Logo
শিরোনাম

বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি শেষ, প্রথম পর্ব শুরু শুক্রবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব সফল করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাবলিগ জামাতের সাথীরা। স্বেচ্ছাশ্রমে ইজতেমার ময়দান প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ইজতেমা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি মাগরিবের নামাজের পর এবং শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।

ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করে স্থানীয় মুসল্লি ও স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠ তৈরির কাজে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। কেউ শামিয়ানা টানাচ্ছেন, কেউ বিদ্যুতের কাজ করছেন, কেউ বাথরুম পরিষ্কার করছেন, কেউ আবার ময়দান পরিষ্কার করছেন। আল্লাহর মেহমানদের জন্য সবকিছু সুন্দরভাবে প্রস্তুত করতে এভাবেই দিনরাত কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমার ময়দানের ৯৪ শতাংশ প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ময়দান প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। কোনো সমস্যা ছাড়াই এবার ইজতেমা সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। এবারের ইজতেমায় দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মুসল্লির সমাগম হবে বলে আমাদের ধারণা।

তিনি আরও জানান, ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রথম পর্বে আখেরি মোনাজাত হবে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি মাগরিবের পর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।

ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে আসা আব্দুর রকিব বলেন, আমরা ৭০ জনের একটি দল নিয়ে এখানে এসেছি। আল্লাহর মেহমানদের ইবাদতের জন্য সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা মাঠের কাতার সোজা করার কাজ করছি। আল্লাহকে রাজি খুশি করার উদ্দেশ্যে আমরা এই কাজ করছি।

ময়দানের জিম্মায় থাকা সিহাব উদ্দিন জানান, আমি মূল মঞ্চের দায়িত্বে আছি। আমার সঙ্গে থাকা সাথীরা মাঠের বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ করছেন। আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই কাজ করছি।

বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমা ময়দানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় এনে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নজরদারি করা হবে। মুসল্লিদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি।

অন্যদিকে, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইজতেমা আয়োজন করতে পারেন বলে জানা গেছে।

তাদের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের ইজতেমা ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন ১৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করার একটি বার্তা পেয়েছি। বিষয়টি আমরা যাচাই করছি।

ধর্মীয় এই বিশাল সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যকার বিভাজন মিটিয়ে সমঝোতা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।


আরও খবর

রোজা রাখার বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলে?

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




বাদুড়ের শরীরে করোনার নতুন ধরন, ছড়াতে পারে মানবদেহে

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাদুড়ের দেহে নতুন করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন চীনা গবেষকরা। চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষকরা নতুন করোনা শনাক্ত করেন। এটি এখনো মানবদেহে শনাক্ত করা না হলেও ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সেলে এ আবিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। গবেষণায় বলা হয়, বাদুড়ের দেহে পাওয়া এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু নামের নতুন ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

উহান ইনস্টিউট অব ভাইরোলজি বাদুড়ের দেহে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য পরিচিত। বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির শুরু দিকে এই ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে চীন। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র উহানের ল্যাবটির জন্য সহায়তা স্থগিত করে দেয়।

গবেষকরা বলছেন, এই নতুন আবিষ্কৃত ভাইরাস মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে পাওয়া প্রোটিনের সঙ্গে মিলে কোষগুলোকে সংক্রমিত করতে পারে। এর সঙ্গে করোনাভাইরাস গোত্রীয় মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) ভাইরাসের মিল রয়েছে।

এদিকে চলতি বছরের শুরুতে চীনে ছড়িয়ে পড়া হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়। পরে বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি একটি সাধারণ ভাইরাস। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে তাণ্ডব চালানোর পর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে। এতে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ভাইরাসটির কারছে দীর্ঘদিন প্রায় পুরো বিশ্ব অচল হয়ে পড়ে। এরপর আস্তে আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকে।


আরও খবর



গণতান্ত্রিক শক্তিকে সজাগ থাকতে হবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বললেন, গণতন্ত্রকে যাতে আর কেউ কঠিন শৃঙ্খলে বন্দি করতে না পারে সে জন্য স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শক্তিকে সার্বক্ষণিক সজাগ থাকতে হবে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনের অবিস্মরণীয় একটি অধ্যায় উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি এই দিনে সব শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। একুশে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।

এই দিনেই সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোপান। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। বায়ান্ন সালের ২১ ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত পথ ধরেই এ দেশের সব গণতান্ত্রিক এবং স্বাধিকারের সংগ্রাম তীব্র হয়ে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা। তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে নানাভাবে আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালানোর ষড়যন্ত্র করে আসছে মহলবিশেষের তাবেদারির জন্য, যাতে আমরা বিশ্বসমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারি। কিন্তু এ দেশের মানুষ সব সময় স্বৈরাচার এবং দেশি-বিদেশি কুচক্রীদের অদম্য সাহসে প্রতিহত করে এসেছে। এ দেশের মানুষকে যাতে আটকে রাখতে না পারে এ জন্য ন্যায়বিচার, মানবিক সাম্য তথা প্রকৃত গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও চিরস্থায়ী করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রকে যাতে আর কেউ কঠিন শৃঙ্খলে বন্দি করতে না পারে সে জন্য স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শক্তিকে সার্বক্ষণিক সজাগ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে একুশের অম্লান চেতনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের শিকড় অনুসন্ধান তথা আত্ম অন্বেষায় ভাষাচেতনার স্ফূরণ ঘটে। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয়তাবাদ ও ঐক্যের অনুভূতি জাগ্রত করে। আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় গোটা বিশ্বে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আমি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন আয়োজিত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।’

বাণীতে বায়ান্নর ভাষাশহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তারেক রহমান। ভাষাসৈনিকদের শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানান এবং তাদের পরিবারের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।


আরও খবর



পিএসজি ছাড়ার ব্যাপারে মুখ খুললেন মেসি

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বার্সেলোনা ছেড়ে দুই বছর পিএসজিতে কাটিয়েছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ওই দুই বছর একেবারেই উপভোগ করেননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এতদিন পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

২০২১ সালে বার্সার সঙ্গে ২১ বছরের বাঁধন ছিন্ন করে ফরাসি ক্লাবটিতে যোগ দেন মেসি। এই ক্লাবের জার্সিতে দুই বছরে ৭৬ ম্যাচ খেলে ৩২ গোল করার পাশাপাশি ৩৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। কিন্তু এরপর আর চুক্তি নবায়ন না করে মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে পাড়ি জমান আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

ফ্রান্স ছাড়ার ব্যাপারে অ্যাপল মিউজিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আটবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী বলেন, 'মায়ামির হয়ে খেলতে আসা একটি সুযোগ এবং প্যারিসে আমার শেষ বছরে যা ঘটেছে, যদিও আমাকে সিদ্ধান্ত নিতেই হতো, কারণ আমাকে বার্সা ছাড়তে হয়েছে এবং ওই দুই বছর আমি উপভোগ করিনি। সেখানে প্রতিটি দিনই আমি অখুশি ছিলাম, অনুশীলন এবং ম্যাচ নিয়েও। সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আমার জন্য কঠিন ছিল। আমি মায়ামির ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম, কারণ এই ক্লাবটির উন্নতি হচ্ছে, খুবই নতুন এবং ক্লাব হিসেবে মাত্র কয়েক বছর হয়েছে।'

মেসি পিএসজি ছেড়ে যাওয়ার পর কাতারি মালিকানার ক্লাবটির চেয়ারম্যান নাসের আল-খেলাইফি তার বিরুদ্ধে ফরাসি ক্লাবটিকে 'অসম্মান' করার অভিযোগ আনেন। ওই সময় মেসি বলেছিলেন, ক্লাবের সমর্থকদের একটি বড় অংশ তার সঙ্গে বাজে আচরণ করার কারণে দুই পক্ষের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল।

এদিকে মায়ামিতে মেসি ধীরে ধীরে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ ম্যাচে ৩৬ গোল করেছেন তিনি। এছাড়া আছে ২০টি অ্যাসিস্টও। মেসির মাধ্যমে ক্লাব হিসেবে মায়ামির উত্থান হয়েছে নাটকীয়ভাবে। ২০২৫ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে মায়ামি, যেখানে ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসির সঙ্গে পিএসজিও অংশ নেবে।

ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে আশান্বিত মেসি বলেন, আমি মনে করি, এটা ক্লাবের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া, যেটি হবে এই দেশেই (যুক্তরাষ্ট্র) এবং এমএলএস থেকে দুটি দল অংশ নেবে। এসব এমএলএস-কে লিগ হিসেবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করছে। এতে অন্য খেলোয়াড়দের জন্য এখানে আসার এবং উন্নতি করার পথ তৈরি হচ্ছে।


আরও খবর

কোনো ম্যাচ না জিতলেও ‘কোটিপতি’ শান্তরা

শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা নাহিদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মো. নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে। এই দলের নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম। সে কারণে তিনি উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলেন পদত্যাগ করেই তিনি নতুন দলে যোগ দেবেন। আজকে তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সে পথ অনেকটা সুগম হলো।

নাহিদ ইসলামের জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। তার ডাকনাম ‘ফাহিম’। নাহিদের বাবা শিক্ষক। সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। ইতোমধ্যে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। নাহিদের ছোট এক ভাই রয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত।

