Logo
শিরোনাম
শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা

বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি ৪৪ জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন। সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আশরাফ হোসেন (৪৫), উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম (৪৬), বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক (৪৮), উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তামিম আজাদ মেরিন (৪৫), উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রকিব মোল্যা (৪৩), কলারোয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা গাজী আক্তারুল ইসলাম (৩৮), বিএনপি নেতা মফিজুল ইসলাম (৪৪), পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মজিদ (৩০), বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ (৫২), হাসান আলী (৪৫), উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আলী (৫৫), বিএনপি নেতা ময়না (৩৮), বিএনপি নেতা শিক্ষক আব্দুস সাত্তার (৫০), সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি খালেদ মঞ্জুর রোমেল (৪২), বিএনপি নেতা কলেজশিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন সেন্টু (৫০), যুবনেতা মাজাহারুল ইসলাম (৪৫), বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক (৩৮), বিএনপি নেতা আব্দুর রব (৪৬), উপজেলা কেরালকাতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম (৪৩), যুগীখালী ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা বিএপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম (৫০), পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রসুল (৪৮), সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার (৫২), যুবদল নেতা রিংকু (৩২), যুবদল নেতা আব্দুস সামাদ (৪৮), বিএনপি নেতা আলাউদ্দীন (৩৪), যুবদল নেতা আলতাফ হোসেন (৩৮), উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তৌফিকুর রহমান সনজু (৩৩), ছাত্রদলের সহসভাপতি নাজমুল হোসেন (৩০), বিএনপি নেতা সাহাবুদ্দিন (৪৯), বিএনপি নেতা সাহেব আলী (৪৮), বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম (৫৫), যুবনেতা টাইগার খোকন (৩৮), যুবনেতা ট্রলি সহিদুল (৪২), বিএনপি নেতা কণক (৩৮), পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ কামরুল হোসেন (৫০), যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম (৩০), যুবদল নেতা ইয়াছিন আলী (৩৫), পৌর বিএনপির সহসভাপতি আখলাকুর রহমান শেলী (৩২), বিএনপি নেতা শাহিনুর রহমান (৫২), বিএনপি নেতা বিদার মোড়ল (৪০), যুবদল নেতা সোহাগ হোসেন (২৮), বিএনপির সমর্থক মাহাফুজার রহমান মোল্যা (৩৮), জামায়াতকর্মী গফ্ফার গাজী (৪০), সাবেক উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি মাহাফুজুর রহমান সাবু (৫০)। এদের মধ্যে মাহাফুজুর রহমান সাবু ও লাকি কারাগারে থাকাকালীন মারা গেছেন। এদের মধ্যে নাজমুল হোসেন, মো. আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের বাচ্চু, রিপন, মফিজুল ইসলাম, খালেদ মঞ্জুর, রোমেল, মাজাহারুল ইসলাম, আব্দুল মালেক ও রবিউল ইসলাম পলাতক।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় মোট ৪৮ জন সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। ৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন এবং ২ জন আসামি মারা গেছেন। তাছাড়া বাকিদের ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহার ও তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে সড়কপথে ঢাকায় ফিরছিলেন শেখ হাসিনা। পথিমধ্যে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা হয়। হামলাকারীরা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি করে ও বোমা বিস্ফোরণ করে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। এ সময় বহরে থাকা ১৫২০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম ও তার নেতাকর্মীরা এ হামলার পেছনে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৭০-৭৫ জনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় মামলা করতে গেলে মামলাটি রেকর্ড করেনি পুলিশ।

এ ঘটনার ১২ বছর পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা করা হয়। আদালত কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করার আদেশ দেন। মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে বিএনপির তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিন ভাগে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে সাক্ষী করা হয় ৩০ জনকে। তবে ৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি স্থগিত করা হয়। হাইকোর্ট মামলাটির স্থগিতাদেশ দেওয়ায় সাতক্ষীরার নিম্ন আদালতে গত তিন বছর বন্ধ ছিল মামলাটির বিচারকাজ।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত গত বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন।

 


আরও খবর



তরমুজ খেয়ে যে খাবার খেলে বিপদ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

