Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

বিজিবি সদস্যর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ


বিজিবি'র এক সদস্যর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার।

জয়পুরহাটে এক বিজিবি সদস্যের ‘গুলিবিদ্ধ’ হয়ে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিজিবি’র পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

নিহত বিজিবি সদস্য নেপাল দাস (৩৫), জয়পুরহাট ২০ বিজিবির সিপাহী। সে ফরিদপুর জেলার মধুখালি মেঘচামী এলাকার নারায়ণ দাসের ছেলে।

জেলার গোয়েন্দা বিভাগ সূত্র জানায়, হত বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর রাতে বিজিবি জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনস্থ পাঁচবিবি বিশেষ ক্যাম্পে দায়িত্বরত সদস্য নেপাল দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন বিজিবি’র অন্যান্য সদস্যরা। পরে তাকে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সিপাহী নেপালকে মৃত ঘোষণা করেন। 

শুক্রবার ১৮ নভেম্বর সকালে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সরদার রাশেদ মোবারক সাংবাদিকদের জানান, নেপাল দাসের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। মৃতদেহের ডান পিঠ ও হাতে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। 

এবিষয়ে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জয়পুরহাট থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্ত শেষে বিজিবি’র পাহাড়ায় নেপালের মৃতদেহ রাতেই ফরিদপুরে তার গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। 

এর বেশী কোন তথ্যই দিতে নারাজ বিজিবি বা পুলিশ প্রশাসন। তার শরীরে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে বলেও পুলিশ সুত্র জানায়।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচী

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) তে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচী পালন করছে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি  রিসার্স সোসাইটি। 

আজ সোমবার সকাল থেকেই বিএমবি রিসার্স সোসাইটির উদ্যোগে প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বহিরাগতসহ রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে নিম গাছের নিচে অনেকে ভীর করছেন রক্তের গ্রুুপ নির্নয়ের জন্য। আয়োজক হিসেবে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি  বিভাগের নাদিম, ইমা, আরিফ, কাওছার সেতু, নিশাদ, সম্রাট হাসান, ওহি, মুন্না এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। রিকশাচালক থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষ এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। 


রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে আসা টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রিতম কর্মকার বলেন, রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা প্রত্যেকের জরুরি। আমি নিজেও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করিয়েছি। অনেকেই এই প্রথম রক্তের গ্রুপ জানছে। বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের পাশাপাশি রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করলে দেশ জাতির কল্যান বয়ে আসবে। 

সিপিএস বিভাগের ফারিহা আলম বলেন, 

 বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি  রিসার্স সোসাইটি নিঃসন্দেহে একটা ভালো কাজ করেছে। অনেকে হঠাৎ দূর্ঘটনায় পড়লে রক্তের প্রয়োজন হয়। তখন গ্রুপ জানা না থাকলে যেমন ঝামেলা বৃদ্ধি পায় তেমন রক্তের গ্রুপ জানা থাকলে দ্রুত রক্ত যোগাড় করা যায় বা কাউকে রক্ত দান করে তার জীবন বাঁচানোও যায়। 

আয়োজক সংগঠনের পক্ষে ইমা বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এক হাজার জনের রক্তের গ্রুপ বিনামূল্যে নির্ণয় করা। বাংলাদেশে প্রতি বছর অনেকে রক্ত না পেয়ে মারা যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে কেউ যাতে রক্ত না পেয়ে মারা না যায়। এছাড়াও, আমরা বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সেমিনার করে থাকি যাহাতে  মানুষ সচেতন হতে পারে।


আরও খবর



বুড়িগঙ্গার পানি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) ৪ মিলিগ্রাম/লিটার থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বুড়িগঙ্গা নদীতে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে শ্যামপুর বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল পর্যন্ত দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) মাত্র ০.১৪ থেকে ০.৭২ মিলিগ্রাম/লিটার বলে জানিয়েছে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা) ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র।

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে পরিজা ও মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবেদন প্রকাশ ও গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানে হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিঠা পানি নদীবেষ্টিত শহর ঢাকা। এই বিশাল মিঠা পানির জলাধার ইতোমধ্যে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাছাড়া অভিন্ন নদীর পানি উজান থেকে প্রত্যাহার করায় ধীরে ধীরে উত্তরাঞ্চল মরুকরণের দিকে যাচ্ছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পানির কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িগঙ্গা নদীর পরিবেশ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এতে কোনো জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। অপরিশোধিত শিল্পকারখানায় বর্জ্য ও পয়:বর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

পরিজার সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মোস্তাক হোসেন।

বক্তারা বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে বর্তমানে ২.২ বিলিয়ন মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত এবং এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব জনসংখ্যা ২ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্বব্যাপী পানির চাহিদা ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে। বর্তমানে বিশ্বে কৃষি খাতে ৭০ শতাংশ (যার বেশির ভাগই সেচ কাজে), শিল্প খাতে ২০ শতাংশ (বিশেষ করে জ্বালানি ও উৎপাদনে), গৃহস্থালি কাজে ১০ শতাংশ (যার এক শতাংশেরও কম সুপেয় পানি) হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এদেশে ছোট বড় ৪০৫টি নদী রয়েছে। এরমধ্যে অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৭টি। ৫৪টি ভারতের এবং ৩টি মিয়ানমারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দেশের নদীগুলোর ৪৮টি সীমান্ত নদী, ১৫৭টি বারোমাসি নদী, ২৪৮টি মৌসুমী নদী। মানুষের অত্যাচারে নদীগুলো আজ মৃতপ্রায়। উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো শুল্ক বালুচরে পরিণত হয়েছে এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েই চলেছে। দখল, ভরাট, আর বর্জ্যে নদীগুলো এখন নিস্তব্ধ স্রোতহীন এবং দূষণের ভারে পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে জীববৈচিত্র শূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে পরিবেশ, প্রতিবেশ, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও জীবন-জীবিকা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।

ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, নিরাপদ পানি অভাবে মানব শরীরের কিডনি, লিভার, হার্টসহ নানান অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। নিরাপদ পানির অভাবে ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষ পেটের সমস্যাসহ নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন।

ঢাকা শহরের লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক মানুষ পানির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত দাবি করে পরিজার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল বলেন, সকালবেলায় বস্তির মানুষেরা এক কলসি পানির জন্য এই শহরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে; যা তাদের জীবন জীবিকাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলছে। সরকারকে এই প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

একটি রোডম্যাপ করে দেশব্যাপী পানির অধিকারের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য সচিব মাহবুল হক।

 


আরও খবর



২২ দিনে রেমিট্যান্স সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

চলতি মার্চ মাসের প্রথম ২২ দিনে বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে)।

সোমবার ( ২৪ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি মার্চের প্রথম ২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১৪ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন)। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১৬১ কোটি সাত লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।

 


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




রোজার আগেই গরম ফল বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

পবিত্র রমজান শুরু হতে সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। এদিকে রমজানের প্রভাবে বেড়েছে আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম। এ জন্য ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, শুল্ক বেড়ে যাওয়া, এলসি জটিলতাসহ নানা কারণকে দূষছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে আমদানি করা ফলের দাম বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে দেশি ফলের দামও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর মিরপুর-৬, কচুক্ষেত, গুলশান, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার এবং ফার্মগেট বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশে উৎপাদিত ফলের দামও।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রমজানে খেজুর ও মাল্টার চাহিদা বেশি থাকে। ঠিক এ কারণে রমজানের আগেই বেড়েছে এই ফলের দাম। এর পাশাপাশি বেড়েছে আপেল ও কমলার দামও। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মাল্টার সরবরাহ কম। এ কারণে দেশি মাল্টার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। গতকাল প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হয় ২৭০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২২০ টাকা। এদিকে দেশি কমলা বিক্রি হয় ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে আমদানি করা কমলা। প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। এ ছাড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে আনার কেজি বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তবে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে আঙুরের দাম। প্রতি কেজি সবুজ আঙুর বিক্রি করা হয় ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি কালো আঙুর বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। 

এদিকে বাজারে মারিয়াম খেজুরের দাম পড়ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মাবরুম ৬০০ থেকে ৬৫০, মেডজুল ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০, দাবাস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আজোয়া মানভেদে বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি। বাজারে আরও উচ্চমূল্যের খেজুর আছে। তবে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে জাহিদি খেজুর। দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। গত বছরের তুলনায় সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে যে আনারস বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়, গতকাল তা বিক্রি হয় ৬০ টাকা। এক সপ্তাহে আগে বড় বেলের দাম ছিল ১০০-১২০ টাকা। গতকাল বড় বেলের দাম ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। অন্য ধরনের বেল যা আগে ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, সেটি গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। গত সপ্তাহে পাকা পেঁপের দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আর গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়। পেয়ারার দাম ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা। গতকাল তা ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। 

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগে ২০ কেজি আপেলের প্যাকেটে শুল্ক দিতে হতো ৩০০ টাকা। এখন সেটি দিতে হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর এক কেজি আঙুরে দিতে হতো ৩০ টাকা। এখন সেটি দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা। আবার ডলারের রেট বেশি। সব মিলিয়ে খরচও বেশি।’

তিনি আরও বলেন, খেজুরে যে পরিমাণ শুল্ক কমানো হয়েছে, তাতে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। কারণ খেজুরে শুল্কায়ন হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। কেনা দামে শুল্কায়ন করা গেলে ভোক্তার কিছুটা সুবিধা হতো। 

মিরপুর-৬ বাজারে ফল বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, তিনি ২৫ বছর ধরে ফলের ব্যবসা করেন। প্রতিবছর তিনি দেখেছেন রোজার সময় ফলের চাহিদা বেড়ে যায়। রমজানের প্রথম সপ্তাহজুড়ে ধনী-গরিব সবাই চেষ্টা করেন ইফতারে ফল রাখতে। এতে চাহিদা যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। এতে দামের ওপর প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া অনেক ব্যবসায়ী দাম বাড়ানোর সুযোগ নিয়ে থাকেন। 


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




নওগাঁয় এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় শয়ন ঘর থেকে মল্লিকা বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করার সময় তার স্বামী মহসীন আলী মণ্ডল (৫০) কে আটক করেছে মান্দা থানা পুলিশ। আটককৃত মহসীন আলী নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়ন এর চকখোপা গ্রামের মৃত আহম্মদ আলী মণ্ডল এর ছেলে। অপরদিকে নিহত মল্লিকা বেগম পাশ্ববর্তী গণেশপুর ইউনিয়ন এর ভেবড়া গ্রামের মফের আলীর মেয়ে। তাদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মল্লিকা বেগম দীর্ঘদিন যাবত কিডনি রোগ, পাইলস, পেট ব্যথা, দাঁত সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। কিছু দিন আগে তার একটি অপারেশনও করা হয়েছিল। 

মহসীন আলীর ভাই মোজাম্মেল বলেন ভোর রাতে আমার মা সেহরী খাওয়ার জন্য আমার ভাই মহসীনকে ডাকতে যায়। এসময় বাড়ির পাশের একটি ধান ক্ষেতে তাকে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ঘরে গিয়ে দেখা যায় আমার ভাবির মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। 

এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় নিহত গৃহবধূ'র গলায় আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মহসীন আলীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো সহ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর