Logo
শিরোনাম

বিদেশ যেতে করোনা পরীক্ষা আর কতদিন !

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

রোকসানা মনোয়ার ঃ

বাংলাদেশে প্রবেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ দেখানোর নিয়ম বাতিল করার বিষয়ে খুব শিগগিরই বৈঠকে বসতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিভিল এভিয়েশন। সূত্র জানিয়েছে, এতদিন বাংলাদেশে ঢুকতে ও বের হতে করোনার আরটিপিসিআর নেগেটিভ সনদ প্রয়োজন হতো। যেহেতু এখন করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে তাই সনদ দেখানোর নিয়ম বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন না থাকায় এখন পর্যন্ত যেকোনো দেশ থেকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ আরটিপিসিআর টেস্ট সনদ যাত্রীদের কাছে থাকতে হয়। তবে কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে করোনা টেস্ট ছাড়াই বাংলাদেশে বিমান চলাচল শুরু করেছে। তাই এখন আরটিপিসিআর টেস্ট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের দিকে হাঁটছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিভিল এভিয়েশন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব দেশে করোনা শনাক্ত কম বা করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে সেসব দেশের সঙ্গে বিনা আরটিপিসিআর টেস্টে যাতায়াত শুরু করতে পারে বাংলাদেশ। তবে যেসব দেশে করোনা এখনো নিয়ন্ত্রণে নেই তাদের সঙ্গে চলাচলে আরটিপিসিআর টেস্ট নিয়ম বহাল রাখতে হবে।

ইউরোপ-আমেরিকা, জার্মানি ও ইতালিসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এখনো ঢুকতে বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্ট করতে হয়। এমনকি এসব দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে সাবধানতা ও নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে। কোন কোন দেশে নাগরিকরা ভ্রমণ করতে পারবেন তারও একটি তালিকা দেওয়া আছে অনেক দেশে। করোনার যে পরিস্থিতি তাতে এই সব দেশের চেয়ে বাংলাদেশে ভয়াবহতা অনেক কম। বিশ্বে এখনো প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। আর বাংলাদেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা কমছে।

থাইল্যান্ডে এখন পর্যটন ভিসা উন্মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই দেশটিতে ৪৮ ঘণ্টার কোভিড টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে যাওয়ার পর আবার টেস্ট করতে হয়। এরপর পাঁচ দিনের মাথায় আবারও টেস্ট করতে হয়। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে করোনা টেস্টের বিষয়টি তুলে নিয়েছে। মালদ্বীপে প্রাপ্তবয়স্ক যারা করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছে তাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি টিকা নিয়ে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনা টেস্ট ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে। সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, যারা বাংলাদেশের বাইরে যেতে চান তাদেরও করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করার দরকার নেই।

সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, যাদের দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া আছে তাদের দেশে আসার ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর টেস্টে না রাখলেও চলবে। তবে যারা দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেননি তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট অবশ্যই করাতে হবে। আর যেসব দেশে করোনা টেস্ট তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর টেস্ট তুলে দিতে পারে বাংলাদেশ। তবে যেসব দেশে এখনো আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক সেসব দেশে ঢুকতে ও সেসব দেশ থেকে আসতে আরটি পিসিআর টেস্ট নিয়ম রাখা যেতে পারে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বলেন, 'পৃথিবীতে আমরা আকাশপথে যে যাতায়াত করি ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে, এগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। একটা নিয়মের মধ্যে থাকা দরকার তাই এগুলো করা হয়। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যে আপনি আক্রান্ত হবেন না এমন কোনো নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেন না।'

তিনি বলেন, অনেক দেশ করোনা আরটিপিসিআর টেস্ট তুলে নিয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গে এমন কিছু নিয়ম যুক্ত করে দিয়েছে যা আরও ঝামেলা বাড়িয়েছে। সে সব দেশে সংশ্লিষ্ট বিভাগে গিয়ে প্রতিদিন দেখা করতে হয়। চার দিন পাঁচ দিন পর টেস্ট করতে হয়। এসব ঝামেলার চেয়ে আরটিপিসিআর টেস্টের নিয়ম থাকাই ভালো। এতে ঝামেলা কম।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন। এখানে করোনার সংক্রমণ কমছে। এমনকি ইউরোপ-আমেরিকার চেয়েও অনেক ভালো আছে। যেহেতু এখানে সংক্রমণ কমতির দিকে আছে আরও কিছুদিন পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কর্তৃপক্ষ। এখন সংক্রমণ আটের নিচে। এটি এক বা দুই শতাংশে নেমে গেলে বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের বিষয়ে ও বাইরে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, 'আকাশপথে ও বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে যারা বাংলাদেশে আসছেন তাদের এখনো করোনার আরটিপিসিআর নেগিটিভ সার্টিফিকেট লাগছে। এটা এখনই উইথড্রো করার সুযোগ আমাদের হাতে নেই। কারণ সংক্রমণ কিন্তু এখনো হাতের নাগালে আসেনি। তাই আমরা একটু দেরি করতে চাইছি। করোনার সংক্রমণ পাঁচের নিচে বেশ কয়েকদিন ধরেই আছে। করোনা টেস্ট উইথড্রো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।'

তিনি আরও বলেন, ইউরোপ-আমেরিকা বা উন্নত অনেক রাষ্ট্রের চাইতে আমরা অনেক ভালো আছি। তাদের দেশে এখনো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। আক্রান্তের সংখ্যাও অনেক বেশি। সেই অনুপাতে আমাদের দেশে সংক্রমণ ও মৃতু্য অনেক কম। তাই আমরাও চিন্তা করছি বিদেশে যাতায়াতে করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট বন্ধ করার কথা। কিন্তু সেটি এখনই নয়। আরও কিছু দিন পর। আগামী সপ্তাহে সবার সঙ্গে আমরা বৈঠক করব। বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত।'

সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোফিদুর রহমান বলেন, 'আমরা চাইলেই সবার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া শুরু করতে পারি না। এজন্য অনেক কিছু বোঝার ও দেখার আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনও আমাদের ফলো করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আমাদের বৈঠক করতে হবে। তাদের ওপর সব কিছু নির্ভর করে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দেশে এখন যারা আসতে চান তাদের মধ্যে দশ বছরের নিচের বাচ্চাদের কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট লাগে না। কিন্তু আমাদের দেশ থেকে আমেরিকা গেলে দুই বছরের ওপরের বাচ্চাদেরও কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হয়। তাই কোন দেশ কীভাবে চায় সেটাও দেখার বিষয় আছে। আমরা যে দেশ যেভাবে চায়, তাদের সঙ্গে সেভাবেই কাজ করব। ইচ্ছা করলেই আমাদের মতো করে সব কিছু চালানো যাবে না।'

সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'আমরা চাইলে এখন ফ্লাইটও বাড়াতে পারি। কিন্তু তা এখন করছি না স্বাস্থ্য বিধির কারণে। এমনিতেই আমাদের মধ্যপ্রাচ্য ফ্লাইটের কারণে অনেক যাত্রী হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণরূপে মানার জন্য আমরা ফ্লাইট বাড়াচ্ছি না। যেহেতু মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমাদের রেমিট্যান্স আসে তাই আমরা তাদের সঙ্গে আকাশপথ একটু বেশি উন্মুক্ত রেখেছি।'

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল জামিল ফয়সাল বলেন, 'বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের দেশে আগমনের ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে তা খুবই ভালো। এভাবে আর কতদিন। তাছাড়া সবাই কম-বেশি করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে আমাদেরও তাল মিলিয়ে চলতে হবে। না হলে আমরা অনেকখানি পিছিয়ে যাব। তাই বিশ্বের সবাই যা করবে আমাদেরও তাই করতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'যেভাবে সংক্রমণ কমছে ও মৃতু্য কমে গিয়েছে তাতে আমরা ভালো দিকে যাচ্ছি। আমাদের সংক্রমণের হার পাঁচের নিচে আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবে। তাই সবার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আরও স্মুথ করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে দেশে করোনার প্রকোপ বেশি তাদের সঙ্গে আমাদের সতর্কভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।


