Logo
শিরোনাম

বেড়েই চলেছে খেলাপি ঋণ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের ব্যাংক খাতে পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি ঋণ খেলাপি হয়েছে ২০২২ সালে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, বছরটিতে ব্যাংকগুলোয় শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর অব্যবস্থাপনার ফলে বিতরণ করা ঋণ ফেরত আসছে কম। এতে বড় হচ্ছে খেলাপি ঋণের বোঝা। এদেশীয় বিশেষজ্ঞরা তো বটেই, এমনকি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এমন পরিস্থিতিতে খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে গত বছরের শেষ প্রান্তিকে মন্দ ঋণ কিছুটা কমলেও পুরো বছরের হিসাবে বেড়েছে খেলাপির পরিমাণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে ঋণস্থিতি ছিল ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত বছর (২০২২ সাল) খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের হার সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সহনীয় বলে ধরা হয়। দেশে এখন বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশই খেলাপি।

খেলাপি ঋণের বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে খেলাপি ঋণের পরিসংখ্যান দিচ্ছে, এটি আসলে আন্তর্জাতিক মানের নয়। কারণ এখানে অনেক তথ্য উল্লেখ করা হয় না। আবার খেলাপি কম দেখাতে অনেক তথ্য যোগ করা হয় না। ঋণ পুনঃ তফসিল, পুনর্গঠন ও ঋণ অবলোপন করার তথ্য দেওয়া হয় না। পাশাপাশি বিশেষ ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হয় শুধুমাত্র আর্থিক প্রতিবেদন ভালো দেখানোর জন্য, যা কখনোই মানসম্পন্ন বলা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণখেলাপি হয়েছে ২০২২ সালে। বছর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। অথচ আগের চার বছরের মধ্যে ২০২১ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা এবং ২০২০ সালে ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাক। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ৯০৪ হাজার ৩৩১ কোটি এবং ২০১৮ সালে ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা ছিল খেলাপির পরিমাণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, করোনা মহামারির সময় ব্যাংকঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ ছাড় ও নানা সুবিধা। বছরের শুরুতে তা তুলে নেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে খেলাপির পরিমাণ বাড়তে থাকে। গত বছর ঋণের কিস্তির ৭৫ শতাংশ অর্থ জমা দিলে খেলাপি মুক্তির সুযোগ ছিল। কিন্তু তাতেও খেলাপি ঋণ না কমায় পরে খেলাপিদের সুবিধা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সুবিধার ফলে ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে যাঁরা ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ অর্থ জমা দিয়েছেন, তারা কেউ খেলাপি হননি। তারপরও ১ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমাতে অনেক দিন ধরে কাজ চলছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ঋণ পরিশোধের চাপ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বাড়তি পদক্ষেপ নেবে। গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে নীতি সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। এসব নীতি সহায়তার কারণে খেলাপি ঋণ শেষ প্রান্তিকে কিছুটা কমেছে।

 


আরও খবর

দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

কমলো আকরিক লোহার দাম

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে পাচ্ছি না : টিআইবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশেষ প্রতিনিধি :

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। 

এ পর্যবেক্ষণে আমাদের ধারণা হচ্ছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ বলতে যা বোঝায়, তা আমরা এবারো দেখতে পাচ্ছি না।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার: টিআইবির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হয়তো এই নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ক্ষমতায় কারা অধিষ্ঠিত থাকবেন সেটিও নির্ধারণ করার সুযোগ হবে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে জনগণের ভোটের অধিকারের যে নির্বাচন সেটি নিশ্চিত করা যাবে না। 

এই নির্বাচনের ওপর জনগণের আস্থা বা ভোটের ওপর জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে বলে মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে বহাল থাকায় নির্বাচনে দলীয় বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যখন একটি দল ক্ষমতায় নির্বাচিত হয়, সেই দলটি দেশের সরকার হিসেবে নির্বাচিত হয়। তখন সেই সরকার আর কোনো দলের সরকার থাকে না। 

কিন্তু সেই সরকারের প্রধান যদি স্বপ্রণোদিতভাবে দলীয় নেতৃত্বের অবস্থান থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে প্রতীকী অর্থে হলেও সবার সরকারপ্রধান হিসেবে বা সব দলের সরকার হিসেবে নিজেকে তার ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়। 

