Logo
শিরোনাম

বিএনপি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের হত্যাকান্ডের তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চিঠি দেবে

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image


ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে সংঘটিত হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেবে বিএনপি। শনিবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে দলের এই সিদ্ধান্তে কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।



তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে বিজয়ের পূর্বে সরকার তার সরকারি বাহিনী দিয়ে যে নৃশংসভাবে গণহত্যা করেছে  সেই গণহত্যার ব্যাপারে আমরা প্রথম থেকে কথা বলে এসেছি এবং জাতিসংঘের উদ্বেগ ছিলো সবচেয়ে বেশি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, জাতিসংঘের কাছে এই বিষয়ে একটা নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে আমরা চিঠি পাঠাব। আমরা এটাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যিনি, তাকে আমরা চিঠি দেবো।’



মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একই সঙ্গে ইউএই(সংযুক্ত আবর আমীরাত) যেখানে আমাদের প্রায় ৫০জন শ্রমিককে বন্দি করা হয়েছে এই আন্দোলন সমর্থন জানানোর জন্য, আমরা তাদের মুক্তির জন্যও এই সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার জন্য চিঠি দেবো। এসব চিঠি দুই একদিনের মধ্যে দেয়া হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।



মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের কাজ শুরু করেছে। প্রথমে যেটা শুরু করেছেন, যেটা নিসন্দেহে পুরো জাতির কাছে আশা সৃষ্টি করেছে। আপনি জানেন যে, ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের ছয় জন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। নতুন একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিযোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এটা আমরা মনে করি, গণতন্ত্রের জন্য সুখবর। যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলো বিচার বিভাগে সেটা অনেকাংশে মুক্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।



মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়েছি যে, দেশে ও বিদেশে গণমাধমে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। সেখানে বিভিন্নভাবে আপনার সংখ্যালঘু সস্প্রদায়ের উপরে আক্রমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতিৃ এই সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরছে, যা আমরা মনে করি একেবারেই সঠিক নয়। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে যা সম্প্রদায়গতভাবে নয়, রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে। এটার সঙ্গে আমাদেরকে (বিএনপি) জড়িয়ে একটা খবর পরিবেশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা বলতে চাই, এই ধরনের ঘটনার সাথে বিএনপি তো জড়িত নয়ই বাংলাদেশের সুস্থ স্বাভাবিক কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে না। এটা একটা চক্রান্ত চলছে, যে চক্রান্তে বাংলাদেশের অর্জিত নতুন করে যে স্বাধীনতা এসেছে  সেটাকে নস্যাৎ করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। 



সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, জয়নুল আবদীন ফারুক, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল ও সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ছুটি শেষে স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। দুর্ভোগহীন অন্য রকম এক ঈদ যাত্রায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরেছিল ঘরমুখো মানুষ। একইভাবে স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরছে তারা। তবে সরকারি দীর্ঘ ছুটি থাকায় এখনও জমে ওঠেনি ফিরতি যাত্রা। ৪ এপ্রিল সকাল থেকেই রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের ফিরতে দেখা গেছে।

তবে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে নেই যাত্রীদের চিরচেনা উপচে পড়া ভিড়। বরং এখনও অনেকে যেমন ঢাকা ছাড়ছেন, আবার কেউ কেউ ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছেন।

রাজধানীর অন্যতম প্রবেশমুখ হিসেবে পরিচিত গাবতলী বাস টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকায় দেখা যায়, স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে ঢাকায় ফিরছেন অনেক কর্মজীবী। গ্রাম থেকে ঢাকায় প্রবেশ করা গাড়িগুলো থেকে বেশ ভালোই যাত্রী নামতে দেখা গেছে। একইভাবে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলোর আসনও তেমন ফাঁকা থাকছে না।

রাজদূত পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের এক কর্মী বলেন, আমাদের ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলোর কোনোটারই সিট ফাঁকা যাচ্ছে না। আবার ঢাকামুখো গাড়িও সব আসনে যাত্রী নিয়েই ফিরছে।

রাজাপুর ট্রাভেলসের টিকিট বিক্রেতা কামাল বলেন, কাঙ্ক্ষিত যাত্রী আছে। তবে ঈদের আগের দিনের মতো উপচে পড়া ভিড় নেই। মানুষ স্বস্তিতে যাওয়া-আসা করছে।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে তিশা প্লাস কাউন্টারের আব্দুল হাকিম নামের একজন জানান, ঈদের আগের তুলনায় এখন যাত্রী ভালো আছে। ঢাকা ছাড়ার গাড়িতেও সিট ফাঁকা থাকছে না, ঢাকায় ফেরার গাড়িতেও সিট ফাঁকা নেই।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক কাজী মো. জুবায়ের মাসুদ বলেন, এবারের ঈদ যাত্রায় বাস মালিক সমিতির অবস্থা তেমন ভালো না। ঈদ যাত্রার যাত্রী নামিয়ে ফিরতি যাত্রায় বাস খালি আসায় অনেক লস গুনতে হয়েছে মালিকদের। তার পরও যাত্রীদের স্বস্তির যাত্রা উপহার দিতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট।

গণপরিবহনে যাত্রী কম : ঢাকার রাস্তাগুলো এখনও বেশ ফাঁকা। যারা ঢাকায় আছেন, যানজটহীন পরিবেশ উপভোগ করছেন। গণপরিবহনগুলোর যাত্রীসংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম।

যাত্রীরা বলছেন, তারা এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে পারছেন ১৫ মিনিটেই। অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, এত অল্প যাত্রীতে তেলের খরচই উঠবে না।

সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজগেট, আসাদগেট, ধানমন্ডি, কারওয়ান বাজার ও বাংলামোটর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই দিনের তুলনায় সড়কে পথচারী চলাচল ও যানবাহন বেড়েছে। তবে বেশির ভাগ গণপরিবহনে আসন ফাঁকা থাকছে। তবে স্বস্তির ঈদ কাটিয়ে ঢাকায় ফিরতে পেরে খুশি যাত্রীরা।


আরও খবর



৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা চালু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরে বেশ বড় ছুটি পেয়েছেন দেশের পোশাক শ্রমিকরাও। ঈদের আগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-বোনাস নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও ঈদ কাটিয়ে তারা ফিরেছেন কর্মস্থলে। ছুটি শেষে দেশের তৈরি পোশাক খাতের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে। দেশের ৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা ঈদের ছুটি শেষে চালু হয়েছে।

বিজিএমইএ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, সংগঠনভুক্ত ২ হাজার ১০৪টি সক্রিয় কারখানার মধ্যে ২ হাজার ৯২টি কারখানা চালু রয়েছে। ঈদের ছুটিতে রয়েছে মাত্র ১২টি, যা মোট কারখানার মাত্র ০.৫৭ শতাংশ।

অঞ্চলভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকায় ৮৫৪টি কারখানার মধ্যে ৮৫১টি খোলা রয়েছে; সাভার-আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায় ৪০৩টির মধ্যে ৩৯৯টি খোলা; নারায়ণগঞ্জে ১৮৮টির মধ্যে ১৮৬টি এবং ডিএমপি এলাকায় ৩২১টির মধ্যে ৩২০টি চালু রয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৩৮টি কারখানার মধ্যে ৩৩৬টি খোলা রয়েছে।

খোলা কারখানার অনুপাতে শতকরা হারে গড় হিসেবে ৯৯ শতাংশের বেশি কারখানা চালু রয়েছে। সবচেয়ে বেশি খোলা রয়েছে ডিএমপি এলাকায় (৯৯.৬৯%), এরপর নারায়ণগঞ্জ (৯৮.৯৪%), চট্টগ্রাম ও গাজীপুর-ময়মনসিংহ (৮৮.৮%) এবং সাভার-আশুলিয়া (৮৮%)।


আরও খবর



ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় কমেছে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রোজার ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে ১৫ দিনে দেশে ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৮২৬ জন।

আর সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত এবং ৮৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটির পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের রোজার ঈদের সাথে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে ২১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং আহত কমেছে ৪০ দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের বছরের ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জনের প্রাণহানি হয়েছিল এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছিলেন।

ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় এবং ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত ধাপে ধাপে ও স্বস্তিদায়ক হওয়ার কারণে গেলবারের তুলনায় এবার সড়কে হতাহতের সংখ্যা কমে এসেছে বলে তাদের পর্যবেক্ষণে তুলে ধরেছে এই সংগঠন। তাই দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার একগুচ্ছ সুপারিশে তারা ঈদের ছুটি বাড়ানোর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করেছে।

সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজ বুধবার ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রা শুরুর প্রথম দিন ২৪ মার্চ থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার দিন ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনের দুর্ঘটনার তথ্য এসেছে এ প্রতিবেদনে। বরাবরের মতোই সংবাদমাধ্যমে আসা দুর্ঘটনার খবর সঙ্কলিত করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।


আরও খবর



ঈদের জামায়াতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ মাঠ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতের আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫,০০০ মুসল্লির জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিকগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। এছাড়া, মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে:

বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

ওজু ও টয়লেটের সুব্যবস্থা: মুসল্লিদের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস: জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে।

বিকল্প ব্যবস্থা: বৃষ্টি বা প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ঈদের জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মাননীয় প্রশাসক ঢাকাবাসীকে প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছি, যাতে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন।”

পরিশেষে, তিনি আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মহান আল্লাহর কাছে সবার ইবাদত কবুল হওয়ার প্রার্থনা করেন।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




তুরস্কে এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোলুর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে উত্তাল তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

গত ১৯ মার্চ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইমামোলুসহ বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে তুরস্কের পুলিশ। এরপরই রাজধানী ইস্তানবুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি ২০১৩ সালের পর তুরস্কে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন। সেবার বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত আটজন নিহত হয়েছিলেন।

বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান

বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ইস্তানবুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে সব ধরনের জনসমাগমের ওপর পাঁচ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি মেট্রো স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায়, শুক্রবার ইস্তানবুলে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ পেপার স্প্রে, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। রাজধানী আঙ্কারা ও ইজমিরেও বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা সরকারের কঠোর অবস্থানের তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই এরদোয়ানের শাসনকে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ বলে অভিহিত করে তার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

বিক্ষোভের কারণ কী?

সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কের অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট হয়েছে। ফলে দেশের নাগরিকদের একটি বড় অংশ অভিবাসনের চিন্তা করছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই অর্থনৈতিক দুরবস্থাই বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।

২০২৩ সালে পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ সুযোগ পেলে তুরস্ক ছাড়তে চান।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ঠিকভাবে কার্যকর নেই। অন্যদিকে, ইমামোলুর বক্তব্যে তারা আশার আলো দেখছেন। তাই তার গ্রেফতারের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে।

বিরোধী নেতাদের ধরপাকড়

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

সমালোচকদের দাবি, ২০২৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিরোধী দলীয় নেতাদের দমন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ইস্তানবুলের মেয়রসহ ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ইমামোলু তুরস্কের জনপ্রিয় বিরোধী নেতা এবং এরদোয়ানের সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। অভিযোগ উঠেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে অযোগ্য করতে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

তুরস্কের আইন অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকা আবশ্যক।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ

ইস্তানবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেছেন, “ইমামোলুর গ্রেপ্তার ও তার সনদ বাতিল গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।”

তবে প্রশাসন এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলছে, তুরস্কের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন।

দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যম জুমহুরিয়েত-এর খবরে বলা হয়েছে, ইমামোলুকে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, “দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে কেউ বিক্ষোভ করলে তা সহ্য করা হবে না। আন্দোলন কঠোর হাতে দমন করা হবে।”

তিনি বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে’ জড়িত থাকার অভিযোগও করেছেন।

নতুন কৌশলে বিরোধীরা

ইমামোলুকে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার কয়েক দিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিরোধী দলের নেতা ওজগুর ওজেল দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “সাংবিধানিকভাবে ইমামোলুকে হারাতে না পেরে আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

তবে ইমামোলুর গ্রেফতার সত্ত্বেও প্রাথমিক নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।

বিক্ষোভ দমনে প্রশাসনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ

বিশ্লেষকদের ধারণা, তুরস্ক সরকার ইমামোলুকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে তার স্থানে ট্রাস্টি নিয়োগ করতে পারে।

এর কারণ, তুরস্ক ও তার পশ্চিমা মিত্ররা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে। প্রশাসন যদি ইমামোলুকে এই সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দাবি করে, তাহলে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, বিরোধীরা জানিয়েছেন, ৬ এপ্রিল একটি বাহ্যিক কংগ্রেস ঘোষণা করা হবে। সেখানে নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনার ঘোষণা আসতে পারে।


আরও খবর