Logo
শিরোনাম

বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার : (কাদেরিয়া তরিকা )

প্রকাশিত:রবিবার ০২ অক্টোবর 2০২2 | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, ও গবেষক :

কুতুবে রব্বানী গাউসে সামদানী বড়পীর হযরত সৈয়্যেদ মহিউদ্দীন আবু মুহাম্মদ আবদুল কাদির জিলানী রহ. এই তরিকার প্রবর্তক। হযরত বড় পীর রহ.-এর নামানুসারে তাঁহার উদ্ভাবিত ও প্রচারিত তরিকার নাম কাদেরিয়া তরিকা। রাসূলুল্লাহ সা. হইতে শুরু করিয়া তরিকাতে খেলাফত প্রাপ্ত চতুর্দশ পুরুষ হইলেন গাউসুল আজম হযরত বড়পীর আবদুল কাদির জিলানী রহ.।

কালেমা তাইয়্যেবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহযথা: লাম, আলিফ, আলিফ, লাম, হা, আলিফ, লাম, আলিফ, আলিফ, লাম, লাম, হা নোক্তা বিহীন এই বারোটি বর্ণের তালিম কাদেরিয়া তরিকার খাস তালিম। এই নোক্তা বিহীন বারোটি হরফের মধ্যে দুনিয়ার সমস্ত রহস্য লুকায়িত রহিয়াছে। এই বারোটি হরফই বিশ্ব জগতের মূল কারণ ও উৎস। তৌহিদের প্রকৃত রূপও এই কালেমা। নোক্তা শূন্য বর্ণ দিয়ে কেন কালেমার সৃষ্টি, তাহা গভীর রহস্যে নিমজ্জিত। এই কালেমাকে জানিলে, চিনিলে ও সঠিক ভাবে গবেষণা করিয়া পড়িলে তাহার নিকট সকল রহস্যের দ্বার উন্মোচিত হইয়া যায়। এই কালেমা বিশ্ব মহীরুহের মূল ও নূরে মুহাম্মদীর মূল উৎস। এই তালিম না পাওয়া পর্য্যন্ত কেহ কাদেরিয়া তরিকার সূফী-সাধক ও পীর হওয়ার যোগ্য হন না। যিনি এই কালেমার রহস্য জানেন - তিনি আরেফ বিল্লাহ ও অলিয়ে কামেল - এর মর্যাদায় আসীন হন। এই রূপ জ্ঞানী সম্পর্কেই বলা হইয়াছে:

مَن قَالَ لا الَهَ الا اللهُ مُخلِصاً دَخَلَ الجَنَّةَ

উচ্চারণ: মান কলা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিছান দাখালাল জান্নাতা।

অর্থ: যে তাহকিক (গবেষণা) করিয়া জীবনে একটি বারের জন্যও কালেমা পাঠ করিয়াছে, তাহার জন্য দোজখের আগুন হারাম।

এই কালেমা শরীফ প্রথমত: দুই ভাগে বিভক্ত। এর এক ভাগ ফানা ও এক ভাগ বাকা। ফানাকে নুজুল (অবরোহ) ও বাকাকে উরুজ (আরোহ)ও বলা হয়। কি ভাবে এই কালেমার শিক্ষা গ্রহণ করিতে হইবে, কালেমা সাবেত করিতে হইবে - তাহা সূফী-সাধক ও পীর-মোর্শেদগণ ব্যতীত সাধারণ শুষ্ক আলেমগণ (আরবী ভাষায় বিদ্বান) বলিতে পারেন না।

হযরত নবী করিম সা. এই কালেমার বিশেষ তালিম হযরত আলী রা.কে প্রদান করিয়াছিলেন। তিনি এই তালিম তাঁহার খলিফা হযরত হাসান বসরী রহ.-কে দান করেন। তাঁহার নিকট হইতে গাউসুল আজম হযরত আবদুল কাদির জিলানী রহ.- এর নিকট আসে। এই কালেমার রহস্য তাঁহার নিকট আসিবার পূর্ব পর্য্যন্ত ইহার তালিম সিনা-ব-সিনা আসিত। কিন্তু তিনি এই তালিমকে সু-বিন্যস্ত করিয়া লিখিত আকারে গুপ্ত ভাবে বিশেষ মুরিদানকে দান করেন। এতদ ব্যতীত এই তরিকার অন্যান্য পদ্ধতিও তিনি সু-সংবদ্ধ করেন।

