Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

বইমেলায় ভাঙনের সুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

এবারের অমর একুশে বইমেলা শুরু হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। শুরু হয়েছিল ১৩ দিনের জন্য, কিন্তু পরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তা বাড়িয়ে ১৭ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। সে হিসেবে আর দুদিন পরই শেষ হচ্ছে এবারের মেলা। গত দুই বছর অনেকটা হতাশায় কাটলেও এবারের মেলা শুরুর দিন থেকেই জমে ওঠে। তবে শেষ সপ্তাহের ছুটির দিনের পর থেকেই ফাঁকা হতে থাকে মেলাপ্রাঙ্গন।

যে প্যাভেলিয়নগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকত সেগুলোতে অল্প-স্বল্প পাঠক দেখা গেলেও প্রান্তিক স্টলগুলো ছিল একদম ফাঁকা। বিক্রিয়কর্মীরা কাটাচ্ছেন অলস সময়, কেউবা নিজেদের মধ্যে গল্প-গুজব করছেন। আর আগত দর্শনার্থীদের অনেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লেকের পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আবার কেউ আড্ডা দিচ্ছেন খাবারের দোকানে। মেলার ২৮তম দিন সোমবার (১৪ মার্চ) মেলা ঘুরে দেখা যায় এমন দৃশ্য।

প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, মেলার শেষ দিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী পাঠক সমাগম ও বিক্রি খুবই কম। মেলায় যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগই আড্ডা দিতে আসছেন।

তাম্রলিপির মেলার স্টল ম্যানেজার হৃদয় আহমেদ বলেন, মেলায় শেষ দিকে এসে পাঠক সমাগম একদমই কম। তবে গত দুবছরের তুলনায় ভালো। যদিও ২০১৮-১৯ সালে মেলার শেষ দিকে এসে যেমন উপচে পড়া ভিড় হতো তেমনটা নেই। তখন এই সময়ে বিক্রয়কর্মী ও প্রকাশকরা কথা বলার জন্যও সুযোগ পেত না ব্যস্ততার কারণে। এখন মেলায় যারা আসছেন তাদের বেশির ভাগই এদিক-সেদিক ঘুরছেন।'

অন্যধারা প্রকাশের সত্ত্বাধিকারী মনির হোসেন পিন্টু বলেন, 'প্রথমত আমরা শিওর ছিলাম না মেলার সময় বাড়বে কিনা! আমরা ১৩ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে মেলা শুরু করেছি। সেই সময়টা আমাদের খুবই ভালো যায়। সময় বাড়লেও আমরা আশঙ্কাগ্রস্ত ছিলাম পাঠক থাকবে কিনা এবং পাঠক সমাগম খুবই ভালো ছিলো।  মেলার পড়ন্ত সময়ের হিসেবে কম হলেও পাঠক সমাগম ভালো।

চিত্রা প্রকাশের বিক্রয়কর্মী প্রমা শর্মা বলেন, মেলার প্রথম সপ্তাহ জমজমাটই চলে। মেলার মাঝের দিকে এসে শুক্র ও শনিবার ছাড়া লোক সমাগম আস্তে আস্তে কম হতে শুরু করে। শেষ দিকে এসে আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী তা অনেকটাই কম।  লোকসমাগম কম বলে বিক্রিও কম। এখন যারা আসছেন তাদের ভিড় হয়তো খাবারের দোকানে, নয়তো লেকের পাশে। বেশির ভাগই আড্ডা দিচ্ছেন।

মেলার আয়োজন

বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ : বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আলোকবর্তিকা এবং ড. মুহম্মদ এনামুল হক : জীবন ও সৃজন শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাকিম আরিফ এবং সৌরভ সিকদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আনোয়ারুল হক, ললিতা রানী বর্মন এবং মাসুদ রহমান। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ আজিজুল হক।

প্রবন্ধ উপস্থানকালে হাকিম আরিফ বলেন, বাংলাভাষী অঞ্চলে ভাষাচর্চা বা তাত্ত্বিকভাবে ভাষাবিজ্ঞানের প্রসঙ্গটি যখনই উত্থাপিত হয়, তখন অপরিহার্যভাবেই ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নাম চলে আসে। বাংলা ভাষার চর্চা বা ভাষার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের বিষয়টি ছিল তার আবেগের অংশ, জীবনযাপনের মতোই নৈমিত্তিক।

সৌরভ সিকদার বলেন, বাংলার মনীষী ড. মুহম্মদ এনামুল হক গবেষণাক্ষেত্রে যেমন মেধাবী ছিলেন, তেমনি প্রশাসনিক দক্ষতা ও কর্মতৎপরতায় ছিলেন অনন্য। বাংলাভাষা ও সাহিত্যের গবেষণায়, বাংলাভাষার পরিকল্পনায় ও এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারে তার অবদান চিরস্মরণীয়।


