Logo
শিরোনাম

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় প্রশিক্ষিত আনসার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশের এসকর্ট সুবিধা গত ১৪ মে প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। পুলিশের পরিবর্তে তাদের নিরাপত্তায় প্রস্তুত করা হয়েছে আনসারের বিশেষ প্রশিক্ষিত জনবল। তবে এসব আনসার সদস্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিতে গেলে অর্থ খরচ করতে হবে কূটনীতিকদের। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি আনসার সদস্যকে ৩০০ ডলার করে দিতে হবে।

আগে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হতো না বিদেশি কূটনীতিকদের। মূলত সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিনামূল্যে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হতো। তবে গত ১৪ মে বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় সরকার পুলিশের এসকর্ট সুবিধা তুলে নেওয়ায় এখন থেকে অর্থ খরচ করে নিরাপত্তা নিতে হবে তাদের।

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের কাছ থেকে গাড়ি নিলে জ্বালানি খরচ ছাড়াও সঙ্গে দিতে হবে আরো এক হাজার ডলার। এছাড়া অন্য কোনো লজিস্টিক সাপোর্ট লাগলে তাও বহন করতে হবে ওই দূতাবাসকেই।

গত ১৭ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কূটনীতিকদের আনসার বাহিনী কীভাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেবে, সেটি চূড়ান্ত হয়েছে। নোট ভার্বালের (কূটনৈতিক পত্র) মাধ্যমে দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আনসার বাহিনীর সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দূতাবাসগুলোতে কূটনৈতিকপত্র পৌঁছে গেছে। পত্রে এসকর্ট সুবিধা পেতে হলে যোগাযোগের জন্য পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ডিরেক্টরের (অপস) ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি কোনো বিদেশি কূটনীতিক।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দূতাবাসে ছয় বছর নিরাপত্তায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি)। পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত লোকবল সরবরাহের সক্ষমতাও রয়েছে বাহিনীটির।

১৭ মে বৈঠক শেষে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বলেন, কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আছে আনসার বাহিনী। তবে এখন পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থিত কোনো বিদেশি দূতাবাস থেকে কূটনীতিক নিরাপত্তার জন্য আনসারের এসকর্ট সুবিধা পেতে আনুষ্ঠানিক আগ্রহ দেখানো হয়নি, এমনকি জানানো হয়নি লিখিত চাহিদাও।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আনসার সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন-এজিবি ইউনিট গঠন করা হয়। গঠন করা হবে আরো একটি ব্যাটালিয়ন, সে প্রক্রিয়া চলছে।

আনসার সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একজন পরিচালকের নেতৃত্বে আটজন কর্মকর্তা ও ৪১৬ জন আনসার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত এজিবি। এজিবির মতো প্রশিক্ষিত জনবলে রয়েছেন আরো তিন হাজার সদস্য। কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় এজিবিকে ব্যবহার কিংবা প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের নিয়ে আলাদা ব্যাটালিয়নও গড়া যেতে পারে। এতে পোশাকসহ কাঠামোগত পরিবর্তনও প্রয়োজন হবে না।

আনসার সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের (এজিবি) সদস্যদের দেশে-বিদেশে কুইক রেসপন্স ট্রেনিং (কিউআরটি), স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল ট্রেনিং (এসটিটি), স্পেশাল প্রটেকশন ট্রেনিং ও বিশেষ অস্ত্র চালনার ট্রেনিংও রয়েছে। আনসারের কর্মকর্তারা এসএসএফ ও র‌্যাব, সচিবালয়, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিজিএফআই) এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে প্রেষণে কর্মরত থেকে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।

বুধবার (২৪ মে) সকালে আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক (অপারেশনস) সৈয়দ ইফতেহার আলী বলেন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আমাদের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

 


আরও খবর



সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সারাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

১৩ মে বিআইডব্লিউটিএ'র বরাত দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সকাল (১৩ মে) ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

 