আরও খবর



রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম সংশোধনের জন্য আপিল বিভাগে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করেছে বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এ আবেদন করেন।

এ সময় তিনি আপিল বিভাগকে বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত শুনানি হওয়া উচিত। কারণ, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিকমতো হয়নি। পরে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের এ মামলা শুনানি করতে ১৬ জানুয়ারির কার্যতালিকায় যুক্ত করতে বলেন।

এর আগে, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ, যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর।

সেই রায়ে বলা হয়, ১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে।

২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত হবেন। জুডিশিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ জেলা জজ। অন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সচিবরা রয়েছেন।

৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ১৭ নম্বরে।

রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়।

প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।


আরও খবর

ঢালাও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেছেন ৫ আগস্টে পাওয়া নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে তরুণদের পজেটিভ ভূমিকার কোন বিকল্প নেই। আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ এর ধারক ও বাহক। তাই তরুণদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে পরিবারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকা অনেক। একজন তরুণকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সমাজের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তরুণ বয়সটি খুবই সাংঘাতিক সময়। এই বয়সে যদি ভুল করে কারোও পা পিছলে যায় তাহলে সেই তরুণকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা খুবই কষ্টসাধ্য। তাই তরুণ বয়সে যেন কোন ভাবেই কারো পাল্লায় পড়ে নিজেকে নষ্ট করা না হয় সেই বিষয়ে নিজেদের প্রতি খেয়াল রাখতে এবং গুরুজনসহ বড়দের প্রদান করা আদেশ-নিষেধগুলো মেনে চলতে তরুণদের প্রতি আহব্বান জানান নওগাঁ জেলা প্রশাসক। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষে নওগাঁয় শুরু হওয়া তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে একথাগুলো বলেন তিনি। সোমবার নওগাঁ সার্কিট হাউজ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁর নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার, বিপিএম।

এরপর বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমীর উদ্যোগে নওগাঁ শহরে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যানের মধ্যে আলোচনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা, রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ, নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসানুর রহমান, মৌসুমী'র মনিটরিং অফিসার আব্দুর রউফ পাভেল প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের অনুপ্রেরনায় উজ্জিবিত হয়ে আগামী বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে পজেটিভ ভাবনা নিয়ে তরুণদের অংশ গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত জেলা জুড়ে জুলাই বিপ্লবের চিত্র প্রদর্শনী, ক্রীড়া ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সফল ও গুনিজন সংবর্ধনা, দুর্নীতি বিরোধী ও পরিবেশ বিষয়ক সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে চার কমিশন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা এসব প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রতিবেদন জমা দেওয়া কমিশনগুলো হলো- ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

এসব কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি মাসেই এ আলোচনা শুরু হতে পারে। সংস্কার প্রস্তাব এবং এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য হলে সংলাপ থেকে একটি রূপরেখা আসতে পারে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে,এক নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করার সময়, ভুক্তভোগী ওই নারী নিজের সম্ভ্রম রক্ষার্থে হাতে বেকি (হাসুয়া) নেয়। পরে ধর্ষণকারীর দুই পায়ের হাঁটুর নিচে বেকির আঘাত লেগে আহত হয়ে পালানোর সময় ভুক্তভোগী নারীর আত্মচিৎকারে তার ছেলে ও ছেলে বৌ সহ আশেপাশের লোকজন উঠে এসে মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান (৫০) কে আটক করে। পরবর্তীতে তারা জরুরী সেবা পেতে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। পরে স্থানীয় আদম আলীর সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করান।


