Logo
শিরোনাম

বিশ্বে প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল পাকিস্তান!

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ভারত পেহেলগামে হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার সময় তাদের তিনটি দাসো রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ফ্রান্সের তৈরি এই যুদ্ধবিমানগুলো ফোর পয়েন্ট ফাইভ প্রজন্মের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ঠাসা।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলছে, বিশ্বে পাকিস্তানই প্রথম দেশ যারা কোনো রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করল। এটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি বিরল কৃতিত্ব। বুধবার (৭ মে) পাকিস্তান ট্রিবিউন এ তথ্য জানায়।

পাকিস্তান বিমান বাহিনী বলছে, তারা এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে তাদের কোনো জে-টেন সি (J-10C) বা জেএফ সেভেন্টিন (JF-17) বিমান খোয়ানা ছাড়াই। অর্থাৎ ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংসের সময় পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কোনো বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (ISPR) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ নিশ্চিত বলেছেন, পাকিস্তান বিমান বাহিনী সফলভাবে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল (Rafale) যুদ্ধবিমান, একটি মিগ-২১ (MiG-21) এবং একটি সুখোই সু-৩০ (Sukhoi Su-30)। ভারত সরকার এখনো রাফাল যুদ্ধবিমান হারানোর কোনো বিষয় নিশ্চিত করেনি।

বর্তমানে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে এবং উভয় দেশ উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ১টার পর পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।


আরও খবর



সুনামগঞ্জে তারুণ্য নির্ভর বিনির্মাণ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ |

Image

শফিউল আলম.স্টাফ রিপোর্টার:

নিজের দায়িত্ব নিজে নেব,তারুণ্যে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ব এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সুনামগঞ্জে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি(এপিএ) ২০২৪-২৫ এর আওতায় তারুণ্য নির্ভর বিনির্মাণ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিস,গণ-যোগাযোগ অধিদপ্তর ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক শেখ ওয়ালিদ ফয়েজের সভাপতিত্বে ও জেলা তথ্য অফিসার শুভ সুমন রায়ের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্ম ইলিয়াছ মিয়া।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ,যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শাহনুর আলম,সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডাঃ শতাব্দী ভট্রাচার্য্য,সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস,বাসসের প্রতিনিধি শাহজাহান চৌধুরী,একে মিলন আহমদ,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুনামগঞ্জের আহবায়ক ইমন দোজ্জা আহমদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা এনডি উসমান গণি,সাইমন মিয়া।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,নিউজ টুয়েন্টি ফোরের জেলা প্রতিনিধি মোঃ বুরহান উদ্দিন,ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রতিনিধি মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া বলেছেন,বাঙ্গালী জাতি বীরের জাতি হিসেবে বার বার অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশটি আমাদের সকলের। কাজেই গত জুলাই বিপ্লবে তারুণ্যের চেতনায় ছাত্রজনতার আন্দোলনে যে বাংলাদেশটি নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেছে সেই বাংলাদেশটি তারুণ্যে স্বনির্ভর বাংলাদেশ হিসেবে বহির্বিশ্বে জায়গা দখল করে নিয়েছে। কাজেই নতুন প্রজন্মের তরুণ তরুণীরা আগামীর যে বাংলাদেশ গড়তে চলেছে সেখানে তথ্য প্রযুক্তিটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে কাংঙ্খিত সেই স্বঁপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এজন্য প্রতিটি দেশপ্রেমিক জনসাধারনকে তার স্ব স্ব জায়গা থেকে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান তিনি।


আরও খবর



গরুর গায়ে বিষাক্ত স্প্রে ! খামারে প্রবেশ করায় গবাদিপশুর সাথে অমানবিকতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের তারুলী গ্রামে মাছ ও সবজির খামারে গরু প্রবেশ করায় পাঁচটি গরুর শরীরে বিষাক্ত ভিক্সল জাতীয় রাসায়নিক স্প্রে করে চামড়া ঝলসে দিয়েছে স্থানীয় এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর কর্মচারীরা। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী গরুর মালিক আ. হালিম ও মাইনুল ইসলাম জানান, “আমরা গরিব মানুষ, কিছু বলতে ভয় লাগে। টাকা-পয়সার জোরে আমাদের আরও ক্ষতি করবে বলেই আমরা চুপ থাকি। আল্লাহ ছাড়া বিচার চাওয়ার জায়গা নেই।

জানা গেছে, ঢাকার বনশ্রীতে বসবাসরত ব্যবসায়ী জাফর আহমেদ তার নিজ গ্রাম পূর্ব তারুলীতে সুউচ্চ প্রাচীরঘেরা বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়িতে মাছ ও সবজির খামার পরিচালনা করছেন। সম্প্রতি তার খামারে স্থানীয় কয়েকটি গরু প্রবেশ করলে খামারের কর্মচারী এতোয়ার ও রিমন গরুগুলোর গায়ে বিষাক্ত ভিক্সল স্প্রে করে। এতে গরুগুলোর শরীর থেকে চামড়া খসে পড়ে এবং তারা যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে।

এতোয়ার ও রিমন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “গরু ছেড়ে দিয়ে ঘাস খাওয়ানো নিষেধ করার পরও গরুগুলো ঘেরে প্রবেশ করে ফসলের ক্ষতি করেছে। তাই আমরা ভিক্সল স্প্রে করেছি। এতে গরুর চামড়া ছিলে গেছে। এটা আমাদের ভুল হয়েছে।

খামারটির কেয়ারটেকার আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, “অনেকবার নিষেধ করার পরও গরু খামারে ঢুকেছে। তাই আমরা ভিক্সল স্প্রে করেছি।” তবে খামারের মালিক জাফর আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে বাবু জানান, তিনি অপরিচিত কারো সাথে কথা বলেন না এবং সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা বলেন, “নিরীহ পশুর উপর এমন অমানবিকতা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। গরুগুলোর বোবা কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল।

এলাকার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম বলেন, “এটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও অমানবিক ঘটনা। যারা এ কাজ করেছে, তারা বড় অপরাধ করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হেমায়েত উদ্দিন হিমু বলেন, “এ ধরণের অমানবিক আচরণকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া উচিত নয়। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে যেন ভুক্তভোগীরা সুবিচার পায়, সেই আহ্বান জানাই।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন জানান, “বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



জাহেল তবলীগ ও জাহেল জামাত - শিবির একই পর্যায়ে

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিস্ট :

তাবলীগ জামাতের মধ্যে কিছু জাহেল মূর্খ লোক থাকে। ওরা তাবলীগ ছাড়া আর কিছু বোঝেনা। বরং কুরআন - সুন্নাহ এর অপব্যখ্যা দিয়ে  সারা জীবন শুধু তাবলীগ করে যায়।  মুলত: ওরা নামে তাবলীগ করে, আসলে তারা তাবলীগের কেউ নয়।

জাহেল কিছু তাবলীগওয়ালা এমন রয়েছে, দীর্ঘ ৫০/৬০ ষাট বছর ধরে তাবলীগ করে যাচ্ছে, বছরের পর বছর চিল্লা লাগাচ্ছে,   কিন্তু আজো তাদের কুরআন পড়া সহী হয়নি। এখনো তাদের  ইমামতি করার যোগ্যতা হাসিল হয়নি। আবার ওই সকল জাহেল তাবলীগওয়ালাদের ধ্যান- ধারনা ও  চরিত্র বিধর্মীদের মত। তাদের ক্রিয়া- কর্ম এবং বন্ধুত্ব বিধর্মীদের সাথে। আবার কিছু লোক তো আলেম বিদ্বেষী।  মোটকথা,  নামে তাবলীওয়ালা হলেও ওরা আদর্শ বিবর্জিত এক গোষ্ঠী। 

তেমনি কিছু জাহেল জামাত- শিবির রয়েছে। ওরাও যুগ যুগ ধরে ইসলামী সংগঠন করে আসছে। ইসলামী দল করতে করতে একেবারে দলের শীর্ষ পর্যায়ে চলে যাচ্ছেন। এমনকি হাজার হাজার কর্মির নেতৃত্ব তিনি দেন। অথচ আজো তারা কুরআন হাদীসে বড্ড মূর্খ। অধিকাংশ নেতা- কর্মির কুরআন পড়া শুদ্ধ নয়।  তাছাড়া অনেকেরই ধ্যান- ধারণা সেই বিধর্মীদের মত। চাল- চলন এখনো সেই বিধর্মীদের স্টাইলে।

দেখুন! আজ যদি  জামাত - শিবির ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা তো ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্টা করবেন। ইসলামী রাষ্ট্র গড়ে তুলবেন।  আর দেশ ও জাতির নেতৃত্ব তারাই দিবেন।  তাহলে ইসলামে যারা কাঁচা, যারা ইসলামের  প্রাথমিক বিষয়গুলো এখনো রপ্ত করতে পারেন নি, তাহলে তারা কীভাবে ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করবেন? 

দল ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই তারা হবেন, তাহলে জাতীয় মসজিদ, জাতীয় ঈদগাহ, এভাবে সময়ের বিবর্তনে তাদের ইমামতিতে আসা প্রয়োজন হবে। তাহলে যাদের কুরআন সহী নেই, যাদের ধ্যান- ধারণা শুদ্ধ নয়, তারা কীভাবে জাতির নেতৃত্ব দিবেন? 

ড: আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ( রহ:) একবার বলেছিলেন, আপনারা ইসলামী সমাজ প্রতিষ্টা করতে চান, অথচ এ সমাজের অধিকাংশ মানুষ কুরআন পড়তে পারেনা। তাহলে যে সমাজের অধিকাংশ মানুষ কুরআন পড়তে পারেনা,  সেখানে ইসলামী সমাজ কীভাবে কায়েম হবে? 

তাই তো আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব মানুষকে কুরআন শেখানোর ব্যাপারে জোর দিতে বলেছিলেন।

এজন্য জামাতে ইসলামী এর নেতৃ্বৃন্দের প্রতি আহবান থাকবে, আপনাদের কর্মিগণ প্রচুর সময় দিয়ে থাকে। যেহেতু জামাত - শিবির ক্যাডারভিত্তিক সংগঠন। ব্যাপক পড়াশুনা করার পরে একজন মানুষ জামাত এর নেতৃত্বে আসতে পারে, সুতরাং আপনারা যদি নেতা- কর্মিদের  কুরআন সহীশুদ্ধ করার ব্যাপারে জোর দেন, তাহলে আপনাদের সংগঠন আরো মজবুত হবে বলে আশাকরি।

আল্লাহ তায়ালা সকলকে সহী বুঝ দান করেন। আমিন।


আরও খবর



ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরাইলজুড়ে সাইরেন সতর্কতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইরান ইসরাইলে আরো হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে ইসরাইলের বেশ কয়েকটি অংশে সাইরেন বেজে ওঠে যখন ইরান তাদের নবম আক্রমণ শুরু করে। যা ভোর পর্যন্ত অব্যাহত চলে।

ইরানি মিডিয়ার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবর এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে তাদের ভূখণ্ডের দিকে অগ্রসর হতে দেখেছে। যার পর থেকে ইসরাইলজুড়ে আবারও সাইরেন বেজে উঠে।

এদিকে ইসরাইলের বিমান বাহিনী হুমকি দূর করার জন্য যেখানে প্রয়োজন সেখানে বাধা দেয়ার এবং আক্রমণ করার জন্য কাজ করছে।

সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছে ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। পোস্টে জনসাধারণকে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয়ার কথাও জানানো হয়েছে।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ছাড়াই ইউক্রেন-রাশিয়ার শান্তি আলোচনা শেষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার দ্বিতীয় মুখোমুখি শান্তি আলোচন। তবে এ পর্যন্ত সব থেকে বড় বন্দী বিনিময় এবং প্রায় ৬ হাজার সৈন্যের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছে দুদেশ। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল দ্বিতীয়বার মুখোমুখি আলোচনা বসেন।

সংক্ষিপ্ত এই আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো ঐকমত্য না হলেও দুই দেশ আবারও যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। 

আলজাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধ চলাকালীন দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় নতুন কিছু নয়, তবে এবার ইস্তাম্বুলে হওয়া আলোচনার ফলেই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বন্দী বিনিময়ের চুক্তি হয়েছে।

বৈঠকের পর উভয় পক্ষই জানিয়েছে, তারা ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী অসুস্থ, আহত ও তরুণ সৈন্যদের এই বিনিময়ের আওতায় আনবে। রাশিয়ান প্রতিনিধিদের ভাষ্য অনুযায়ী, এতে প্রায় ১,০০০ থেকে ১,২০০ সৈন্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে-যা এ যাবতকালে সবচেয়ে বড় বিনিময় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম মুখোমুখি আলোচনার ফলস্বরূপ দুই দেশ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করেছিল। এই চুক্তির অধীনে, দেশ দুটি এক হাজার করে বন্দি মুক্তি দিয়েছিল।

তবে আলোচনা এখানেই থেমে নেই। ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল অভিযোগ করেছে, মস্কো এখনও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে। কিয়েভের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা জুন মাসের শেষ দিকে একটি সম্ভাব্য শান্তি সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।

বর্তমানে ইস্তাম্বুলই এই আলোচনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় দেশের মধ্যকার অন্যান্য কূটনৈতিক ইস্যুগুলোতে অগ্রগতি ধীরগতির হলেও, বন্দী বিনিময় একটি কার্যকর চ্যানেল হিসেবে নিজেদের গুরুত্ব প্রমাণ করছে।


আরও খবর