Logo
শিরোনাম

বিশ্বে করোনায় বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

করোনায় বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৪১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ২০৭ জন। বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮৯ জন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৩১৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৮৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। ফিলিপাইনে আক্রান্ত হয়েছে ১৫৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। রোমানিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৩০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। মালটায় আক্রান্ত হয়েছে ১০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৫০ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ লাখ ৭১২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৬ কোটি ৪১ লাখ ১ হাজার ৮৬ জন।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশকে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার। আগামী তিন মাস পর এ সরবরাহ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিদ্যুতের দামে যে ছাড় ও কর-সুবিধা চাওয়া হয়েছিল, তা দিতে রাজি হয়নি আদানি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গ্রীষ্ম মৌসুমের আগে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুরোধে আগামী সপ্তাহ থেকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহে রাজি হয়েছে আদানি পাওয়ার। ঝাড়খন্ডে অবস্থিত আদানি পাওয়ারের এই কেন্দ্র থেকে কেবল বাংলাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

সূত্র দুটি আরও জানিয়েছে, আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে রাজি হলেও ঢাকার অন্যান্য অনুরোধ মানতে রাজি হয়নি। গত মঙ্গলবার আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করে বিপিডিবি।

বৈদেশিক মুদ্রা ঘাটতির কারণে বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধে বিলম্ব হলে গত বছরের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে অর্ধেক করে দেয় গৌতম আদানির কোম্পানি। পরে গত ১ নভেম্বর ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয় তারা। শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাবে, সে কারণে বাংলাদেশও বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেয়; সেই সঙ্গে মূল্য পরিশোধের বিষয়টি তো ছিলই।

এদিকে আদানি পাওয়ার সম্পর্কে একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, আদানি পাওয়ার ছাড় দিতে রাজি নয়, এমনকি ১০ লাখ ডলারও নয়। বাংলাদেশ কেনো ছাড় পায়নি। তবে এ বিষয়ে বিপিডিবির চেয়ারপারসন রেজাউল করিমের মন্তব্য পায়নি রয়টার্স। এর আগে তিনি সংস্থাটিকে বলেছিলেন, আদানির সঙ্গে এখন আমাদের বড় কোনো সমস্যা নেই এবং তারা পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে যাচ্ছে। আদানি পাওয়ারের পাওনা পরিশোধের পরিমাণ মাসে সাড়ে ৮ কোটি ডলার থেকে বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।

সম্প্রতি আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ক্রেতার চাহিদার সাপেক্ষে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়; ক্রেতাদের চাহিদা সময় সময় পাল্টায়।

গত ডিসেম্বর মাসে আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র বলেছিলেন, বিপিডিবির কাছে তাদের পাওনা প্রায় ৯০ কোটি ডলার; যদিও রেজাউল করিম তখন বলেছিলেন, এই অঙ্ক ৬৫ কোটি ডলার। মতভিন্নতা মূল কারণ হলো বিদ্যুতের শুল্ক হিসাবের পদ্ধতি।

এর আগে বিপিডিবি আদানি পাওয়ারের কাছে কয়েক লাখ ডলারের কর–সুবিধা এবং গত বছরের মে মাস পর্যন্ত যে ছাড় ছিল, তা পুনর্বহাল চেয়ে চিঠি দিয়েছিল।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ইসলামপন্থী দলগুলোর উচিৎ বিএনপির সাথে বিরোধ সৃষ্টি না করা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক :

বেগম খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন, বিএনপির অবস্থান ডানপন্থীদের ডানে এবং বামপন্থীদের বামে। অর্থাৎ বিএনপি একটি উদার মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দল। বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ 'ইসলাম' নয়, কিন্তু ইসলামী মূল্যবোধের সাথে বিএনপির সম্পর্ক গভীর। কারণ বাংলাদেশের গণমানুষ ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি সংবেদনশীল।

কোনো রাজনৈতিক দলকে জনপ্রিয় করতে হলে সবার আগে জাতীর পার্লস বুঝতে হয়। জাতীর ধর্ম, সভ্যতা, সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয়। যা বাংলাদেশের বাম ধারার রাজনীতিকরা কখনো বোঝেননি। তারা জাতীর বড় অংশের ধর্ম চেতনার প্রতি উদাসীনতা/তাচ্ছিল্য দেখিয়েছেন। এর ফলাফল আমাদের সামনে পরিস্কার। বাম রাজনীতি বাংলাদেশে সব সময় 'রাজনৈতিক এতিম' থেকে গেছে।

ইতালির রাজনীতিতে বামপন্থীরা বড় দুই শক্তির একটি। অতীতে তারা ক্ষমতায় ছিলো। এখন প্রধান বিরোধী দলে আছে। কই, তারা তো ইতালিয় গণমানুষরে ধর্ম চেতনার প্রতি তাচ্ছিল্যা দেখায় না! গির্জার বিরুদ্ধে, ভ্যাটিকানের বিরুদ্ধে কথা বলে না! মানুষের ধর্ম চর্চা নিয়ে অযাচিত নাক গলায় না!

আমরা সবাই জানি ইতালি ক্যাথলিক অধ্যুষিত দেশ। মোটা দাগে ধর্মকর্ম মানে এরা মূলত উৎসবকেই বোঝে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলকে বলেন তো- ভ্যাটিকানের বিরুদ্ধে, পোপের বিরুদ্ধে বা গির্জা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে টু-শব্দ করতে! তাদের কোনো সুযোগ সুবিধায় হস্তক্ষেপ করতে! করবে না। কারণ তারা তাদের জাতীর ধর্ম চেতনার খবর রাখে।

বিএনপির সাথে দেশের ইসলাপন্থী দলগুলোর দূরত্ব বাড়ছে। এই দূরত্বকে শত্রুতার পরিণত করছেন বিএনপিরই কিছু নেতা। তারা হঠাৎ ইসলামের সংস্কৃতি, প্রবাহমান ধর্মীয় আচার বিধির বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন। বিএনপিকে ইসলামের রাজনৈতিক দর্শন বিরোধী দল হিসাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন প্রথম সারির নেতারা। এর ফল কী ভালো হবে? বিএনপিকে তো কেউ ইসলামী দল মনে করে না। বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ ইসলাম নয়, এটা সবাই জানে। বিএনপিকে কেনো গলা বাড়িয়ে এসব কথা বলতে হচ্ছে? বিএনপি কী দেশের গণমানুষের ধর্ম চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলছে? বিএনপি কী ইসলাম বিদ্ধেষী আওয়ামীলীগের প্রক্সি দেয়ার চেষ্টা করছে? নাকী ভারতকে খুশি করার জন্য এসব বলছে? নাকী বিএনপির কাঁধে বামের ভুত ভর করেছে?

বাংলাদেশের মানুষের ধর্ম চেতনা, ধর্ম সংস্কৃতি বিরোধী আর ভারতের মোসাহেবি বা গোলামির রাজনীতি মানুষ পছন্দ করে না। গণমানুষের চেতনার বাইরে গিয়ে ভারতকে খুশি করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো শেখ ফ্যাসিনা।

একদিকে বিএনপি খেলাফত মসলিসের সাথে মিটিং করছে, অন্যদিকে বিএনপির নেতারা ইসলামী মূল্যবোধে আঘাত করে বক্তৃতা করছেন। এটা ভয়ঙ্কর ক্ষতির লক্ষণ। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের দল। বিএনপি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দল। বিএনপি ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দল। বিএনপি ইসলামপন্থীদের আস্থার দল। বিএনপির নেতা তারেক রহমান জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখেন। এই মুহুর্তে বিএনপির আরো সতর্ক হওয়া দরকার। ভারতনীতিতে পরিস্কার অবস্থান থাকা দরকার। দেশের মানুষের পার্লস বুঝে রাজনীতি করা দরকার। বিএনপির নেতারা যখন প্রবাহমান ইসলামী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলেন, কিন্তু কাঁটাতারের বিষয়ে নিরব থাকেন, তখন সাধারণ মানুষের কাছে ভিন্ন বার্তা যায়। এই বিষয়গুলো বিএনপিকে আমলে নিতে হবে। এগুলো বাইপাস করে বিএনপি রাজনীতি করতে চাইলে ভুল হবে, অনেক বড় ভুল।