শুক্রবার ২৭ (ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ি ঝাউকুটি গ্রামে এঘটনাটি ঘটেছে।এর প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে মাছ ব্যবসায়ী লুৎফরের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী শুক্রবার বাড়িতে না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী রাতের অন্ধকারে চুপিসারে তার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী নিজের সম্ভ্রম রক্ষার্থে মাছ ব্যবসায়ী কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বেড়ায় গোঁজানো থাকা বেকি (হাসুয়া) হাতে নিলে আবার ও তাকে ধরতে আসলে হাতে থাকা বেকির আঘাতে তার দুই পায়ের হাঁটুর নিচে লেগে জখম হয়। পরে তার আত্নচীৎকারে ছেলে ও ছেলে বৌ সহ প্রতিবেশী কাদের আলী জাহাঙ্গীর আলম সহ লোকজন উঠে এসে মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান কে আটক করে। পরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লুৎফর কে উদ্ধার করে স্থানীয় আদম আলী নামের একজনের সহযোগিতায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করান। এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী তার পরিবার সহ স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী চরিত্র হীন লুৎফর রহমান (৫০) এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।


এব্যাপারে অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল ফোনে কল করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।


সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত লুৎফর রহমান দুই বছর আগেও ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। এখন তার বয়স হয়েছে সে তিন সন্তানের জনক ছেলে মেয়ে নাতি নাতনি থাকতে, এতকিছুর পরেও এই বয়সে মানুষ কিভাবে এমন জঘন্য কাজে জড়ান এটা আমার বোধগম্য নয়। লুৎফর রহমান ফুলবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শুনেছি ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় অভিযোগ করেছেন। আশাকরছি এবারে একটা ন্যায় বিচার পাবেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান,এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে,সেটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।


আরও খবর



একই ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

একই ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারার সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদে কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি থাকতে না পারা, স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী (ক) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করা।

(খ) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দুবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের অযোগ্য করা।

(গ) একই ব্যক্তি একইসঙ্গে যাতে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারেন তার বিধান করা। এবং দ্বৈত প্রতিনিধিত্বের সুযোগ বন্ধ হয়।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (ক) দল-নিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা।

(খ) জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা। কার্যকর সংসদের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংসদ সদস্যদের প্রত্যাহারের (রিকল) বিধান করা।

সংসদ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা (ক) সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি, আবাসিক প্লট, সব ধরনের প্রটোকল ও ভাতা পর্যালোচনা ও সংশোধন করা।

(খ) একটি সংসদ সদস্য আচরণ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের বাৎসরিকভাবে সম্পদের হিসাব দেওয়া এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়সমূহ ঘোষণা করা।

(গ) সংবিধান লঙ্ঘন করে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় উন্নয়নে জড়িত থাকার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আনোয়ার হোসেন বনাম বাংলাদেশ মামলার রায় কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা এবং ভবিষ্যতে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারণ করা।

(ঘ) সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রটোকলের অবসান করা।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ/গণমাধ্যম

(ক) নিশ্চল (স্টেশনারি) পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া, যাতে পর্যবেক্ষকরা সারাদিন কেন্দ্রে থাকতে পারে, কিন্তু ভোটকক্ষে সার্বক্ষণিকভাবে নয়।

(খ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে প্রাক-নির্বাচনকালীন পর্যবেক্ষণের অফিসিয়াল অনুমতি দেওয়া।

(গ) পক্ষপাতদুষ্ট ভুয়া পর্যবেক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা।

(ঘ) ব্যক্তি পর্যায়ে পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিধান চালু করা।

(ঙ) পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ভবিষ্যতে নির্বাচন ভালো করার জন্য কাজে লাগানোর বিধান করা।

(চ) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার জন্য সুস্পষ্ট করা। সরকারের পরিবর্তে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

(ছ) নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিকদেরকে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ, দিনে মোটরসাইকেল ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করা।

নির্বাচনী আচরণবিধি

(ক) ব্যানার, তোরণ ও পোস্টারের পরিবর্তে লিফলেট, ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখি অনুষ্ঠান, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও সরকারি গণমাধ্যমে প্রচারের সম-সুযোগ দেওয়ার বিধান করা।

(খ) সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার বিধান করা।

(গ) ১৯৯০ সালের তিন জোটের রূপরেখার মতো রাজনৈতিক দলের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করা।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।


আরও খবর