Logo
শিরোনাম

বিশ্বব্যাংকের সামনে আনন্দ সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের আনন্দ সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। আগামী ২৪ জুন বিকেল ৩টায় এ আনন্দ সমাবেশ হবে। এ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসমূহ।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ২৫ জুন সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময়) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের ঐতিহাসিক পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকালে ২৪ জুন বিকেল ৩টা (যুক্তরাষ্ট্র সময়) ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনের আনন্দ সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছে। আনন্দ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, সকল অঙ্গসংগঠন ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত সকল প্রবাসীর যথাসময়ে উপস্থিত থেকে সমাবেশকে সফল ও সার্থক করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংক প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এক হাজারের বেশি নেতাকর্মী নিয়ে ২০১২ সালের ১১ জুন বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ ও অবরোধ করে ইতিহাসে সৃষ্টি করে, যা পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী এক বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।


আরও খবর



মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যার অভিযান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উল্টো তারা বাঙালি বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সব সচেতন নাগরিক। তবে অভিযানে নেমে তারা রিকশাওয়ালা থেকে নিয়ে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এ ঘোষণার নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ইহাই হয়ত আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, এই-ই হয়ত আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। সময় যত পেরিয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট আজ পরিণত হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেটে। সেদিনের ১২৯ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশটিতে বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৯শ ৬১ মার্কিন ডলার।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবারও জাতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে ২৬ মার্চ প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে আজ সূর্যোদয়ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন।

সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

 


আরও খবর



রাজধানীর অধিকাংশ ভবনই অবৈধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মেগাসিটি ঢাকার ৭৪ ভাগ ভবনই অবৈধ। অবাক করার মতো হলেও বাস্তবতা বলছে, এই নগরের মাত্র ২৬ ভাগ ভবন তৈরি হয়েছে নিয়মনীতি মেনে। বাকি সবক্ষেত্রেই হয়েছে ব্যত্যয়। তবে এবার তৃতীয়পক্ষ দিয়ে জরিপ করে নগরের শতভাগ ভবনের নকশা হাতে পেতে চায় রাজউক। তিন ধাপে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলা হবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। নগরবিদরা বলছেন, কষ্টসাধ্য হলেও সম্ভব। তবে বাস্তবায়নে খোলস ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে রাজউককেই। এই মহানগরে প্রায় চার লাখ ভবন রয়েছে, যা বিধির বাইরে।

৪০০ বছরের পুরনো শহর ঢাকা। বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করে এর গোড়াপত্তন হলেও এখন টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে ঠেকেছে সীমানা। স্বাধীন বাংলার ২০ লাখ মানুষের নগরে মতিঝিল আর কারওয়ান বাজারই ছিলো দুটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ৫৩ বছর পর শহরের জনসংখ্যা এখন দুই কোটির বেশি।

এমন অবস্থায় আবাসিক ভবনে বাণিজ্য কিংবা বাণিজ্যিক ভবনে হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ এমনকি আবাসিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

রাজউকের কাগজে-কলমে ধানমন্ডি একটি আবাসিক এলাকা। কালের বিবর্তনে তা এখন পুরদস্তুর বাণিজ্যিক এলাকায় রূপ নিয়েছে। এখানকার সাত মসজিদ রোডের কথাই ধরা যাক। একটি সড়কের মধ্যে যে পরিমাণ হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রেস্তোঁরা, বাণিজ্যিক ভবন, অফিস রয়েছে; একক সড়ক হিসেবে কোন সড়কে এতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বে নজিরবিহীন বলা যায়।

যেখানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই কথিত তিলোত্তমা ঢাকায় সেখানে আলাদা করে আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক এলাকা সেটাও এখন বিলাসিতার পর্যায়। আর তাইতো অপরিকল্পিত এই নগরে কদিন বাদেই নিমতলী, এফআর টাওয়ার, চুড়িহাট্টা কিংবা বেইলী রোডের মতো ট্রাজেডি সামনে আসে।

রাজউকের তথ্যই বলছে, ঢাকায় ৭৪ ভাগ ভবনই গড়ে উঠেছে নকশার বাইরে। বাকি ২৬ ঠিকঠাক। তবে এবার এই নগরের সব ভবনের নকশা নিজেদের মুঠোয় পেতে চায় রাজউক। নীতিমালা প্রস্তুত করে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে করা হবে জরিপ।

সংস্থাটির প্রধান নগরবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাজউকের পক্ষে একা এ কাজ করা কঠিন। তাই আমরা তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ করার চেষ্টা করছি। তারা সরেজমিনে সব ভবন পরিদর্শন করে অগ্নি নিরাপত্তা এবং ভূমিকম্প ঝুঁকির বিষয়ে দেখবে।

তারপর তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা যতোই হোক তা গুড়িয়ে দেয়া হবে। বাকিদের দেয়া হবে সংশোধনরে সুযোগ। এরপর বিশাদ অঞ্চর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।

নগরবিদরা বলছেন, কেবল পরিকল্পনা নয় বাস্তবায়নও দেখতে চান তারা। আর সেজন্য দরকার প্রতিষ্ঠানটির সদিচ্ছা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, এই কাজে কেউ যেন হয়রানি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি আছে সেই খোলস থেকে বের হতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা দিতে হবে। আর যারা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।


আরও খবর



রাঙ্গামাটিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

উচিংছা রাখাইন কায়েস , রাঙ্গামাটি  

আজ ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ ভোর ৬ টা ৫ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়।

সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জাতির পিতার মুর‌্যালে ও শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রেমলিয়ানা পাংখোয়া, রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ নিহার রঞ্জন নন্দী, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তর ও সামাজিক সংগঠন শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবর্ক অর্পন করেন।

পরে রাঙ্গামাটি চিংহ্লা মং মারি স্টেডিয়ামে শিশু কিশোরদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নেতানিয়াহুর অনুমোদন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির নতুন আলোচনার অনুমোদন দিয়েছেন। কাতারের রাজধানী দোহা ও মিসরের রাজধানী কায়রোতে এই আলোচনা হবে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) নেতানিয়াহুর দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চেয়ে তোলা প্রস্তাব পাস হয়। ওইদিন এই প্রস্তাবে ভেটো দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোহায় অবস্থানরত আলোচনাকারী দলকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন নেতানিয়াহু।

মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার পরেরদিন মঙ্গলবার জানায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে যুদ্ধরত দুই পক্ষ এবং মধ্যস্থতাকারীরা এ ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য জানায়নি।

নেতানিয়াহুর দপ্তর আরও জানিয়েছে, তিনি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়ার সঙ্গে নতুন আলোচনা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে বার্নেয়া নিজে দোহা অথবা কায়রোতে যাবেন কিনা সেটি স্পষ্ট করেনি তারা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি প্রাণ হারান।

এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক লাখ মানুষ।

৭ অক্টোবর ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি আরও ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসেন হামাসের যোদ্ধারা। যারমধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী চলা যুদ্ধবিরতিতে ছেড়ে দেয় তারা।

ইসরায়েলের বিশ্বাস হামাসের কাছে এখনো ১৩০ জিম্মি রয়েছে। যারমধ্যে ৩৩ জন ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন।

সূত্র: এএফপি


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে শ্রী নিরাঞ্জন উড়াও নামে এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ বছর এর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীর সামনে এ রায় ঘোষণা করেন নওগাঁ জেলা ও দায়েরা জজ মোঃ আবু শামিম আজাদ। এ মামলাটি রাষ্ট্র পক্ষের হয়ে পরিচালনা করেন, সরকারী কৌসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম সারোয়ার হোসেন।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী নিরাঞ্জন উড়াও নওগাঁর পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের শ্রী যোগেশ্বর উড়াও এর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার বরবারিয়া গ্রামের রামেশ্বর চন্দ্র (৫৫) গত ২০২২ ইং সালের ১ আগস্ট নিজের জমিতে আইল কাটার কাজ করছিলেন। এমতাবস্থায় প্রতিবেশী নিরঞ্জন উড়াও এর লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হোন রামেশ্বর চন্দ্র। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একই দিন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ আগস্ট রামেশ্বর চন্দ্র মারা যান। এ ঘটনায় ঐ দিন রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শেষে নিরঞ্জন উড়াওয়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৬ মে দণ্ডবিধি- ১৮৬০ এর ৩০২/২০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে আদালতে জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামি নিরঞ্জন উড়াও কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অনাদায়ে তাকে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।


আরও খবর