Logo
শিরোনাম

বিনিয়োগ ছাড়াই গাজীপুরে ভাওয়াল রিসোর্টের মালিক বেনজীর

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিডি ডেস্ক রিপোর্ট:


গাজীপুর সদর উপজেলার মেম্বারবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে ইজ্জতপুর সড়ক ধরে চার কিলোমিটার ভেতরে ‘ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’। 


সেখানকার নলজানী গ্রামে তিন দিকে বনভূমিবেষ্টিত এই রিসোর্ট এলাকার মানুষের কাছে ‘বেনজীরের রিসোর্ট’ নামে পরিচিত। যদিও কোনো প্রকার বিনিয়োগ ছাড়াই ভাওয়াল রিসোর্টের ২৫ শতাংশের মালিক হয়েছেন বেনজীর আহমেদ।


অভিযোগ রয়েছে, ৫০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা ভাওয়াল রিসোর্টের ৩.৬৮ একর জমি বন বিভাগের। আর নিরীহ কৃষকদের অন্তত ৪০ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন রিসোর্টটি।


সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের শীর্ষ পদে থাকার সময় কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। কীভাবে প্রভাববলয় ব্যবহার করে এত সম্পদ অর্জন করেছেন, তা আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই গাজীপুরের রিসোর্টটির মালিক বনে গেছেন বেনজীর। শুরুতে ১৯ একর জমি নিয়ে রিসোর্টটির কাজ শুরু হলেও সাবেক আইজিপি (তৎকালীন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের-ডিএমপি কমিশনার) বেনজীরের ক্ষমতার জোরে প্রায় ৫০ একর জায়গা দখল করে নেন রিসোর্ট মালিকরা।


জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রভাবশালীদের কাছ থেকে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট, ম্যাক্স ভ্যালিসহ সাতটি রিসোর্টের অবৈধ দখল করা জমি উদ্ধার করলেও ভাওয়াল রিসোর্টের জমি উদ্ধারে এতদিন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছিল না বন বিভাগ।


এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ভাওয়াল রিসোর্টের করা এক মামলায় এ জমির বিষয়ে একটি স্টে অর্ডার ছিল।


 এ কারণে বন বিভাগ চাইলেও জেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে ২০১৭ সালেই জেলা জজ আদালতের স্টে অর্ডারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথভাবে আপিল করে। 


গত বৃহস্পতিবার এর রায় হয়েছে। আদালত আপিলটি গ্রহণ করে স্টে অর্ডারটি প্রত্যাহার ও ভাওয়াল রিসোর্টের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে এখন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় কোনো বাধা নেই। তবে প্রক্রিয়া শুরু করতে কয়েক দিন লাগতে পারে।


শুধু বন বিভাগ নয়, বীর মুক্তিযোদ্ধার জমিও দখল করে করা হয়েছে ভাওয়াল রিসোর্ট। এর মূল প্রবেশপথের এক একরের বেশি জমি কাপাসিয়া-শ্রীপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. সিরাজুল হক এবং তার মায়ের। 


প্রবীণ এ মুক্তিযোদ্ধা নিজের জমি উদ্ধারে নানাজনের কাছে দিয়েছেন ধরনা। তবে প্রভাবশালী বেনজীরের কারণে তারা ২০১৩ সালের পর থেকে ওই জমির ধারেকাছেও ভিড়তে পারেননি। বেনজীরের অনিয়ম-দুর্নীতির খবর চাউর হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছেন ডা. সিরাজুল। 


জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে গাজীপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।


এলাকাবাসী জানান, ভাওয়াল রিসোর্টের মূল উদ্যোক্তা দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প গ্রুপ পারটেক্স। ব্যবসায়িক গ্রুপটির উদ্যোক্তা প্রয়াত এম এ হাশেমের ছেলে শওকত আজীজ রাসেল বর্তমানে এটির মালিকানায় রয়েছেন।


 ২০১৩ সালে গাজীপুর সদরের বারইপাড়া মৌজার নীলজানি গ্রামের কয়েকজনের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি কিনে এর সঙ্গে আরও কিছু সরকারি খাসজমি দখল করে নেন তারা।


এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ২৮ মে বেনজীর আহমেদকে চিঠি দেয় দুদক। ৬ জুন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের ৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করা হয়েছে। 


