Logo
শিরোনাম

বিশ্বে বায়ু দূষণে অকাল মৃত্যুতে সর্বোচ্চ এশিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

মানবসৃষ্ট নির্গমন ও দাবানলের মতো অন্যান্য উৎস থেকে ছড়িয়ে পড়া দূষণে বিশ্বজুড়ে ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটেছে। সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির (এনটিইউ) এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, এল নিনো এবং ভারত মহাসাগরের ডাইপোলের মতো আবহাওয়ার ঘটনাগুলো বাতাসে দূষণের ঘনত্বকে তীব্র করে তুলছে। এর ফলে দূষণকারী অন্যান্য উপাদানের ওপর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে।

গবেষকরা বলেছেন, বস্তুকণা পিএম-২.৫ এর ক্ষুদ্র কণাগুলো শ্বাসের সাথে মানবদেহে প্রবেশ করছে। এই বস্তুকণা রক্ত ​​​​প্রবাহে প্রবেশ করার মতো যথেষ্ট ছোট হওয়ায় তা স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন প্রাণঘাতী ক্যানসার ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী আরেক পদার্থ এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।

ডব্লিউএইচও বায়ুমান নির্দেশক গাইডলাইন বলছে, পিএম২.৫ নামে পরিচিত ছোট এবং বিপজ্জনক বায়ুকণার গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে এরচেয়েও কম ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের অনেক শহরের বাতাসে এসব কণার মারাত্মক উপস্থিতি রয়েছে।

এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল সাময়িকীতে প্রকাশিত সমীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বলেছে, ১৯৮০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যুর সঙ্গে ওই সূক্ষ্ম কণার সম্পর্ক রয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট, ফুসফুসের সমস্যা, স্ট্রোক ও ক্যানসারসহ যেসব রোগের বা অবস্থার চিকিৎসা আছে কিংবা প্রতিরোধ করা যেতে পারে, সেসব রোগে আক্রান্তরা মানুষের গড় আয়ুর চেয়ে কম বয়সে মারা যাচ্ছেন। আবহাওয়ার এসব বৈরী ধরন ১৪ শতাংশ মৃত্যু বাড়িয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

এনটিইউ বলেছে, দূষণ সংশ্লিষ্ট ঘটনায় ওই সময়ের মধ্যে বিশ্বে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে এশিয়ায়। ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এশিয়ায় এসব ঘটনায় ৯ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যুতে ভূমিকা রেখেছে পিএম-২.৫ দূষণ; যাদের বেশিরভাগই মারা গেছেন চীন এবং ভারতে। এছাড়া বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং জাপানেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এই চার দেশে একই সময়ে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণে প্রত্যেক বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৭ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়ুর গুণমান ও জলবায়ুর ওপর চালানো এই গবেষণাকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিস্তৃত ও বৃহৎ পরিসরের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ এই গবেষণায় এনটিইউয়ের গবেষকরা স্বাস্থ্যের ওপর বস্তুকণা-২.৫ এর বিশাল প্রভাবের চিত্র হাজির করতে প্রায় ৪০ বছরের ডেটা ব্যবহার করেছেন।

এনটিইউয়ের এশিয়ান স্কুল অব দ্য এনভায়রনমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক স্টিভ ইম এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন যে, বায়ু দূষণকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে আমাদের গবেষণার ফলাফলে সেই চিত্র উঠে এসেছে।

স্টিভ ইম বলেন, এল নিনোর মতো জলবায়ুর নির্দিষ্ট কিছু ঘটনায় দূষণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যার অর্থ পিএম-২.৫ দূষণের কারণে মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে। বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় বায়ু দূষণ মোকাবিলা করার সময় জলবায়ুর এসব বৈশিষ্ট্য বোঝার ও এই বিষয়ে হিসেব-নিকেশ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে আমাদের এই গবেষণা।

সিঙ্গাপুরের নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির এই গবেষণায় হংকং, যুক্তরাজ্য ও চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণে প্রত্যেক বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৭ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।


আরও খবর



সুন্দরবনের ১০ কিমির মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সুন্দরবন সংরক্ষিত বনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘোষিত প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার (ইসিএ) মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ বা প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’ এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সোমবার (১২ মে) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

তবে, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণার আলোকে ওই অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমন এবং টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম নেওয়া যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে গঠিত ইসিএ এলাকায় পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



অসুস্থ শিক্ষার্থীর চিকিৎসা সহায়তায় পাশে দাঁড়ালেন সমাজকর্মী ও শিক্ষকবৃন্দ

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কৃতি সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী সমাজকর্মী মোঃ ইউসুফ আলী দেওয়ান তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ভবেরচর ইউনিয়নের স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী দুরূহ ব্যাধিতে আক্রান্ত স্বর্ণা আক্তারের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থী স্বর্ণা আক্তার দীর্ঘদিন পেপটিক আলসার রোগে অসুস্থতায় ভুগছে। এতে করে একাধারে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। পারিবারিক অসচ্ছলতায় কারনে তার চিকিৎসা ব্যয়ভার চালানো তার পরিবারের পক্ষে অত্যান্ত কষ্টকর বলে জানা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, অপরিমিত চিকিৎসায় ফলে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর স্বর্ণা'র রোগ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। 

 বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের সাধারন সম্পাদক, সমাজকর্মী ইঞ্জি. সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল এর বরাতে শিক্ষার্থীর ব্যাধির ভয়াবহতার খবর পেয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থী স্বর্ণাকে দেখতে ছুটে আসেন সমাজ সেবক মোঃ ইউসুফ আলী দেওয়ান। তার সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করে অসুস্থ  শিক্ষার্থী স্বর্ণাকে দেখতে আরও ছুটে আসেন ভবেরচর ইউনিয়ন এর মানবিক সকল শিক্ষকবৃন্দ।

 শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আলমগীর হোসেন (ইংরেজি), সহকারি শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল (একাউন্টটিং), সহকারি শিক্ষক শাহাদাত হোসেন সরকার (ব্যবস্থাপনা), ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক  মনিরুজ্জামান লিটন।

এসময় উপস্থিত সকল শিক্ষক, অভিভাবক সদস্য, সমাজকর্মী, মানবিক নেতৃবৃন্দ সকলেই অসুস্থ শিক্ষার্থী স্বর্ণা'র আরোগ্য কামনা করে। সে যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার ক্লাস কার্যক্রমে ফিরে পারে এমনটাই সকলে প্রত্যাশা করেন।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে সামাজিক বনায়নের অর্থ বিতরণ, ৩১ জন পেলেন টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে উপকূলীয় বন বিভাগের আওতায় সামাজিক বনায়নের বিক্রিত বাগানের লভ্যাংশ উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৩১ জন উপকারভোগীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা প্রদান উদ্বোধন করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জামশেদ আলম রানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে অর্থ প্রদানের স্মারক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা মিঠুন চন্দ্র দাসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের আওতায় ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে সৃজিত লক্ষ্মীপুরের বসুরহাট-ছয়আনি সড়কের ছয় কিলোমিটার এলাকায় সৃজিত বাগানটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। বিক্রয়মূল্য ছিল ৩২ লাখ ২৮ হাজার ৬২০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী এর ৫৫ শতাংশ অর্থ উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপকারভোগীদের থেকে লভ্যাংশ প্রাপ্তির আবেদন সমূহ যাচাই-বাছাই শেষে ৩১ জন উপকারভোগীর প্রত্যেকের ব্যাংক  একাউন্টে ৩০ হাজার ১৪৫ টাকা জমা প্রদান করা হচ্ছে। বিক্রয়ের অর্থ থেকে ১০ শতাংশ বন রাজস্ব, ১০ শতাংশ টিএফএফ (ট্রি ফার্মিং ফান্ড), ২০ শতাংশ ভূমিমালিক সংস্থা এবং ৫ শতাংশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

চেক পেয়ে প্রাপ্তির অনুভূতি জানালেন উপকারভোগীরা:

সদর উপজেলার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের নুরজাহান বেগম জানান,

"অনেকদিন পরে হলেও আমাদের প্রাপ্য অর্থ পাবো জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমরা অনেক কষ্ট করেছি, তবে আজকে আমাদের পরিশ্রমের ফল পেলাম। এজন্য বন বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।"

একই উপজেলার পূর্ব জাফরপুর গ্রামের মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম বলেন,

"বন সংরক্ষণে অংশগ্রহণের কারণে আজ আমাদের জন্য এই বড় সুযোগ এসেছে। দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রাপ্য অর্থ খবর পেয়ে, আমরা অনেক খুশি। ধন্যবাদ জানাই বন বিভাগকে।"

একই উপজেলার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের ছায়েদুল হকের স্ত্রী ছেমনা খাতুন বলেন,এই অর্থ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য এটি শুধু কিছু টাকা নয়, এটি আমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল। বন বিভাগের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের এই সুযোগ দিয়েছে।"

উল্লেখ্য যে, সামাজিক বনায়নের আওতায় গাছ রোপণ ও সংরক্ষণে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, এরপরে কে?

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

আলি শরিয়তির বিশ্লেষণ :

গত বছরের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একই সঙ্গে এই ছাত্রসংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ৫ আগস্টের পর থেকেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে বারবার। কিন্তু সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। সম্ভবত দ্রুতই নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জানাবে। এর আগে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। অর্থাৎ, আওয়ামী লীগের ডালপালা, কাণ্ড, পাতা এগুলো আগে ছাঁটাই করে, এরপরে মূল বা গোড়া ধরে টান দিবে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করবে।

২.

পাকিস্তানের সামরিক শাসনামলে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এবং বাংলাদেশের সামরিক শাসনামলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের জন্য এটা নতুন অভিজ্ঞতা নয়। গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটেছে, একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করেছে। যা মূলত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ৭ নভেম্বরের ধারাবাহিকতা। ফলে এই প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তিকে ধীরে ধীরে নিষিদ্ধ করবে, নির্যাতন করবে এবং নির্মূলের পথে যাবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশ আরও কিছু নতুন দৃশ্য দেখছে। যা বাংলাদেশ আগে কখনও দেখেনি।

প্রায় নয় মাস চলে গেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেনি। এখন কেন করছে বা করবে? এর পেছনের কিছু ঘটনা আছে। ইউনূস সরকার আগামী বছরের (২০২৬) সালের জুনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিবে বলে জানিয়েছে। সরকার চায় এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিক। সরকারের পরিকল্পনা হলো আওয়ামী লীগকে নির্যাতনের মাধ্যমে এতটা কোণঠাসা করে রাখা হবে যে, নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাবে না, কর্মী সমর্থক খুঁজে পাবে না। এরকম হা-পা বেঁধে নির্বাচনে আনতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট, তারা এরকম নির্বাচনে অংশ নিবে না এবং আরও একধাপ এগিয়ে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে যে, ড. ইউনূসের অধীনে কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিবে না। প্যাঁচটা এখানেই লেগেছে।

ড. ইউনূস চায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক। বিএনপি তো আসবেই। জামায়াত এবং এনসিপি তো আছেই। এই নির্বাচনী খেলায় ৪/৫টি আসন আওয়ামী লীগকে দিয়ে, ৮০/৮২টি আসন বিএনপিকে দিয়ে, কিছু খুচরা দলকে ১/২টা করে আসন দিয়ে, জামায়াতে ইসলামকে ৬০/৬১টি এবং এনসিপিকে ১৫১ এর বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতিয়ে আনবেন। নির্বাচন হবে একদম ১৯৭৯ সালের স্টাইলে। ষণ্ডা গুণ্ডা হোন্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা! 

এনসিপি সরকার গঠন করবে। সংরক্ষিত নারী আসন মিলিয়ে আসন সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আর সংবিধান সংশোধনের জন্য জামায়াতের শর্তহীন পূর্ণ সমর্থন পাবে। নাহিদ ইসলাম প্রধানমন্ত্রী এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস হবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি।

কিন্তু আওয়ামী লীগ এই ফাঁদে পা দেয়নি। আর এজন্যই আওয়ামী লীগের উপরে নিষিদ্ধ সহ মামলা-হামলা-গ্রেফতার-চাঁদাবাজি ইত্যাদি নির্যাতনের মাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে। 

কিন্তু এরপরে কে?

৩.

জাতীয় পার্টি, জাসদ (ইনু), ওয়ার্কার্স পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, জাপা (মঞ্জু), গণ আজাদী লীগ, ন্যাপ (মোজাফফর) প্রভৃতি দলগুলোকেও ক্রমান্বয়ে নিষিদ্ধ করা হবে।

তৃতীয় ধাপে কিছু সামাজিক ও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হবে, বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। যেমন- উদীচী, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ইত্যাদি থাকবে এই তালিকায়।

চতুর্থ ধাপে নিষিদ্ধ করবে চব্বিশের আন্দোলনকারী স্টেকহোল্ডার কিছু রাজনৈতিক দলকে। যেমন- সিপিবি, বাসদ, জাসদ(আম্বিয়া-প্রধান), জাসদ (রব) এরকম কিছু রাজনৈতিক দল ও দলগুলোর ছাত্র-যুব সংগঠন। গণসংহতি আন্দোলনও ২০১৩ সালের গণজাগরণে সম্পৃক্ত হবার কারণে নিষিদ্ধের তালিকায় যুক্ত হতে পারে।   

এভাবে প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী দলগুলোকে মোটামুটি নিষিদ্ধ করে ফেলবে। দেশে তখন একচেটিয়াভেব সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বাম্পার ফলন ফলবে।

ইতোমধ্যে সংসদ নির্বাচনের আলাপ থেমে যাবে। এগুলো ঘটবে ২০২৫ সালের মধ্যেই। এরপরে সুবিধামতো সময়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দিকে ১৯৭৭ সালের আস্থা ভোটের মতো একটা নামকাওয়াস্তে গণভোট আয়োজন করে সরকারের ম্যান্ডেট নিয়ে নিবে। মনে রাখতে হবে ড. ইউনূস কিন্তু জিয়াউর রহমানের রাজনীতিই ফলো করতেছে। তাছাড়া বিএনপির প্রথম গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রের অন্যতম রচয়িতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাছাড়া সারাবিশ্বে সামাজিক ব্যবসার মতো ফটকা ব্যবসার তাবিজ বিক্রি করা ব্যক্তি তিনি। তাই এই মহাজনকে অতটা কাঁচা রাজনীতিক মনে করলে বোকামী হবে।

এভাবেই ইউনূস সাহেব তাঁর শাসনকাল চালিয়ে যাবেন।

৪.

যত সহজভাবে এগুলো লিখলাম বাস্তবেও কী এরকম সহজেই সবকিছু ঘটে যাবে? সহজেই ঘটে যেতে পারে আবার কঠিনও হতে পারে। তবে ঘটবেই, এটা নিশ্চিত। কারণ এই সরকার ওয়ান ইলেভেনের এক্সটেনশন সরকার। ২০০৭ সালে ইউনূস সাহেব মাত্র দুই বছরের জন্য প্রধান উপদেষ্টা হবার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তাহলে কীভাবে বিশ্বাস করেন এখন তিনি ২ বছরেই ক্ষমতা ছেড়ে দিবে? পাগলের প্রলাপ, অসম্ভব। তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চান এবং আধুনিক বাংলাদেশের জাতির পিতা হতে চান। মাহাথির মোহাম্মদ ও লী কুয়ানের মতো। 

একটু আগে বলেছি কঠিনও হতে পারে। এই কঠিন হবে বিএনপির বাধা দিলে এবং তারা একপর্যায়ে বাধা দিবেও। তারেক রহমান ফিরলে ইউনূসের লক্ষ্য পূরণে সমস্যা হতে পারে, তারেক নিজেই দেশের ডানপন্থী রাজনৈতিক শক্তির প্রধান নেতা বনে যেতে পারেন; এবং আরও কিছু আশঙ্কায় ট্র্যাভেল পাশ থাকা সত্ত্বেও তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দেয়নি ইউনূস। এরপরেও বিএনপি কান্নাকাটি করবে, নির্বাচন চাইবে, রাজপথে নামবে। কিন্তু ইউনূসের কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারবে না। এই বাস্তবতা বুঝেই বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিপক্ষে কথা বলেছে। বিএনপির জোটসঙ্গী দলগুলোকে নানারকম সুবিধা দিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে ইউনূস কাছে টেনে নিবে। মাঠে থাকবে বিএনপি একা। ইউনূস সরকার সম্ভবত বেগম খালেদা জিয়াকে সিনিয়র মন্ত্রীর মর্যাদায় বিশেষ দূত বানাবে। এতে বিএনপি আরও একধাপ দুর্বল হবে।

তাছাড়া নির্বাচনে জিতে নিশ্চিত মন্ত্রী ও এমপি হবে, এরকম বিএনপি নেতা ছাড়া বাদবাকী একজন বিএনপির কর্মীও নির্বাচন চায় না। কারণ তাদের আয় রোজগার এখন নির্বিঘ্নে চলছে, তাই তারা নির্বাচন নিয়ে একদমই আন্দোলনে আগ্রহী না। পরে যদি চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও লুটপাটের ক্ষেত্রগুলো ফসকে যায়! বিএনপি পড়বে মহাফ্যাসাদে।

তাছাড়া বিএনপিপন্থী সাবেক ও বর্তমান আমলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে নিজেদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছেন, সবাই চেয়ারে বসেছেন। তাহলে নির্বাচনের দরকার কি? 

তবুও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আর যদি বেশি শক্তি দেখাতে চায়, তাহলে বিএনপির কপালেও নিষিদ্ধ হবার তকমা জুটবে। ইউনূস ক্ষমতায় থাকার জন্য যা করা দরকার সবই করবে। ফ্যাসিবাদ, জ#ঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্যবাদ কাকে বলে ও কত প্রকার তা দেখিয়ে দেবে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারলে, বিএনপির মতো কিংস পার্টিকে নিষিদ্ধ করা ইউনূসের কাছে এক্কা দোক্কা খেলার মতোই পানিভাত।

৫.

জমায়াতে ইসলাম মহাখুশি, কারণ তাদের নেতাদের ফাঁসি ও কারাদণ্ডের বদলা নিতে পারছে, ইউনূস এটা নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। দ্রুতই বিচার কার্য শুরু ও শেষ করবে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ ও জাতীয় নেতাদের ফাঁসির রায় দিয়ে দিবেন। সুযোগ পেলে ফাঁসি কার্যকরও করবেন। এটাই জামায়াতের একমাত্র চাওয়া। এনসিপি এমনিতেই ক্ষমতায় আছে এবং যদি পাতানো নির্বাচন হয় তাহলে নিশ্চিত ক্ষমতায় যাবে।

ইউনূসের উদ্দেশ্য পরিস্কার। পাতানো সংসদ নির্বাচনে এনসিপিকে ক্ষমতায় বসানো, অথবা গণভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার বৈধতা নিয়ে নেওয়া। দুটি প্রক্রিয়ার যেকোন একটি বাস্তবায়ন করেই তিনি ক্ষমতা উপভোগ করবেন।

তবে হ্যাঁ, একটা বাধা আছে। এখন পর্যন্ত এটাই বড় বাধা। সামরিক বাহিনী তথা জেনারেল ওয়াকার। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ, রাখাইনে মানবিক করিডোর, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের অফিস স্থাপন, US Military Corps এর ঘাঁটি স্থাপন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেওয়া ইত্যাদি যখন সম্পন্ন হতে থাকবে ততদিনে সামরিক বাহিনী ও জেনারেল ওয়াকার সাহেবও নতজানু হয়ে যাবেন। গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য তাঁর তেমন কিছু করার থাকবে না। কারণ সময় গেলে সাধন হবে না।

শেষকথাঃ

যে কোন মূল্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় থাকবেন। এজন্য প্রধান বাধা আওয়ামী লীগ, তাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে ক্রমান্বয়ে বাধা হতে পারে এরকম অন্যান্য দলগুলোও নিষিদ্ধ করবে। গণতন্ত্রের কবর রচনা করে বাংলাদেশকে বানাবে পাকিস্তানের মতো ধ্বংসপ্রায় একটি রাষ্ট্র তথা অস্তিত্ব!


আরও খবর



সুফি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

আলহাজ্ব সুফি মিজানুর রহমান মহোদয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সকল সুন্নী রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবাদ ও বিবৃতি আশা করছি। সংক্ষিপ্ত তাফসীরসহ কুরআনে কারিমের বিশুদ্ধ বাংলা অনুবাদ "রুহুল কুরআন", ফার্সি ভাষায় লিখিত হাজার বছর আগের তাসাউফ দর্পন "কাশফুল মাহজুব" এর বাংলা অনুবাদ, হাদিস সংকলন, ৪০ হাদিস সহ অনেক কিতাব কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জাতির খেদমতে উপহার, সিহাহ সিত্তাহ [হাদিসের বিশুদ্ধ ছয়টি গ্রন্থ]কে অধিকতর বিশুদ্ধ অনুবাদ, ব্যাখ্যা ইত্যাদি দিয়ে বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তুলে ধরা, সত্যিকারের মুফতি তৈরির মানসে বছর মেয়াদি ইফতা কোর্স, আরবি ভাষা শেখানোর জন্য এরাবিক ল্যাংগুয়েজ সেন্টার, ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ঢাকা ও চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক শাহাদাত-এ কারবালা মাহফিলের প্রধান পৃষ্ঠপোষকসহ বহু একাডেমিক এবং নন একাডেমিক, সামাজিক, মানবিক, দেশে - বিদেশে  সর্বত্র নিজেকে বিলীন করে দিয়ে যে মহান খেদমতের আঞ্জাম দিচ্ছেন তা সত্যিই অতুলনীয় এবং এর  দৃষ্টান্ত এ যুগে বিরল। পাশাপাশি শিল্প জগতে সততার সাথে বিপ্লব ঘটিয়ে চলছেন। অসংখ্য পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলছেন। তাছাড়া দেশে- বিদেশের ওলামা, পীর মাশায়েখদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলছেন। যেখানেই যান ৮৩তম বয়সে উপনীত হয়েও ছাত্রের মত কাগজ- কলম নিয়ে বসে পড়েন। এরকম নানান গুনের অধিকারী বিনয়ী একুশে পদকপ্রাপ্ত আলহাজ্ব মোহাম্মদ সুফি মিজানুর রহমান প্রতিহিংসার শিকার হবেন না তাতো হতেই পারেনা।  যার কারণে জুলাই আন্দোলনে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী করা হলো উনাকে। ঢাকা আলিয়ার এক শিক্ষার্থীকে পতিত স্বৈরাচারের পালিত প্রশাসন ও সন্ত্রাসীরা আক্রমন করেছে, সেখানে এ রকম মহান মানুষের সম্পৃক্ততা কিভাবে সম্ভব? আল্লাহকে ভয় করুন। একমাত্র তিনিই যাকে ইচ্ছে ক্ষমতা দান করে ইজ্জত দান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেন। আমরা অনতিবিলম্বে সুফি সাহেবের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা অবলোকন করছি, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যেখানে উপদেষ্টা ও প্রশাসনের কিছু উগ্রবাদী ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে আমরা সন্দেহ পোষণ করছি। আমি বর্তমান সরকার ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, সুন্নী জনতা আপনাদের প্রতিপক্ষ নয়, তাদেরকে জোর করে প্রতিপক্ষ বানানোর পরিণাম ভালো হবে না। সুন্নীয়তের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত চলমান এই ষড়যন্ত্র বন্ধ নাহলে সুন্নী জনতা রাজপথে ফায়সালা করে ফিরবে। অবিলম্বে এই মামলা বানিজ্য বন্ধ করুন। 


আরও খবর

মাইজভান্ডারির মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