আরও খবর



কেনা হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কর্মযজ্ঞ শুরু হলো নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বেজে উঠল নির্বাচনী দামামা। এবারই প্রথম সরঞ্জাম কেনায় অনুসরণ করা হলো ডিজিটাল পদ্ধতি। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) পদ্ধতিতে উন্মুক্ত করা হলো দরপত্র। আগ্রহীদের ইসির সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টেন্ডার সাবমিট করতে হবে। এ তথ্য ইসির হাই অফিসিয়াল সূত্রের।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে। তবে আলোচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবার সংসদ নির্বাচন হবে না। তিনশ সংসদীয় আসনে ভোট হবে কাগজে মুদ্রিত ব্যালট পেপারে। ইতোমধ্যে কমিশন সরকারি প্রতিষ্ঠান বিজি প্রেসকে কাগজ কিনে ব্যালট ছাপার নির্দেশনা দিয়েছে। আসনওয়ারি ভোটার অনুপাতে ব্যালট ছাপা হবে।

এসব কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে যথাসময়ে নির্বাচন না হওয়া নিয়ে যে গুজব ও ধূম্রজাল তৈরি হয়েছিল, তার অবসান ঘটল। এছাড়া আগাম নির্বাচন করারও যে গুঞ্জন ছিল তা-ও দূর হলো। কারণ আগামী নির্বাচন করতে হলে সংসদ ভেঙে নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। দেশে সে ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি নেই। ফলে আগামী নির্বাচনের ইস্যুটিও নিছক গুজবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকল।

এদিকে, নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটায় এবার কমানো হয়েছে সময়ও। আগে সরঞ্জাম কেনায় আড়াই মাস অর্থাৎ ৭৫ দিন নির্ধারণ করে দরপত্র আহ্বান করা হলেও এবার পনেরো দিন কমিয়ে ৬০ দিন করা হয়েছে। আর স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স নয়, এবার অর্ধ-স্বচ্ছ অর্থাৎ ট্রান্স-লুসেন ব্যালট বাক্স কেনা হচ্ছে। আগে কেনা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটারের গোপনীয়তা রক্ষা না হওয়ায় সেগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। অর্ধ-স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটার ভোট দিলেও কোন প্রতীকে ভোট পড়েছে তা বাইরে থেকে দেখে বোঝা যাবে না বলে ধারণা করছে কমিশন। মূলত সরঞ্জাম কেনায় দীর্ঘসূত্রতা কমানো, নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহে দরদাতাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং স্বচ্ছতার নিমিত্তে এই পথে পা বাড়ালো ইসি।

এদিকে, আসন্ন বাজেটে নির্বাচন উপলক্ষে বড় বাজেট ধরা হয়েছে এবার। সরঞ্জাম কেনাকাটায় ব্যয় নির্ধারিত না হলেও দরপত্রের চাহিদার আলোকে ব্যয় নির্বাহ হবে। কারণ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরাদ্দ ধরা খাতওয়ারি হিসাব থেকে এই ব্যয় মেটানো হবে। জানতে চাইলে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে ব্যবহৃত মালামাল কেনায় ই-জিপি পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এর আগে কখনো এ পদ্ধতি অনুসরণ হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) আমরা দরপত্র উন্মুক্ত করেছি। এবার ১০ ধরনের সামগ্রী কেনা হবে। ব্যয় নির্বাহ হবে আগামী বাজেটে বরাদ্দ থেকে।

প্রেষণে ইসিতে কর্মরত প্রশাসন সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, আমরা ট্রান্স-লুসেন ব্যালট বাক্স কিনছি। আমাদের হাতে জমা প্রায় পৌনে দুই লাখ বাক্স রয়েছে। এগুলো সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত। তারপরেও দেশীয় দুটি কোম্পানি বেঙ্গলআরএফএলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। তাদের নমুনাও সরবরাহ করা হয়েছে। এগুলো আমদানি করা হতো বেলজিয়াম এবং অন্য একটি দেশ থেকে। আর ব্যালট পেপার ছাপার জন্য বিজি প্রেসকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ সরবরাহ করবে সেটা তাদের বিষয়। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যালট পেপার যথাসময়ে পাওয়াটা জরুরি।