সংসদের স্পিকারের ক্ষেত্রেও একই কথা। স্পিকার যখন নির্বাচিত হন তখন আর কোনো দলের প্রতিনিধি থাকেন না। তখন তিনি সব এমপির স্পিকার।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে পরবর্তী ৫২ বছরে দারিদ্র বিমোচন, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

 তবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। স্বাধীনতার পরে বিভিন্ন সময়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে।

 দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক জোট দ্বারা একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়।

 রূপরেখায় স্বাক্ষর করার মাধ্যমে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক জোট অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ, সার্বভৌম সংসদ গঠন, জবাবদিহিমূলক নির্বাহী বিভাগ প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিল।

 পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার ঘাটতির ফলে বারবার গণতান্ত্রিক পথ থেকে বিচ্যুতি ও নির্বাচনকালীন সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনসহ তথ্য অধিকার ও আইনের শাসন নিয়ে নয়টি ক্ষেত্রে ৭৬টি সুপারিশ করেছে টিআইবি।


আরও খবর



গোপালগঞ্জের আশরাফ মাস্টারে মৃত্যু বার্ষিকী শ্রদ্ধাবরে স্বরন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 |

Image

মোঃ মাসুদ রানা, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জিটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রক্তন প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফ আলী বিশ্বাস এর ৯ম তম মৃত্যু বার্ষিকী গভীর শ্রদ্ধাবরে স্বরন করছে টুঙ্গিপাড়াবাসী সহ বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা তার সকল শিক্ষার্থীরা।

মরহুম মোঃ আশরাফ আলী শেখ ৬৬ বছর বয়সে ২০১৪ সালের ১৭ই নভেম্বর দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।মৃত্যু কালে তিনি রেখে যান তিন কন্যা ও এক পুত্র সন্তান সহ তার নিজ হাতে গড়া বহু সু শিক্ষায় শিক্ষিত জনদের , যারা আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত আছেন, তাদের মাঝে সচিব, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আর্মি অফিসার, র্যা ব সহ আরো অনেকে আছেন।

মরহুম মোঃ আশরাফ আলী মাস্টার ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পযর্ন্ত কঠের হাতে জিটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। টুঙ্গিপাড়াবাসী আজো তাকে তার কৃতিত্ব ও আদর্শের সম্মানে স্বরন করে।  সারা দেশের তার আদর্শের শিক্ষার্থীদের কাছে মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন তার পরিবারের পক্ষে একমাত্র পুত্র বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার মো: আশিকুর রহমান (মিলটন)।


আরও খবর



গাজায় ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রাফা ক্রসিংয়ের কর্মকর্তারা। বলা হয়েছে, মিশর থেকে রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে বেশ কিছু ট্রাক প্রবেশ করছে।

রাফা ক্রসিং প্রশাসনের মুখপাত্রের একটি বিবৃতিতেও গাজা উপত্যকায় সাহায্য ও জ্বালানি ট্রাকের প্রবাহের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মুখপাত্র জানিয়েছেন, আজ ২৩০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পারে।

২৪ নভেম্বর থেকে গাজায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে এই চুক্তি কার্যকর হয়। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার। এই যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কিছু বন্দিবিনিময়ের কথা রয়েছে।

যদিও যুদ্ধবিরতিকে সামনে রেখে গাজায় রাতভর বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাওয়া গেছে হতাহতের খবরও। তাছাড়া যুদ্ধবিরতি শেষে আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু হবে বলে জানিয়েছে তেলআবিব।


আরও খবর



জামালপুর-১ আসনে নুর মোহাম্মদ’কে নৌকা দেওয়ার দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে শিল্পপতি নুর মোহাম্মদ কে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ি,কাঠাঁরবিল ও ডাংধরা এলাকায় নুর মোহাম্মদের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করেন আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। নুর মোহাম্মদের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সভা সমাবেশ করে নুর মোহাম্মদকে মনোনয়ন দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছেন তারা। নেতাকর্মীরা বলেন,জননেতা নুর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সমাজসেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছেন। দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ দানবীর হিসেবে পরিচিত নুর মোহাম্মদ। তিনি আওয়ামীলীগের তৃনমূলের প্রাণ। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নুর মোহাম্মদকে নৌকা দেয়া হলে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররাও অনেক বেশি খুশি হবে। নৌকার জয় শতভাগ নিশ্চিত হবে। তাই নুর মোহাম্মদকে নৌকার দেয়ার জোর দাবি জানান বক্তারা। 