তরমুজ খেতে কার না ভালো লাগে? গরমের সময় এই ফল খুবই উপকারী। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফাইবার রয়েছে । গরমে তরমুজ খেলে শরীর জুড়িয়ে যায়। তবে অনেক সময় তরমুজ খাওয়ার পরে কিছু খাবার খেলে পেটের নানা সমস্যা হতে পারে। এ কারণে তরমুজের খাওয়ার পর এসব খাবার এড়ানো উচিত। যেমন-

দুধ: তরমুজ খাওয়ার পর দুধ খেলে শরীরের জন্য নানাভাবে তা ক্ষতিকর হতে পারে। তরমুজ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। এই ফল খাওয়ার পর দুধ খেলে দুটি খাবারে প্রতিক্রিয়া হয় এবং পেট ফুলে যায়। দুধ খাওয়ার পর পর তরমুজ খেলে বদহজমও হতে পারে।

প্রোটিন জাতীয় খাবার: তরমুজ খাওয়ার পর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আসলে, তরমুজে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। কিছু স্টার্চও আছে। সেক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়ার পর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ডাল খেলে হজমের এনজাইমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং পাকস্থলীর জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে।

ডিম: তরমুজ খাওয়ার পর ডিম খেলে পেটের নানা সমস্যা হতে পারে। প্রোটিন ছাড়াও ডিমে ওমেগা-৩-এর মতো ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। অন্যদিকে তরমুজ একটি পানিসমৃদ্ধ ফল। এই দুটি খাবারে থাকা নানা উপাদান একসাথে হজমে বাধা দেয় এবং পেটে ফোলাভাব তৈরি হয়। তরমুজ খাওয়ার পর ডিম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে,হজম ভালো হতে হলে তরমুজ খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট কিছু না খাওয়াই ভালো। এতে শরীর ভালোভাবে পুষ্টি শোষণ করতে পারে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি


আরও খবর



ইসলামপুরে গৃহবধু ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে ইউপি সদস্যের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

লিয়াকত হোসাইন লায়ন :

ইসলামপুরে চর পুটিমারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আশরাফ আলী আশার কর্তৃক গৃহবধু ধর্ষণেরর চেষ্টার অভিযোগে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং গেজেট বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভূক্তভোগি পরিবার ও এলাকাবাসী।

শুক্রবার দুপুরে ডিগ্রীর চর সকাল বাজারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

জানাযায়, গত সোমবার ২৪ এপ্রিল চর পুটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী গ্রামের রেহান আলীর কন্যা  আঃ রসিদের স্ত্রী লাকী আক্তার বাবার বাড়ি থেকে শশুর বাড়ী যাচ্ছিল। পথিমধ্য ইউপি সদস্য আশা গৃহবধুকে একা পেয়ে পথরোধ করে ধর্ষণের চেস্টা করে। গৃহবধুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে এলে ওই ইউপি সদস্য দ্রুত সটকে পড়ে। 

মানববন্ধনে রেহান আলী,রিমন মিয়া,আঃ রশিদ সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ও ভূক্তভোগি পরিবার নারী লোভী ইউপি সদস্যের আশরাফ আলী আশার বিচার ও গেজেট বাতিলের দাবী জানান।

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী পরিবার কোন বিচার না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় মোখা সিডরের মতো ভয়ঙ্কর

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা দেশের দক্ষিণ উপকূলে ২০০৭ সালে আঘাত হানা সিডরের মতোই শক্তিশালী বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আসাদুর রহমান এ কথা জানান।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ ও উখিয়া অঞ্চলে মোখার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে। এটি যখন তীরে আছড়ে পড়বে তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১৬০ কিলোমিটারের বেশি। এর প্রভাবে যে বৃষ্টি হবে, তাতে পাহাড় ধসের শঙ্কা আছে। একটানা আট ঘণ্টার বেশি প্রবল বৃষ্টি হলে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকে। প্রবল বৃষ্টির হতে পারে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে। সিলেটেও প্রভাব থাকবে তবে, ঢাকায় কম হবে।

আসাদুর রহমান বলেন, মোখার প্রভাব সিলেট পর্যন্ত থাকবে। বর্তমানে এর ডায়ামিটার ৫০০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার। ডায়ামিটার যদি ২৫০ কিলোমিটারও থাকে, তাও তো কম না। তীর থেকে ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে এলে এর গতি থাকবে ১৬০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার। কিন্তু এটা আরও গতি সঞ্চার করতে পারে। এই গতিতে এগিয়ে এলে আগামীকাল (রোববার) সকাল ১০টা থেকে ঝড়ো হাওয়ার পরিমাণ বাড়বে।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, প্রত্যেকটা সাইক্লোনের বৈশিষ্ট্য স্বতন্ত্র। সিডরের সঙ্গে এর তুলনা হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত এটা বঙ্গোপসাগরে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত এর শক্তি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে। উপকূলে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এটা শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে। বর্তমানে সাগরে অবস্থানকালীন মোখার দমকা বাতাসের সঙ্গে যে ঝড়ো হাওয়া বইছে তার সঙ্গে সিডরের মিল রয়েছে। উপকূল অতিক্রম করার সময় কোনো কোনো ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্য, গতিবেগ, দমকা বাতাস বা ঝড়ো হাওয়ার ধরণ পরিবর্তন হয়। সে কারণে বাতাসের গতিবেগ কম বেশি হয়। তাই সিডরের মতো হবে এ রকম না বলে প্রায় সিডরের সমতুল্য গতিবেগ নিয়ে মোখা মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।

ব্রিফিংয়ে যুগ্ম পরিচালক ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরে বলেন, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। শনিবার (১৩ মে) রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

এদিকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

অপরদিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

কতটা শক্তিশালী মোখা : বিভিন্ন সময়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের দুটি মৌসুম রয়েছে। একটি বর্ষার আগে, অর্থাৎ এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসে। আরেকটি বর্ষার পরে, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ ড. সমরেন্দ্র কর্মকার বলছেন, এই দুই সময়ে সি সার্ফেসের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। বায়ুমণ্ডলের বিন্যাসও ফেভারেবল হয়। সূর্য যখন এক গোলার্ধ থেকে আরেক গোলার্ধে যায়, তখন এই সময়টায় বঙ্গোপসাগরের ওপরে থাকে। ফলে বঙ্গোপসাগর অতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠে যে পানি আছে তা সুপ্ত তাপ নিয়ে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। এটা বায়ুমণ্ডলে যত প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড় তত শক্তিশালী হয়। মূলত এই কারণে এ সময় ঘূর্ণিঝড় বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপাসগরে কোনো নিম্নচাপ, লঘুচাপ বা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়নি। ফলে মোখাই হতে যাচ্ছে চলতি বছরে প্রথম ঘূর্ণিঝড়। সেকারণে পুরো মৌসুমটায় সূর্য থেকে আগত রশ্মি পুরোটাই বঙ্গোপসাগরের পানি উত্তপ্ত করেছে। এতে বঙ্গোপসাগরের পানিতে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, গেল কবছরের মধ্যে মোখা সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রার পানিতে সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এখন বঙ্গোপসাগরের পানির তাপমাত্রার যে মানচিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে বুঝা যাচ্ছে, যত উত্তর দিকে ঘূর্ণিঝড়টি অগ্রসর হবে তত বেশি এটি উত্তপ্ত পানির সংস্পর্শে আসবে। এছাড়া শক্তি ধরে রাখতে যে তিনটি উপাদান প্রয়োজন তার সব কটিই রয়েছে মোখায়।

সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রির ওপরে এবং সমুদ্রে সঞ্চিত শক্তিযথেষ্ট পরিমাণে আছে, ফলে ঘূর্ণিঝড়টি আকারে বড় হবে। তারা আভাস দিয়েছেন, উপকূলীয় অঞ্চলে অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আছড়ে পড়তে পারে এটি।

২০০৭ সালের সিডরে যা হয়েছিল : ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডর প্রায় ৬ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। যদিও রেডক্রিসেন্টের হিসাবমতে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।

সে সময় উত্তর ভারত মহাসাগরে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে সৃষ্ট ওই ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ২৬০ থেকে ৩০৫ কিলোমিটার। সিডর খুলনা ও বরিশাল এলাকায় তাণ্ডব চালায়। সমুদ্র থেকে উঠে আসা ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে সব কিছু ভেসে যায়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩২টি জেলার ২০ লাখ মানুষ। উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ছয় লাখ টন ধান নষ্ট হয়ে যায়। সুন্দরবনের প্রাণীদের পাশাপাশি অসংখ্য গবাদিপশু ‍মারা যায়।