ইসির সংশ্লিষ্ট শাখা ও প্রাপ্ত সূত্রমতে, নির্বাচনের যে দশ ধরনের সামগ্রী কেনা হবে তার মধ্যে প্রতিটি ব্যালট বাক্সের জন্য পাঁচটি করে মোট ১৫ লাখ ব্যালট বাক্সের লক, ২০ হাজার কেজি গালা, ৫০ হাজারের মতো চটের বস্তা, ৪ লাখ স্ট্যাম্প প্যাড, ৮ লাখের মতো অমোচনীয় কালির কলম, ৪০ হাজারের মতো ঘানি ব্যাগ, এক লাখের মতো ব্রাশ সিল, সম-পরিমাণ অফিসিয়াল সিল এবং ৭ লাখের মতো মার্কিন সিল কেনার জন্য ই- টেন্ডার আহ্বান করা হয়।

একই দরপত্রে বড় পরিসরের দুটি (জাতীয় সংসদ ও উপজেলা) নির্বাচনের সামগ্রীও কেনা হবে। কারণ সংসদ নির্বাচনের পর মাত্র ছয় মাসের মধ্যে হয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আলাদা দরপত্রের ঝামেলা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দুটি নির্বাচনের জন্য দশ ধরনের সামগ্রী কেনা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- ব্যালট বাক্সের লক (তালা), গালা, চটের বস্তা, স্ট্যাম্প প্যাড, অমোচনীয় কালির কলম, ঘানি ব্যাগ, ব্রাশ সিল, অফিসিয়াল সিল ও মার্কিং সিল।

ইসির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিজি প্রেসকে ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য ব্যালট মুদ্রণের নির্দেশনা দেওয়ার মধ্য দিয়ে আলোচিত ইভিএম পর্ব শেষ হয়েছে। কারণ ইভিএমে নির্বাচন না করার ঘোষণার মধ্যেই থাকল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।


আরও খবর



অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ইইউ : রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ করার কোনো ইচ্ছা নেই।

মঙ্গলবার (৯ মে) বিকালে নগরীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় দিবস উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ইইউ বাংলাদেশে কোনো সহিংসতা ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, কারণ সব বাংলাদেশিও তাই দেখতে চায়।

তিনি বলেন, আমরা এখানে (বাংলাদেশ) অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ করতে আসিনি। আমরা পরিস্থিতি বোঝার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের কথা শুনতে এসেছি।

ইইউ'র অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরাও ব্রিফিংয়ে যোগ দেন। হোয়াইটলি বলেন, ইইউ জুলাই মাসে একটি অনুসন্ধানমূলক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠাবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে লিখিত আমন্ত্রণ পেয়েছি।

আসন্ন বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইউরোপীয় কমিশনের হাইকমান্ড।

সূত্র : বাসস।


আরও খবর



গাজীপুর বাসীর নগরমাতা হলেন জায়েদা খাতুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাজীপুরবাসী নগরমাতা হিসেবে পেয়েছেন তাদের সাবেক মেয়র এর মা জায়েদা খাতুন কে।

গত ২০১৩ ইং সালে যাত্রা শুরু করা দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন এর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ইতিপূর্বে মেয়রের মা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জায়েদা খাতুন। 

১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে তিনি হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।

মোট ৪শ' ৮০ টি কেন্দ্রে এর ফলাফলে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯শ' ৩৪ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭শ' ৩৭ ভোট।

বিগত প্রথম বার ২০১৩ ইং সালের নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী এম. এ মান্নান এর কাছে হেরেছিলেন আজমত। বলা যায় এবারের হারে গাজীপুরে তাঁর রাজনীতির পথ অনেকটাই সংকুচিত হলো।

বে-সরকারি ভাবে ফল ঘোষণার পর পরই সেখানে উপস্থিত গাজীপুরের সাবেক মেয়র, আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, এ জয় গাজীপুর বাসী তথা গাজীপুর এর মানুষের।

