Logo
শিরোনাম

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণের দিক দিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা। দূষণ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ঢাকার বাতাসের মান ‘বিপজ্জনক’।

সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ সকালে ঢাকার বায়ু মান সূচকের (একিউআই) স্কোর ছিল ৩৭৪। দ্বিতীয় স্থানে আছে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন। সকালে সেখানকার একিউআই রেকর্ড করা হয় ২১৬। আর তৃতীয়স্থানে আছে ভারতের দিল্লি। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এ শহরের রবিবার সকালের বায়ু মানের স্কোর ছিল ২১৫। এ দুটি শহরের বাতাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলে জানিয়েছে আইকিউএয়ার।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরের শীর্ষে অথবা দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় সাধারণ মানুষ বায়ুজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫




রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরের (রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবের হলরুমে ১০ ই মার্চ সন্ধ্যায় রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবের সকল সদস্যদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিম রেজা , সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক নয়া দিগন্তের রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি এনামুল হক, সহ-সভাপতি ও জাগো নিউজ ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি আতিকুর রহমান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক দৈনিক সরকার এর জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, এখন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক নিউজ ২৪ টেলিভিশনের এর জেলা প্রতিনিধি রেজাউল করীম, বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আবু সায়েম আকন, দৈনিক বিবিসি নিউজ এর জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সিকদার, ৭১ বাংলার খলিলুর রহমান, দ্যা ডেইলি অবজারভার এর জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম রাব্বি, দৈনিক অগ্রযাত্রার সহবার্তা সম্পাদক নবীন মাহমুদ, দৈনিক মফস্বল বার্তার রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ইয়াসিন খান, বিডি টুডেস এর রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান, ফেইস দ্যা পিপল এর জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাত বিশ্বাস প্রমুখ।


আরও খবর



আপসোস : না বুঝে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছিলাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

মেহেরুন নেসা, সমন্বয়ক কুমিল্লা :

আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জীবনের সবচেয়ে বড় সংগ্রামটি করছিলাম কিছুদিন আগে। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম স্বপ্নপূরণের জন্য শুধুমাত্র তার কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট নয়, বরং সমাজের পুরনো এক নিয়মকে বদলানোর প্রয়োজন। সেই নিয়ম ছিল কোটা ব্যবস্থা, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য এক অন্যায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আন্দোলন করেছিলাম চাকরির জন্য, কোটা বাতিলের জন্য। ভেবেছিলাম দেশের বেকার সমস্যা দূর হবে আর মুক্তিযুদ্ধের একপেশী গল্প যেই গল্প বেঁচে আওয়ামী লীগ আমাদের জিম্মি করেছিলো ১৫ বছর তা থেকে মুক্তির আশায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ৬ মাসে দেশে চাকরির বাজারের কোনো অগ্রগতি নেয়। 

৬ মাসে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সরকারি নিয়োগ পরিক্ষা হয় নি, বড় কোনো নিয়োগ সার্কুলার হয় নি। অনেক আশা নিয়ে দেশ সংস্কারের আশায় আন্দোলনে গিয়েছিলাম। অনেক রিস্ক নিয়ে পরিবারের কথা অবাধ্য হয়ে। সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছি সেদিন যেদিন দেখলাম আওয়ামী লীগ বিদায় হওয়ার পর আমাদের লোক গুলোই এক একটা দানবে পরিনত হয়েছে। 

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। দেশে নিয়মের বালাই নেয় যে যেভাবে পারছে দেশটাকে অস্থিতিশীল করে, সুযোগ সুবিধা নিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। আন্দোলনের দিনগুলোতে অনেক স্বপ্ন দেখেছি। গ্রুপে সহযোদ্ধারা, সিনিয়ররা আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছে আজ তার ছিটেফোঁটাও লক্ষ্য করছি না।

আমাদের কুমিল্লার গ্রুপে হাসনাত ভাইয়ের নির্দেশনা আমাদের অনেক অনুপ্রাণিত করতো। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা। আর এখন সেই হাসনাত ভাইকেই চিনতে পারি না। ক্ষমতার নেশায় আমাদের সহযোদ্ধারা সব অন্ধ হয়ে গেছে।

সবাই এখন ক্ষমতা চায়, তারা এখন আমাদের বোঝাতে চায় রাজনীতিতে যদি তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত না হয় কাউকেই নাকি আওয়ামী লীগ আর বিএনপি ছাড় দেবে না। আপনারা ত তখন আমাদের রাজনীতির কথা বলেন নি। 

আজ ছয় মাস পার হয়ে যায়, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সংস্কার আসেনি। আমাদের সমস্ত আশা, সমস্ত চেষ্টা, সমস্ত সংগ্রাম আপনাদের ক্ষমতার লোভে নিঃশেষ যাচ্ছে। আপনারা সরকারে আছেন সঙ্গে থেকেও কিছু করতে পারছেন না কেনো?

 তাহলে আওয়ামী লীগের লোকজন এখন যা বলছে তাই কি সঠিক। আপনাদের আন্দোলন ছিলো ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কোনো স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য নয়। নয়তো কেনো সেই কাঙ্ক্ষিত *কোটা সংস্কার* কখনোই বাস্তবে রূপ নেয়নি। বলতে দ্বিধা নেই আমদের সংগ্রাম, স্বপ্ন, আত্মত্যাগ কিছুই পরিবর্তন করতে পারেনি।

আমার এক বন্ধু শাহিনুর যে এই আন্দোলনে আমাদের ব্যাচের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছিলো সে দেশের বাইরে চলে গেছে। যাওয়ার আগে আমাকে একটি ম্যসেজ দিয়ে গেছে। 

সে লিখেছে দোস্ত, ক্ষমা করিস আমাকে।  এটা শুধু আমার কথা নয়, এটা আমাদের অনেকের কথা, যাদের কষ্টগুলো কোনোদিন বুঝবে না কেউ। কিন্তু আমি জানি, আমরা আজ হারলেও, একদিন এই শহর, এই দেশ, এই পৃথিবী বদলাবে। আমার সংগ্রাম হয়তো একটি ফাটল সৃষ্টি করেছে, যে ফাটল একদিন বড় হয়ে পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

হয়তো আমাদের সংগ্রাম সফল হয়নি, কিন্তু আমাদের সংগ্রাম কখনো হারবে না। আমরা ট্র‍্যাপে পড়ে দেশের ক্ষতি করে ফেলেছি। তবে এই দেশ একদিন আবার ঘুরে দাঁড়াবে। দোয়া করিস যাতে দেশের যা ক্ষতি হয়েছে একদিন যাতে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারি। 

আমিও হয়তো দেশের বাইরে চলে যাবো কিছুদিনের মধ্যে। কিন্তু একটা আক্ষেপ থেকে যাবে না বুঝে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছিলাম, পাসপোর্ট করতে গিয়েই বুঝেছি দেশের কোনো পরিবর্তন হয় নি শুধু পরিবর্তন হয়েছে আমাদের মাথা বিক্রি করা কিছু সমন্বয়কদের।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




চলমান সংস্কারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। চিঠিতে তিনি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে চলমান সংস্কারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।

এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্দেশে একটি চিঠি লেখেন প্রধান উপদেষ্টা। জাতিসংঘের মহাসচিব ২৫ ফেব্রুয়ারি এর উত্তর দিয়েছেন।

চিঠিতে জাতিসংঘ লিখেছেন, ৪ ফেব্রুয়ারি আপনি যে চিঠি দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, যা ৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষাতের সময় আপনার রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি খলিলুর রহমান আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আমি বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং আপনার নেতৃত্বে সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে চাই।

আন্তোনিও গুতেরেস লিখেছেন, বাংলাদেশ ও ওই অঞ্চলের ওপর রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাবের পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনি (ড. ইউনূস) যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমিও তার সঙ্গে একমত। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের কাজ অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘ। মিয়ানমারের সংকট রাজনৈতিকভাবে সমাধানের লক্ষ্যে আঞ্চলিক সংস্থা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ান এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা হবে।

রাখাইনের সম্প্রদায়গুলোর কাছে মানবিক সহায়তা এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়ে মহাসচিব লেখেন, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছি তারা যেন, রাখাইনের সম্প্রদায়গুলোর কাছে মানবিক সহায়তা এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সর্বাধিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জাতিসংঘের স্থানীয় টিমগুলোকে নির্দেশ দেন। এ সকল বিষয়ে সম্পৃক্ত প্রতিটি বিষয়কেই অগ্রাধিকার দেবে জাতিসংঘ। রাখাইন এবং সমগ্র মিয়ানমারের অভাবী মানুষের কাছে নিরাপদ, টেকসই এবং বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সমন্বয়কে অগ্রাধিকার দেবে জাতিসংঘ। এই অগ্রাধিকারের মধ্যে মিয়ামারের জন্য জরুরি ত্রাণ এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারী এ.আই. অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

চিঠির শেষ অংশে মহাসচিব লিখেছেন, আমি আশাবাদী যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ স্তরের সম্মেলনটি নতুন করে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করবে। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য বিস্তৃত সমাধান বিকাশে অবদানের সুযোগ তৈরি হবে। সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শের পর জাতিসংঘ কীভাবে সর্বোত্তম পথে বিষয়টিকে সমর্থন করতে পারে তার জন্য সম্মেলনের ফলাফল এবং পরিকল্পনার অপেক্ষা করছি।

আগামী ১৩ মার্চ ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব। ওই সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে লিখেছেন, মার্চে, পবিত্র রমজান মাসে আমার আসন্ন বাংলাদেশ সফরে এই আলোচনা আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে রিভিউ শুনানি পেছাল

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৮ মে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

রবিবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। পরে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারী পক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশকিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। পরে ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভুঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

পরবর্তী সময়ে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।


আরও খবর



পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা নাহিদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মো. নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে। এই দলের নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম। সে কারণে তিনি উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলেন পদত্যাগ করেই তিনি নতুন দলে যোগ দেবেন। আজকে তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সে পথ অনেকটা সুগম হলো।

নাহিদ ইসলামের জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। তার ডাকনাম ‘ফাহিম’। নাহিদের বাবা শিক্ষক। সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। ইতোমধ্যে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। নাহিদের ছোট এক ভাই রয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত।

জুলাই মাসেও নাহিদ ততটা পরিচিত মুখ ছিলেন না। কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে তাকে অপহরণ করা হলে দেশব্যাপী তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন। কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে তাকে দু’বার আটক করা হয়। এ সময় তিনি অকথ্য নির্যাতনেরও শিকার হন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এর তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।


আরও খবর