Logo
শিরোনাম

বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে মিয়ানমার বাহিনী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনে সশস্ত্র সরকারবিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অন্তত ২৮ জন পুলিশ ১০ জন সেনা সদস্য মঙ্গলবার এএ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত এক যুদ্ধ শেষে এই পুলিশ সেনা সদস্যরা তাদের অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা গেছে

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন অবশ্য সেদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যকেপ্রোপাগান্ডাবলে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তারা পুরো দেশকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে এবং কারণেই এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তবে ঘটনার পরের দিন বুধবার রাখাইনের রাজধানী সিটওয়েতে কারফিউ জারি করেছে জান্তা। সিটওয়ের বিভিন্ন সড়কে ট্যাংক চলাচল করেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন

আরাকান আর্মি বহু বছর ধরে রাখাইনের আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের জন্য যুদ্ধ করছে আরাকান আর্মি। গত মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (নাগ) অন্যতম সদস্য এই গোষ্ঠীটি। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সেনা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে লড়াই শুরু হয়েছে নাগের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে আরাকান আর্মিও রয়েছে

তিন সপ্তাহের এই সংঘাতে মিয়ানমারের কিছু শহর এবং সামরিক স্থাপনা দখল করেছে জান্তাবিরোধী জোট নাগের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী, যা ২০২১ সালে অভুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা আসা জান্তাকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মধ্যে ফেলেছে

মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে জাও মিন তুন জানান, বর্তমানে মিয়ানমারের শান, রাখাইন কায়াহ রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই চলছে সেনা পুলিশ সদস্যদের। সেসব লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন জান্তা মুখপাত্র

বাস্তব পরিস্থিতি অবশ্য তার দাবিকে তেমন সমর্থন করছে না কারণ চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী প্রদেশ চিনে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধের এক পর্যায়ে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন মিয়ানমারের সেনবাহিনীর সদস্যরা

শুধু তা নয়, এই সেনা সদস্যদের মধ্যে অন্তত ৪৩ জন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে পালিয়ে গেছেন


আরও খবর



৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা :  প্রকৃতিতে শীতের আমেজ ও বছরের শেষ সময় পর্যটন মৌসুমের শুরু হিসেবে ধরা হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের আগমন নেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকায়। গত মাসের মধ্যবর্তী সময়ও জেলার যেসব পর্যটন কেন্দ্র সকাল-সন্ধ্যা কোলাহল মুখর ছিল, সেসব স্থান এখন নীরব।

গত অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। অলস সময় পার করছেন জেলার দেড় শতাধিক হোটেল, গেস্ট হাউস, মোটেল, রিসোর্টের কর্মীরা। এতে প্রতিদিন কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমেদ। এতে মৌসুমের শুরুতেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

জেলার অন্যতম পর্যটন স্পটগুলো হলো কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর স্মৃতিসৌধ, মণিপুরী পাড়া, হামহাম জল প্রপাত, ছয়সিঁড়ি দীঘি, ক্যামেলিয়া লেক, পাত্রখোলা লেক, পদ্মছড়া লেক, বামবুতল লেক, হরিনারায়ন দিঘি, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে সবুজ চা বাগান, রাবার বাগান, বধ্যভূমি একাত্তর চত্বর, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, মুন ব্যারেজ।

সাধারণত বন্ধের দিন ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি ভিড় থাকে। গতকাল শুক্রবার ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জেলার বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট কোনো পর্যটক শূন্য দেখা গেছে। পর্যটন নগরীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান খালি, দেশী- বিদেশি কোনো পর্যটক নেই। অথচ গত এক মাস আগেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখরিত ছিল।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মৌলভীবাজারের প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টাহাউসে শতভাগ অগ্রিম বুকিং থাকত। চলতি বছরেও অগ্রিম বুকিং হয়েছিল। তবে অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। দ্রুত এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না হলে পর্যটনশিল্পে আবারও বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করছেন তারা।

শ্রীমঙ্গল হোটেল প্যারাডাইজের স্বত্বাধিকারী হাজী আবুজার বাবলা জানান, নভেম্বর পর্যটনের ভরা মৌসুম। প্রতি বছর এ সময়ে পর্যটন স্পটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকে। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারণে চলতি মৌসুমের তুলনায় ১০ ভাগ ট্যুরিস্টও নাই।

আবুজার বাবলা বলেন, এখন ক্ষতির মুখে আমরা। এই ক্ষতি কিভাবে পোষাব, বুঝতে পারছি না। কর্মচারী ও বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংকের লোন, বাসা ভাড়া সব কিছু দিতে হিমসীম খেতে হচ্ছে। এভাবে যদি চলে তাহলে হোটেল রিসোর্ট গুটিয়ে নিতে হবে।

কমলগঞ্জ অরণ্য বিলাস ইকো রিসোর্টের মালিক এহসান কবির সবুজ বলেন, করোনাভাইরাস, বন্যাসহ নানা কারণে কয়েক বছরে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার অতীতের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার আশায় ছিলাম। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যটক বলতেই নাই। এ অবস্থা চলতে থাকলে কর্মচারী ছাঁটাই করতে হবে, সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, লাউয়াছড়ায় ডাব বিক্রি করে সংসার চলে। এক মাস ধরে এ উদ্যানে কোনো ট্যুরিস্ট নাই। বেচা-বিকি নাই। দুরবস্থায় আছি। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। একই ধরনের কথা জানান কসমেটিক ও চা-পাতা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন।

পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। সবগুলোই এখন ফাঁকা। প্রতিদিন প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই শুরু করেছে। অনেকের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই সমস্যা থাকে, তাহলে ধ্বংসের মুখে পড়বে হোটেল রিসোর্ট।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ম্যানাজার শাহিন আহমেদ বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেশি-বিদেশি পর্যটক বছরের এই সময়ে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ট্যুরিস্ট আসতেন, তখন টিকিট বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব আয় হত ৩৫-৪০ হাজার টাকা। এখন গড়ে ৮০-১২০ জন পর্যটক আসছেন সরকারের রাজস্ব আসছে ৩-৫ হাজার টাকা।

লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এই মৌসুমে হাজার হাজার পর্যটক দেখা যেত। বর্তমানে হরতাল ও অবরোধের কারণে দেখা নাই। মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে না, যানবাহন চলে না, তাই ভ্রমণে আসে না। প্রতি বছর যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতো তা এখন হচ্ছে না।

ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোনের উপ-পরিদর্শক প্রবাণ সিনহা বলেন, নানা কারণে তুলনামূলকভাবে এবার পর্যটক অনেক কম। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে সোচ্চার। পর্যটকরা যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সে লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 


আরও খবর

তিন শতাধিক পর্যটক আটকা সেন্টমার্টিনে

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে পিকআপের ধাক্কা, চালক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের তালগাছের সাথে ধাক্কা লেগে  দূর্ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক রায়হান আলী (২৪) নামে এক যুবকের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত পিকআপ চালক রায়হান আলী হলেন, নওগাঁর পোরশা উপজেলার নোনাহার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে। একই দূর্ঘটনায় চালকের পাশে বসে থাকা পিকআপের মালিক একই গ্রামের মৃত আবু তালেব এর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এদূর্ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ বালিকা বিদ্যালয় মোড় নামক স্থানে।

স্থানীয়রা জানান, পিকআপটি মহাদেবপুর থেকে পোরশা যাওয়ার সময় পথিমধ্যে চাঁন্দাশ বালিকা বিদ্যালয় মোড়ে পৌছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি তালগাছের সাথে ধাক্কা লাগার পর ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক রায়হান আলীর মৃত্যু হয় এবং চাপা অবস্থায় থাকলে খবর পেয়ে মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে পিকআপ এর দরজা কেটে রায়হান আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন এবং অপর পাশের দরজা কেটে গুরুতর আহত অবস্থায় পিকআপের মালিক শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। 

দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 


আরও খবর



রাকিবের বাড়িতে থামছে না পরিবারের আহাজারি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : পরিবারের আদরের সন্তান রাকিব হোসেন (১৬)। মায়ের জন্য ঔষধ কিনে ফেরার পথে দূর্ঘটনায় হারিয়েছে প্রাণ। তার মৃত্যুর শোকে স্তব্ধ হয়ে আছে যেন গ্রাম। আর সন্তান হারিয়ে থামছে না তার মা-বাবার আহাজারি। তাঁদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের পাবিয়াখালী গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে রাকিব। সাত ভাই ও এক বোন নিয়ে মোট আটজনের মধ্যে রাকিব ছিল ছয় নম্বর। সে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো বলে জানা গেছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে,রাকিব মাদ্রাসা থেকে ছুটি পেয়ে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মায়ের জন্য ঔষধ আনতে ময়মনসিংহে যায় সে। ঔষধ কিনে বিকেলে সিএনজিতে বাড়ি ফেরার পথে তাদের সিএনজিতে একটি বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কার আঘাতে প্রাণ হারায় রাকিব।

এদিকে সন্তানের এমন মৃত্যুতে কিছুতেই থামছে না মা-বাবার আহাজারি। প্রতিবেশীরা কেউ দেন সান্ত্বনা,কেউ ফেলেন চোখের পানি।

নিহত রাকিবের মামাতো ভাই উমর ফারুক জানান,গত রাতে রাকিবের নিজ বাড়ি পাবিয়াখালী পৌঁছায় তার মরদেহ। আজ সকালে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। তিনি বলেন,তার মায়ের জন্য ঔষধ কিনে বাড়ি ফিরছিলো। কিন্তু ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফরিদ মিয়া বলেন,এমন মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক। রাকিবের সঙ্গে আরও একজন মারা গেছেন।  তার বাড়ি অন্য স্থানে। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে এলাকার মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে রাকিবের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



র‍্যাবের অভিযানে যুবতী উদ্ধার সহ অপহরণকারী বাবা-ছেলে আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে অপহরনের শিকার যুবতী (ভিকটিম) কে উদ্ধার সহ অভিযুক্ত বাবা ও ছেলেকে আটক করেছে র‌্যাব। রবিবার দিবাগত রাত সারে ১০টারদিকে নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার আমাইতারা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন র‌্যাব।

আটককৃতরা হলেন, ধামুরহাট উপজেলার রসপুর কুর্সামারী গ্রামের বারু মণ্ডলের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক (৫০) ও তার ছেলে নাঈম হাসান (২৩)। সোমবার সকালে র‌্যাব কাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ঢাকার খিলগাঁও এলাকার জৈনক ব্যক্তির ১৬ বছর বয়সী মেয়ে গত ১০ নভেম্বর দুপুরের দিকে গোড়ানের বাসা হতে বের হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও বাসায় ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন এবং এক পর্যায়ে এলাকার লোক মারফত জানতে পারে ঘটনার দিন দুপুর অনুমান ৩টারদিকে খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান এলাকার সামনে পৌছামাত্র পূর্ব হইতে ওৎ পেতে থাকা এজাহারনামীয় আসামি নাঈম হাসান সহ অন্যান্য বিবাদীরা ভিকটিম কে ফুসলিয়ে একটি পরিবহন যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে।

এরপর গত ররিবার ২৬ নভেম্বর নভেম্বর খিলগাঁও থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায় ভিকটিম ও অপহরণকারীরা নওগাঁর ধামইরহাট এলাকায় অবস্থান করছেন। খিলগাঁও থানা থেকে র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের নিকট সহায়তা চাওয়া হলে ক্যাম্পের এর একটি আভিযানিক দল ভিকটিম কে উদ্ধার সহ অপহরণ কারীদের আটকের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়।

জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শেখ সাদিক এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, পরবর্তীতে তাদেরকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঢাকা জেলার খিলগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ''সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট'' এর সু-ফল পাচ্ছে কৃষি উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” একটি সমবায় ভিত্তিক একটি কৃষি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যই নতুন নতুন জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল ফলিয়ে সমবায় ভিত্তিক এই কৃষি প্রতিষ্ঠানটি নিজ এলাকা সহ দেশের কৃষি জগতে অগ্রনী ভূমিকা রাখায় কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। 

''সুফলা নওগাঁ'' বর্তমানে দেশের নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হিসেবে আলো ছড়িয়ে আসছে। 

উত্তরবঙ্গের মধ্যে প্রথম বারের মতো এই প্রজেক্টে নতুন সংযোজনের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল কলা। দেশের সাধারণ কলার চেয়ে অধিক লাভজনক হিসেবে জি-৯ জাতের কলা বর্তমানে এই অঞ্চলের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে। এই কলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে জি-৯ জাতের কলা পাঁকার এক সপ্তাহ যাবত সংরক্ষণ করা সম্ভব। এছাড়াও সাধারণ কলার চাইতে এই কলার পুষ্টিগুনও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। 

প্রজেক্টের পরিচালক হাবিব রতন বলেন তরুন বেকার এবং প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ সালে সম্মিলিত ভাবে গড়ে তোলেন “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” নামের ব্যতিক্রমী কৃষি প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় ৬ মাস অর্থ সংগ্রহের পর উপজেলার চকাদিন গ্রামে দুই একর জমি ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে শুরু হয় মিশ্র ফল বাগান সৃজনের কাজ। বর্তমানে তা সম্প্রসারিত হয়ে চার একর জমিতে বিস্তার লাভ করেছে। করোনাকালীন সময়ে বীজ-বিহীন চায়না-৩ লেবু চাষে সবচেয়ে বেশি পরিচিত করে তোলে সুফলা নওগাঁকে। এরপর থেকে আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি। বর্তমানে প্রজেক্টটি সম্প্রসারিত করে অন্যান্য স্থানে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল। বর্তমানে নতুন করে আশা জাগাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল দীগন্ত জি-৯ জাতের কলা ও বানানা ম্যাংগো আম চাষ।  


জি-৯ জাতের কলা চাষ নিয়ে হাবিব রতন আরো জানান, উত্তরবঙ্গের মধ্যে এই প্রথম নওগাঁ জেলায় টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের কলার বাণিজ্যিক বাগান সুফলা নওগাঁর হাত ধরেই সূচিত হয়েছে। রোগ-বালাই প্রতিরোধী ও রপ্তানী যোগ্য জি-৯ জাতের কলার চাষ দারুন লাভজনক। প্রচলিত কলার গাছে প্রতিটি কাঁদিতে কলা পাওয়া যায় ৬০-১২০টি আর জি-৯জাতের কলার প্রতিটি কাঁদিতে ২০০-২৪০টি কলা পাওয়া যায়। সম্ভাবনাময় জি-৯কলা চাষ সম্প্রসারণে আগ্রহী কৃষকদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। আলট্রা হাইড্রেনসিটিতে ব্যানানা ম্যাংগো আম বাগানও সৃজন হয়েছে। তারা এই অঞ্চলের কৃষিকে আরো আধুনিক ও লাভজনক করতে আধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ মূল্যের সবজিও চাষ করছেন এবং সেগুলো বিস্তারের আশায় আশেপাশের অঞ্চলের আগ্রহী কৃষকদের মাঝেও চারা সহজেই পৌছে দিচ্ছেন। বর্তমানে তাদের প্রজেক্টে আধুনিক ফল যেমন মাল্টা, কমলা, ড্রাগন ও অন্যান্য ফলের আধুনিক জাত চাষ করা হচ্ছে। ফলে এই প্রজেক্টে ১২-১৫ জন স্থানীয় বেকার মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিদিনই এই অঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষি উদ্যোক্তারা তাদের প্রজেক্ট পরিদর্শন করছেন। তাদের এই প্রজেক্ট দেখে অনেকেই আধুনিক লাভ জনক কৃষির প্রতি ঝুঁকছেন আর তাদের সহযোগিতা নিয়ে গড়ে তুলছেন নতুন নতুন কৃষি প্রজেক্ট। 

সিলেট থেকে এই প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে আসেন কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুল মোমিন। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় জানান দেশের কৃষিকে আরো আধুনিক ও কৃষকদের অল্প পরিশ্রমে এবং কম খরচে অধিক লাভবান করতে সুফলা নওগাঁ প্রজেক্টের অবদান অনেক। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে কৃষি উদ্যোক্তাদের মাঝে কম মূল্যে বিভিন্ন ফসলের চারা সরবরাহ করাসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ও জি-৯ জাতের কলার চাষসহ উচ্চ মূল্যের বিভিন্ন ফল চাষে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে সুফলা নওগাঁ। আমিও তাদের কাছ থেকে অনেক উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা সংগ্রহ করেছি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা হক বলেন, সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট কৃষির জগতে এক ব্যতিক্রমী নাম। আধুনিক কৃষির অনুপ্রেরণা হচ্ছে সমবায় ভিত্তিক এই প্রজেক্টটি। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সুফলা নওগাঁকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। পড়ালেখা শেষ করে চাকরীর পেছনে না ছুটে সুযোগ থাকলে সুফলা নওগাঁর মতো কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব। ডিজিটাল যুগে এখন সবকিছুই হাতে মুঠোয়। এছাড়া নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সহযোগিতাও প্রদান করা হচ্ছে। তাই সুফলা নওগাঁর মতো এমন কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন দেশের কৃষি ও কৃষকরা আধুনিক হবে তেমনি ভাবে কৃষকরাও ফসল চাষে অধিক লাভবান হতে পারবেন। 


আরও খবর