তরিকার নিয়মানুসারে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে অজিফা পাঠ, বিশেষ দরূদ শরীফ, নফী-এসবাতের জিকির ও মোশাহাদা করিতে হয়। মুরিদের মনের অবস্থা ও পরিবেশ বা পারিপার্শ্বিকতা ভঙ্গ করিয়া জিক্রে জলী বা জিক্রে খফী উভয় প্রকার জিকির করিবার নিয়ম এই তরিকায় রহিয়াছে। কাদেরিয়া তরিকা ভুক্ত অনেক উপ-তরিকা রহিয়াছে। তন্মধ্যে প্রধান ও আদি নয়টি উপ-তরিকা রহিয়াছে, যথা: হাবিবিয়া, তারফুরিয়া, কারখিয়া, সকতিয়া, জুনায়দিয়া, গাজর দিদিনিয়া, তুরতুসিয়া, কারতুসিয়া ও সোহরাওয়ার্দিয়া। এই তরিকা ভুক্ত জুনায়েদিয়া উপ-তরিকা মতে সামারও প্রচলন রহিয়াছে।

আওলাদে রাসূল সা. হযরত বাবা ফতেহ আলী ওয়াইসী পাক রহ.-এর প্রিয়তম মুরিদ-খলিফা হযরত শাহ সূফী সৈয়্যেদ আহমদ আলী ওরফে জানশরীফ শাহ সুরেশ্বরী রহ. কাদেরিয়া তরিকা সম্পর্কে স্ব-রচিত র্সিরেহক্ক জামেনূরকিতাবে একটি ভিন্ন অধ্যায় রচনা করিয়াছেন। নিম্নে উহার অংশ বিশেষ তুলিয়া ধরা হইল:

কাদেরিয়া তরিকার সাধনা কোন লতিফার সহিত সম্পৃক্ত নহে। বরং খোদা প্রেমিকের যেই স্থানে আল্লাহ শব্দের প্রভাব পড়িবে, সেখানেই জিকির জারী হয়। সেইখান হইতে তাহা সমস্ত শরীরে শিহরিত হয়। অতঃপর সেখানে বিশেষ অবস্থা ও নূর সমূহ বিচ্ছুরিত হইবার পর তাজাল্লী বা আলোক প্রভার বিকিরণ এবং ঊর্ধ্ব জগতের ভ্রমণ সংঘটিত হয়। ফলে এমন আবেগের উত্থান এবং অবস্থার পর্য্যায়ক্রমিক উন্নতি সাধিত হয়, যাহা বলা বা লেখা যায় না।
মোর্শেদের তাওয়াজ্জুহ্ ব্যতীত সালেকের এই পথে সফল হওয়া খুবই কঠিন। যখনই এই সকল বিশেষ অবস্থার উন্নতি সাধিত হয়, তখনই মোর্শেদ তাহাকে নিজের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা বলে উন্নততর মনজিলে পৌঁছার পথ নির্দেশ করেন। প্রকৃত মকসুদে পৌছাইবার পথ বাতলাইয়া দেন। সালেক চলার পথে যখনই ধীরে ধীরে নূরানী জগতে অগ্রসর হয় এবং বিশাল বিশাল ভয়ানক সমুদ্র অতিক্রম করিবার পর জাতী তথা মূল নূরের প্রভাবে ফানার মাকামের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, তখনই মূল সত্তার দরিয়ায় ডুবিয়া যায়। সমুদ্রের মতো যাহার কিনারায় মূলের মূল, শাখার শাখা বিভিন্ন পর্য্যায়ে ওয়াহ্দাতুল ওজুদ বা অস্তিত্বের একত্বের অলি-গলিতে ঘুরিতে থাকে। ইহারই মধ্যে শাহে লা-তায়াইউন বা অসীম অমূর্ত বা নির্বস্তুক জগতের আবির্ভাব ঘটে, যাহার কূল-কিনারা নাই।


( চলবে...)


