Logo
শিরোনাম

বেড়েই চলেছে খেলাপি ঋণ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

দেশের ব্যাংক খাতে পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি ঋণ খেলাপি হয়েছে ২০২২ সালে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, বছরটিতে ব্যাংকগুলোয় শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর অব্যবস্থাপনার ফলে বিতরণ করা ঋণ ফেরত আসছে কম। এতে বড় হচ্ছে খেলাপি ঋণের বোঝা। এদেশীয় বিশেষজ্ঞরা তো বটেই, এমনকি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এমন পরিস্থিতিতে খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে গত বছরের শেষ প্রান্তিকে মন্দ ঋণ কিছুটা কমলেও পুরো বছরের হিসাবে বেড়েছে খেলাপির পরিমাণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে ঋণস্থিতি ছিল ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত বছর (২০২২ সাল) খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের হার সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সহনীয় বলে ধরা হয়। দেশে এখন বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশই খেলাপি।

খেলাপি ঋণের বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে খেলাপি ঋণের পরিসংখ্যান দিচ্ছে, এটি আসলে আন্তর্জাতিক মানের নয়। কারণ এখানে অনেক তথ্য উল্লেখ করা হয় না। আবার খেলাপি কম দেখাতে অনেক তথ্য যোগ করা হয় না। ঋণ পুনঃ তফসিল, পুনর্গঠন ও ঋণ অবলোপন করার তথ্য দেওয়া হয় না। পাশাপাশি বিশেষ ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হয় শুধুমাত্র আর্থিক প্রতিবেদন ভালো দেখানোর জন্য, যা কখনোই মানসম্পন্ন বলা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণখেলাপি হয়েছে ২০২২ সালে। বছর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। অথচ আগের চার বছরের মধ্যে ২০২১ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা এবং ২০২০ সালে ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাক। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ৯০৪ হাজার ৩৩১ কোটি এবং ২০১৮ সালে ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ছিল খেলাপির পরিমাণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, করোনা মহামারির সময় ব্যাংকঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ছাড় ও নানা সুবিধা। বছরের শুরুতে তা তুলে নেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে খেলাপির পরিমাণ বাড়তে থাকে। গত বছর ঋণের কিস্তির ৭৫ শতাংশ অর্থ জমা দিলে খেলাপি মুক্তির সুযোগ ছিল। কিন্তু তাতেও খেলাপি ঋণ না কমায় পরে খেলাপিদের সুবিধা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সুবিধার ফলে ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে যাঁরা ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ অর্থ জমা দিয়েছেন, তারা কেউ খেলাপি হননি। তারপরও ১ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমাতে অনেক দিন ধরে কাজ চলছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের চাপ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাড়তি পদক্ষেপ নেবে। গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে নীতি সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। এসব নীতি সহায়তার কারণে খেলাপি ঋণ শেষ প্রান্তিকে কিছুটা কমেছে।

 


আরও খবর

তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৩৪২৬

রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩

রমজানে জাল নোট নিয়ে সতর্কতা

শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩




আগামী সপ্তাহে আঘাত হানতে পারে কালবৈশাখী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

মুন্সি মো: আল ইমরান :বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একাধিক জেলায় আগামী সপ্তাহে কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ কুমার দাশ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত একটি গভীর অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। তাই বিহার, ছত্তিশগড়ের দিকে আবহাওয়া সংক্রান্ত কিছু গতিবিধি ধরা পড়ছে, যা ধীরে-ধীরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের কয়েক জায়গায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শনিবার কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ যে অক্ষরেখা রয়েছে, তা এত নিচে নামবে না। সেটি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের পর বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আগামী সপ্তাহে বুধবার ও বৃহস্পতিবার কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। পরবর্তীতে আরও নিখুঁতভাবে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

১) ১৭ ও ১৮ মার্চ কালবৈশাখী ঝড় বাংলাদেশে প্রবেশ করার আশঙ্কা বেশি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে, যা পরবর্তীতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এই দুদিন ব্যাপক বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই দুই দিনে ২০২৩ কালবৈশাখী মৌসুমে বজ্রপাতের কারণে প্রথম মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই দুই দিনে সকাল ৯টার পর থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ জেলায় তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে এই দুই দিন তীব্র বজ্রপাতের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

২) ১৮ ও ১৯ মার্চ বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

দিনের বেলায় দেশের সব জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে কালবৈশাখীর তীব্রতা সবচেয়ে বেশি হতে পারে।

 


আরও খবর



তিল ঠাঁই নেই মসজিদে হারামে

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

পবিত্র রমজান শুরুর আগেই লাখ লাখ ওমরাহ যাত্রী ভিড় করেছেন মক্কা নগরীতে। মক্কার মসজিদে হারামে প্রচণ্ড ভিড় সৃষ্টি হয়। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখো মুসল্লি এখানে জড়ো হয়েছেন ওমরাহ পালন ও তারাবিহর নামাজ আদায় করতে। এতে পবিত্র এই মসজিদে তিল ঠাঁই নেই অবস্থা।

অবশ্য হারাম শরিফের শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ মুসল্লিদের সারিবদ্ধভাবে নামাজ ও বায়তুল্লাহর তাওয়াফের সুযোগ করে দেয়।

আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের বর্তমান সময় পর্যন্ত ৪৮ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ওমরাহ সম্পন্ন করেছেন। যার মধ্যে ১৫ শতাংশ সৌদি আরবের নাগরিক।

আজই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আজ ৩০ শাবান পূর্ণ হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় এখানে রমজানের চাঁদ দেখা যাবে এবং বৃহস্পতিবার থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রোজা শুরু হবে।

মক্কায় রমজানের সব প্রস্তুতি চলছে। এখানকার আবহাওয়া রয়েছে সহনীয় মাত্রায়। আজ মক্কায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত কয়েক বছর ধরে হজ ও ওমরাহয় অনেক বিধিনিষেধ ছিল। অনেকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও রমজানে ওমরাহ পালনে আসতে পারেননি। তবে এবার বিধিনিষেধ না থাকায় রমজানের আগেই ওমরাহ পালনকারীদের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মক্বায় এই সময়ের ভিড় হজের সময়কেও হার মানিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ থেকেও হাজার হাজার মুসল্লি ওমরা পালনের জন্য এখন মক্কায় অবস্থান করছেন। অনেকে পুরো রমজান কাটানোর প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। কেউ কেউ এখানে ইতেকাফও করবেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাংলাদেশের ওমরাহ যাত্রী বেশি। জানা গেছে, হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেকে হজের ইচ্ছা বাদ দিয়ে ওমরা করতে ভিড় করছেন।

আগামী জুন মাসের শেষ দিকে পালিত হবে এবারের হজ। রমজানেই ওমরার শেষ সময়। শাওয়াল থেকে বিদেশিদের জন্য ওমরার সুযোগ বন্ধ রাখে সৌদি কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



বকশীগঞ্জের বগারচর ইউনিয়নল ভিজিডি'র চাল বিতরন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর  ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের আওতায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে  ৪৪৬ জন অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমানিক মাসুম নিজে দাঁড়িয়ে থেকে চাল বিতরণ করেন।

জানা যায়,২০২৩- ২০২৪ অর্থ বছরে ভিজিডি কর্মসূচীর আওতায় ইউনিয়নের দুস্থ প্রত্যেক নারীকে মাসে ৩০ কেজি করে এই চাউল বিতরণ করা হয়।

বগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমানিক মাসুম বলেন, শতভাগ সচ্ছতার সাথে চাউল বিতরণ করা হচ্ছে তবুও একটি মহল আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে বিভিন্ন পায়তারা করে যাচ্ছে। তিনি এসময় অভিযোগ করে বলেন সারমারা এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শাহেদ,মৃত সাকুয়াত মহরীর ছেলে লিয়াকত ও মৃত শাহজামালের ছেলে তুল্ল্যা উপকারভোগীরা চাউল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বাহিরে গেলে তাদের বস্তা থেকে চাউল কমিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিবো। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি সার্বক্ষণিক নানা ভাবে আপনাদের জনসেবার নিয়োজিত রয়েছি। আগামী দিনেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