তবে দুদকের ওই চিঠি গুলশান-১ এর ১২৬ নম্বর সড়কে বেনজীরের বাসার অভ্যর্থনা কক্ষে পড়ে আছে। দুদকের চিঠি ওই বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই ৪ মে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে দেশ ছাড়েন সাবেক আইজিপি।


আরও খবর



রাণীনগরে আগুন দিয়ে খড়ের পালা পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

নওগাঁর রাণীনগরে পূর্ব বিরোধের জ্বের ধরে খড়ের পালায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ভস্মিভূত করার অভিযোগ ওঠেছে। এসময় প্রায় ২২লাখ টাকা দামের একটি ট্রাক্টরও পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালীগ্রাম ওঝাওজি পাড়া গ্রামে।

ওই গ্রামের মৃত আব্বাস আলী শেখের ছেলে জাহের আলী শেখ জানান,সোমবার রাত অনুমান পৌনে ১২টা নাগাদ বাড়ী সংলগ্ন বাগানে পূর্ব বিরোধের জ্বের ধরে কে বা কাহারা দুটি খড়ের পালায় আগুন ধরে দেয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন আগুন দেখতে পেয়ে দৌঁড়ে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় একটি পালার আগুন নিভাতে পারলেও প্রায় ৫বিঘার একটি পালা সম্পন্ন ভস্মিভূত হয়ে যায়। তিনি দাবি করে বলেন,তার খলিয়ানে রাখা প্রায় ২২লাখ টাকা দামের একটি ট্রাক্টরে অকটেন ছিটিয়ে দেয় দূর্বৃত্তরা। কিন্তু লোকজন ছুটে আসায় তারা আর হয়তো আগুন দিতে পারেনি। এঘটনায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।  

রাণীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মসলেম উদ্দীন বসুনিয়া জানান,এঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে হামলা ইসরায়েলের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইরানে লাগাতার সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। রাজধানী তেহরানে একের পর এক হামলার পর এবার দেশটির রাডার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ইরানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে নতুন দফার হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে রাডার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট ছিল তাদের মূল টার্গেট।

এরই মধ্যে তেহরানজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নতুন করে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে তেহরানে। রয়টার্স জানায়, রাজধানীর আকাশে বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর গুলির আওয়াজও শোনা যাচ্ছে। ফলে গোটা শহরে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ইসরায়েলের এই টানা হামলায় ইরানের সামরিক ও বিজ্ঞানী মহলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

এছাড়া, ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেয়দুন আব্বাসি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন আরেক বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচিও। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম।


আরও খবর



আগামী মাসে রিজার্ভ পৌঁছাবে ৩০ বিলিয়ন ডলারে

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বুধবার (২১ মে) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, ২৬ শতাংশ সুদ নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ টিকে থাকতে পারবে না। এজেন্ট ব্যাংকের শাখা থেকে অর্ধেক সুদে ঋণ পাচ্ছেন গ্রাহক, কাজেই ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চড়া সুদের ক্ষুদ্র ঋণ বাজার থেকে ছিটকে পড়বে।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী মাসে রিজার্ভ হবে ২৭-৩০ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার জন্য সময়ের প্রয়োজন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ হাজার ৪৪৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০ হাজার ৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


আরও খবর



জুলাইয়ের মধ্যে ছয়টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত হচ্ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

নানা অনিয়ম ও ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে দুর্বল হয়ে পড়া ৬টি ব্যাংককে একীভূত করে সাময়িকভাবে সরকারের মালিকানায় নেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।

যে ছয়টি ব্যাংককে একীভূত করা হবে সেগুলো হলো– ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।

এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংক ছিল বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে। বাকি একটি ব্যাংক পরিচালনায় ছিলেন নজরুল ইসলাম মজুমদার।

গভর্নর বলেন, আমরা আশা করছি জুলাইয়ের মধ্যে এই ছয়টি ব্যাংককে সরকারের অধীনে এনে প্রয়োজনীয় মূলধন জোগান দিতে পারব। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে তাদের তারল্য (লিকুইডিটি) সহায়তা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার এসব ব্যাংকের মালিক সাময়িকভাবে থাকবে। পরবর্তী সময়ে ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন শেষে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ও আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, একটি ব্যাংককে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের (রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেট) বিপরীতে কমপক্ষে ১২.৫ শতাংশ মূলধন রাখতে হয় — যার মধ্যে ১০ শতাংশ মূলধন এবং অতিরিক্ত ২.৫ শতাংশ ‘ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফার’ হিসেবে সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।

গভর্নর বলেন, যেসব ব্যাংকের এই মূলধনের ঘাটতি রয়েছে, সেসব ব্যাংকে আগামী চার বছরের মধ্যে ১২.৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ-এ উন্নীত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, একটি টেলিভিশন চ্যানেল ছয়টি ব্যাংক একীভূত হওয়ার খবর প্রচার করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সেই খবরের প্রতিবাদ করা হয়নি, সুতরাং গভর্নর যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক বলেই মনে করি। তবে এখনো এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো তথ্য আসেনি।


আরও খবর



জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: প্রেস উইং

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করছে বলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে দাবি করা হয়েছে তা নাকচ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট, তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে উল্লেখ করেছে, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন এক্সে (পূর্বের টুইটার) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করছে বলে মিথ্যা তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়সহ বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী এই গুজব ছড়িয়েছে। গুজবে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের পতাকায় পাকিস্তান ও তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চাঁদ-তারকার ইসলামী প্রতীক যুক্ত করা হবে।

প্রেস উইং জানায়, ডিজিটালভাবে তৈরি একটি কল্পিত পতাকার ছবি ভাইরাল হয়েছে, যার ভিউ সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ এবং এতে ব্যাপকভাবে সাড়া পড়েছে- বিশেষত পাকিস্তান, তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের দর্শকদের মধ্যে।

প্রেস উইং বলছে, যে তথ্য হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

১৪ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কোনো গণমাধ্যম এমন পরিকল্পনা বা আলোচনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

ফ্যাক্ট চেক জানায়, এই বিষয় নিয়ে জাতীয়ভাবে কোথাও আলোচনা হয়েছে এমন কোনো ভিত্তি নেই কিংবা দেশি বা আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্য কোনো সংবাদমাধ্যম এই পদক্ষেপের কথা কোথাও উল্লেখ করেনি।

বাংলাদেশি ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম দ্য ডিসেন্ট জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একটি ভুয়া প্রতিবেদন প্রচার করেন যার শিরোনাম ছিল বাংলাদেশ তার পতাকায় পাকিস্তান ও তুরস্কের অনুকরণে ইসলামী চাঁদ যোগ করার কথা ভাবছে যা এআই দিয়ে তৈরি করা এবং লেখক রবার্ট ব্রাউনের নামে ৬ জুন প্রকাশিত হয়। এই ভুয়া প্রতিবেদনটিতে কোনো তথ্যসূত্র, প্রমাণ বা যাচাইযোগ্য উৎস নেই।

পাকিস্তানপন্থী এক্স অ্যাকাউন্ট @SouthAsiaIndex নামক আইডি থেকে গত ৪ জুন একটি পোস্ট থেকে এই গুজবের উৎপত্তি হতে পারে। যেখানে প্রথম একটি কাল্পনিক পতাকার ডিজাইন শেয়ার করা হয়। এই একই ছবি পরে সজীব ওয়াজেদের শেয়ার করা ভুয়া প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হয়।

প্রেস উইং জানায়, এই মিথ্যাচার পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী বা রক্ষণশীল শ্রোতাদের মধ্যে পরিচয়ভিত্তিক উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে। এআই প্রযুক্তিতে তৈরি পতাকার ছবি প্রমাণ করে, যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

এটাই প্রথম নয়, জুলাই মাসে বাংলাদেশের গণ-আন্দোলনের পরে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট- যেমন @AsianDigest- মিথ্যাভাবে দাবি করে যে-ছাত্রনেতারা নতুন জাতীয় পতাকার প্রস্তাব দিয়েছে। সেই পোস্টটি ৯০ হাজারের বেশি ভিউ পায়, পরে তা সম্পূর্ণভাবে খণ্ডন করা হয়, বলে প্রেস উইং জানায়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এমন কোনো বিষয় শেয়ার করার আগে তা যেন যাচাই করে নেন।

প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশে জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের পক্ষে কোনো আন্দোলন বা দাবি নেই এবং এসব কল্পিত গল্প কেবল সত্যকে বিকৃত করে অপ্রয়োজনীয় বিভেদ তৈরি করতে চায়।

প্রেস উইং বলছে, চলুন আমরা সত্য তথ্যকে প্রাধান্য দিই এবং ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকি।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