আরও খবর



উচ্চ সংঘাতপ্রবণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

সংঘাত, সহিংসতা, চরমপন্থার দিক থেকে এগিয়ে থাকা বিশ্বের ৫০ দেশের তালিকায় স্থান উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। তালিকায় ২২ তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। সংঘাতের মাত্রার দিক থেকে অতি উচ্চ, উচ্চ, অশান্ত নিম্ন এই চারটি ভাগে দেশগুলোর অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশকে দেখানো হয়েছে উচ্চ সংঘাতপূর্ণ দেশ হিসেবে। গত ১২ মাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

তালিকার ১ নম্বরে মিয়ানমার এবং ৫০ নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের নামও এই তালিকায় আছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট বা এসিএলইডি এই তালিকা তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতার তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে তারা। এবারের তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে ২৪০টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্যের ভিত্তিতে।

সহিংসতায় নিহতের ঘটনা, বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি, সহিংসতাপ্রবণ এলাকার বিস্তার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা এই চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এসিএলইডি তাদের বার্ষিক কনফ্লিক্ট ইনডেক্স তৈরি করেছে। এই চার মানদণ্ডে স্কোরের ভিত্তিতে তালিকার দেশগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

তালিকায় অতি উচ্চ বা চরম সংঘাতপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১০টি দেশকে। তালিকার ক্রম অনুসারে এগুলো হলো ১. মিয়ানমার, ২. সিরিয়া, ৩. মেক্সিকো, ৪. ইউক্রেন, ৫. নাইজেরিয়া, ৬. ব্রাজিল, ৭. ইয়েমেন, ৮. ইরাক, ৯. গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও ১০. কলম্বিয়া।

উচ্চমাত্রার সংঘাতপূর্ণ ২০টি দেশের তালিকায় আছে ১১. ফিলিস্তিন, ১২. হাইতি, ১৩. আফগানিস্তান, ১৪. বুরকিনা ফাসো, ১৫. মালি, ১৬. ভারত, ১৭. সুদান, ১৮. গুয়াতেমালা, ১৯. পাকিস্তান, ২০. হন্ডুরাস, ২১. সোমালিয়া, ২২. বাংলাদেশ, ২৩. কেনিয়া, ২৪. ক্যামেরুন, ২৫. ইথিওপিয়া, ২৬. জ্যামাইকা, ২৭. ভেনিজুয়েলা, ২৮. ফিলিপাইন, ২৯. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং ৩০. নাইজার।

অশান্ত বা নিম্ন সংঘাতপূর্ণ ২০টি দেশ ও অঞ্চলের তালিকায় আছে ৩১. দক্ষিণ সুদান, ৩২. তুরস্ক, ৩৩. পুয়ের্তো রিকো, ৩৪. মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ৩৫. বুরুন্ডি, ৩৬. উগান্ডা, ৩৭. মোজাম্বিক, ৩৮. দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩৯. রাশিয়া, ৪০. লেবানন, ৪১. স্বোয়াতিনি, ৪২. ইন্দোনেশিয়া. ৪৩. ইসরায়েল, ৪৪. ইরান, ৪৫. বেনিন, ৪৬. ইকুয়েডর, ৪৭. চাদ, ৪৮. ঘানা, ৪৯. লিবিয়া, ৫০. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এই দেশগুলোর বাইরে অন্যান্য দেশ নিম্ন সংঘাতপূর্ণ এলাকা।

এসিএলইডি বলছে, এ বছর পুরো বিশ্বে সহিংস ঘটনা আগের বছরের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। এসব ঘটনায় ১ লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। ১৬৭টি দেশে গত এক বছরে একটি হলেও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর



রাণীনগরে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহিন মনোয়ারার মতবিনিময়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৬,(আত্রাই-রাণীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি ও নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শাহিন মনোয়ারা হক সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। রোববার সন্ধায় রাণীনগর প্রেস ক্লাবে এই মতবিনিময় করেন তিনি।

মতবিনিময়কালে শাহিন মনোয়ারা হক বলেন,১৯৯৬ইং সালে নওগাঁ-নাটোর সংরক্ষিত আসনে এমপি ছিলাম। এর পর নওগাঁ-জয়পুরহাট সংরক্ষিত আসনে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। সে সময় এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট অগ্রনি ভূমিকা রেখেছি।আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৬,(আত্রাই-রাণীনগর)আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। যেহেতু আমি একাধিকবার সংরক্ষিত আসনে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি সেহেতু আসা করছি আগামী নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ দিবেন।তিনি বলেন,রাণীনগর এলাকা আমার জন্মস্থান। আমার এই এলাকার জনমানুষের সাথে নিবির সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন,এলাকার মানুষের সাথে আমার যে নিবির সর্ম্পক এবং ভালবাসা জড়িয়ে আছে তাতে এই আসনে আমাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারবো। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে এবং দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান। তিনি সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। 


আরও খবর



কাজ শেষ, উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। টানেলটি এখন যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, ‘এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী অক্টোবরে টানেলটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরে টানেলটি খুলে দেওয়া হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ১৪ আগস্ট জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, টানেলটি চট্টগ্রাম বন্দরকে সরাসরি আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা ছাড়াও সরাসরি কক্সবাজারকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

৩৫ ফুট প্রস্থ এবং ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ভারী যানবাহন সহজেই টানেলের মধ্য দিয়ে চলতে পারে।

টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার। যার সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের অ্যাপ্রোচ রোডের পাশাপাশি ৭৪০ মিটারের একটি সেতু রয়েছে, যা মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে টানেলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে। এই টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে বলে প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে।

১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ হারে সুদে ৫,৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।


আরও খবর



আবারও আদার কেজি ৪৫০

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : আদার বাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ৫০ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। পাশাপাশি সাত দিনে আরেক দফা দাম বেড়েছে পাম অয়েল, পেঁয়াজ, আলু ও হলুদের। এতে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি আমদানি করা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৮০, যা আগে ২৫০ টাকা ছিল। প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৪০, যা সপ্তাহখানেক আগে ১৩০ টাকা ছিল।

এছাড়া খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০, যা সাত দিন আগেও ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে মে মাসে আদার দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে একশ্রেণির অসাধু বিক্রেতা সিন্ডিকেট। সেসময় খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি আদা সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। সেসময় মসলার বাজারে অস্থিরতা কমাতে ২৮ মে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করেন।

সভায় জানানো হয়, প্রতি কেজি আদার আমদানি মূল্য ১২৯-১৩০ টাকা। কিন্তু রাজধানীর সর্ববৃহৎ আড়ত শ্যামবাজারে ২৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। ওই সময়ে আদার দাম বাড়ানোর পেছনে শ্যামবাজারের আড়তদারদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিজেই অসাধুদের চিহ্নিত করেন। কিন্তু ওই সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নিত্যপণ্য কিনতে আসা জুবায়ের হাসান বলেন, কয়েকদিন পরপর আদার দাম বাড়ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বাজারে আদার কোনো সংকট নেই। পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম আবার হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে। আগে বাজারে তদারকি সংস্থার উপস্থিতি দেখলেও এখন তা বেশি একটা লক্ষ করা যাচ্ছে না। এ সুযোগে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। আমাদের মতো ক্রেতাদের বাড়তি খরচের বোঝা বইতে হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রতিদিনই বাজারে পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যেসব পণ্যের দাম বেশি, সেসব পণ্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অধিদপ্তরে তলব করে সভা করা হচ্ছে। অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, হ্রাস পাবে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর