Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ছুটছেন দর্শনার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনেই বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ছুটছে দর্শনার্থীরা। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই সুন্দরবনের করমজলে দর্শনার্থীরা আসছেন। সকাল ১১টা পর্যন্ত অন্তত ১০টি ট্যুরিস্ট বোডে করে দর্শনার্থীরা করমজলে পৌছেছে। দীর্ঘদিন পরে সুন্দরবনে আসতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন পদ্মাসেতু উন্মুক্ত থাকায় সারাদেশ থেকে আগের তুলনায় বেশি দর্শনার্থী আসবেন সুন্দরবনে।

ঢাকার জসিম উদ্দিন নামের একব্যক্তি বলেন, অনেকদিন ধরে পরিকল্পনা ছিল সুন্দরবনে আসব। কিন্তু ইন্টারনেট ঘেটে জানতে পারলাম ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবন বন্ধ। গতকাল রাতে এসে মোংলা হোটেলে ছিলাম। সকালেই করমজলে আসলাম বন্ধুদের নিয়ে। খুব ভাল লাগছে। শুধু জসিম নয়, করমজলে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থীদের আসা সুন্দরবন দেখে তাদের ভাল লাগবে।

মোংলার ট্যুরিস্ট বোড মালিক রুবেল হোসেন বলেন, তিনমাস বেকার ছিলাম।এই সময় যেমন আয় করতে পারিনি, তেমনি হতাশাও কাজ করেছে। এখন সুন্দরবন উন্মুক্ত হয়েছে। আশাকরি দর্শনার্থী আসবে বেশি বেশি, আমাদের আয় বাড়বে। এছাড়া এখন পদ্মাসেতু উন্মুক্ত হয়েছে। যার ফলে ঢাকা থেকে একদিনে এসেই সুন্দরবন ঘুরে ঢাকায় ফিরে যেতে বাড়বে। আমরা মনে করছি এজন্য সুন্দরবনে দর্শনার্থী বাড়বে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল বন্য প্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, প্রজনন মৌসুম হওয়ায় তিনমাস সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ ছিল। এই সময় সুন্দরবনে শুধু দর্শনার্থী নয়, মাছ-গোলপাতা ও মধু আহরণও বন্ধ ছিল। যার কারণে সুন্দরবনের প্রাণ প্রকৃতি নিজেদের মত বেড়ে উঠেছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে সুন্দরবনে দর্শনার্থীরা আসছেন। ১১টা পর্যন্ত অন্তত ১০টি ট্যুরিস বোডে শতাধিক দর্শনার্থী করমজলে এসেছে। আশাকরি বেলা বারার সাথে সাথে দর্শনার্থীও বাড়বে। আগামীকাল শুক্রবার যেহেতু ছুটির দিন, সেক্ষেত্রে আগামীকাল আরও বেশি দর্শনার্থী আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর

৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩




মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবের নেতৃত্বে রায়হান - সাজিদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের টেক্সটাইল ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (২৪ মার্চ) ক্লাবটির প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আল রায়হান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে একই বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সাজিদুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। 


বিজয়ী অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে লিটন মাহমুদ,  যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে মুশফিকুর রহমান ইফতি, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মাহবুব আলম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদে  মো: হৃদয় হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক পদে এস.এম হাসিব , অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে বিথী আফরোজ লিছা,  ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে ইউসুফ চৌধুরী,   ইভেন্ট ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে মিমতাজুল ইসলাম তামিম, নির্বাহী  সদস্য পদে আশিকুর রহমান,  মশিউর রহমান, আকতারুল ইসলাম, আলভী রহমান, হৈমন্তী সরকার, সৌরভ পূর্ণকর, রিজওয়ান আহমেদ তৌসিফ,  শ্রাবন্তী সরকার রাত্রি,  ফেরদাউস,  সজীব দেবনাথ,  হৃদয় হোসেন ও বাদল নির্বাচিত হয়েছেন।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের  চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নবগঠিত টেক্সটাইল ক্লাবের সাথে সংশিষ্ট সকলকে অভিনন্দন। নবগঠিত টেক্সটাইল ক্লাব মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষা, গবেষণা এবং সহশিক্ষা-কার্যক্রমকে আরো বেগমান করবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  সহযোগী  অধ্যাপক এ.কে.এম আয়াতুল্লাহ হোসনে আসিফ  বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধের সম্পর্ক উন্নয়ন, সর্বোপরি বিভাগের একাডেমিক এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোকে আরো গতিশীল করার জন্য উক্ত টেক্সটাইল ক্লাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। 


সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আল রায়হান বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরী পোশাক শিল্প কিংবা আরএমজি সেক্টর থেকে যা টেক্সটাইলেরই অংশ। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ  গুলোর মধ্যে অন্যতম। আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন একটি টেক্সটাইল-ক্লাবের যা শিক্ষক মহোদয়গণের অকুণ্ঠ সমর্থনে এবং শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমে গঠিত হয়েছে। আশা করি, এই টেক্সটাইল-ক্লাবের মাধ্যমে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ুয়া সকল শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। ভবিষ্যতে আমাদের ক্লাব হতে বিভিন্ন প্রকার ওয়ার্কশপ, সেমিনার, ফেস্টিভ্যাল প্রোগ্রাম আয়োজিত হবে। এই ক্লাবটির মাধ্যমে উপকৃত হবেন সকল সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং অর্জিত অভিজ্ঞতায় নিজেকে শাণিত করবেন, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। 


প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজিদুল ইসলাম বলেন, টেক্সটাইল ক্লাব উদ্ভাবন ও সহযোগিতার এক অসাধারণ পথ উন্মোচন করবে বলে আমরা বিশ্বাসী। টেক্সটাইল  ক্লাব তার প্রতিটি সদস্যের  নিজ নিজ অনন্য চিন্তা-ভাবনা,  দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রতিভা বিকাশে সাহায্য করবে। "টুগেদার ইউ ক্যান" স্লোগানের সাথে এগিয়ে যাবে এই টেক্সটাইল ক্লাব।


প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: হৃদয় হোসাইন বলেন, মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবকে দেশের মধ্যে সুপরিচিত করে তুলতে চাই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবকে একটি দেশ সেরা ক্লাবে পরিণত করতে পারবো। যে মহৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মাভাবিপ্রবি  টেক্সটাইল ক্লাবের অগ্রযাত্রা, সেই শুভযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।


প্রসঙ্গত, টেক্সটাইল ক্লাব বস্ত্র প্রকৌশলীদের ব্যবসা সম্পর্কিত ধারণা বৃদ্ধি, তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলি বিকাশ, পেশাদারিত্ব জাগ্রত করার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব বিকাশের সুযোগ তৈরি করার জন্য নেতৃস্থানীয় টেক্সটাইলের পেশাদারদের সাথে শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন তৈরি করবে এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তার গুনাবলি অর্জন করতে করতে সাহায্য করবে।


আরও খবর



ভারত পাশে ছিল বলেই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারেনি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি, এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ছিল তা ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলে সিটমহল বিনিময়, ৬৮ বছরের যে সমস্যা তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছেন। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সমাধানও অবশ্যই হবে, ধৈর্য ধারণ করতে হবে। গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যে ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন, এটি সমীচীন নয়। প্রশ্ন রাখেন, ভারত বিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে? যারা নির্বাচনে আসেনি এটি তাদের অপপ্রচারের একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন ভারত বিরোধীতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনো তারা সেটি করছে।

বাজারে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট কি ভালো? সরকার কেন সিন্ডিকেটকে সমর্থন করবে? সিন্ডিকেট যে বা যাহারা করুক এর সূত্র খুঁজতে হবে। প্রকৃত সত্য বের করতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার এখানে সক্রিয় আছে। সংকট সমাধানের যোগ্য নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই ধৈর্য ধরার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের।

দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংখ্যালঘু ধারণাটাই একটা দাসত্বের শেকল, ভেঙে ফেলতে হবে। দাসত্ব কেন করবেন? বাংলাদেশের সংবিধান কী বলে। কেন নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সব ধর্মের মানুষের সমান অবদান ছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হিন্দুদের জমি দখল ও মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও তারা সবার অভিন্ন শত্রু, দুর্বৃত্ত। ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।

এ সময় শেখ হাসিনার সরকারকে সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন আছে ততদিন পাশে আছে। আওয়ামী লীগ আগেও পাশে ছিল, এখনো আছে এবং আগামীতেও থাকবে। অন্য দল ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো আবার পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্তসহ সনাতন ধর্মের অন্যান্য নেতারা।


আরও খবর



একীভূত হচ্ছে এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

একীভূত হচ্ছে এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্সিম ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের পর দুই পক্ষের চুক্তিতে একীভূত কার্যকর হবে।

এ দুই ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক সায় রয়েছে। একীভূতকরণ কার্যকরের আগে সম্পদ মূল্যায়নে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিরীক্ষা করানো হবে। সেই অনুযায়ী পদ্মা ব্যাংকের সম্পদ কতো তা নিরূপণ হবে।

ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে আলোচনার মধ্যে সম্প্রতি পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন চৌধুরী নাফিজ সরাফত। এর পর থেকে ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম।

এর আগে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল একীভূতকরণের অনাপত্তি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও বিভিন্ন জটিলতায় তা এখনও কার্যকর হয়নি।

দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরার মাধ্যমে ব্যাংক খাতের আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি, ব্যবস্থাপনা ও তারল্য এই চারটি সূচকের ভিত্তিতে একটি পিসিএ ফ্রেমওয়ার্ক দেওয়া হয়েছে। এ অনুযায়ী দুর্বল ব্যাংককে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ থেকে একীভূত হতে বলা হয়েছে। স্বেচ্ছায় না হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করে দেবে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারতজুড়ে কার্যকর হলো সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সোমবার (১১ মার্চ) এই সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএএ চালু করার কথা ঘোষণা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে আইনটি পাস হওয়ার প্রায় চার বছর পর চালু হলো নতুন এই নাগরিকত্ব আইন।

গত মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, এই আইন নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য, এটি কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। এর লক্ষ্য হলো নির্যাতিত অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই চালু হলো সিএএ।

এদিকে সিএএ নিয়ে সরকারের বিজ্ঞপ্তি জারির ঠিক আগেই সংবাদ সম্মেলন করে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, কারো অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে আন্দোলন হবে। তবে আইনটা আগে আমি দেখব। যদি দেখি কোনো শ্রেণির মানুষের ওপর বৈষম্য হচ্ছে, তাহলে তার বিরোধিতা করব। কোনো বৈষম্য মানব না।

তিনি আরও বলেন, দেশের কিছু ভালো হলে আমরা যেমন অভিনন্দন জানাই তেমনি দেশের কোনো খারাপ হলে আমরা তাকে সমর্থন করতে পারি না। আমি সকলকে বলব, আপনারা ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। আধার কার্ড যখন বাতিল হচ্ছিল, আমরা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। আজও যদি কারো অধিকার কেড়ে নেওয়া হয় তৃণমূল একমাত্র দল এই ইস্যুতে সবার প্রথমে সরব হবে।

ভারতজুড়ে সিএএ আইন কার্যকর করার খবর পেয়েই আনন্দে মাতলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার মতুয়া অধ্যুষিত ঠাকুরনগরের মানুষজন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বরে ভারতের সংসদে পাস হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা অমুসলিম নাগরিকরা (হিন্দু শিখ খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ) ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।

যদিও এই আইনের বিরোধিতা করে প্রতিবাদে নেমেছে কংগ্রেস, তৃণমূলসহ বিরোধী দলগুলো। তাদের দাবি ধর্মের ভিত্তিতে এই আইন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই আইনকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে সে সময় সহিংসতা, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে নষ্ট হয় কোটি কোটি রুপির সরকারি সম্পত্তি, মৃত্যু হয় প্রায় শতাধিক বিক্ষোভকারীর।

সে সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের যুক্তি ছিল, করোনার কারণেই এই আইনের রূপায়ণ শুরু করা যাচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের স্পষ্ট বার্তা ছিল, এই আইন নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য, এটি কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। সিএএ হলো বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে নির্যাতিত উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের একটি আইন।

সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশিত প্রামাণিক গণমাধ্যমকে জানান, ভারতের কোনো নাগরিকের নাগরিকত্ব যাবে না। এটা মানুষকে নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার আইন, কারোর নাগরিকত্ব ছিনিয়ে দেওয়ার আইন নয়। আমি সবাইকে বলব নিশ্চিন্তে থাকুন।


আরও খবর



সময়মতো ছাড়ছে না অধিকাংশ ট্রেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় সারা দেশে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে অধিকাংশ ট্রেনই সময় মতো ছাড়তে পারেনি।

স্টেশন সূত্র জানিয়েছে, সকাল থেকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার, নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস দেরিতে ছেড়ে গেছে।

দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এ নিউজ লেখা পর্যন্ত (বেলা ১১টা ১৪ মিনিট) ট্রেনটি স্টেশনে ছিল।

রেল সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ ১২ ঘণ্টায় লালমনি এক্সপ্রেস ৬ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দেরিতে, রংপুর ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট দেরিতে, কুড়িগ্রাম ৭ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দেরিতে, নীলসাগর ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট দেরিতে, ধূমকেতু ৩ ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে, পদ্মা ৫ ঘণ্টা ২৫ মিনিট দেরিতে, পঞ্চগড় ৯ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দেরিতে, চিত্রা ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে চলাচল করেছে।

দেরিতে থাকা একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী শহিদুল ইসলাম বলেন, ট্রেন কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে শিডিউল ঠিক থাকে না। যুগের সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে শুধু রেলের সময়সূচির পরিবর্তন হয়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, চারটি ট্রেন দেরিতে চলছে। এগুলো হলো- পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও একতা এক্সপ্রেস। ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য সোমবার (১৮ মার্চ) অনেকগুলো ট্রেন দেরিতে চলেছে।


আরও খবর