নির্বাচনটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কারণে ধারণা ছিলো ভোট গ্রহণের পর ঘন্টা দুয়েক এর মধ্যেই হয়তো ফলাফল ঘোষণা হয়ে হবে। ঘোষণা করতে সেই সময় গিয়ে ঠেকল রাত দেড় টায়। রাত সোয়া একটার কিছু পরেই ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্য সবগুলোর  ফলাফল ঘোষণা করেন জিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলাম। এ সময় বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছাড়া আর কোনো মেয়র প্রার্থী বা তাদের সমন্বয়কদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। 


এ সময় পুলিশের উপ-কমিশনার ইব্রাহীম খান বলেন, ফল ঘোষণার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো মিছিল এবং স্লোগান দেওয়া যাবে না। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা যেভাবে ভোট দিয়েছেন। ফলাফল হয়েছে সবাই মেনে নিয়ে সংযত থাকবেন।

২০১৮ ইং সালে নৌকা প্রতীকে গাজীপুর এর নগর পিতা নির্বাচিত হোন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি'র অভিযোগে মেয়াদ পূর্তির পূবেই পদ হারাতে হয় তাকে। দল থেকে সাময়িক বরখাস্তও হোন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পর হোন স্থায়ী বহিষ্কার। কিন্তু নিজের বয়স্ক মাকে নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। মায়ের পক্ষে ভোট চাইতে দিন-রাত ছুটেছেন গাজীপুরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ২৫ মে' এর নির্বাচন এর ফলাফল নিজেই বলে দিল অনেক প্রশ্নের উত্তর। অবশেষে গাজীপুরবাসী পেলেন নগর মাতাকে।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সংবাদ বর্জন করলেন সাংবাদিকরা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ২৭১জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উৎসব অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অসম্মান করায় অনুষ্ঠান বর্জন সহ অনির্দিষ্টকালের জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকান্ড ও সংবাদ বর্জন ঘোষনা করেছেন সংবাদকর্মীরা। সোমবার দিবারাত সাড়ে ৯টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক জরুরী সভায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। 

জানা যায়, গত রবিবার ৮মে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকীর ৩দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও নওগাঁ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবার মূল অনুষ্ঠান ছিল সেখানে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে,এম খালিদ। এই অনুষ্ঠানের সংবাদ কভারের জন্য সংবাদকর্মীরা সেখানে গেলে তাদের বসার কোন নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। শেষ পর্যন্ত তারা বাধ্য হয়ে নিচে বসে পড়েই পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চলে আসেন। এ নিয়ে জেলা ও উপজেলা সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 

শুধু সাংবাদিকরাই নয় জেলার আত্রাই ও রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষকদের জন্যও অনুষ্ঠানস্থলে নির্দিষ্ট কোন বসার ব্যবস্থা না করায় জাতিগঠনের কারিগররাসহ অন্যান্য সুধী ব্যক্তিরা এলোমোলো ভাবে হ য ব র ল অবস্থায় অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। এতে করে এই দুই উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিক্ষকদের মাঝেও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি ঘিরে এবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনটি স্মরনকালের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ছিলো বলে মন্তব্য করেছে অনুষ্ঠানে আগত অধিকাংশ দর্শকরা।  

নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক কায়েস উদ্দিন বলেন, রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তীর মতো এমন জাতীয় আয়োজনে সাংবাদিকদের জন্য কোন নির্দিষ্ট আসনের ব্যবস্থা না থাকা খুবই দুঃখজনক। প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারাই সামনের সারিতে বসে ছিলেন। আর জেলার সকল সাংবাদিকরা নিচে বসে সংবাদ কভার করেছেন। যা পুরো সাংবাদিক সমাজকে অপমান করা হয়েছে। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলা প্রশাসনের সকল সংবাদ ও কর্মকান্ড বর্জন ঘোষণা করা হলো।


আরও খবর