Logo
শিরোনাম

বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে আর কিছু মিডিয়া অপপ্রচারে নেমেছে: কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image



বিডি টুডে ডেস্ক রিপোর্ট:


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুলরা গুজব ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে। 


পুলিশকেও ঢালাওভাবে আক্রমণ করছে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও তাদের সেই মতলব আছে। বিএন‌পি আজকে গুজব ছড়িয়ে আমাদেরকে দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে পরিচিত করার চক্রান্ত করছে। কিছু কিছু মিডিয়া সেই অপপ্রচারে নেমেছে ।



শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে তিনি এ কথা বলেন।



 আওয়ামী লীগের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রাটি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। এটি শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড ও মিরপুর রোড হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।



নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে আবার মাঠে নেমে আগুন সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতি করলে আওয়ামী লীগ সমুচিত জবাব দেবে।


 আওয়ামী লীগ কচুপাতার ওপর শিশির বিন্দু নয় যে একটু টোকা লাগলেই পড়ে যাবে। বিএনপি ভুয়া। ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই, আগেও ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তি দিয়ে চ‌লে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাথা নত করার দল নয়।


বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন করবেন... ২৮ অক্টোবরের মতো পালিয়ে যাবেন না তো? আপনাদের আন্দোলন তো ভুয়া। বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। বিএনপির আন্দোলন, বিএনপি নেতৃত্ব, বিএনপির এক দফা, বিএনপি দল সব ভুয়া। ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলনে জনগণ নেই। আগেও ছিল না, এখনো নেই, ভবিষ্যতে থাকবে না। 


যে আন্দোলনে জোয়ার হয় না, সেই আন্দোলন কোনো আন্দোলন নয়। আজকে আন্দোলনের নামে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। আমরা রাজপথে আছি জবাব, দিতে প্রস্তুত।



আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।



এছাড়া ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ,  ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম,  ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজ‌লে শামস পরশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



আরও খবর



হত্যাচেষ্টায় দৈনিক জনবাণীর সম্পাদকসহ ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দৈনিক জনবাণী পত্রিকার সম্পাদক, ব্যবস্থাপনা সম্পাদকসহ চার সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে দৃর্বৃত্তরা। গতকাল (বুধবার) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলা মোটর এলাকায় প্লানাস টাওয়ার সংলগ্ন পত্রিকাটির কার্যালয়ের পাশে এ হামলা হয়। 

হামলার ঘটনায় জনবাণী পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রাজু আহমেদ শাহ,  বিশেষ প্রতিনিধি বশির হোসেন খান এবং অনলাইন মাল্টিমিডিয়া সম্পাদক আতাউর হোসেন আহত হন। সন্ধ্যা ৬টায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। সম্পাদক শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত। 


আহত সাংবাদিক বশির হোসেন খান বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ করে ২০/২২ জনের দুর্বৃত্ত দল রড, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তখন আমরা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা আমাদের ওপর হামলে পড়ে। আমরা তাদের কাউকে চিনতে পারিনি।

এর আগে হামলাকারীরা জনবাণীর পত্রিকার কার্যালয়ে গিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বসুন্ধরা সিটি সেন্টার থেকে অফিসে যাচ্ছিলাম, আমাদেরকে অফিস না পেয়ে দুর্বৃত্তরা আমাদের খোঁজে বের হয়ে রাস্তায় পেয়ে হামলা চালায়। 

পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে জানিয়ে বশির হোসেন খান, তারা (হামলাকারীরা) আমাদেরকে পেয়ে প্রথমে নাম জিজ্ঞেস করে। এরপর হামলা চালায়। এমনভাবে এসেছিল যে, মনে হয়েছে দূর থেকে কেউ দেখিয়ে দিয়েছে। হামলায় সম্পাদকের মাথা, হাত ও পিঠে ক্ষত হয়েছে। সম্পাদককে হত্যার জন্য টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, বাংলা মোটর এলাকায় হামলার ঘটনায় আহত চার সাংবাদিক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। 

আইনি পদক্ষেপ নিতে আহত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের পক্ষে শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করা হয়েছে।


আরও খবর



বিস্ফোরক মামলার আসামি কুবি কর্মকর্তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

ওবায়দুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে জাকির হোসেনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে প্রথমে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা প্রক্টরের সাথে আলোচনা করে। এরপর প্রশাসনিক কর্মকর্তা, প্রক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় জাকির হোসেনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। 

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হান্নান রহিম বলেন, 'মোহাম্মদ জাকির হোসেন এজাহার ভুক্ত আসামি। তার নামে মামলা থাকায় তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, 'বৈষম্যবিরোধীর যারা আছেন উনাকে বলেছেন, যেন উনি আইনের কাছে সোপর্দ হন। একটা পর্যায়ে প্রক্টরিয়াল বডিসহ সবাই মিলে প্রশাসনের সকলের সঙ্গে কথা বলে ওনাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ হওয়ার অনুরোধ করি। অনুরোধের পরে সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে সোপর্দ হন।'

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, 'এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।'

কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই লিটন বলেন, 'ডিবি স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। তার নামে একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'

উল্লেখ্য, সদর দক্ষিণ থানায় মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে করা একটি মামলায় এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি মোহাম্মদ জাকির হোসেন। 


আরও খবর

মেডিকেল কলেজে আসন বাড়ছে না

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শীত। এই শীতে গরম কাপড়ের অভাবে অনেকটাই নাজেহাল হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও খেটে খাওয়া নিম্ম আয়ের মানুষরা। এমন শীতার্ত মানুষদের শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা করতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক। চলতি শীত মৌমুসে দেশের শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ও ফকির গ্রুপের এমডি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আক্তারুজ্জামান (সিআইপি) ও ফকির মাশরিকুজ্জামান। ইতিমধ্যেই দেশের শীত প্রবণ সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন জেলার শীতার্ত মানুষদের মাঝে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। স্যারদের নির্দেশনা মোতাবেক পুরো দেশের যে সব অঞ্চলে শীত বেশি হয় সেই সব জেলায় ধারাবাহিক ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখা হবে বলে জানিয়েছে ফকির গ্রুপের আইটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দীন। দেশব্যাপী শীতবস্ত্র বিতরণের অংশ হিসেবে উত্তরের জেলা নওগাঁর রাণীনগরে সহস্রাধিক শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেডের আয়োজনে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, ফকির গ্রুপের হিসাব শাখার সিনিয়র অফিসার আশরাফুজ্জামান। এই বিতরণ কার্যক্রমে স্থানীয় ভাবে সহযোগীতা করেন রিপন নীল, আবু হাসান আকাশ প্রমুখ।

আয়োজকরা জানান, আগামীতে যদি এই অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায় তাহলে সরকারের পাশাপাশি ফকির গ্রুপের আয়োজনে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরো বেশি সংখ্যক শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির হবে ফকির গ্রুপ। শুধুমাত্র নিশ্চিত করতে হবে যেন শীতবস্ত্রগুলো প্রকৃত শীতার্ত মানুষরা পান। এই উপজেলায় আগামীতে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণের আশ্বাস প্রদান করেন আয়োজকরা।  


আরও খবর



অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের শুল্ক জিরো করে দিয়েছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের ডিউটি (শুল্ক) জিরো করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বাড়লেও জিনিসপত্রের দামের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। আপনি ছাড়টা দেখবেন। মূল্যস্ফীতির মূল ওয়েটের ইন্ডিকেটরগুলো হলো- চাল, ডাল এগুলো; সেটা আপনারা জানেন। আমরা যেসব জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছি এগুলো আমাদের মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই কম গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, তিন তারকার ওপরে যে রেস্টুরেন্টগুলো সেগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। ভাতের রেস্টুরেন্ট বা অন্য রেস্টুরেন্ট থেকে তো যাবে না। থ্রেসহোল্ড আছে, যাদের টার্নওভার ৫০ লাখ টাকার ওপরে, তাদের ক্ষেত্রে এটা আসবে। অন্য কোনো ব্যবসা তো এটার মধ্যে আসছে না।

বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে কী ভ্যাট বাড়ছে— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিমানের ভাড়ার ক্ষেত্রে আগে ৫০০ টাকা ছিল সেটি এখন ২০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিমানে এখন লোকজন মোটামুটি চড়ে। তারা ২০০ টাকা বেশি দিতে পারবে না বলে মনে হয় না। এগুলো মার্জিনাল। পৃথিবীর যে কোনো দেশ যেমন নেপাল-ভুটান ধরেন, এত লো ট্যাক্স কোথাও নেই। সব জিনিসের দাম ওপরে। এসেন্সিয়াল জিনিসের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় বলেছি, সেখানে আমরা প্রায় জিরো করে নিয়ে আসব। চূড়ান্তভাবে ভোক্তা ১৫ শতাংশ ট্যাক্সও দিচ্ছে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাঁচ মাস পরে এই সিদ্ধান্ত কেন নিচ্ছে— এ বিষয়ে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা করার কারণটা হলো যে ছাড় দিয়েছি, সেটা হিসাব করে... কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের রাজস্ব গ্যাপ এত বেশি, আমি তো আর বড় করে ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং করে এগোতে পারব না।

আইএমএফের পরামর্শে এটি করা হচ্ছে কি না— জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, সবদিক চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, মনে হয় না কষ্ট হবে। জনগণের স্বস্তি না পাওয়ার তো কোনো কথা না।

সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইটি খাতে আমরা বরাদ্দ কমাব না বরং বৃদ্ধি করব। কিন্তু আমাদেরকে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। ধার করে বেশিদিন চলা যায় না।

ট্যাক্স এবং কাস্টমস ক্ষেত্রেও কি রাজস্ব বাড়তে পারে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এখন বলব না।

নতুন বছরে অর্থনীতিকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে চান— এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতি মোটামুটি স্ট্রং তো হয়েছে, এখন দরকার স্থিতিশীলতা। আমি বলব না, সব ক্ষেত্রে এটা হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করছে, কিছু দুর্বল ব্যাংককে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




কানাডায় থাকার আশা ভঙ্গ! ফিরে যেতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

গানের কথার সঙ্গে মিল রেখে দিয়ে যদি শুরু করি তাহলে বলা যায় "এ কানাডা এখন তো আর সে কানাডা নেই"

হ্যাঁ, এটাই সত্যি। একটা সময় ছিল মানুষ নানাভাবে কানাডায় এসেছেন। বিশেষ করে বৈধভাবে আসার একটা মাধ্যম ছিল  স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসেছেন সারা বিশ্বের স্টুডেন্টরা। তারমধ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা স্টুডেন্টের সংখ্যাও কম নয়। 

এই স্টুডেন্টরা আগে যারা এসেছেন তাদের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সহজ ছিল। তারপর পিআরও পেয়ে যেতেন সহজে। তারপর সিটিজেন হয়ে যেতেন নির্দিষ্ট সময়ে। তারপর তাদের বাবা-মা স্পন্সর ভিসায় এসে এখানে নাগরিকত্ব পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে পাশার দান। বলতে পারেন এখন প্রায় সবকিছুর রুলস কঠিন হওয়া বা পাল্টে যাওয়া, CRS পয়েন্টস বেশি হওয়া, PGWP এ কড়াকড়ি সব মিলিয়ে গোন্ডগোল বেঁধে গেছে। এখন আর পিআর পাওয়া সহজ হচ্ছে না। আবার স্টুডেন্টদের বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব আবেদনের সুযোগও স্থগিত করা হয়েছে।

এসব অসুবিধার আওতায় পড়েছেন অসংখ্য স্টুডেন্ট। যারা এখানে এসে পড়ালেখা শেষ করেছেন ডিপ্লোমা বা পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের কথা বলছি তারা CRS পয়েন্টস মিট না হওয়া ও ওয়ার্ক পারমিট শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর কানাডায় থাকা সম্ভব হচ্ছে না। চলে যেতে হবে বাড়িতে। এমন সংখ্যা অসংখ্য। এ বছরেই দেশে ফিরে যেতে হবে বারো লক্ষ বা তার বেশি স্টুডেন্টকে। আর যারা বর্তমানে পড়াশোনায় চালু আছেন তাদের তো আরো সমস্যা। তাদের তো ওয়ার্ক পারমিট পাওয়াতেই নানা বাঁধা হবে নতুন রুলসে। সবার জন্য ইজি হবে না। 

আমার ফেসবুকের মেইন আইডিতে ফ্রেন্ডলিস্টের একজন ছোট ভাই আছে। ২০২০ সালে সে এসেছিল টরন্টোতে। সে আমাকে মাঝেমাঝে মেসেজ দিত। তার একটা কথা আমার মনে আছে। একদিন আমার এক খাবারের পোস্ট দেখে সে বলেছিল "আপু, আমাকে খাওয়াবেন?" তখন আমি তাকে চিকেন বিরিয়ানি ও অন্যান্য অনেক কিছু রান্না করে দিয়ে এসেছিলাম। তখন সে বলেছিল "আপু, আপনি আমার জন্য যা করেছেন, আমার আপন বোনও সেটা করত না।"

যাই হোক, সেই ছেলে তো পড়া শেষ করে তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিটে ছিল। টরন্টোতে একটা ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্টে কাজ করত। তারপর সে অন্টারিও থেকে অন্য প্রভিন্সে মুভ হয়েছিল যদি ভিসা পেতে সুবিধা হয় সেইজন্য। সেখানে গিয়েও সে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছিল। 

অনেক দিন তার খবর জানতাম না। ফেসবুকে তার ছবি দেখে তাকে মেসেজ দিয়ে বললাম, তুমি কি পিআর পেয়েছ? 

সে বলল " না আপু। আমার হবে না মনে হচ্ছে। আমার ফিরে যেতে হবে।"

তারপর তার কাছে তো অনেক কিছু  শুনলাম। সে বলল, টরন্টো থেকে অন্য প্রভিন্সে গিয়ে তার সবচেয়ে বড়ো ভুল হয়েছে। ওখানের রেস্টুরেন্ট তাকে কোনো রকম হেল্প করে নি। তারপর সেখানে একটা কার না হলে চলাই যায় না। একটা কার কিনতে হয়েছে। যার জন্য তার খরচ হয়েছে মাসে $600 cad করে। যেটা টরন্টোয় থাকলে তার খরচ হতো না।

আমি জিজ্ঞেস করলাম তার কতো খরচ হয়েছিল সেটা উঠেছে কিনা আর কিছু জমাতে পেরেছে কিনা।

সে বলল, তার পড়ার টিউশন ফি বাবদ খরচ হয়েছে $39 cad. যার অর্ধেক সে আসার আগে ও বাড়ি থেকে শোধ করেছে। আর বাকিটা চাকরি করে দিয়েছে। পড়া+অন্যান্য খরচ সবকিছু  মিলিয়ে সে চাকরি করে ওঠাতে পেরেছে। 

আমি জানতে চাইলাম কিছু কি জমাতে পেরেছ? সে বলল, "জি আপু। $30 cad জমাতে পেরেছি সব খরচের বাইরে। তারমানে ধরেন ২৫ লাখ টাকার মতো হবে। খারাপ কী! আমি তো মনে করি এই অর্থ দিয়ে সে দেশে একটা বিদেশি রেস্টুরেন্ট চালু করতেও পারবে। আরো অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের থাকার সম্ভাবনা নেই, তারা এখন শুধু  ইনকাম করে টাকা জমানোর চেষ্টা করছে। তবে কেউ কেউ হয়তো এতোটা পারছে না। 

সেই ছেলে বলছে, "আপু, কানাডায় এসে অনেক কিছু শিখেছি। এতেই আমি হ্যাপি। দেশে থাকলে তা পারতাম না।" এখন তার ভবিষ্যৎ ভাবনায় অন্য পরিকল্পনা। সে জানাল, সে জার্মানির দিকে মুভ হবে। সেখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি করে মাস্টার্সও করবে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা রাখলে জার্মানিতে টিউশন ফি লাগে না বলে সে জানাল।

যাই হোক, এটাই হলো জীবনের মান বোঝার উপযুক্ত পরিকল্পনা। কোনো বাঁধাতেই জীবনকে কোনো এক নির্দিষ্ট আঙ্গিকে আটকে রাখতে হয় না। মুভ অন হতে হয়। যেটা চাওয়া হয় সেটা না পেলে খুশি হয় না মন। তাই বলে হতাশায় যেন মন আচ্ছাদিত না হয় তাই ঐ ছেলের মতো বলতে হবে আমি যা পেয়েছি বা শিখেছি তাতেই আমি খুশি। চেষ্টা তো সবাই করেছে। 

অসংখ্য স্টুডেন্ট এখন মেন্টালি রেডি। ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টের সংখ্যা বেশি। এমনকি আমার বেসমেন্টে থাকা স্টুডেন্টদের সবার হয়তো হচ্ছে না। তাতে তারা মোটেও বিচলিত না। বরং বলেছে, আমরা দেশে ফিরে যাব। পিআর হলেও থাকতাম না। 

তারা রেডি টু গো ব্যাক টু দ্যা কান্ট্রি। আমি বলব, সবাই ব্যাকে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। হয়তো সামনের কিছু জীবনের জন্য আরো ভালো, আরো মসৃণ হবে ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর

নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত চাইলেন টিউলিপ

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