দেশের ইসলামপন্থী দলগুলোরও উচিৎ বিএনপির সাথে বিরোধ বৃদ্ধি না করা। দূরত্বের পারদ আপাতত উপরে উঠতে না দেয়া। বিএনপির সাথে রাজনৈতিক বিরোধে জড়ানোর সময় এখনো আসেনি। এখন বিএনপির সাথে বিরোধে জড়ানো মানে ২৪ এর চেতনাকে দূর্বল করে দেয়া। বিএনপিকে বিপথে ঠেলে দেয়া। সুড়ুৎ বাম এবং ভারতকে সুযোগ করে দেয়া।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সৌদি আরবে ২১ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এক সপ্তাহে বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটিতে ২১ হাজার ৫৬৪ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৩ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এতে বলা হয়, গ্রেপ্তারদের আবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৩ হাজার ৮৮৩ জনকে , ৪ হাজার ৬৬৮ প্রবাসীকে সীমান্ত নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে এবং ৩ হাজার ১৩ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৪৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪১ শতাংশ ইয়েমেনি, ৫৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ৪ শতাংশ অন্য দেশের নাগরিক রয়েছেন। একই সময়ে সৌদি আরব থেকে অবৈধভাবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৯০ জনকে গ্রেপ্তার এবং পরিবহন আইন লঙ্ঘননের অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আরও খবর



লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান বা শবে বরাত ও এরাতের আমলসমুহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইসলামী ১২টি চন্দ্রমাসের মধ্যে শা'বান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন মাস। আর এ মাসের ১৫তম রজনীকে হাদিসের ভাষায় লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান বলা হয়, যা আমাদের দেশে শবে বরাত নামে অধিক প্রসিদ্ধ। এই শা'বান মাস ও শবে বরাতের অসংখ্য ফযিলত হাদিস শরীফে পাওয়া যায়।

# শা'বান মাসে রাসুল ﷺ বেশি ইবাদাত করতেন কেন ?  

১. হযরত ওসামা বিন জায়েদ (রাদি.)  শাবান মাসে অধিক হারে রোজা রাখার কারন জানতে চাইলে নবীজি ﷺ বলেন, রজব ও শা'বান হল রমদ্বানের মধ্যবর্তী মাস। এমাসে মানুষরা অলস থাকে। অথচ এ মাসে বান্দার আমল সমূহ উঠানো হয়। আর আমি পছন্দ করি, যখন আমার আমল উঠানো হবে তখন আমি রোজাদার অবস্থায় থাকি। 

(বায়হাকী- ফাযায়েলুল আওকাত, হাদিস নংঃ ২১)

২. মা আয়েশা সিদ্দীকা (রাদি.) বলেন- আমি রাসুল ﷺ কে রমদ্বান  ব্যতিত অন্য কোন পুরো মাসে রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে কোনও মাসে বেশি রোজা রাখতে দেখিনি। 

(সহিহ বোখারী, হাদিস নংঃ ১৮৪৪)

৩. মা আয়েশা সিদ্দীকা (রাদি.) শা'বান মাসে অধিক হারে রোজা রাখার কারন জানতে চাইলে  রাসুল ﷺ এরশাদ করেন, এমাসে কারা মৃত্যু বরণ করবে তাদের তালিকা আযরাঈল (আ.)কে প্রদান করা হয়।তাই আমি চাই যে, আমার নামটি লিপিবদ্ধ করা হোক রোজাদার অবস্থায়। 

(মুসনাদে আবু ই'য়ালা, হাদিস নংঃ ৪৯১১)


# ১৫ই শা'বান রজনী (শবে বরাত)'র ফজিলত কি? 

১. মা আয়েশা সিদ্দীকা (রাদি.) বলেন- আমি এক রাত্রিতে রাসুল ﷺ কে ঘরে পাইনি। ঘর থেকে বেরিয়ে জান্নাতুল বাকীতে পাই। রাসুল ﷺ বললেন, আজ ১৪শাবানের দিবাগত রাত। এরাত্রিতে আল্লাহ (তার শান ও সিফাত অনুযায়ী) প্রথম আসমানে আসেন এবং বনু কলব গোত্রের ছাগলের সমূদয় পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন।

(তিরমিজি কৃত আল-জামেঈ সহিহ, ৩/১১৬ 

মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল ৬/২৩৮) 