 


আরও খবর



বাখমুত হস্তান্তর ১ জুনের মধ্যে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

ইউক্রেনের বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ আগামী ১ জুনের মধ্যে রুশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভাগনারপ্রধান। রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন গত শনিবার (২০ মে) ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত দখলের দাবি করেন।

তবে কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনের সেনারা এখনো শহরটির অংশবিশেষ নিয়ন্ত্রণ করছেন। দেশটির সেনারা শহরের উপকণ্ঠের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। কিন্তু ভাগনারপ্রধান বলেছেন, তার সেনারা বৃহস্পতিবার (২৫ মে) থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ রুশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর শুরু করবেন।

টেলিগ্রামে দেওয়া একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে ইয়েভজেনি প্রিগোশিন বলেন, ভাগনার ২৫ মে থেকে ১ জুনের মধ্যে আর্টেমোভস্ক (বাখমুত) ত্যাগ করবে।

বাখমুত আগে আর্টেমোভস্ক নামে পরিচিত ছিল। এক সোভিয়েত বিপ্লবীর সম্মানে শহরটির এ নাম রাখা হয়েছিল। তবে পরে ইউক্রেন শহরটির নাম বাখমুত রাখে।

ইয়েভজেনি প্রিগোশিন বলেছেন, বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের আগে শহরটির পশ্চিম দিকে প্রতিরক্ষাব্যূহ স্থাপন করেছে ভাগনার।

ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার ভাষ্য, শহরটির ভেতরে এখনো তার দেশের বাহিনীর ছোট অবস্থান রয়েছে। পরে হান্না মালিয়ার এক টেলিগ্রাম পোস্টে লেখেন, ইউক্রেনীয় সেনারা এখনো শহরটির কিছু বেসরকারি স্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মস্কোর কাছে বাখমুতের খুব কমই কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। তবে শহরটি দখল করা রাশিয়ার জন্য একটি প্রতীকী বিজয় হবে।


আরও খবর



পাটগ্রামে মদখাওয়াকে কেন্দ্র করে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন,গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: 

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে ঘুরতে এসে মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক বন্ধুর হাতে অন্য বন্ধু খুন হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ আইয়ুব আলী নামে একজনকে আটক করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনা এখনও জানা যায়নি।শুক্রবার (১২ মে) রাত একটার দিকে দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের দক্ষিনে তিস্তা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বন্ধু আইউব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত রফিকুল ইসলাম (২৩) দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার লাটেরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। আটক আইয়ুব আলী (২৬) একই এলাকার ইনসান আলীর ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেশা করার জন্য দুই বন্ধু তিস্তার চরে যায়। সেখানে উভয়ে ভারতীয় মদ পান করে এবং উভয়ের মধ্যে নেশা করার বিষয়কে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে আইউব প্লাস্টিক এর রশি দিয়ে রফিকুলকে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যা করার পরে আইউব আলী রফিকুল এর মৃতদেহ তিস্তা নদীর চরে বালুতে পুতে রাখে।

আইউব এর সৎ ভাইয়ের বাড়ি দহগ্রাম গুচ্ছগ্রাম বাজারে। সে দহগ্রামে বিবাহ করেছিলেন এবং মাঝে মধ্যে শ্বশুর বাড়ি আসে। ঘটনার ৬ ঘন্টা আগে আইউব দিনাজপুর হতে দহগ্রামে আসে এবং তার সৎ ভাই জুলফিকার আলি ভূট্টুর বাড়িতে অবস্থান করে।

তারা দু'জনেই দিনাজপুর বীরগঞ্জ হতে নিজের অটো ইজিবাইক নিয়ে দুপুর বেলায় দহগ্রামে আসে। নিহত রফিকুল ইসলাম তার অটোটি এক পরিচিত বাড়িতে চার্জ দেয়। দহগ্রামে আসার পরে তারা হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে নদীর চরে মদ নিয়ে যায় সেখানেই পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ঘাতক আইউব আলী।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত রফিকুলের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর