সকালেই ঝুম বৃষ্টিতে ভিজছে ঢাকা। এতে কমে এসে গত কয়েকদিনের
তাপপ্রবাহের প্রভাব। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিনভর থেমে
থেমে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে সাগরে সৃষ্টি হওয়া
লঘুচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন (৩) নম্বর
এবং নদীবন্দরে এক (১) নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকালের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে স্বস্তি এলেও
ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেকেই আজ বাসা
থেকে বের হতেই বিপদে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে যানবাহন সংকট, রিকশা
ভাড়া বেশিসহ নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেককেই। অনেককেই ভিজে ভিজে অফিসে যেতে
দেখা গেছে।
আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী,
টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর,
কুষ্টিয়া, খুলনা, ঢাকা,
ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী,
নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম,
কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব
দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ
বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক (১) নম্বর সতর্ক
সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর
প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম,
ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট,
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা
থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯
মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি
এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই
বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সারা দিন থেমে থেমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই বৃষ্টি হতে পারে।
আগামীকালও এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি বলেন, এরপর
বৃষ্টি কমলে তাপমাত্রা আগের মতো আর বাড়বে না।
আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর
বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত
রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র
বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা
ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন (৩) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুল্ককে পরবর্তী
নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।