২. মুয়াজ বিন জাবাল (রাদি.) থেকে বর্নিত, রাসুল ﷺ এরশাদ করেন, শাবানের ১৫তম রাত্রিতে আল্লাহ স্বীয় সৃষ্টির প্রতি রহমতের দৃষ্টি দান করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতিত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। 

-(তাবরানী কৃত মুজামুল আওছাত, হাদিস নংঃ ৬৭৭৬, 

সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নংঃ ৫৬৬৫)

একই ধরনের আরও অসংখ্য হাদিস কিছু ভিন্ন ভিন্ন শব্দে বর্নিত হয়েছে।

# এ রাতে রাসুল ﷺ কি আমল করতেন ?

১. রাতে ইবাদাত বন্দেগীতে ও দিনে রোজাঃ

হযরত আলী (রাদি.) বর্ননা করেন, রাসুল ﷺ এরশাদ করেছেন, শা'বান মাসের ১৫ তারিখ উপনীত হলে তোমরা ইবাদতের মাধ্যমে রাত উদযাপন কর এবং দিনে রোজা রাখ। কেননা এ রাতে সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর আল্লাহ প্রথম আসমানে (তার শান ও সিফাত অনুযায়ী) এসে ডাকতে থাকেন, কে আছ ক্ষমা প্রার্থনা কারী? আমি তাকে ক্ষমা করব। কে আছ রিজিক প্রার্থী? আমি তাকে রিজিক প্রদান করব। কে আছ বিপদ গ্রস্থ? আমি তার বিপদ মুক্ত করব। এভাবে ফজর পর্যন্ত আহবান করতে থাকেন। 

(সুনানে ইবনে মাজাহ ১/৪৪৪, 

বায়হাকী কৃত শুয়ায়বুল ইমান ৫/৩৫৪)


২ঃ দীর্ঘ ক্বিরাত ও সিজদার মাধ্যমে নামাজ আদায়ঃ

মা আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন, একবার রাসুল ﷺ দীর্ঘ সিজদায় অতিবাহিত করলে আমি ভীত হয়ে গেলাম তিনি ইন্তেকাল করলেন কিনা! আমি তখন উঠে উনার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। উনার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। নামাজ শেষ করে তিনি ইরশাদ করলেন, এটা হল অর্ধ শাবানের রাত । আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনযোগ দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। 

-(বায়হাকী,শুয়াইবুল ঈমান ৩/৩৬৬)

# আমরা কিভাবে এ রাতকে কাজে লাগাতে পারি ? 

১. নামাজ

ফরজ নামাজের পাশাপাশি কয়েকটি নফল নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যেতে পারে।

ক. (বাদ মাগরিব) সালাতুল আওয়াবিন। 

খ. সালাতুস তাসবিহ। 

গ. ক্বিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুত। 

এছাড়াও দুই রাকাত করে যতবেশি সম্ভব নফল নামাজ আদায় করা।

২. কোরআন তিলাওয়াত

ক. বাদ মাগরিব সুরা ইয়াসিন

খ. বাদ এশা সুরা মুলক

গ. বাদ ফজর সুরা ওয়াক্বিয়াহ 

এছাড়াও পবিত্র কোরআনের যেকোন জায়গা থেকে যত বেশি সম্ভব তিলাওয়াত করা। 

৩. দোয়া, যিকির, তওবা, ইস্তিগফার, দুরুদ ও সালাম।

হাদিসে কুদসীতে আল্লাহ বলেন- যখন বান্দা নফল ইবাদাত করে তখন বান্দা আল্লাহর খুব প্রিয় হয়ে যায়।এমনকি তখন আল্লাহ বান্দাকে ভালোবাসে।(বোখারী)। আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার এক অফুরান সুযোগ এনে দেয় এই লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান তথা শবে বরাত। তাই আসুন এ রাতকে কাজে লাগাই। এবং প্রতিটি রাতেই এমন নফল ইবাদাত বন্দেগী করার অভ্যাস গড়ে তুলি।

৪. হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,

আমি রাসূল (সাঃ) কে মধ্য শাবানের রাতে (শবেবরাতের রাতে) ১৪ রাকাত নামায পড়তে দেখেছি, নামাযের পর

 সূরা ফাতিহা ১৪ বার,

সূরা ফালাক ১৪ বার

সূরা নাস ১৪ বার

আয়তুল কুরসী ১ বার

লাক্বাদ যা আকুম রাসূলুম মিন আনপুছিক্বুম ১ বার,

পড়ার পর দোয়া করলেন।

আর রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অনুরুপ করবে তার আমলনামায় ২০ টি কবুল হজ্জ ও ২০ বছর নফল রোজার সাওয়াব লিখে দেওয়া হবে।

আর যে পরের দিন রোযা রাখবে তাকে পূর্বের এক বছর ও আগামী এক বছর রোযা রাখার সাওয়াব দেওয়া হবে।

👉 বায়হাকী শরীফ,শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং৩৫৫৯,

তাফসীরে দূররে মানসুর,৫খন্ড,পৃ-৭৪২


আরও খবর



জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির জন্য জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে নতুন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ধাবিত হচ্ছে অভিযোগ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, গঠনের পর থেকে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টারা। সরকারের মধ্যে পরিবর্তন এনে রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচন ডিসেম্বরে বা জুনে যখনই হউক; জাতীয় সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যে রাজনৈতিক দল জাতীয় সরকারে যাবে না, জনগণই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ আগস্টের পরেই জাতীয় বা সর্বদলীয় সরকার গঠন জরুরি ছিল। কিন্তু সেটা করা হয় নাই। অন্তবর্তীকালীন সরকার নাম দিয়েই সরকারকে দুর্বল করা হয়েছে। এখন সরকার ও রাজনৈতিক দল মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে। এখন এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তবে এই বিভাজনই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিবে।

আওয়ামী লীগকে নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি সুযোগ পায়, তাহলে কিন্তু কাউকে ছাড়বে না। আওয়ামী লীগকে কামব্যাক করানোর জন্য ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল অনেক এজেন্ট কাজ করবে, ফান্ড দেবে। কাজেই ছাত্রসহ সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করুন এবং করতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে কোনো ছাত্রকে আমরা শক্ত অবস্থানে দেখছি না। এ বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালানোর দরকার ছিল। কিন্তু বুঝতে পারছি না, তারা কেনো আওয়ামী লীগের প্রশ্নে একটা সুবিধাবাদী অবস্থায় আছে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রেখে নুর বলেন, নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা খরচ করে। তারা ধান্দা করার জন্যই টাকা খরচ করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংস্কারে যারা কাজ করছেন, তারা কালো টাকা আর পেশিশক্তি ব্যবহার বন্ধে কি কাজ করেছেন আমাদের সেটা জানা নাই। নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে নূন্যতম একটি শর্ত রাখতে হবে। আর নির্বাচন কমিশনকেই প্রার্থীর পোস্টারসহ নূন্যতম খরচ দিতে হবে। এ সময় তিনি উপদেষ্টাদের ভূমিদস্যু এবং লুটেরা দুইটি গ্রুপের বৈঠকের অভিযোগ তোলেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, কেন উপদেষ্টারা বিএনপিকে বলছে, তারা কি ১/১১ চায়? বিএনপি তো ১/১১ এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। বরং শোনা যাচ্ছে এই সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার আশপাশে এক-এগারোর কুশীলবরা ঘোরাফেরা করছে। বরং মানুষের মনে উদ্বেগ যে, এ সরকার ব্যর্থ হয়ে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টি করে কি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারকে বলবো, ব্যর্থ হবেন না। সব রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে নিয়ে বসুন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করার ফলাফল ভাল হবে না।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সরকার গত সাড়ে ৫ মাসে সফলতার মুখ দেখতে পারেনি। বরং পদে পদে ব্যর্থ হয়েছে। এখনো কেনো শেখ পরিবার, আওয়ামী হাইকমান্ড ও তৃণমূল থেকে আওয়ামী পান্ডাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না? কেনো শহীদ পরিবার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না; শহীদ ও আহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না? কেনো নিত্যপণ্যের দাম না কমিয়ে, ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো হলো? সরকারের এসব ব্যর্থতা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে উপদেষ্টারা।

এসময় পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য আবু হানিফ, অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