অসহায় পুলিশ : থামছে না তিন চাকার যান

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার: উত্তরাঞ্চল মহাসড়কে এখন বড় বিপদ তিন চাকার যান। দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গে গতির পাল্লা দিয়ে চলছে এই ঝুঁকিপূর্ণ বাহনগুলো। শুধু তাই নয়, এসব অবৈধ যানের স্ট্যান্ডও করা হয়েছে মহাসড়কের ওপরই। প্রধান সড়কগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত অব্দি দেখা যাচ্ছে তিনচাকার যানবাহনের রাজত্ব।

বগুড়াসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলার মহাসড়কে গত তিন বছরে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভটভটি দুর্ঘটনায় মারা গেছে দুই শতাধিক মানুষ। আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে দুজন করে মানুষ মারা যাচ্ছে এবং সাতজন আহত হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ, বেসরকারি একাধিক এনজিওর তথ্য থেকে মিলেছে এই চিত্র।

 

জাতীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভিপতি হানিফ খোকন   জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করে জাতীয় আঞ্চলিক মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে ইজিবাইক, সিএনজিসহ অন্য থ্রি-হুইলার। অতীতের চেয়ে এই চলাচল বেড়ে যাওয়ার কারণে অহরহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু আহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে সড়কে অরাজকতা কমবে না।

হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, তাদের সব রকমের চেষ্টার পরেও মহাসড়কে ত্রিচক্র যান চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না। তারা প্রতিনিয়ন অভিযান চালাচ্ছেন, চালকদের সচেতন করছেন, মামলা দিচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও এই যানের দৌরাত্ম কমছে না। উল্টো মহাসড়কে থাকা পুলিশ সদস্যরা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ করতে হলে এখন পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও উদ্যোগ নিতে হবে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলা অংশে মহাসড়ক দখল করে থাকে নিষিদ্ধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এই সড়কেই রয়েছে সিএনজির একাধিক অবৈধ স্ট্যান্ড। সেখানে এলোমেলোভাবে পার্কিং করা হচ্ছে শতশত অটোরিকশা।

যাত্রীরা বলছেন, মহাসড়কে অটোরিকশা ওঠা নিষিদ্ধ হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। আবার তিনজনের আসনে বসছেন পাঁচজন। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এক অটোরিকশাচালক বলেন, বগুড়া থেকে বিভিন্ন রুটে অন্তত তিনশ অটোরিকশা চলাচল করে। মহাসড়কের উভয়পাশ দিয়ে বগুড়া শহর এবং অন্য উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের শাখা সড়ক আছে। এতে সময় একটু বেশি লাগে, তবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম থাকে। কিন্তু রিজার্ভ না নিলে কেউ ছোট সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে না। মহাসড়কেই চলাচল করে।

উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল, বগুড়ার শেরপুর, নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট গোবিন্দগঞ্জের ফাঁসিতলায় রয়েছে হাইয়ের পুলিশের থানা ক্যাম্প। অভিযোগ রয়েছে এসব থানা পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বরত কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে অবৈধ যানবাহনকে মহাসড়কে চলাচলের সুযোগ দিয়ে থাকেন। যার কারণে গোপনে নয়, বরং প্রকাশ্যে শোডাউন করে দূরপাল্লার যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেন তারা। গতির দিক থেকেও বাস-ট্রাককে পেছনে ফেলে রীতিমতো ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। আর বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের।

