Logo
শিরোনাম

বিএনপির চার নেতার কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

পুলিশের কাজে বাধা এবং নাশকতার পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ চার নেতাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামিদের কারাদণ্ড দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন আসামি হলেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফুজ্জামান আলী সপু ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব।

এর মধ্যে সোহেল, হেলাল ও সপুকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার একটি মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় আরো ১১ জন আসামি রয়েছেন। তাদেরও একই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ১০ বছর আগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা নাশকতা মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি নীরবকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই মামলার আরো ৬ আসামিকে একই দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ৬ আসামি হলেনসাজেদুল ইসলাম সুমন, গান্ডু শাহিন, বেল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও আবু বক্কর সিদ্দিক। পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আসামি পক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল ও শাকিল আহমেদ রিপন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন টিউলিপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও লন্ডনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রশ্নের উত্তর দিতে তার ‘আইনজীবীরা প্রস্তুত'। ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই নিউজকে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপাতত সম্পর্কের বিষয়ে কোনো অনুশোচনা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘আপনারা আমার আইনি চিঠিটি দেখুন এবং দেখুন আমার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আছে কি না... (বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ) একবারের জন্যও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, কিন্তু তাদের কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় রয়েছি।’

লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট আসনের এই এমপি গত জানুয়ারিতে ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তখন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি দুর্নীতি তদন্তে তার নাম উঠে আসে। পরে বিরোধীদের ব্যাপক চাপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।

সরকার ছাড়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘মাসখানেক হয়ে গেল অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু (বাংলাদেশের) কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’ এর আগে গত মাসে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস স্কাই নিউজকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিক ‘দেশে সম্পদ রেখে গেছেন’ এবং তার এ জন্য জবাবদিহি করা উচিত।’

এদিকে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি লিখে বলেছিলেন যে, অভিযোগগুলো ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’। চিঠিতে বলা হয়, দুদককে ‘২০২৫ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে অথবা তার আগে’ টিউলিপ সিদ্দিককে প্রশ্ন করতে হবে, অন্যথায় ‘আমরা ধরে নেব যে, উত্তর দেওয়ার মতো কোনো বৈধ প্রশ্ন নেই।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় একটি মাইলফলক।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপষ্টোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে (এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস) এএনএফআরইএল-এর প্রতিনিধিদলকে তিনি এই আশ্বাস দেন।

এএনএফআরইএল-এর প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, ক্যাম্পেইন ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রগ্রাম কর্মকর্তা থারিন্দু আবেরথনা, প্রগ্রাম কর্মকর্তা আয়ান রহমান খান এবং প্রগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমে।

এএনএফআরইএল হচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক, যা গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচনী গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে কাজ করছে। সংস্থাটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নাগরিক অংশগ্রহণে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে।

সাক্ষাৎকালে এএনএফআরইএল বাংলাদেশে চলমান তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানায়; বিশেষ করে স্বাধীন, নাগরিক-নেতৃত্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রচেষ্টা পুনর্গঠনে তাদের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে। প্রতিনিধিদল স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করে, যার উদ্দেশ্য হলো নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ জোরদার করা এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতা উন্নত করার সুযোগ চিহ্নিত করা।


আরও খবর



যেসব জায়গায় ঐকমত্য, তার ভিত্তিতেই জাতীয় সনদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে যেসব জায়গায় একমত আছে তার ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে। জাতীয় সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির যে রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা সেই দিকে অগ্রসর হতে পারব।

জাতীয় সংসদের এলডি হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে দলটির আট সদস্য সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম ধাপের সংলাপের মাধ্যমে আলোচনার সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে হয়ত আলোচনা করব। আমরা বিবেচনা করব কীভাবে এক জায়গায় আসতে পারি।

স্প্রেডশিটের কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হবে। তখন স্পষ্ট করতে পারব কমিশনগুলোর অবস্থান কি, আপনাদের (রাজনৈতিক দল) অবস্থান বুঝতে চেষ্টা করব। তার মধ্য দিয়েই প্রক্রিয়াটা অগ্রসর হবে।

‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছানো। এ কমিশনের মেয়াদ যেহেতু জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তাই আমরা আশা করি প্রাথমিক আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে শেষ করতে পারব। পরে আমরা পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হব।’

আলোচনা টেবিলের দুই পাশে হলেও দুই পক্ষ নয় মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, আমরা সবাই একপক্ষ। চেষ্টা করছি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। আমাদের লক্ষ্য এক। কিন্তু পথের ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্নতা আছে। সেটা দূর করে, যে ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনকে দূর করা গেছে, সে ঐক্যের জায়গায় পৌঁছাতে পারি এবং অগ্রসর হতে পারি। এখনো ঐক্য আছে, মতভিন্নতা আছে। সেই ঐক্যকে সুদৃঢ় করা এবং সংস্কার কার্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন।

এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের বেশিরভাগ জায়গায় এনডিএম একমত জানিয়ে দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, আমরা সংস্কারগুলো বড়ভাবে দেখতে চাই। সংস্কারগুলোর মাধ্যমে জনবান্ধব সরকার ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হব।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিজম যাতে বাংলাদেশে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগকে বাতিল করা এবং তাদের ফ্যাসিজমকে বাতিল করা বড় সংস্কার।


আরও খবর



প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশে বিপুল পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে চলতি মাসের ২৪ দিনেই এসেছে প্রায় ২৭৫ কোটি ডলার প্রবাসী আয়। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো মাসের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চলতি মার্চের ২৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৩ হাজার ৫৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) আসে গত ডিসেম্বরে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)।

এদিকে, গত ২৪ মার্চ একদিনেই দেশে এসেছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে দেশে স্বজনদের কাছে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে বাড়ছে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াতে পারে।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছিলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এটি প্রণোদনা দেয়া হোক বা অর্থপাচার বন্ধের কারণেই হোক; রেমিট্যান্স আসছে, এটিই আশার কথা। চলতি মাসে ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার হতে পারে। এ বছর ৩০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ও ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।

আর সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ও ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।


আরও খবর



দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা : ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জোরেশোরে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য ও অপরাজেয় বাংলার সামনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এ সময় তাদের হাতে ‘বয়কট ট্রাম্প, সেভ ফিলিস্তিন’, ‘বয়কট ইউএসএ’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

মোহাম্মদপুরে দুপুরে গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেছে। ঢাবি এলাকায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিভিন্ন পেশাজীবীদের বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছে।

এ সময় অ্যাপ্রোন পরে চিকিৎসকদের মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়। দেখা গেছে শিশুদেরও। ‘সেভ গাজা’, ‘স্টপ জেনোসাইড টু গাজা’ লেখা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভকারীরা মিছিলে অংশ নেন।

মূলত, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে আবারও অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিদিনই বাড়ছে হামলার তীব্রতা। দখলদার বাহিনীর নির্বিচার এসব হামলায় গাজায় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ অবস্থায় গত ৬ এপ্রিল গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল এবং ইসলামিক ফোর্সেস গ্রুপ। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’। দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূত্রপাতের পরপরই ইয়াসির আরাফাতের অনুমোদনে এবং মারওয়ান বারগুতির নেতৃত্বে গঠিত একটি জোট হলো এই ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল এবং ইসলামিক ফোর্সেস গ্রুপ।

তাদের বৈশ্বিক এ ধর্মঘটের ডাকে সাড়া দিয়েই আজ সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। কর্মসূচিতে একাত্ম হচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষও।


আরও খবর