Logo
শিরোনাম

বিশ্বে কলেরার ঝুঁকিতে ১০০ কোটি মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশ্বের ৪৩টি দেশের অন্তত ১০০ কোটি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। ২৪টি দেশে ইতোমধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব শুরুও হয়ে গেছে। গত বছর মে মাসের মাঝামাঝি কলেরার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল, তবে তার ব্যাপ্তি ছিল কম। ২০২২ সালের মে মাসে ১৫টি দেশে দেখা দিয়েছিল কলেরা।

জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইনসিডেন্ট ম্যানেজার হেনরি গ্রে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, যেসব দেশের লোকজন কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে চলতি বছরই তাদের এই ঝুঁকি থেকে বের করে আনা সম্ভব।

তবে এ জন্য আমাদের প্রয়োজন অন্তত ৬৪ কোটি ডলারের একটি তহবিল যা এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই, সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন হেনরি গ্রে। তহবিল গঠনের জন্য ধনী ও দাতা দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে যে ৪৩টি দেশ কলেরা প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে আছে, সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি চলতি বছর প্রথমবারের এ তালিকায় এসেছে। পাশাপাশি কয়েক বছর আগেও কলেরায় যে মৃত্যুহার ছিল, সম্প্রতি তাতে উল্লম্ফন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলেও জানিয়েচেন হেনরি গ্রে।

দারিদ্র্য, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশে নতুন ভাবে কলেরার ঝুঁকি বাড়ছে উল্লেখ করে ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছর বিভিন্ন দেশ আমাদের কাছে প্রায় ২ কোটি ডোজ কলেরার মুখে খাওয়ার টিকা (ওর‌্যাল ভ্যাক্সিন) চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছে, কিন্তু আমাদের কাছে আছে মাত্র ৮০ লাখ ডোজ টিকা।

কলেরা সম্পূর্ণ প্রতিরোধের জন্য একজন ব্যক্তিকে অন্তত ২ ডোজ টিকা গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু টিকার স্বল্পতার কারণে আমরা বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ জানিয়েছি তারা যেন আপাতত এক ডোজ করে টিকা দেন লোকজনদের।

একই কারণে, অর্থাৎ টিকার ডোজের ঘাটতি থাকায় আমাদের কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানও থেমে আছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ হতাশাজনক।

হেনরি গ্রে জানান, আগামী ১২ মাসে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে কলেরা টিকা সরবরাহ ও কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানের জন্য জাতিসংঘের শিশু অধিকার ও সহায়তা সংস্থা ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর এই যৌথ কার্যক্রমের জন্য ডব্লিউএইচওর প্রয়োজন ১৬ কোটি ডলার এবং ইউনিসেফের প্রয়োজন ৪৮ কোটি ডলার।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি বিভাগের প্রধান জেরোমি পাফমান জামব্রুনিও উপস্থিত ছিলেন। ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা জানান, গত বছর নভেম্বরে বিশ্বজুড়ে কলেরা নির্মূল প্রচারাভিযানের জন্য ১৫ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছিল ইউনিসেফ। তবে তারপর থেকে দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এই প্রচারাভিযানের ব্যাপ্তি আরও বাড়ানো এখন জরুরি।

এটা আমাদের জন্য একটা সতর্কঘণ্টা। যদি এখন থেকে কাজ শুরু করা না যায়, সেক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে মোড় নেবে, সংবাদ সম্মেলনে বলেন জামব্রুনি।

সূত্র : এএফপি


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৬০০ ছাড়ালো

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬০৬ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২০ জন ডেঙ্গুরোগী। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৩ হাজার ৪৯৩ জন ডেঙ্গুরোগী।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯২০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২১৯ এবং ঢাকার বাইরের ৭০১ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪ জন, ঢাকার বাইরের ৪ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ৯ হাজার ৮৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ২৯৮ জন, আর ঢাকার বাইরের ২ লাখ ১ হাজার ৭৮৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ১৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২২১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭৯৩ জন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৩ হাজার ৯৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৫ হাজার ৩৫৭ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩১ জন।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




ফের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন ছলিম উদ্দিন তরফদার

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের এমপি সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এমপি আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করবেন। সোমবার ২৭ নভেম্বর বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমপি'র জ্যেষ্ঠপুত্র সাকলাইন মাহমুদ রকি।

রকি সংবাকর্মীদের জানান, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রত্যেক প্রার্থীর বিপরীতে একজন করে ড্যামি প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে অংশ নেয়ার জন্য দলের হাইকমান্ড এর নির্দেশ এর পরিপ্রেক্ষিতে এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার এবারও ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন। 

গত রবিবার এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নতুন মুখ সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী সৌরেনের নাম ঘোষণা করায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নেয়। 

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তদানিন্তন সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেরাগপুর ইউপির সাবেক একাধীক বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম ২০১৪ সালে আগের বার নির্বাচিত সদ্য প্রয়াত এমপি ড. আকরাম হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কলস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হোন। পরে তাকে আবার দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়। ২০১৮ সালে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে নৌকা প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হোন ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম। এসময় তিনি এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করে দলের ও সাধারণ মানুষের ভালবাসা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি মহাদেবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দলের ৯০ টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মী তার প্রতি আস্থাশিল। হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দল মত নির্বিশেষে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে আবারো বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আশা করছেন। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা, নিরপেক্ষ নির্বাচনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও যে কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন সেই ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।


আরও খবর



সোনাইমুড়ীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

অনুপ সিংহ,নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ৪টি হত্যা,৩টি অস্ত্র মামলাসহ ১৫ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এসময় তার কাছ থেকে একটি বন্দুক ও দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেপ্তার কৃত জাকির হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর  ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের রফিক উল্লাহর ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রাম  থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।  

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাকির হোসেন ৪টি হত্যা, ৩টি অস্ত্র মামলা সহ ১৫ মামলার আসামি। সে অস্ত্র আইনে মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



বন্ধ হয়ে গেল গাজার বড় দুই হাসপাতাল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফার হৃদরোগ ওয়ার্ড ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে। হামলা এবং জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকটের কারণে হাসপাতালটির সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৬৫০ রোগীর জীবন এখন ঝুঁকিতে। তাদের মধ্যে ৩৭ শিশু। তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রতিবেশী মিশর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আল শিফা হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। পানি ও খাদ্য সংকটে তাদের বেঁচে থাকাও খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে আল শিফা হাসপাতাল বন্ধ হতে না হতে গাজা শহরের দ্বিতীয় বৃহত্তম আল কুদস হাসপাতালও জ্বালানি সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু এ দুটি নয়, এর আগে একই কারণে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার আরও ২৫ থেকে ৩০টি হাসপাতাল। এখন সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় রোগীদের জীবন বাঁচানো নিয়ে শুরু হয়েছে স্বজন ও চিকিৎসকদের আরেক যুদ্ধ। ইসরায়েল সরকারের দাবি, হাসপাতালের নিচে রয়েছে হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ। আর সে সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতেই এসব হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও হামাস হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ থাকার দাবি নাকচ করে দিয়েছে। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের প্রধান হাসপাতালগুলো ঘিরে রেখে হামলা চালাচ্ছে। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলের অবরোধ আরোপ, জ্বালানি প্রবেশ করতে না দেওয়া ও অব্যাহত হামলার কারণে শনিবার রাতে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা বন্ধ হয়ে গেছে। হামলার কারণে হাসপাতালটির হৃদরোগ ওয়ার্ড সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া হামলার কারণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রটিও এখন অচল হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভেতরে থাকা ৬৫০ রোগীর জীবন এখন ঝুঁকিতে। তাদের মধ্যে ৩৭টি শিশু রয়েছে। হাসপাতালের ভেতর যেসব রোগী আছেন, তারা এখনো সেখানে আটকে আছেন, সদ্যই জন্ম নেওয়া দুটি শিশু মারা গেছে এবং হাসপাতালের আশপাশে প্রচণ্ড লড়াই হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় দেড় হাজার মানুষ মারাত্মক ভীতিকর অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এই মুহূর্তে খাদ্য তো দূরের কথা, খাওয়ার পানি পর্যন্ত নেই তাদের।

আল শিফার এ ধরনের অবস্থার মধ্যে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম আল কুদস হাসপাতালও বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর এসেছে। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের আল কুদস হাসপাতালে আর কোনো ধরনের সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই ওই হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে পিআরসিএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব, খাদ্য ও পানির ঘাটতি এবং বিদ্যুৎ না থাকার পরও হাসপাতালের কর্মীরা রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চলমান ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে হাসপাতালটিতে আর কোনো কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। সেখানকার চিকিৎসা কর্মী, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতি আরও বেড়ে গেছে। রেড ক্রসের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সও পাঠাতে পারছেন না।

এদিকে গাজার পূর্বাঞ্চলীয় খান ইউনিসের একটি আবাসিক ভবনে হামলার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ওই হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হয়েছে বিবিসি। তিনি জানিয়েছেন, হামলার সময় মাটি যেন কেঁপে উঠেছিল। হামলায় আবাসিক ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগেও এ ধরনের বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে জাতিসংঘ জানায়, গাজায় অবস্থিত তাদের একটি কার্যালয়ে রাতভর গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। ওই কার্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা।


আরও খবর



গোপালগঞ্জের ৩টি আসনে মনোনয়ন পেলেন ৩ ‘হেবিওয়েট’ প্রার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মোঃ মাসুদ রানা,জেলা প্রতিনিধি :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের তিনটি আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছে ৩ ‘হেবিওয়েট’ প্রার্থী। তারা জেলার ঐ তিনটি আসনে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরেই প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় আনন্দ মিছিল করেছে দলীয় নেতা-কর্মীরা। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গোপালগঞ্জের তিনটি আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন, গোপালগঞ্জ-০১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও বতর্মান সংসদ সদস্য লে: কর্নেল (অব:) ফারুক খান। 


গোপালগঞ্জ-০২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য,বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি"র ছোট ভাই সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী ও বিগত আট বারের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। 

গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধনমন্ত্রী এবং বতর্মান সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জ জেলায় রয়েছে রাজনৈতিক ঐতিহ্য। এ জেলা জন্মগ্রহণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে কারণে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আধিপত্য এলাকা হিসেবে পরিচিত। বিগত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। সেই সাথে জামানত হারিয়েছে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্য প্রার্থীরা।


এদিকে গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণার পরেই আনন্দ মিছিল ও উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করছে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহেযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিকেলে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহেযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এসময় কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর