Logo
শিরোনাম

বিএনপির পরিকল্পনা দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটানো

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বিএনপি কীভাবে নির্বাচন করবে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির নেতা কে? তাদের কোনো নেতা নেই। সামনে নির্বাচন। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। এক সময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। উসকানি আছে যে নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের সিডিউল হয়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চ মাসের দিকে দেশের এমন অবস্থা করবে, দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা আছে। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।

৮ ডিসেম্বর দুই দিনের গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিনে নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা কে? যে ভোটারদের অধিকার কাড়বে, ভোটারদের অধিকার কাড়ার ক্ষমতা তাদের নেই। নির্বাচনে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আগুন দিতে যাবে, তাদেরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি আগুন সন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের আগুনেই ফেলে দিতে হবে।

কোটালীপাড়াবাসীর উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মা, বাবা, ভাই-বোন সবাইকে হারিয়েছি। আপনাদের ভালোবাসা, আপনাদের আস্থা, বিশ্বাস সবচেয়ে বড় পাওয়া। যাদের নমিনেশন দিয়েছি তারা আসন পায় একটি। আমার হলো ৩০০ আসনের দায়িত্ব। তাই আমি বলতে পারি আমার মতো সৌভাগ্য কারো নেই যে আমার মতো এলাকা নিয়ে ভাবতে হয় না, চিন্তাও করতে হয় না, যেটা আপনারা করেন। আমি জানি না আর কোনো প্রার্থী সৌভাগ্যবান কিনা, যতটা আমি। একটা দায়মুক্ত করে রেখেছেন। আমি স্বাধীনভাবে সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য চিন্তা করতে পারি, কাজ করতে পারি। যার সুফলটা সবাই পায়।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনো তারা জ্বালাও পোড়াও করছে। এদের শিক্ষাটা বোধ হয় ইজরাইলের কাছ থেকে, যারা প্যালেস্টাইনের ওপর আক্রমণ করছে। নিজেরা ক্ষমতায় থেকে সমানে অর্থ কামিয়েছে। অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। কিন্তু এরা মানুষকে কোনো দিন শান্তিতে থাকতে দেবে না, এটাই তাদের চরিত্র। এখন তারা নির্বাচন করবে না। ২০১৪ সালে একই কথা বলেছিল। আসলে তারা নির্বাচন করবে কীভাবে? বাস্তব কথাটা কি? বাস্তব হলো ২০০৮ সালের নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে তো কেউ কোনো প্রশ্ন তোলে না। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল।

শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কোটালীপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে সেখানে থেকে ফিরে যান টুঙ্গিপাড়ায়।

সভায় আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের দিক-নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খোন্দকার, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারহান নাসেন তন্ময় এমপিসহ কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি নিজ বাসভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

 


আরও খবর



রাজধানীর অধিকাংশ ভবনই অবৈধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মেগাসিটি ঢাকার ৭৪ ভাগ ভবনই অবৈধ। অবাক করার মতো হলেও বাস্তবতা বলছে, এই নগরের মাত্র ২৬ ভাগ ভবন তৈরি হয়েছে নিয়মনীতি মেনে। বাকি সবক্ষেত্রেই হয়েছে ব্যত্যয়। তবে এবার তৃতীয়পক্ষ দিয়ে জরিপ করে নগরের শতভাগ ভবনের নকশা হাতে পেতে চায় রাজউক। তিন ধাপে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলা হবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। নগরবিদরা বলছেন, কষ্টসাধ্য হলেও সম্ভব। তবে বাস্তবায়নে খোলস ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে রাজউককেই। এই মহানগরে প্রায় চার লাখ ভবন রয়েছে, যা বিধির বাইরে।

৪০০ বছরের পুরনো শহর ঢাকা। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করে এর গোড়াপত্তন হলেও এখন টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে ঠেকেছে সীমানা। স্বাধীন বাংলার ২০ লাখ মানুষের নগরে মতিঝিল আর কারওয়ান বাজারই ছিলো দুটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ৫৩ বছর পর শহরের জনসংখ্যা এখন দুই কোটির বেশি।

এমন অবস্থায় আবাসিক ভবনে বাণিজ্য কিংবা বাণিজ্যিক ভবনে হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ এমনকি আবাসিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

রাজউকের কাগজে-কলমে ধানমন্ডি একটি আবাসিক এলাকা। কালের বিবর্তনে তা এখন পুরদস্তুর বাণিজ্যিক এলাকায় রূপ নিয়েছে। এখানকার সাত মসজিদ রোডের কথাই ধরা যাক। একটি সড়কের মধ্যে যে পরিমাণ হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রেস্তোঁরা, বাণিজ্যিক ভবন, অফিস রয়েছে; একক সড়ক হিসেবে কোন সড়কে এতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বে নজিরবিহীন বলা যায়।

যেখানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই কথিত তিলোত্তমা ঢাকায় সেখানে আলাদা করে আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক এলাকা সেটাও এখন বিলাসিতার পর্যায়। আর তাইতো অপরিকল্পিত এই নগরে কদিন বাদেই নিমতলী, এফআর টাওয়ার, চুড়িহাট্টা কিংবা বেইলী রোডের মতো ট্রাজেডি সামনে আসে।

রাজউকের তথ্যই বলছে, ঢাকায় ৭৪ ভাগ ভবনই গড়ে উঠেছে নকশার বাইরে। বাকি ২৬ ঠিকঠাক। তবে এবার এই নগরের সব ভবনের নকশা নিজেদের মুঠোয় পেতে চায় রাজউক। নীতিমালা প্রস্তুত করে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে করা হবে জরিপ।

সংস্থাটির প্রধান নগরবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাজউকের পক্ষে একা এ কাজ করা কঠিন। তাই আমরা তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ করার চেষ্টা করছি। তারা সরেজমিনে সব ভবন পরিদর্শন করে অগ্নি নিরাপত্তা এবং ভূমিকম্প ঝুঁকির বিষয়ে দেখবে।

তারপর তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা যতোই হোক তা গুড়িয়ে দেয়া হবে। বাকিদের দেয়া হবে সংশোধনরে সুযোগ। এরপর বিশাদ অঞ্চর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।

নগরবিদরা বলছেন, কেবল পরিকল্পনা নয় বাস্তবায়নও দেখতে চান তারা। আর সেজন্য দরকার প্রতিষ্ঠানটির সদিচ্ছা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, এই কাজে কেউ যেন হয়রানি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি আছে সেই খোলস থেকে বের হতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা দিতে হবে। আর যারা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।


আরও খবর



নেতানিয়াহুর গাজা নীতি ছিল ‘ভুল’: বাইডেন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা নীতি ছিল ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়া গাজায় এখন শুধু যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করারও আহ্বান জানান বাইডেন।

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং গাজার অভ্যন্তরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এটি ছিল নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রে বাইডেনের সবচেয়ে কড়া সমালোচনা। খবর এএফপির

নেতানিয়াহুর যুদ্ধ পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাইডেন ইউএস স্প্যানিশ ভাষার টিভি নেটওয়ার্ক ইউনিভিশনকে বলেন, আমি মনে করি তিনি যা করছেন তা ভুল। আমি তার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত নই।

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক দাতব্য সংস্থায় গত সপ্তাহে চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর ড্রোন হামলায় সাতজন নিহত হওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি ছিল একেবারে গর্হিত কাজ। এটা নিয়ে নেতানিয়াহুর সাথে বাইডেনের উত্তেজনাপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আরও সাহায্য সরবরাহের সুযোগ করে দিতে ইসরায়েলের উপর চাপ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরব, জর্ডান এবং মিসরের সাথে কথা বলেছেন এবং তারা খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে

বাইডেন বলেন, গাজার লোকদের চিকিৎসা ও খাদ্যের চাহিদা পূরণ না করার কোনো অজুহাত নেই। এটা এখনই করা উচিত।

গাজায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাহায্য কর্মী ইসরায়েলের হামলায় নিহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেওয়ার পর বাইডেনের এমন সাক্ষাতকার তার ইসরায়েল নীতির নাটকীয় পরিবর্তনকে নির্দেশ করে।

হোয়াইট হাউস গত সপ্তাহে বলেছিল, নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বাইডেন হুমকি দিয়েছিলেন যে, গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আর নিঃশর্ত সহায়তা দেবে না। গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার সাত কর্মীকে নিহত হওয়ার পর বাইডেন সেই হুমকি দিয়েছিলেন।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। নির্বিচার ও বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত আরও অন্তত ৭৬ হাজার। উত্তর ও মধ্য গাজার অধিকাংশ এলাকায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে ঈদ এসেছে ফিলিস্তিনিদের জীবনে।


আরও খবর



শ্রীনগরে চাঁদাবাজি মামলায় রাসেল গ্রেফতার রাকিবসহ অন্যান্যরা পলাতক

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চাঁদাবাজি মামলার আসামী রাসেল মোড়ল(৩৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২নং আসামী রাকিব, অমিত খান,ইব্রাহীমসহ অন্যান্যরা পলাতক রয়েছে।

বুধবার সকালে শ্রীনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এলাকায় থেকে শ্রীনগর থানা পুলিশ রাসেল মোড়লকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন। এসময় ঐ মামলারন অন্যান্য আসামীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেল মোড়ল উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি স্বাগতমপাড়া এলাকার ইয়াছিন মোড়লের ছেলে। পলাত আসামী রাকিব শ্রীনগর ইউনিয়নের হরপাড়া এলাকার ইদ্রিসের ছেলে,অমিত খান রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের দক্ষিন রাঢ়ীখাল এলাকার মৃত মোতালেব খানের ছেলে বর্তমানের শ্রীনগর গোল্ডেনসিটি এলাকার ভাড়াটিয়া ও ইব্রাহী সেলামতি স্বাগতমপাড়ার আব্দুল আলীর ছেলে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, বাদীনি মাহমুদা আক্তার এর স্বামী ফরিদুল জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়াতে থাকেন। গ্রেফতার আসামী রাসেল মোড়লসহ রাকিব,অমিত খান ও ইব্রাহীমগং সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ, ভুমিদুস্য প্রকৃতির লোক হওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বাদীনি স্বামী বিদেশে থাকায় আসামীগণ তার বাড়িতে গিয়ে বলে এলাকায় শান্তিতে থাকতে হ়লে তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তানা হলে শান্তিতে থাকতে দিবে না বলে হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। ঘটনার দিন গত ৩০শে মার্চ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আসামীগণসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০জন হাতে রামদা, শাবল, বটি, কোদাল ইত্যাদি নিয়ে বাদীনির বসত বাড়িতে গিয়ে চাঁদার টাকার জন্য বাদীনিকে গালিগারাজ শুরু করে। বাদীনি দক্ষিন ভিটির ঘর হতে বের হয়ে আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় আসামী রাকিব তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথার কোপ মেরে মারাত্বক আহত করে। এক পর্যায়ে বাদীনির পড়নের কাপড় দিয়ে তার হাতমুখ বেধে রেখে ঘরে থাকা আলমারী, সুকেস, ওয়ারড্রপ ও ৩ ভরি স্বর্ণালকারসহ বাদীনির উত্তর ভিটির একটি দেড়তলা টিনের বসতঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়।  পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় বাদীনিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বাদীনি সুস্থ্য হয়ে ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দিলে শ্রীনগর থানার মামলা নং-১৮(৫)২৪ রুজু হয়। 

মামলা তদন্তকারী অফিসার শ্রীনগর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আরিফুল ইসলাম বলেন, মামলার ১নং আসামী রাসেল মোড়লকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। রাকিব, অমিত খানসহ অন্যান্য পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস রূপক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে ফেরদৌস  রহমান রূপক। তিনি উপজেলর সর্বস্তরের মানুষের  নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

তিনি সাংবাদিক  পেশায় দীর্ঘ দিন যাবত মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন এবং গরীব দুঃখী ও মেহনতী মানুষের পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।

শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ০৭ টি ইউনিয়ন  ও ১টি পৌরসভার প্রবাসীসহ  সকল শ্রেনী পেশার নাগরিক ও সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের নিকট দোয়া, আশীর্বাদ কামনা করে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ফেরদৌস রহমান রূপক। উপজেলার জনগণকে সাথে নিয়েই নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তরুন এ সাংবাদিক ফেরদৌস রহমান রূপক।

ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ডামুড্যা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ফেরদৌস রহমান রূপক বেস্ট কেন্ডিডেট। তার ভদ্রতা, আচার ব্যাবহার ভোটারদের মন জয় করেছে। ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন মহলে ভালো মানুষ হিসেবে রূপকের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমন ভদ্রলোককেই উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।

বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফেরদৌস রহমান রূপক বলেন, আমি জনগনের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ে ও ভোটারদের আগ্রহ ও সমর্থন দেখে আমি নিশ্চিত বিজয়ের স্বপ্ন দেখছি। আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে সাধারণ মানুষের হয়ে উন্নয়নে অংশীদার হবো, জনসাধারণের পাশে দাঁড়াবো এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সচল রাখতে সুদ, ঘুষ,  মাদক ও দূর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ডামুড্যা উপজেলা বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার নিয়ে আমার এই পথচলা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। 

তিনি আরও বলেন, “তরুণরাই গড়বে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ” আমি এরই অংশ হিসেবে ডামুড্যা উপজেলাকে একটি আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে চাই। সাংবাদিক  পেশার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পেলে সাধারণ মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে আমি সদা প্রস্তুত। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে আমি আরও গভীরভাবে সাধারণ মানুষ ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সংস্পর্শে থাকবো। 

বহুগুণে গুণাবলীর অধিকারী ফেরদৌস রহমান রূপক  ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির অন্যতম সদস্য, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয়  যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক , শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক।

তিনি বলেন, আধুনিক শরীয়পুররের রূপকার ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত জননেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের সুযোগ্য সন্তান জননেতা আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক এমপির উন্নয়নে শরীক হয়ে উপজেলাবাসীর কল্যাণে নিজেকে জনতার কাছে সমর্পণ করতে চাই। আমার জন্মভূমি ডামুড্যা উপজেলাকে “স্মার্ট উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত করতে জনগণের ভালবাসা ও সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার দলীয় প্রতীক রাখেন নি।নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন নেত্রী।  আমি মনে করি নির্বাচন করার অধিকার সবারই রয়েছে। আমার পদে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন তাদের জন্যও শুভকামনা রইলো।

দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেন ফেরদৌস রহমান রূপক।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিতে বাধা নেই: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ২০১৯ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী।

একইসাথে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো: খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক, অ্যাডভোকের নুরুল ইসলাম সুজন, ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ।

এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ সোমবার বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি এ রিট দায়ের করেন। রিটে শিক্ষা সচিব, বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে পরদিন শুক্রবার আন্দোলনে নামেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি পেশ করেন।

বুয়েটে জোরালোভাবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি ওঠে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মত প্রকাশে সক্রিয় থাকায় শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। সহপাঠী হত্যার প্রতিবাদে টানা আন্দোলন শুরু করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে।


আরও খবর