আরও খবর



চার মাসে মশার ঘনত্ব দ্বিগুণ হয়েছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে চলতি অর্থবছরে মশা মারার বাজেট ১৫৩ কোটি টাকা। আর মশা মারতে ড্রোনের ব্যবহারও করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। তারা সিঙ্গাপুর থেকে বিটিআই নামের এক ধনের ব্যাকটেরিয়াও আমদানি করেছে। তারপরও মশার দাপট কমছে না।

এডিস মশার পর মার্চের শুরু থেকেই কিউলেক্স মশার কামড়ে নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনে রাতে এখন সব সময়ই মশার কামড়।

ঢাকার অন্যান্য এলাকারও একই অবস্থা। তবে যেসব এলাকায় ডোবা, নালা বা খাল বেশি সেখানে মশাও বেশি।

অবশ্য দুই সিটি কর্পোরেশনই দাবি করছে, তারা মশা নিধনে ব্যাপক কাজ করছে এবং মশা আগের চেয়ে কম।

মশার ঘনত্ব দুই গুণ হয়েছে


গবেষণা বলছে, এখন ঢাকায় কিউলেক্স মশার ঘনত্ব ৯৯ ভাগ। এর মানে হলো এক শ
টি মশার মধ্যে ৯৯টি কিউলেক্স মশা। আর গত চার মাসে এই ঘনত্ব বেড়েছে দ্বিগুণ। কিউলেক্স মশা ড্রেন, নর্দমা, ডোবা ও ময়লা পানিতে বংশ বিস্তার করে। এই মশার কামড়ে ফাইলেরিয়া রোগ হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার।

 

অধ্যাপক কবিরুল বাশারের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক ঢাকার ছয়টি স্পটে ১২টি ফাঁদের মাধ্যমে মশা সংগ্রহ করছে। নভেম্বরে গড়ে প্রতিটি ফাঁদে দুই শ করে মশা ধরা পড়েছে। ডিসেম্বরেও গড় সংখ্যা মোটামুটি একই ছিল। তবে জানুয়ারি থেকে এ সংখ্যা তিন শ হয়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতে ৩৮৮ ও চলতি মার্চে এই সংখ্যা ৪২০টিতে ঠেকেছে। ঘরের ভেতর ও বাইরে আলাদা দুটি ফাঁদে সপ্তাহে একবার করে মাসে চারবার মশা সংগ্রহ করে হিসাব করে গড় বের করা হয়। গবেষণায় গড়ে প্রতি ফাঁদে মিলছে ৪২০টি মশা। সবচেয়ে বেশি উত্তরা ও দক্ষিণখান এলাকায় গড়ে পাঁচ শ মশা ধরা পড়েছে।

কবিরুল বাশার বলেন, গত বছরের তুলনায় এই সময়ে মশা বেড়েছে কী না তা তুলনা করার জন্য কোনো পরিসংখ্যান আমার কাছে নাই। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে ২০ ভাগ মশা বেড়েছে। আর সাধারণভাবে নাগরিকেরা মশা বাড়ার কথা বলছেন।

 

তার কথা, ঢাকার ড্রেন ও নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে মশা বেড়েছে। আর মশা ও মশার লার্ভা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

দক্ষিণ সিটি যা বলছে


কিন্তু এই গবেষণার সাথে একমত নন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির। তিনি বলেন,
গবেষণায় কী পাওয়া গেছে তা গবেষকের ব্যাপার। তার গবেষণার সাথে আমি একমত নই। মার্চ মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় মশক পরিস্থিতি যেকোনো বছরের তুলনায় ভালো এবং পরিস্থিতি আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। বিচ্ছিন্নভাবে আমরা দুই-একটি এলাকা থেকে অভিযোগ পাচ্ছি। সেখানে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আর আমরা কিউলেক্স মশার প্রজনন ক্ষেত্র ড্রেন, নর্দমা, ডোবা, খাল নিয়মিত পরিষ্কার রাখছি। এছাড়া সকালে মশার লার্ভা নিধনের জন্য লার্ভিসাইট, বিকেল বেলা উড়ন্ত মশা নিধনের জন্য নিয়মিত ফগিং করছি, বলেন এই কর্মকর্তা।

আর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, কবিরুল বাশার ছাড়া আর কেউ তো মশা নিয়ে গবেষণা করেন না। ফলে তার গবেষণা তো আমাদের তুলনা করার সুযোগ নাই যে মশা বেড়েছে না কমেছে। তবে সাধারণভাবে দেখলে এটা তো অস্বীকার করার উপায় নাই যে মশা বেড়েছে।

তার কথা, মশা নিধনে আমাদের নানা ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে এর সাথে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ও খাল বিলের সম্পর্ক আছে। আমাদের উত্তর সিটি কর্পোরেশনে তিন হাজার বিঘার মতো জলাশয় আছে। এগুলোর অধিকাংশ রাজউক, পিডিবিসহ আরো কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের। যেগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা তাদের দায়িত্ব।

খরচ বাড়ে, মশাও বাড়ে


ঢাকার দুই সিটির চলতি অর্থ বছরে মশা মারার বাজেট ১৫২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে উত্তরের ১২১ কোটি ৮৪ লাখ আর দক্ষিণের ৩১ কোটি এক লাখ টাকা। আর গত ১২ বছরে ঢাকার মশা মারার আয়োজনে খরচ হয়েছে এক হাজার দুই শ
কোটি টাকা। এই বাজেটের টাকা মশা নিবারণের নানা যন্ত্রপাতি, কীটনাশসহ আরো অনেক কাজে ব্যয় হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) ১০টি অঞ্চলে ৭৫টি ওয়ার্ড। মশানিধনে ১৫০ জন মশক সুপারভাইজারসহ এক হাজার ৫০ জনবল কাজ করছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলে মোট ৫৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। এখানে ৭৫ জন মশক সুপারভাইজারসহ প্রায় ছয় শ জনবল আছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, কার্যকর মশা নিধনের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি কর্পেরেশনের। তারা যদি যৌথ এবং সমন্বিতভাবে এ কাজটি করতো তাহলে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যেত। তাদের কৌশলগত পরিকল্পনা দরকার। পাশাপাশি দরকার নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করা।

তার কথা, ঢাকার জলশয়, খাল ময়লা দিয়ে ভরে ফেলা হয়েছে। ড্রেন, নর্দমা অপরিষ্কার। সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। পানির চলাচল রাখতে হবে। আর মশা নিধনে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা ল্যাবরেটরিতে এবং ফিল্ড লেভেলে পরীক্ষা করে ব্যবহার করা দরকার।

অধ্যাপক কবিরুল বাশারের কথা হলো, ড্রেন ও নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে মশা বেড়েছে। অনেক জলাশয়ে প্রচুর কচুরিপানা। এসব কচুরিপানায় মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের উচিত এখনই ড্রেন ও খালের লার্ভা ধ্বংস করতে গাপ্পি মাছ ছেড়ে দেয়া। গাপ্পি মাছ ময়লা পানিতেও ভালো থাকে এবং মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে।

দরকার আগাম প্রস্তুতি


মশার প্রাদুর্ভাব শুরু হলেই সিটি কর্পোরেশনের হাঁকডাক শুরু হয়ে যায়। তারা নানা কথা বলে, পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে। মশা মারতে ড্রোন, রোড শো, পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মীদের শরীরে অত্যাধুনিক বডি ক্যামেরার সংযোজন, হাঁস, পাখি, গাছ ও মাছের ব্যবহার করে চমক দেখায়, কিন্তু মশা কমে না। এখন কিউলেক্স-এর প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। কমিউনিটি মেডিসিনের চিকিৎসক ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন,
মশার কারণে এখন সারা বছরই ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। তাই মশা নিধনের কাজ সারা বছরই করতে হবে। আমরা কাজ ছাড়া আর কোনো কথা শুনতে চাই না।

তার কথা, মশা নিধনের তিনটি উপায়। পরিবেশগত, রাসায়নিক এবং বায়োলজিক্যাল। এই তিনটি প্রক্রিয়া সব সময় কাজে লাগাতে হবে। আমরা দেখছি, মশা মারার ওষুধে মশা মরে না। তাই ল্যাবরেটরিতে যে রাসায়নিকে মশা মরছে সেটা বাস্তবে ব্যবহার করা হয় কী না তা দেখা দরকার।

এই কিউলেক্স মৌসুম শেষ হলে আবার ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হবে। গত বছর সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার ৷ এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার। গত বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন, যার মধ্যে ৯৮০ জনই ঢাকায় মারা গেছেন।

ঢাকার দুই সিটির মধ্যে উত্তর সিটিতে সম্প্রতি একজন কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি অবশ্য এখনো মশার ব্যাপারে কিছু জানেন না। সোমবার তার কাছে মশার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানেন। আর দক্ষিণে কোনো কীটতত্ত্ববিদ নাই।

কবিরুল বাশার মনে করেন, তাদের কীটতত্ত্ববিদ থাকা দরকার এবং মশা নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত বলেন, সিটি কর্পোরেশন মাঝে মাঝে সহায়তা চায়। আমরা তখন আমাদের এক্সপার্টদের পাঠাই। তবে মশার ব্যাপারে আমাদের ভালো এক্সপার্ট নেই।