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আল মামুন,সদস্য আবদুল মজিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়া,আবদুস সাত্তার,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুজ্জামান প্রমূখ। এ সময় বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান হিটলার,নিলাক্ষিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার,মনিরুজ্জামান মনির,নজরুল ইসলাম দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়,জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ালীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বেশ আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি নূর মোহাম্মদ। তিনি দীর্ঘদিন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। গত প্রায় ৩০ বছর যাবত সমাজসেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছেন এলাকায়। যে কারনে ভোটের মাঠে তার শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই আসনে বেশ কয়েকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যৌথভাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে তার নাম দুই নম্বরে থাকায় শেষ পর্যন্ত আবুল কালাম আজাদ নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জোরালো ভাবে মাঠে কাজ করেন নুর মোহাম্মদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।  

দীর্ঘদিন ধরে দুই উপজেলায় সামাজিক কর্মকান্ড করে আসছেন নূর মোহাম্মদ। দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার দুই শতাধিক মসজিদে মাইক প্রদান,৩৫ হাজার পরিবারের মাঝে স্যানেটারি ল্যাট্টিন বিতরণ, ১ হাজার নলকুপ বিতরণ, ১ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ,১০ লাখ ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ,আড়াই হাজার মন ধানবীজ বিতরণ,করোনা মহামারিতে গরীব অসহায়দের মাঝে এক কোটি টাকা অনুদান, ৫ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে আর্থিক সহায়তা,১ হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনার জন্য বৃত্তি প্রদান ও দুই হাজার মানুষকে বয়স্ক  ভাতা দিয়েছেন নুর মোহাম্মদ। যা এখনো চলমান আছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,এতিমখানা, মন্দির, গির্জা,মসজিদ, মাদ্রাসায় জমি দান,ভবন নির্মান করে দিয়েছেন তিনি। যে কারনে ভোটের মাঠে তার শক্ত একটা অবস্থান রয়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল তাকে মূল্যায়ন করে নৌকা দিবে এমনটাই প্রত্যাশা তার কর্মী সমর্থকদের। 

মনোনয়ন প্রত্যাশী নূর মোহাম্মদ বলেন,দীর্ঘদিন যাবত দল,দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পূনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী আমি। মনোনয়ন পেলে সবাইকে সাথে নিয়ে নৌকার জয় নিশ্চিত করে এই আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। সেই সাথে নদী ভাঙন দুই উপজেলার মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করতে পারবো। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় বলেন,এই আসন নৌকার দূর্ভেদ্য ঘাটিঁ। যেহেতু সব কিছুরই পরিবর্তন আছে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তন হওয়াটা সময়ের দাবি। এই দাবি এখন তৃনমুলের। এ আসনে জনপ্রিয় মুখ জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদের বিকল্প নেই। দল তাকে এবার সঠিক মূল্যায়ন করবে বলে আমরা আশাবাদী। জননেতা নুর মোহাম্মদ নৌকা পেলে জয়ের বন্দরে পৌছঁতে আমাদের বেশি বেগ পেতে হবে না। কারন দুই উপজেলার সাধারণ জনগন নুর মোহাম্মদের সাথে আছে।


আরও খবর



নওগাঁয় জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি'র ৫৭ নেতা-কর্মী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি'র ৫৭ জন নেতা-কর্মী।

নওগাঁর সদর, মহাদেবপুর ও নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এর মোট ৫৭ জন নেতা-কর্মী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় তারা নওগাঁ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। 

গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। নওগাঁ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জামিনে মুক্তি পাওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার ৩১ জন,  মহাদেবপুর উপজেলার ৫ জন ও নিয়ামতপুর উপজেলার ২১ জন রয়েছেন বলে জানাগেছে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশের পর ২৯ অক্টোবর নওগাঁর নেতা-কর্মীদের আটক করে ২৯ অক্টোবর দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য মামলায় ও মহাদেবপুর এর নেতা-কর্মীদের গত বছর ২২ নভেম্বর দায়ের করা নাশকতা মামলায় এবং নিয়ামতপুর এর নেতা-কর্মীদের অপর একটি নাশকাতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি রুলনিশি জারি করেন এবং রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের অন্তবর্তীকালিন জামিন মঞ্জুর করেন।


আরও খবর