Logo
শিরোনাম

বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ মন্দার ইঙ্গিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

২০০৮ সালে মন্দা হতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ইরানি বংশোদ্ভূত প্রখ্যাত মার্কিন অর্থনীতিবিদ নুরিয়েল রুবিনি। সেই ভবিষ্যদ্বাণী হুবহু মিলে গিয়েছিল। এবার আবারও বিশ্বব্যাপী আরেকটি ‘দীর্ঘ ও বাজে’ অর্থনৈতিক মন্দার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। তার মতে, এই মন্দা চলতি ২০২২ সালের শেষ থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সাল জুড়েই অব্যাহত থাকতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রো অ্যাসোসিয়েটসের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী নুরিয়েল রুবিনি বলেন, ‘সাধারণ ‘প্লেইন ভ্যানিল’ মন্দার ক্ষেত্রেও এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের ৩০ শতাংশ পতন হতে পারে। পরিস্থিতি আরও কঠিন হলে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

সাধারণত অর্থনীতিতে প্লেইন ভ্যানিলা ঋণ বলতে বোঝানো হয়—একটি নির্দিষ্ট সুদ হারে ঋণ আদান-প্রদান, যেখানে অন্য কোনো শর্ত বা সুবিধা প্রযোজ্য হয় না। ফলে ঋণগ্রহীতা রূপান্তরের অধিকার হারান। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক হলো—দ্য স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড পুওর নামে পরিচিত একটি পুঁজিবাজার সূচক। যা বিশ্বের বড় বড় ৫০০টি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের আর্থিক গতিপ্রকৃতি নজরদারি করে থাকে।

পণ্য সরবরাহের ধাক্কা এবং আর্থিক মন্দা কতটা গুরুতর হবে তার ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্বে মন্দা ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হবে। ২০০৮ সালের মন্দার সময়, ব্যাংক ও পরিবারগুলোতে বেশি আঁচ লেগেছিল। তবে এবারের মন্দার ধাক্কা বিভিন্ন কর্পোরেশন এবং হেজ ফান্ড, প্রাইভেট ইক্যুইটি ও ক্রেডিট ফান্ডের মতো সেক্টরগুলোতে বেশি লাগতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, যারা আশা করছেন যুক্তরাষ্ট্র ছোটখাটো মন্দায় আছে। তাদের উচিত সরকার এবং বড় বড় কর্পোরেশনগুলোর ঋণের অনুপাতের দিকে তাকানো। কারণ, সংকট মোকাবিলায় সুদ হার বাড়ানোর ফলে ঋণ পরিশোধ ব্যয় বেড়েছে।

নুরিয়েল রুবিনি এই বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে আরও বলেছেন, ‘এর ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি এরই মধ্যে সংকটে আক্রান্ত অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান, করপোরেট হাউস, বিভিন্ন ব্যাংক এমনকি বেশ কিছু দেশও এই সংকটে শেষ হয়ে যাবে। এবং এই বিষয়টি আমরা সবাই স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




বন্ধুত্বের বাঁধনে এক হচ্ছেন তাহসান-মিথিলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

তাহসান খান ও রাফিয়াত রশীদ মিথিলা দুই তারকাই নিজেদের কাজের জন্য জনপ্রিয়। একসময়ের জনপ্রিয় তারকা জুটিও ছিলেন তারা। দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০০৭ সালের ৩ আগস্ট বিয়ে করেছিলেন জনপ্রিয় এই দুই তারকা। তারপর কেটে গেছে ১১ বছর। একসঙ্গে জুটি বেধে অভিনয়ও করেছেন। আমার গল্পে তুমি, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস, ল্যান্ডফোনের দিনগুলোতে প্রেম, মধুরেন সমাপয়েত নাটকসহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন এই জুটি। নাটক ছাড়াও এ জুটি একসঙ্গে গানও গেয়েছেন। মূলত এসব কারণে বিয়ের পর তরুণদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেনতারা। তবে বিয়ের ১১ বছর পর ভক্তদের মন ভেঙ্গে যায়। কারণ, ২০১৭ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় তাহসান এবং মিথিলার।

তারপর দুজন দুদিকে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে মিথিলা পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জি বিয়ে করে সংসার করছেন কলকাতায়। অন্যদিকে তাহসান বিয়ে না করলেও ব্যস্ত আছেন তার গান এবং অভিনয় নিয়ে। অবশ্য তাহসান এবং মিথিলা একমাত্র মেয়ে আইরা তেহরীম খানকে নিয়ে দুজনের বন্ধুত্ব এখনো অটুট। বিচ্ছেদের পরেও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জন্য তারা প্রশংসিত। তবে এর পর দুজনকে আর কখনোই একসঙ্গে দেখা যায়নি। এবার তাহসান এবং মিথিলা তাদের ভক্তদের জন্য দিলেন নতুন সুখবর। ফের এক হতে যাচ্ছেন এই দুই তারকা। আবারো তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে।

একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন এই জুটি। সাত পর্বের এই ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে তাদের। তবে এখনো এ নিয়ে নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী কেউই মুখ খোলেননি।

অন্যদিকে গত ৩১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অভাগীর স্বর্গ গল্প অবলম্বনে সিনেমা ও অভাগী। এটি নির্মাণ করেছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। কলকাতার এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সিনেমাটিতে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন মিথিলা।


আরও খবর



ইঞ্জুরি আর নেইমার একে অপরকে ছাড়ছেই না

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মনির হোসেন :ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হওয়ার কিংবা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল যার ক্যারিয়ার, তাঁকে বারবার আটকে দিয়েছে চোট। সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর বিশ্বকাপ ২০২৬ বাছাই পর্বের খেলায় দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আবার চোট পেয়েছেন নেইমার। সেই চোট তাঁকে এমন কঠিন অবস্থায় ফেলেছে,যে কোপা আমেরিকাতেই নেইমারের খেলা নিয়ে ভীষণ সংশয়। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার বলেই দিয়েছেন, নেইমার আগামী কোপায় খেলতে পারবেন না।

উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের ওই হারের ম্যাচে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তখনই বোঝা গিয়েছিল, বড় দুঃসংবাদ আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। পরে জানা গেছে, বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেটা ঠিক করাতে গত ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অস্ত্রোপচার করান আল হিলাল তারকা। এর পর থেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন নেইমার।

হয়তো এই লড়াইয়ে জিতে কোপা আমেরিকার আগেই ফিট হয়ে ফিরবেন নেইমার। কিন্তু ব্রাজিলের রেদে৯৮ রেডিওকে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার যা বলেছেন, তাতে ব্রাজিলের সমর্থকদের হতাশা বাড়ারই কথা। লাসমার বলেছেন, ‘কোপা খুব কাছেই। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ পার না করে তাড়াহুড়ো করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, সে ২০২৪ ইউরোপিয়ান মৌসুমের শুরুতে, মানে আগস্টে মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি ফিট হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকা শুরু হবে ২০ জুন থেকে, শেষ হবে ১৪ জুলাই। তার মানে, লাসমারের কথানুযায়ী,ঐ  টুর্নামেন্টে নেইমারের খেলা হচ্ছে না।

অবশ্য প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অনেকে সেরে ওঠেন অনেক চোট থেকে। তবে নেইমারের যে চোট, সেটার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করেন লাসমার,আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ৯ মাসের আগে ওর ফেরা নিয়ে কথা বলাটা জলদি হয়ে যায়। হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনের জন্য একটু সময় লাগবেই, এটা বৈশ্বিক ধারণা। জৈবিক এ সময়কে মাথায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, লিগামেন্ট পুনর্গঠনের জন্য শরীর এতটুকু সময় নেয়।’

পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পুরোটা অনুসরণ করে আসলে নেইমারকে আবার পুরো ছন্দে মাঠে দেখা যাবে বলেও আশা লাসমারের,আমরা যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করি, আশা করছি, সে আবার আগের 

মতো শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে পারবে।

কোপা আমেরিকায় ‘ডি’ গ্রুপে ব্রাজিল পেয়েছে কলম্বিয়া,প্যারাগুয়ে ও কোস্টারিকা।


আরও খবর



তরমুজ বয়কটে কপাল পুড়ছে ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বাজারে কমতে শুরু করেছে ফলের দাম। ক্রেতাদের বয়কটের কারণে কয়েকদিন আগে চোখ রাঙানো তরমুজের দামও এখন নেমে এসেছে অর্ধেকের কমে। তবুও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ইফতারে রোজাদারদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম একটি অনুসঙ্গ ফল। তবে এবার রোজার আগে থেকেই অস্থির ছিল দেশের ফলের বাজার। খেজুর, তরমুজ পেয়ারা, বেলের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। কিন্তু সেই অস্থিরতা কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

এতোদিন ১০০ টাকার কাছাকাছি কেজি দরে বিক্রি হওয়া তরমুজের বেচা-বিক্রি এখন নেই বললেই চলে। মূলত অতিরিক্ত দামের কারণে তরমুজ বয়কট করায় দাম কমছে বলে মনে করেন ভোক্তারা।

তাদের দাবি, বয়কট করায় কমতে শুরু করেছে তরমুজের দাম। ক্রেতারা জোটবদ্ধ হয়ে পচনশীল এ পণ্য কেনা সাময়িক বন্ধ করতে পারলেই দাম নেমে আসবে ৩০ টাকার নিচে। পাশাপাশি কেজির বদলে পিস হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা।

হাকিম নামে এক ক্রেতা বলেন, ভোক্তারা তরমুজ কেনা বয়কট করলে দাম এমনিতেই কমে যাবে। না কিনলে ব্যবসায়ীরা কার কাছে বিক্রি করবে! তখন বাধ্য হবে দাম কমাতে।

বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ৯০ টাকার ওপরে।

বিক্রেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজ আসছে রাজধানীর বাজারে। এতে বেড়েছে তরমুজের সরবরাহ। কমেছে দামও। তবে বাজারে দেখা নেই পর্যাপ্ত ক্রেতার।

কারওয়ানবাজারে তরমুজ বিক্রেতা রাজ্জাক বলেন, তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে। তবে রোজা শেষ দিকে হওয়ায় কমেছে চাহিদাও। তাছাড়া ক্রেতারা এখন কম কিনছেন ফলটি। এতে লোকসানে আছেন ব্যবসায়ীরা।

তিনি আরও বলেন, তরমুজের মৌসুম আছে আর মাত্র এক মাসের মতো। রোজার কারণে এখন কিছুটা হলেও বেচাকেনা আছে। ঈদের পর সেটিও থাকবে না হয়তো।

এদিকে, বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বরই খেজুর ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বিলাসী পণ্যের মতো শুল্ক আরোপ করা হয়েছে খেজুরে। এক বছরের ব্যবধানে খেজুর আমদানি খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। পাশপাশি রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে এর চাহিদা। এতে দাম আরও বাড়ছে।

তবে দাম কমছে অন্যান্য দেশি ও বিদেশি ফলের। প্রতি কেজি মাল্টা ৩০০ টাকা, কমলা মানভেদে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, সবুজ আপেল ৩২০ টাকা, রয়েল গালা আপেল ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা, ফুজি আপেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, নাশপাতি ২৬০ টাকা, আনার ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি পিস বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, বরই ৭০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৯০ থেকে ১০০ টাকা ও মানভেদে প্রতি পিস আনারস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়।

বিক্রেতাদের দাবি, আমাদনি বাড়ায় কমছে ফলের দাম। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মায়ের দোয়া ফল বিতানের বিক্রেতারা জানান, ফলের চাহিদা আগের মতোই আছে। তবে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকে লুট ও ম্যানাজারকে অপহরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল হানা দিয়ে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণ করা হয়েছে ব্যাংকের ম্যানেজার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনকে। জানা যায়, ৬০-৭০ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনার সময় ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্মচারীরা নামাজে ব্যস্ত ছিল। ঠিক এই সময়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংকে হানা দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। তবে কত টাকা লুট করে নিয়ে গেছে এ বিষয়ে এখনও তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। সেই সাথে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো নিয়ে গেছে তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মাসের প্রথম দিকে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য ওই ব্যাংকে প্রচুর টাকা জমা ছিল।
পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানিয়েছেন, একটি সন্ত্রাসী দল ব্যাংকে হামলা করে টাকা এবং অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। তবে কত টাকা লুট করা হয়েছে এবং কোন সন্ত্রাসী দল এ বিষয়ে তিনি এখনো বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় রুমা উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। এবং সেই সাথে ওই সময়ে নামাজে ব্যস্ত ছিল ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ এবং কর্মচারীরা। ঠিক এই সময়ে উপজেলা সদরের ব্যাথেল পাড়া এলাকা থেকে ৬০-৭০ জনের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল উপজেলা কমপ্লেক্সের পাশে সোনালী ব্যাংকে হানা দিয়ে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ওই এলাকায় যারা ছিল তাদেরকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। রুমা উপজেলা বাজার থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স এবং সোনালী ব্যাংকটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি থাকায় সন্ত্রাসীরা এই সুযোগটি নিয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, ঘটনাটি কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে এর আগে এই সংগঠনটি ব্যাংক ডাকাতি করবে বলে এরকম একটি কথা রটিয়ে পড়েছিল এলাকায়। এদিকে এ ঘটনার পর এলাকায় জনমনে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।


আরও খবর



পার্বত্য চট্টগ্রামের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জনজীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পার্বত্যবাসীদের মধ্যে শান্তি ও উন্নয়নের যে সোপান রচনা করেছেন তা দেশবাসীর কাছে আজীবন এক মাইলফলক স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের টাউন হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বিটিকেএস) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সহযোগিতায় ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব ২০২৪ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির শুভ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, দেশের কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক উচ্চে আসীন করতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ূ কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে পারেন সেজন্য আমরা সকলে আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সকল সংস্কৃতির মাঝে আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বৈসু এ উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মাঝে হৃদ্ধতার মেল বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। বৈসু মানুষের মধ্যে বৈষম্য দুর করবে, শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আদর্শ নাগরিক হিসেবে কোনো বিভেদ নয়, কোনো হানাহানি নয়, শান্তি, শৃঙ্খলা, সৌহার্দ্র সম্প্রীতি বজায় রেখে আমাদের সকলেরই দেশের উন্নয়নে কাজ করা বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পরে রঙিন বেলুন উড়িয়ে বৈসু উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তিনি বর্ণাঢ্য এক র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিপুরা সংসদের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ত্রিপুরা শিশু, কিশোর, তরুণরা গান, নৃত্যসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি তা উপস্থিত সকলের সাথে উপভোগ করেন।


আরও খবর