শেরপুরের বাসিন্দা আকবর মিয়া বলেন, সকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত স্ট্যান্ড এবং বাজারের মুখগুলোতে সিএনজি অটোরিকশা ঠাসাঠাসি করে থাকে। তিনজনের বসার আসন থাকলেও পাঁচজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করা হয়। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলে আসছে। অথচ এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চলের ১১টি জেলার শতশত ভারী যানবাহন চলাচল করে। পাশেই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বিষয়গুলো দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বগুড়ার শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নাল আবেদিন বলেন, মাসিক কোনো চুক্তি করা হয় না। আমরা সিএনজির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। মামলা দিচ্ছি। আসলে এরা পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে চলাচল করে।

নন। যাত্রীদের অনুরোধ উপক্ষো করে দ্রুতগতিতে চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।

দেশের মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ায় ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে সব মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পু সব শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে সরকার। আদেশ জারির পর পুলিশ অভিযান চালালেও এখন তা অনেকটাই কমে এসেছে।

মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মূলত বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকেই এই সিএনজি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অবাধ চলাচল রয়েছে। এই রুটে দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও মহাসড়কে অবাধে চলাচল করে এই ঝুঁকিপূর্ণ যান।

আর ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বগুড়ার অংশের মধ্যে বনানী, বেতগাড়ী, লিচুতলা, সাজাপুর, টিএমএসএস ফিলিং স্টেশন, শাজাহানপুর নতুন থানা ভবন, উপজেলা পরিষদ, শাজাহানপুর বন্দর এলাকা, আড়িয়া বাজার, নয়মাইল, শেরপুরের জামালপুর, দশমাইল, গাড়ীদহ, দুগ্ধ প্রাণী উন্নয়ন খামার, মহিপুর বাজার, হাজীপুর, কলেজরোড, উপজেলা পরিষদ, আহলে হাদিস পাক মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, খেজুরতলা, ধুনট মোড়, হামছায়াপুর, কাঁঠালতলা, শেরুয়া, শেরুয়া বটতলা, মৎস্যখামার, যমুনাপাড়া, কৃষ্ণপুর, মদনপুর, মির্জাপুর, রানীরহাটমোড়ের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায়ই দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।

সম্প্রতি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা সদরে গিয়ে দেখা গেছে, অন্ধকার মহাসড়কে শুধু সিএনজি অটোরিকশা নয়, ব্যাটারি পায়েচালিত রিকশা-ভ্যান চলাচল করছে। তাদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

বিআরটিএ বগুড়া অফিসের সহকারী পরিচালক মাইনুল হাসান বলেন, দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধে সরকারি নির্দেশ রয়েছে। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। অনেক সময় মহাসড়কে গিয়ে কোনো থ্রি-হুইলার গাড়ি দেখা যায় না। আবার কখনো কখনো এত গাড়ি থাকে যে অভিযান চালাতে আমাদের হিমশিম অবস্থায় পড়তে হয়।

 


আরও খবর



গজারিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

মো: শাকিল প্রধান : গজারিয়ায় স্বেচাসেবকলীগের উদ্যােগে ১৭(মার্চ) বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কেটে র‌্যালি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় ভাবে দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে ১৭(মার্চ) ২০২৩ শুক্রবার বিকালে গজারিয়ায় স্বেচাসেবকলীগের আয়োজনে, বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যালে পুস্পস্তবক অর্পণ করে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বেচাসেবকলীগের উদ্যােগে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে সহযোগী সংগঠনের সমন্বয়ে একটি বিশাল র‌্যালী বের করে উপজেলা সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। গজারিয়া আওয়ামী স্বেচাসেবকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সারোওয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, আধুনিক মুন্সীগঞ্জের রুপকার, মুন্সীগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা, জাতীয় সংদস সদস্য  এড. মৃণাল কান্তি দাস। বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ খাঁন তোঁতা (সিআইপি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মাজহারুল হক তপন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নেকি খোকন,জেলা পরিষদের সদস্য সাইদুর রহমান খান।

আরো উপস্থিত ছিলেন, বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল, টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজী, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকন, বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান, ভবেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন ইমাম পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খান জিতু, হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু, সুপ্রীম কোর্টের কর্মকর্তা মুহাম্মদ আজীম উদ্দিন ফরাজী,  জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন সহ আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর