে ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় মেয়ে সানজিদাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঐ দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক স্কুল ছাত্রী সানজিদা হত্যায় জড়ীত তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের বিচার দাবি করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। অপরদিকে এব্যাপারে জানতে চাইলে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ

শাহাবুদ্দীন বলেন, ঐ ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে যেহতু রাজশাহী রাজপাড়া থানায় ইউডি মামলা হয়েছে এবং ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এর পরি-প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



সংস্কার সংস্কারের মতো, নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার আর নির্বাচন আলাদা জিনিস নয়। সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে। নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে। এ ছাড়া সংস্কার প্রস্তাব যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই বিএনপি মতামত দিয়েছে বলেও জানান তিনি। ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

প্রধান উপদেষ্টার সদ্য সমাপ্ত চীন সফর প্রসঙ্গ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে চীন একতরফাভাবে একটা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। তবে এখন তারা চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন করে সব দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে। চীন বাংলাদেশে উৎপাদনে ও উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটা দেশের জন্য আশাবাদের কথা। ’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে বিষয়ে মতের ঐক্য হবে, সেগুলো মেনেই নির্বাচন হবে। যারাই নির্বাচিত হবে, সে-ই সংস্কার করবে’।

পরে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদ হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



ব্যবসা দখলে মিথ্যা ছড়িয়ে ভাইকে ‘হত্যাচেষ্টা’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

রাত-দিন ডুকরে কাঁদছেন রাজধানীর রামপুরার বিখ্যাত আল কাদির রেস্টুরেন্টের মালিক ফিরোজ আলম সুমন। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের খাবার, পানি ও অন্যান্য সহায়তা করে আসছিলেন তিনি। একাধিকবার পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছাত্ররা আশ্রয় নিয়েছিলেন তার রেস্টুরেন্টে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী ছাত্রদের তিনবেলা নিজের রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ান সুমন। কিন্তু অপতথ্য ছড়িয়ে ছাত্র-জনতাকে উত্তপ্ত করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তারই আপন ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন।

ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বড় ভাইকে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কাজে লাগিয়ে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে প্রচার চালিয়ে ছাত্রদের দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই বড় ভাই। তবে অভিযুক্তরা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

এই বড় ভাইয়ের নাম ফিরোজ আলম সুমন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আছে তার। আল কাদেরিয়া নামে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক তিনি। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি নানা পুরস্কার পেয়েছেন। সুমন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রথম যুগ্ম মহাসচিব।

১৯ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা থানায় নিজের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুমন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন প্রায় ১৪ মাস ধরে সুমনকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা চালান।

প্রায় ১৫ বছর আগে আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলেন তিনি। খাবারের মানের কারণে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়, ব্যবসাও প্রসারিত হয়। রামপুরা, মালিবাগ, বসুন্ধরা, গুলশানসহ কয়েকটি এলাকায় রেস্টুরেন্টটির শাখা গড়ে ওঠে। কিন্তু করোনার সময় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে কয়েকটি শাখা বন্ধ হয়ে যায়। করোনা শেষে আর্থিক মন্দা কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসায় আরও ভালো করার জন্য পারিবারিক সিদ্ধান্তে ছোট দুই ভাই ইফাতিখারুল আমিন ও হাসনাইন আমিনকে প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার দায়িত্বে আনেন।

তিনি জানান, দুই ভাইকে ব্যবসায় যুক্ত করার পর হঠাৎ করেই দেখেন তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি আরও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। দৈনন্দিন হিসাবে গরমিলসহ মাসে অন্তত ৮/১০ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তখন তিনি গোপনে প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যাশ কাউন্টারে আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ক্যামেরা বসান। এরপর খেয়াল করেন যে, তার আপন দুই ভাই ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ টাকা সরিয়ে নিচ্ছেন। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ফিরোজ আলম সুমন তার ছোট ভাই হাসনাইন আমিনকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার সময় হাতে-নাতে ধরে ফেললে ভাই-ভাইয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

সুমন বলেন, আমি চেষ্টা করেছি আমার ভাইদের ব্যবসা শেখাতে। কিন্তু তারা ব্যবসা থেকে টাকা নিয়ে নিজেরা লাভবান হয়েছে। কয়েক বছর ধরে প্রতিদিন তারা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। আমি প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণ করেছি ওই সময়। আমি তাদের বোঝাতে চেয়েছি, কিন্তু তারা আমাকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিতে চায়।

তিনি বলেন, আসিফ নামে এক যুবককে টাকা দিয়ে ভাড়া করে তারা। আমার বিরুদ্ধে তাকে ফেসবুকে পোস্ট দিতে বলে, যাতে করে ওই পোস্ট দেখে উত্তেজিত হয়ে লোকজন আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এতে তারা দ্বায়মুক্ত থাকে। এমন ষড়যন্ত্র তারা করেছিল। এছাড়া আমাকে অসংখ্যবার নানাভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়, সেগুলোও প্রমাণিত।

তিনি আরও বলেন, আসিফ নেওয়াজকে তারা টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পোস্ট দিতে বলেছে। কিন্তু তারা আসিফকে বলেনি যে, আমি তাদের আপন ভাই। এসব বিষয়ে রামপুরা ও বাড্ডা থানায় অভিযোগ করেছি। সেগুলোর তদন্তও হচ্ছে। অন্য একটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়নাও জারি রয়েছে।

ফেসবুকে পোস্টদাতা আসিফ নেওয়াজ বলেন, ইফতিখারুলের উদ্দেশ্য ছিল এই পোস্টের কারণে লোকজন উত্তেজিত হয়ে সুমনের ওপর হামলা করবে। আমাকে সে বলেনি সুমন তার ভাই হন। এছাড়া প্রায় এক বছর ধরে সে আমাকেসহ আরও অনেককে ব্যবহার করে সুমনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আমি ইফতেখারুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। সিআইডি ও ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিট বিষয়টি তদন্ত করছে।

ভাইদের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে রাজধানীর ভাটারা থানার সাঈদনগরে সুমনদের বাসায় গেলে তাদের বাবা নুরুল আমিনকে পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

তাদের প্রতিবেশী ইমরান হোসাইন বলেন, আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্টটি সুমন সাহেবের। তিনি তার ভাইদের বসিয়েছিলেন। পরে শুনলাম, তার ভাই টাকা-পয়সা আত্নসাৎ করেছে। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়েও তাদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে।  ঘটনাটি নিয়ে থানা পুলিশও হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।

সাইফুল ইসলাম নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, এক সময় তাদের পারিবারিক সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বছর খানেক ধরে তাদের সম্পর্ক ভালো না। নানা দ্বন্দ্ব হচ্ছে শুনেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে কার দোষ এটা আমরা ওইভাবে বলতে পারবো না। যেহেতু এটি থানা পুলিশ ও আদালতে গেছে সেখানে গিয়ে সব বলবো।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, সুমন একজন ভালো ব্যবসায়ী। আমাদের সংগঠনের নেতাও। তার ভাইদের কাছে হেনস্থার শিকার তিনি। আমরা এর প্রতিবাদও জানিয়েছি।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সবগুলো অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




বাংলাদেশেও ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ভূমিকম্প মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ নির্দেশনা :

গত ২৮ মার্চ ২০২৫, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুইটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুইটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪। ফলে উক্ত দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এমতাবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির নিমিত্ত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করছে ফায়ার সর্ভিস।

নির্দেশনাগুলো হলো: (১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা; (২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; (৩) সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা; (৪) ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ যথা গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা; (৫) ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা; (৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নাম্বারসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা; (৭) ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা; (৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায় এবং (৯) সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।

এছাড়াও যেকোনো তথ্যের জরুরি প্রয়োজনে ০১৭২২৮৫৬৮৬৭ মোবাইল নাম্বার ও ১০২ হটলাইন নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।


আরও খবর