আরও খবর



মাহে রমজান: প্রথম তারাবিতে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমিয় বার্তা নিয়ে ফের এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে রমজান শুরু। সোমবার (১১ মার্চ) বাদ এশা দেশের মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এর আনুষ্ঠানিকতা। ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

রাতে এশার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের মসজিদে মসজিদে আদায় করা হয় তারাবির নামাজ। প্রথম তারাবির জামাতে নামে মুসল্লিদের ঢল। পাঞ্জাবি-পাজামা পরে জায়নামাজ নিয়ে মুসল্লিরা ছোটেন মসজিদের দিকে।

সিলেটেও ধর্মপ্রাণ মানুষ আদায় করছেন তারাবির নামাজ। হজরত শাহজালাল (র.)-এর দরগাহ মসজিদে তারাবিহ নামাজে অংশ নেন অসংখ্য মুসল্লি। একই সঙ্গে সিলেটের সব মসজিদেও মুসল্লিরা তারাবির জামাতে অংশ নেন।

সন্ধ্যার পর থেকেই খুলনার বিভিন্ন মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের ভিড় বাড়তে থাকে। কোথাও কোথাও দলবেঁধে, কোথাও পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে তারাবিহ নামাজ আদায়ে মসজিদে আসেন। খুলনার সব মসজিদই অল্প সময়ে পূর্ণ হয়ে যায়। নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও বাংলাদেশের জন্য দোয়া করেন ইমামরা।

এদিকে পবিত্র রমজানে খতম তারাবি পড়ার সময় সারা দেশে সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আলেমরা জানান, দীর্ঘ ১১ মাসের পাপ পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হওয়ার অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় রমজান। পবিত্র রমজানের আগমনে মুসলিম সমাজ ও ইসলামি জীবন ধারায় এক বিরাট সাফল্যের সৃষ্টি হয়। রমজান হলো ইবাদতের বসন্তকাল। আল্লাহপাক ইবাদতপাগল বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য সব আয়োজন করে রাখেন। এ মাসে একটি ফরজ আমলের মূল্য অন্য সময় ৭০টি ফরজ আমলের সমপরিমাণ।


আরও খবর



মেট্রোরেলে স্টেশন কন্ট্রোলার হিসেবে নিয়োগ পেলেন মাভাবিপ্রবির সুমন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) এর রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুমন মিয়া। একই বিভাগ থেকেই  স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন শেরপুর সদর উপজেলার বলাইরচর ইউনিয়নের  আব্দুল হামিদের  ছেলে মো. সুমন মিয়া। সুমনের এই সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকলেই অনেক আনন্দিত। স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নানা চড়াই-উতরাই পার করে আজ (শনিবার) তিনি মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন  বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি  মো হৃদয় হোসাইন। 

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হওয়ার পর অনুভূতি কেমন? 

সুমন: বাংলাদেশের জন্য মেট্রোরেল যেমন স্বপ্নের মতো, ঠিক তেমনি মেট্রোরেল আমার কাছেও একটা স্বপ্ন। আমি নিজে মেট্রোরেলের একটি স্টেশনের কন্ট্রোলার, এটা ভেবে এখনই বেশ আনন্দ লাগছে। এখন মূল কাজ সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা।

প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলারদের বেতন স্ট্রাকচার কেমন ? 

সুমন: সর্বসাকুল্যে মেট্রোরেল স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে প্রতি মাসে বায়ান্ন হাজার সাতশত  টাকা পাবো। চাকুরীটি মূলত ১০ম গ্রেডের। যার বেসিক বত্রিশ হাজার টাকা। এর সাথে ৬০% বাড়ি ভাড়া ও ১৫০০ টাকা মেডিকেল বিল যুক্ত হবে।

প্রশ্ন: কর্মজীবনে আপনি স্টেশন কন্ট্রোলারদের স্থানটি কেন বেঁছে নিলেন? 

সুমন: আমার জীবনের একটা প্রধান লক্ষ্য ছিল হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জন করে সহজভাবে জীবন ধারণ করা এবং বাবা মাকে খেদমত করা। আমি মনে করি মেট্রোরেল ই বাংলাদেশের একটি সেক্টর, যার মাধ্যমে হালাল উপায়ে একটা স্মার্ট সেলারি দিয়ে বাবা মার খেদমত সহ সহজভাবে জীবন ধারণ করা সম্ভব। তাই আমি  আমার  কর্মজীবনে মেট্রোরেলকেই বেছে নিয়েছি। মেট্রোরেলের স্টেশন কন্ট্রোলার হতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত এবং  একই সাথে আনন্দিত এই ভেবে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শি নেতৃতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুতগামী পরিবহনের অংশ হতে পেরেছি। 


প্রশ্ন: মেট্রোরেল স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে ট্রেনিং এর সুযোগ-সুবিধা কেমন?

সুমন: প্রাথমিকভাবে ঢাকায় উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিশেষ ট্রেনিং  নিবে বলে আমাকে জানানো  হয়েছে। এখানে মেট্রোরেলের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাপানের মিতসুবিশি-কাওয়াসাকি কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা ট্রেন পরিচালনার কারিগরি ও প্রায়োগিক নানা প্রশিক্ষণ দিবেন। এরপর তিনি দিল্লি মেট্রোরেল একাডেমিতে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হবে। প্রয়োজনে ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিদের জাপানেও প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কর্তৃপক্ষের বলে আমি জানতে পেরেছি। 

প্রশ্ন: আপনার স্বপ্নপূরনের গল্পটি জানতে চাই?

সুমন: এটি এক অনন্য স্বপ্ন পূরণের পথচলা। এই স্বপ্ন পূরণে অনেকের অবদান ছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম আমার মা-বাবা এবং আমার জীবন ট্রেনের একমাত্র যাত্রী ফারজানা আক্তার লাবণ্য ( স্ত্রী)। যাদের অনুপ্রেণা আর সাহস ছিল আমার জীবনের একমাত্র পথচলা। ছোটকাল আমার মায়ের দিকনির্দেশনা আর বাবার মেশিনের ফয়েলের মত শক্তিই ছিল একমাত্র পাথেয়। আমার বাবা একজন কৃষক এবং মা গৃহিণী। আমার বাবার ইচ্ছে ছিল আমার ছেলেদের  যেন আমার মত কঠোর পরিশ্রম করতে না হয়। তাই তার জীবনের সবকিছু দিয়ে আমাদের লেখা করিয়েছেন। আমি তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছেলে ছিলাম। আমি আমার  তিন ভাইয়ের মধ্য পড়ালেখায় তুলনামূলকভাবে ভাল ছিলাম। তাই আমার আব্বু আম্মুর ইচ্ছে ছিল আমি যেন ভাল কিছু করতে পারি। তাই ছোট থেকে আমি বাবা মার ইচ্ছে পূরণে ছিলাম অটল। বাবা মার সর্বোচ্চ ইচ্ছা পূরণ না করতে পারলেও অনেকটাই পেরেছি। আমি চাকরিটা পেয়ে যখন আমার আব্বু আম্মু কে ফোন দিয়েছি তারা শুনে কান্না করে দিয়েছে। এই কান্না দু:খের কান্না নয় বরং সুখের কান্না বটে এবং  একই সাথে তারা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমি মেট্রোরেলের মত দ্রুতগামী পরিবহনের অংশ হতে পেরেছি। আমার জীবনের পথ চলার আরো একটি মানুষের অবদান অত্যন্ত অনস্বীকার্য সে হল আমার জীবনের ট্রেনের একমাত্র যাত্রী আমার অর্ধাঙ্গিনী। আমি অনার্স ফাইনাল পরিক্ষা দিয়েই বিয়ে করি। আমি যখন বিয়ে করি তখন আমার হাতে নিজের বলে কোনো টাকা ছিল না। আব্বু নিজে টাকা দিয়ে একটা শাড়ি কিনে দেয়। সেটাই ছিল আমার পক্ষ তাকে দেওয়া একমাত্র উপহার। তবুও চার বছরে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। বলেনি তুমি আমাকে কিছু দেওনি। আমার চরম হাতাশার দিনের যাদের সবসময় কাছে পেয়েছি তাদের অন্যতম আমার মা এবং আমার অর্ধাঙ্গিনী। এমনও সময় ছিল যে চাকরির পরিক্ষায়  আমি সিলেক্টড হয়নি তাই নিজের নিজের প্রতি বিরক্ত। কিন্তু আমার অর্ধাঙ্গিনী তখন আমাকে বলতো এত হতাশ হচ্ছো কেন আল্লাহ চায়নি তাই হচ্ছে না, আমি বিশ্বাস করি তুমি পারবে। আরও বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমার জন্য উত্তম কিছুই রাখছে। আমি তখন নিজেকে আরো নতুন ভাবে আবিষ্কার করতাম। আবার নতুন উদ্দীপনা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করতাম। বলা চলে আমার অর্ধাঙ্গিনী ছিল সাগরে ভাসমান আমার জীবনের ভেলা।তার এবং আমার বাবা মার অনুপ্রেরণায় আজ আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের শুভ সূচনা করতে পেরেছি। 

প্রশ্ন : মেট্রোরেল এর স্টেশন কন্ট্রোলার হিসাবে ক্যারিয়ার গড়ার উদ্দেশ্য কিছু বলবেন?  

সুমন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিস্ময়কর এক প্রকল্প মেট্রোরেল। তিনি সব সময় দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ চালিত, পরিবেশবান্ধব ও দ্রুতগামী এ মেট্রোরেলের প্রতিটি কোচ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করেছে। ক্যারিয়ার হিসাবে মেট্রোরেলকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। এর স্যালারি স্ট্রাকচারও বেশ ভালো। যা দিয়ে সাচ্ছন্দ্যে পরিবার নিয়ে হালাল ভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব।


আরও খবর



অধিকাংশ লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বিভিন্ন রুটে স্বল্প দূরত্বের পরিচিত যান হিউম্যান হলার-লেগুনা বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুটপারমিট ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলেও প্রভাবশালী রাজনীতিকদেরমদতেআর পুলিশের আস্কারায় লক্কড়ঝক্কড় অবস্থায় বছরের পর বছর বীরদর্পে রাজপথে চলছে বিপজ্জনক এই যান পুরাতন মাইক্রোবাস কেটে লেগুনায় রূপান্তর করা এসব যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণও 

ভয়ঙ্কর তথ্য হচ্ছে, এসবের স্টিয়ারিংও রয়েছে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের হাতে। যাদের হেলপারও কোমলমতি শিশু। লেগুনা মালিক-শ্রমিকরা এক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কাই করছেন না। শিশুশ্রম বিষয়টিও বেমালুম কেয়ারই করছে না শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তবে কাগুজে তৎপরতা কিছুটা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। 

ছাড়া দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম হলেও নিয়ে কোনো ভূমিকাই দেখা যাচ্ছে না পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের। নিয়মনীতি মেনে না চলা এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নজিরও খুবই কম। যার অন্যতম কারণ এসব লেগুনার মালিকানায় রয়েছেন খোদ পুলিশ সদস্যরাও। গতকাল দৈনিক বাংলা মোড়ে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় দুই কনস্টেবলের সাথে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)  

তারা জানান, রাজনৈতিক নেতা, প্রতিবন্ধী, সাংবাদিক পুলিশের মালিকানায় চলছে রাজউক ভবনের সামনে থেকে বাসাবো-খিলগাঁও রুটের লেগুনা। রুটপারমিট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই; জানা থাকলেও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। কোনো একটি লেগুনা আটকালেই সাংবাদিক, না হয় রাজনৈতিক নেতা কিংবা খোদ পুলিশ অফিসাররাও ফোন দিচ্ছেন। চা খাওয়ার দাওয়াত দিচ্ছেন। 

তবে প্রতিদিন দৈনিক বাংলা মোড়ে ফকিরাপুল মোড়ে দুটি করে লেগুনা রেকার করা হয়। রেকার বিল নিয়ে আবার ছেড়েও দেয়া হয়। সরকারের রাজস্বের যোগান হলেও অনিময়মের মধ্য দিয়েই চলার কারণ রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ সাংবাদিকদের মালিকানা। রাজউক ভবন থেকে খিলগাঁও-বাসাবো রুটে যে কটি লেগুনা চলছে এর মধ্যে ১৫টি সাংবাদিকের, পুলিশের মালিকানায়ও প্রায় ২০-৩০, বাকি সব রাজনৈতিক নেতাদের, প্রতিবন্ধীদের। ঢাকার অন্যান্য রুটেও একই অবস্থা বলে বলছেন তারা। 

ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা প্রাপ্তবয়স্ক চালকদের কাগজপত্র তল্লাশি করতে দেখা গেলেও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্বিকার। পুলিশের সামনে দিয়েই যানবাহনের স্টিয়ারিংয়ে বসে মাঝে মাঝে যাত্রীবাহী লেগুনা নিয়েই অপ্রাপ্তবয়স্করা মেতে উঠছে গতির লড়াইয়েও। ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দায়িত্বশীল দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, অনেক সময় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদেরও এসব লেগুনায় যাতায়াত করতে দেখা যায়

বেশ কিছু দিন ধরে সরেজমিন ঘুরে ঢাকার রাস্তায় চলাচল করা অধিকাংশ লেগুনাতেই দেখা গেছে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক। যারা ওস্তাদের দেয়া ট্রেনিংয়ের ভিত্তিতেই স্টিয়ারিং ধরেছে বলে জানায়। আর এই ট্রেনিং তাদের কাছে বিআরটিএর লাইসেন্সের চেয়েও মূল্যবান। বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই চালকের আসনে বসা এসব বালক চালকদের সহযোগীও কোমলমতি শিশুরা। ঢাকায় সরকারি হিসাবে বৈধ প্রায় পাঁচ হাজার লেগুনার স্টিয়ারিংয়ে বসে আছে অন্তত ১০ হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক। সংখ্যার ৬০ শতাংশই অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া প্রতিটি লেগুনায় রয়েছে একজন করে হেলপার। সে হিসাবে ১০ হাজার হেলপারের মধ্যে হাজারই অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং কোমলমতি শিশুও রয়েছে । 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হানিফ খোকন বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক হয়, সেখানে ১৩-১৪ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোররাই বনে যাচ্ছে চালক-হেলপার। যারা মানুষের সাথে সঠিক আচরণ কীভাবে করতে হয় তাও বুঝে না এখনো। আর এদেরই কাজে লাগাচ্ছে লেগুনা সংশ্লিষ্টরা। যেখানে আন্তর্জাতিকভাবেই শিশুশ্রম নিষিদ্ধ।     

বাংলাদেশে শ্রম অধিদপ্তরের কলকারখানা পরিদর্শকরা যেসব প্রতিষ্ঠানে শিশুশ্রমিক আছে বা যেসব মালিকরা শিশু শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু প্রক্রিয়াও এখন কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ।হানিফ খোকন বলেন, ‘শিশুশ্রমের ক্ষেত্রে ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ। ঢাকায় লেগুনাচালক অপ্রাপ্তবয়স্ক কেবল তাই না, বিভিন্ন সিএনজি গ্যারেজে মিস্ত্রি হিসেবেও কাজ করছে শিশু-কিশোররা। ছাড়া ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ, লেদ আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতেও যারা কাজ করে তাদের বয়সও সর্বোচ্চ ১০-১২ বছর। শিশুশ্রমে জর্জরিত আমাদের দেশ। ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক ড্রাইভাররাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেগুনার চালক-হেলপার নেয়। রাস্তায় ঘুরাফেরা করে এমন শিশু-কিশোরদের তারা ধরে এনে স্টিয়ারিংয়ে বসাচ্ছে। 

ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কাজ করছে দৈনিক ২০০ টাকার লোভ, আর নিয়োগ দেয়া চালকের ভাবনায় থাকছে প্রফেশনাল কাউকে নিলে দিতে হবে বেশি বেতন খাবার খরচ। বাড়তি খরচ এড়াতেই ২০০ টাকায় শিশু-কিশোর দিয়ে লেগুনা চালাচ্ছে তারা। 

তিনি আরও বলেন, লেগুনাগুলো চলে দৈনিক জমায়। গাড়িগুলোও খুবই লক্কড়ঝক্কড়। প্রাপ্তবয়স্ক অভিজ্ঞ চালকরা এসব চালাতেও চায় না। যারা লাইসেন্স পায়নি, অপ্রাপ্তবয়স্ক বা হেলপারি করত ঝুঁকি উপেক্ষা করেই তাদের হাতেই স্টিয়ারিং দিচ্ছে তারা। ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থারও ব্যর্থতা রয়েছে, শ্রম অধিদপ্তরেরও অবহেলা আছে। অন্যথায় লেগুনা কিংবা গণপরিবহনে শ্রম আইনের এমন বরখেলাপ হতে পারে না

এদিকে অদক্ষ হাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনার প্রবণতাও বাড়ছে। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওস্তাদের কাছ থেকে ড্রাইভিং শেখা অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা যাত্রী পরিবহন করে পুলিশের নাকের ডগায়। সড়কে চলাচলরত অবস্থায় লাইসেন্সের বিষয়টিও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক ডিভিশনের। তাদের দায়সারা দায়িত্ব পালনের কারণেও এসব বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। একাধিক অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, পুলিশ থামায়, পরে ছেড়েও দেয়। 

যাত্রীরা বলছেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকরা নিজের মতো গাড়ি চালায়। কোনো কিছুর ধার ধারে না। এদিকে নিজেদের দক্ষতার কথা জানান দিয়ে এসব চালকদের ওস্তাদরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, অভিজ্ঞ সিনিয়রদের না দিয়ে কম বয়স্কদের দিয়ে বেশি আয় করার জন্য গাড়ি চালান তারা। যদিও কম বয়সি চালকরা কিছুটা অসতর্কতার সাথে চালায় বলেও স্বীকার করছেন তারা। ভবিষ্যতে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ের হাল ধরার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই কোমলমতি শিশু হেল্পাররাও। সব জেনেও কেন উঠেন এমন প্রশ্নের জবাবে যাত্রীরা বলছেন, বাধ্য হয়েই লেগুনায় উঠছেন তারা।  

পরিবহন বিশেষজ্ঞ . মো. শামসুল হক বলেন, ‘অদক্ষ, অবৈধ চালক দিয়ে যখন চালানো হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই এরা যানজটের দিকে লক্ষ করবে না, নিরাপত্তার ইস্যুটিও লক্ষ করবে না। তাদের নজর রাস্তায় থাকে না, নজর থাকে যাত্রীর দিকে। রাজধানীতে অধিকাংশ লেগুনা চালাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোররা। যাদের না আছে লাইসেন্স, না আছে সংকেত সম্পর্কে কোনো ধারণা। অদক্ষ চালকের কারণেই দেশে আশঙ্কাজনক হারে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

এদিকে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের চাইল্ড লেবার ইউনিট শিশুদের জন্য ট্রাক বা টেম্পো বা বাস হেলপারের কাজটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ২০১৩ সালে একটি তালিকা প্রণয়ন করে। সেখানে বলা হয়, সরাসরি রৌদ্রের মাঝে ট্রাক বা টেম্পো বা বাস হেলপার হিসেবে কাজ করার কারণে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির ধোঁয়া সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়মিত খাবার গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এসব শিশু-কিশোরদের। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা, পাকস্থলিতে ঘা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, মূত্রনালীতে সংক্রমণ এবং শারীরিক মানসিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে বলেও উল্লেখ করা হয়। 

এসব থেকে পরিত্রাণ মোটকথা, শিশুশ্রম বন্ধের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা প্রণয়নের পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় দিনে দিনে খাতে শিশু-কিশোরদের সংশ্লিষ্টতা বেড়েই চলেছে। এসবের তদারকিতে যেন এক ধরনের অনীহা প্রকাশ পাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। তবে সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদেরউপানুষ্ঠানিক শিক্ষাদক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণপ্রদানের মাধ্যমে শিশুশ্রম নিরসনে বিকাশের মাধ্যমে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বৃত্তি মেধাবৃত্তি বিতরণ করবে বলে বিকাশের সাথে একটি চুক্তি করে। এক লাখ শিশুর জন্য এই প্রকল্প। 

গণপরিবহনে নিয়োজিত শিশু-কিশোরদের জন্য পৃথক কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব . সেলিনা আক্তার বলেন, ‘এদের জন্য আলাদা করে কিছু নেই। যেসব এনজিও নিয়ে কাজ করছে তারা তালিকা দিচ্ছে। আমরা দেখছি। তবে আলাদা করে কিছু নেই। জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন প্রকল্পের আওতায় তারাও পড়বে

 


আরও খবর



আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক, সময়োপযোগী ও প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যাতে তারা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপযুক্তভাবে গড়ে উঠবে।

আজ শনিবার সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেজিমেন্ট, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট তথা বীর এর তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ আমরা হাতে নিয়েছি। কাজেই আমরা চাই আমাদের এই সশস্ত্র বাহিনী দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপযুক্তভাবে গড়ে উঠবে।

শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয়, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ব্যাপকভাবে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীও সেভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, কাজেই এভাবেই আমরা সকলে এক হয়ে আমাদের দেশকে গড়ে তুলে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব, এটাই আমাদের লক্ষ্য। ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নিচ্ছি। তাছাড়া দারিদ্র বিমোচন করে দেশকে আরো উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ায় আজকের বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল বলে পরিগণিত হয়েছে। আজকের বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেভাবেই সামনের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একটি আধুনিক, পেশাদার ও চৌকস সশস্ত্রবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। তার নির্দেশেই ১৯৭২ সালে কুমিল্লায় গড়ে তোলা হয় বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমি।

তিনি বলেন, জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী প্রতিরক্ষা নীতির আলোকেই আমরা প্রতিরক্ষা নীতি ২০১৮ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন করা হচ্ছে।

সরকার প্রধান বলেন, দুর্জয়, দুরন্ত, নির্ভীক- এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সাথে রয়েছে আমার গভীর বন্ধন। কারণ জাতির যে আকাঙ্ক্ষা ছিল বাংলাদেশের নামে একটি রেজিমেন্ট হবে। ২০০১ সালেই সেই রেজিমেন্ট আমরা প্রতিষ্ঠা করি।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করি এবং ২০১১ সালে আমিই এই রেজিমেন্টকে মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় পতাকা প্রদান করি। বর্তমানে এই রেজিমেন্টে দুটি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নসহ মোট ৪৬টি ইউনিট রয়েছে।

এই ইউনিটের সদস্যগণ দেশ ও দেশের বাইরে দক্ষতা, সুনাম ও দেশপ্রেমের সাথে দায়িত্ব পালন করছে, উল্লেখ করে সরকার প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তারা এই যে কাজের মধ্যদিয়ে সুনাম অর্জন করেছেন তা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও অবদান রেখে যাচ্ছেন এবং দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই তারা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করছেন।

সূত্র : বাসস


আরও খবর