Logo
শিরোনাম

বিএনপি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের হত্যাকান্ডের তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চিঠি দেবে

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে সংঘটিত হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেবে বিএনপি। শনিবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে দলের এই সিদ্ধান্তে কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।



তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে বিজয়ের পূর্বে সরকার তার সরকারি বাহিনী দিয়ে যে নৃশংসভাবে গণহত্যা করেছে  সেই গণহত্যার ব্যাপারে আমরা প্রথম থেকে কথা বলে এসেছি এবং জাতিসংঘের উদ্বেগ ছিলো সবচেয়ে বেশি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, জাতিসংঘের কাছে এই বিষয়ে একটা নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে আমরা চিঠি পাঠাব। আমরা এটাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যিনি, তাকে আমরা চিঠি দেবো।’



মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একই সঙ্গে ইউএই(সংযুক্ত আবর আমীরাত) যেখানে আমাদের প্রায় ৫০জন শ্রমিককে বন্দি করা হয়েছে এই আন্দোলন সমর্থন জানানোর জন্য, আমরা তাদের মুক্তির জন্যও এই সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার জন্য চিঠি দেবো। এসব চিঠি দুই একদিনের মধ্যে দেয়া হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।



মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের কাজ শুরু করেছে। প্রথমে যেটা শুরু করেছেন, যেটা নিসন্দেহে পুরো জাতির কাছে আশা সৃষ্টি করেছে। আপনি জানেন যে, ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের ছয় জন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। নতুন একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিযোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এটা আমরা মনে করি, গণতন্ত্রের জন্য সুখবর। যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলো বিচার বিভাগে সেটা অনেকাংশে মুক্ত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।



মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়েছি যে, দেশে ও বিদেশে গণমাধমে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। সেখানে বিভিন্নভাবে আপনার সংখ্যালঘু সস্প্রদায়ের উপরে আক্রমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতিৃ এই সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরছে, যা আমরা মনে করি একেবারেই সঠিক নয়। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে যা সম্প্রদায়গতভাবে নয়, রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেছে। এটার সঙ্গে আমাদেরকে (বিএনপি) জড়িয়ে একটা খবর পরিবেশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা বলতে চাই, এই ধরনের ঘটনার সাথে বিএনপি তো জড়িত নয়ই বাংলাদেশের সুস্থ স্বাভাবিক কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে না। এটা একটা চক্রান্ত চলছে, যে চক্রান্তে বাংলাদেশের অর্জিত নতুন করে যে স্বাধীনতা এসেছে  সেটাকে নস্যাৎ করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। 



সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, জয়নুল আবদীন ফারুক, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল ও সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিক থেকে অগ্রসর ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে গভীর নিম্নচাপ আকারে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। গত মধ্যরাতে এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পুরীয় নিকট দিয়ে উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ . মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্ব্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা পায়রা সমুদ্রবন্দরকে নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাকৃবির শিক্ষক - কর্মচারীদের চেষ্টায় ভ্যাকসিন সেন্টারের চোর আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
বাকৃবি প্রতিনিধি::

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাইক্রোবায়োলজি এবং হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. কে. এইচ. এম. নাজমুল হুসাইন নাজির এবং লাইভস্টক অ্যান্ড পোলট্রি ভ্যাকসিন রিসার্চ এন্ড প্রোডাকশন সেন্টারের কর্মচারীরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে একজন চোরকে আটক করে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় আটকৃত চোরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত চোর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। জানা যায়, চোর মো আজাদ মিয়া পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ও সে কেওয়াটখালী মধ্য পাড়া বাসা ভাড়ায় থাকেন। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে আরও তিনজনের নাম উঠে আসে। তার সহযোগী হিসাবে ছিল মো রিয়াদ, মো রমজান আলী ও মো. ফাহাদ।

অধ্যাপক ড. কে. এইচ. এম. নাজমুল হুসাইন নাজির বলেন, গত ২৫ আগস্ট রাত আড়াই টায় বাকৃবির ভ্যাকসিন সেন্টারে প্রবেশ করে একজন চোর। সেখানে কিছুদিন পূর্বেও নাইট গার্ড ছিলো কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে নিরাপত্তার ঘাটতির জন্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রজেক্টের কর্মচারীরা আমাদের চুরি ঘটনাটি জানালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পাই অভিযুক্ত চোর আজাদ সেখানে প্রবেশ করে। আজাদ ওই রাতে ভ্যাকসিন সেন্টারের মেইন গেইটটি ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর ভেতরের একটি কাঠের গেইটও ভেঙে ফেলে এবং একটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরায় শনাক্ত ওই চোরকে ধরার জন্য আমাদের কিছু লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন। চোর পেশায় একজন অটোরিকশাচালক হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চলমান অটোগুলোকে অনুসরণ করার এক পর্যায়ে ওই চোরকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। আমরা আরও জানতে পেরেছি আটককৃত চোরের সাথে আরো কয়েকজন রয়েছে। তারা নদের পাড়ে মাদকদ্রব্য সেবন করে। যখনই নেশার টাকার ঘাটতি পরে তখন তারা ছিচকে চুরি করে। ওই চোরকে আটক করে মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের নিয়ে আসার পর সে অকপটে সব স্বীকার করে।

তিনি আরও জানায়, ভ্যাকসিন প্রজেক্টে সাধারণত বড় যন্ত্রপাতি থাকে যেগুলো চুরি করা যায় না কিন্তু তারা যদি ভ্যাকসিন চুরি করে ফেলত তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতো। এই ভ্যাক্সিনগুলো আমরা রিসার্চের কাজে ব্যবহার করি এবং দেশের বেশ কয়েক জায়গায় খুবই অল্প দামে সরবরাহ করে থাকি। ভ্যাকসিন যদি কালোবাজারে চলে যেতো সেক্ষেত্রে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি কেবল ক্ষুন্নই হতো না বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতো। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরিকৃত ভ্যাকসিন যদি বাইরে বিক্রি হয় সেক্ষেত্রে সবাই মনে করবে ভ্যাকসিনগুলো চুরি করে বিক্রি হচ্ছে। বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের চাওয়া ওই চোরের পুরো গ্যাং আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের নজরদারি আরো বৃদ্ধি করতে হবে।

এ বিষয়ে বাকৃবির নিরাপত্তা শাখার চীফ সিকিউরিটি অফিসার মো. নজমুল ইসলাম বলেন, চোরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করতে রওয়ানা হয়েছে।

আরও খবর



দেশের স্বার্থে কূটনীতিকরা ড. ইউনূসের ভাবমূর্তি কাজে লাগাতে পারবেন

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



আরও খবর

সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




জাতির পিতার শোক দিবস পালন করায় ঢাবি অধ্যাপক ড. জামালের অফিস কক্ষ ভাঙ্গচুর ও তালাবদ্ধ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক::


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শোক দিবস পালন করায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের শিক্ষক, সিনেট সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.আ.ক.ম.জামাল উদ্দীনকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার দাবিতে তার অফিস কক্ষ বুধবার সকালে (২১ আগস্ট) ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করে তালা মেরে দেয়।


এতে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র, মার্কস, বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, ফাইনাল ও মিট-টার্মের উত্তরপত্র, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরপত্র, মার্কস, ব্যাক্তিগত সার্টিফিকেট সমূহ, ব্যাংক ডকুমেন্টস কার্ড, টাকা-পয়সা ও ল্যাপটপ সহ মূল্যবান ব্যবহার্য্য সামগ্রী খোয়া যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।


তারা বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পদত্যাগের দাবীতে তার কক্ষেও তালা মেরে দেয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ৪ দফা দাবীতে বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বিভাগীয় অফিস থেকে বের করে দিয়ে সকল কলাপসিবল গেটসমূহ তালাবদ্ধ করে সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করে।


উল্লেখ্য,  গত ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী ১৪ই আগস্ট রাত ৯টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.ক.ম জামাল উদ্দীন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে মোমাবাতি প্রজ্জলনের জন্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের মাথায় পৌছালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে এবং তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে অতর্কিত হামলা চালায়।


আনুমানিক রাত ৯টা ১০ মিনিটে তাদের হাত থেকে প্রানভয়ে বাঁচার জন্য অধ্যাপক জামাল দৌড় দেন। সেসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা তাকে ধাওয়া করে কয়েক দফা মারতে মারতে রাসের স্কয়ারের সামনে থেকে স্কয়ার হাসপাতালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেখানে চতুরদিক থেকে অধ্যাপক জামালকে ঘিরে আবারও উপর্যুপরি মারতে থাকে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন এবং কাছে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে অধ্যাপক জামালকে ফেলে যায়। 


এসময় স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে রিক্সায় করে পশ্চিম রাজা বাজারের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ওই বাড়ির দারোয়ান প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে জ্ঞান ফেরান।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ইতোমধ্যেই এই ঘৃণিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। 



আরও খবর



পুতিনের কাছে মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক ফোনালাপে বলেছেন, তিনি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটি সফরের পর ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের দ্রুত অবসান সমর্থন করেন।



ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে এক ফোনালাপের একদিন পর পুতিনের সাথে তার এই আলাপ হয়েছে। আলাপে মোদি নয়া দিল্লির সংলাপ ও কূটনীতির পক্ষে ধারাবাহিক অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।



৭৩ বছর বয়সী মোদি, রাশিয়ার সাথে ভারতের ঐতিহাসিক উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রেখেছেন এবং আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের প্রতি আস্থা রেখেছেন। খবর এএফপি’র।



নয়াদিল্লি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সুস্পষ্ট নিন্দা জানানোকে এড়িয়ে উভয় পক্ষকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের বিরোধ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছেন, তিনি পুতিনের সাথে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন এবং ‘সাম্প্রতিক ইউক্রেন সফর থেকে তাঁর অন্তভঙ্গি শেয়ার করেছেন।


সংঘাতের দ্রুত, স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে সমর্থন করার লক্ষ্যে ভারতের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।



মোদি সম্প্রতি মস্কোতে পুতিনকে আলিঙ্গন করায় ক্ষুব্ধ ইউক্রেনীয়দের পরিদর্শন করতে শুক্রবার কিয়েভ যান এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বলেন, ‘যুদ্ধ করে কোন সমস্যার সমাধান হবে না।’
শীতল যুদ্ধের পর থেকে ভারত ও রাশিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যার ফলে ক্রেমলিন দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে।



ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে অত্যন্ত কম দামে প্রধান সরবরাহকারী হয়ে অপরিশোধিত তেল প্রদানের মাধ্যমে ভারত রাশিয়ার প্রয়োজনীয় রপ্তানি বাজার উঠেছে। এতে করে নাটকীয়ভাবে তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠিত হয়েছে, ভারত মস্কোর যুদ্ধের কোষাগারকে শক্তিশালী করার সাথে সাথে বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছে।



ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোয়াড গ্রুপের সদস্য।


আরও খবর

পদত্যাগে রাজি, বললেন মমতা

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু

বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