জুলাই মাসেও নাহিদ ততটা পরিচিত মুখ ছিলেন না। কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে তাকে অপহরণ করা হলে দেশব্যাপী তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন। কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে তাকে দু’বার আটক করা হয়। এ সময় তিনি অকথ্য নির্যাতনেরও শিকার হন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এর তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।


আরও খবর



হাসিনার শাসনামল ছিল স্বৈরতন্ত্র,দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকারভিত্তিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি সক্রিয় হতে পারেনি। পুলিশের নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা সরকার পতনের পর থেকে এখনও কাজে যোগ দেননি।

পুলিশের যথাযথ সক্রিয়তার অভাবে বাংলাদেশের সর্বত্র সব সবধরনের অপরাধ বাড়ছে, গোষ্ঠীবদ্ধ অপরাধও (গ্যাং ক্রাইম) বাড়ছে ব্যাপক হারে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূসের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থী-জনতার ব্যাপক অভ্যুত্থানের মুখে টিকতে না পেরে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা; এখনও সেখানেই আছেন তিনি।

তার বিদায়ের মধ্যে দিয়ে পতন ঘটে বাংলাাদেশে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের। হাসিনার দেশত্যাগের ৩ দিন পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস, যিনি ‘দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করতে ক্ষুদ্রঋণ’ প্রকল্পের ধারণা আবিষ্কার ও প্রয়োগের জন্য ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করেছেন।

৮ আগস্ট যখন তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন, তখনও অভ্যুত্থানের ধকলে বিবর্ণ বাংলাদেশ। সড়ক-মহাসড়ক রক্তে ভেজা; হাসপাতালের মর্গে পড়েছিল ১ হাজারের বেশি মানুষের লাশ, যারা শেখ হাসিনার নেত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে জীবন দিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তারপরও বরাবরই তাকে রাজনৈতিক হুমকি বলে মনে করতেন শেখ হাসিনা। এ কারণে বছরের পর বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের হয়রানি-অপমান-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। গত ১৫ বছরের বেশিরভাগ সময়ই অবশ্য বাংলাদেশের বাইরেই কাটিয়েছেন ইউনূস।

কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা যখন তাকে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হওয়ার আর্জি জানান, তিনি তাতে সম্মতি জানান। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিগত ১৫ বছরে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা বিশাল এবং অভূতপূর্ব। বিগত সরকার দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। বাংলাদেশ এখন আরেকটি গাজা। বিগত সরকার এই দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান, নীতি, জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ধ্বংস করে ফেলেছে।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনামল ছিল স্বৈরতন্ত্র, সহিংসতা এবং দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ। বিশেষ করে শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে যে ১ হাজার ৪ শতাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে, সেজন্য জাতিসংঘও তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেছে। হাসিনা অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।

মুহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার পর অনেকেই আশা করেছিলেন, বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের সূচনা ঘটতে চলেছে। কিন্তু আজ ছয় মাস পর আপনি যদি ঢাকার সড়কে হাঁটেন, তাহলে অনুভব করবেন যে দেশটি ফের খাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশে যদিও ইউনূসের প্রতি ব্যাপক শ্রদ্ধা ও গ্রহণযোগ্যতা এখন পর্যন্ত রয়েছে, কিন্তু সেই সঙ্গে এও সত্য যে অপরাধ দমন ও শান্তি রক্ষায় তার নেতৃত্বাধীন সরকারের ক্ষমতা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

এর একটি বড় কারণ, শেখ হাসিনার শাসনামলে যারা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ ও নীতি নির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন, তাদের মধ্যে কয়েকজন ধরা পড়েছেন এবং বাকিরা সবাই আত্মগোপনে আছেন। ফলে সার্বিক চেইন অব কমান্ডে একধরনের ফাঁকা ভাব বা শূন্যতা দেখা দিয়েছে, যা নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির জন্য দায়ী। ঢাকার রাস্তাঘাটে ব্যাপকভাবে বাড়ছে সংঘবদ্ধ অপরাধ বা গ্যাং তৎপরতা। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বর্তমানে নবগঠিত রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) প্রধান নাহিদ ইসলাম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘‘বর্তমানে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবস্থা, তাতে শিগগিরই একটি অবাধ ও মুক্ত নির্বাচন হওয়া অসম্ভব।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘‘দেশ নৈরাজ্যের দিকে চলছে’’ এবং যদি এটি অব্যাহত থাকে, তাহলে বাংলাদেশের ‘‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংকটের মুখে পড়বে।

গার্ডিয়ানকে অবশ্য ইউনূস বলেছেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ‘খুবই ভালো’ এবং সেনাপ্রধানের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত তার কাছে ‘কোনো চাপ আসেনি।


আরও খবর