
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে
বিএনপি। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে ভাইস
চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ নির্বাহী কমিটির অন্যান্য
গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে শিগগিরই। ইতোমধ্যে দলটির হাইকমান্ড
সংগঠন ঢেলে সাজানোর এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। জানা গেছে, সহসা জাতীয় কাউন্সিল
অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা না থাকায় বর্তমানে বিভিন্ন পদে দায়িত্বশীল নেতাদের ‘কন্ট্রিবিউশন
ও ডেডিকেশন’ বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে শীর্ষ পদগুলোতে নিয়োগ দেয়া
হবে।
২০১৬ সালের
১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল। এরপর ওই বছরের ৬ আগস্ট
দলটির নির্বাহী কমিটি, স্থায়ী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদ মিলিয়ে মোট ৫৯২ জনের নাম
ঘোষণা করা হয়। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর সম্মেলন (কাউন্সিল) করে
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করার কথা। সে হিসেবে মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয়
কমিটি দিয়ে চলছে বিএনপির কার্যক্রম। সর্বশেষ কাউন্সিলের পর দুটি জাতীয় সংসদ
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারবিরোধী দ্ুিট আন্দোলনও করেছে দলটি। তবে নির্ধারিত
সময়ে কাউন্সিল করতে না পারার জন্য সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা এবং সরকারের
দমন-পীড়নকে দায়ী করছে বিএনপি। সর্বশেষ গত মার্চের শুরুতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির
একটি বৈঠকে কাউন্সিল নিয়ে আলোচনা হলেও পরবর্তীতে সে আলোচনা আর এগোয়নি বলে দলীয়
সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির আন্দোলন ও বর্জনের মধ্যেই গত ৭ জানুয়ারি
অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়ে টানা
চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এমন রাজনৈতিক বাস্তবতায় আগামী দিনে
বিএনপির কর্মপন্থা কী হবে তা নিয়ে আন্দোলনের মিত্র দলগুলোর সাথে শলাপরামর্শ শুরু
করেছেন নেতারা। একই সাথে দল পুনর্গঠনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র
জানায়, আন্দোলন-পরবর্তী বিভিন্ন সাংগঠনিক প্রতিবেদনে সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় নেতাদের
তালিকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া দলের হাইকমান্ডের পক্ষ
থেকেও এ ব্যাপারে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে,
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখন অর্ধশতাধিক পদ শূন্য রয়েছে। নেতাদের মৃত্যু,
দলত্যাগ, অব্যাহতি, পদোন্নতি ও পদাবনতিজনিত কারণে এসব পদ শূন্য হয়েছে। এছাড়া বয়সের
কারণে অনেকে দলীয় ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন।