Logo
শিরোনাম

বিশ্বকাপ ২০২৬ নয়, বর্তমান নিয়েই ভাবছেন মেসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে আছেন লিওনেল মেসি। তবে তার পারফরম্যান্সে বয়সের ছাপ নেই। তাইতো মেসি ভক্তরা আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার জার্সিতে দেখতে চান তাকে। যা নিয়ে বারবার তার কাছে জানতেও চাওয়া হয়েছে। আরো একবার আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন মেসি।

মেসি নিজে জানিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে তার খেলা নাখেলা নিয়ে আর্জেন্টিনায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের সন্মুখীন হতে হয়। সম্প্রতি ৪৩৩ অ্যাপে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, আমি জানি না (২০২৬ বিশ্বকাপে খেলব কি না)। অনেক প্রশ্ন হয় এ নিয়ে, বিশেষ করে আর্জেন্টিনায়। আমি এ বছর ভালোভাবে শেষ করতে চাই, এরপর পরের বছরের প্রাক্‌মৌসুম ভালোভাবে শুরু করতে চাই, প্রচুর ভ্রমণের জন্য যেটা গত বছর পারিনি।

মেসি এরপর বলেন, (প্রাক্‌মৌসুম ভালোভাবে শুরুর পর) আমি কেমন করছি, কেমন অনুভব করছি, সেটা বোঝার চেষ্টা করব। (২০২৬ বিশ্বকাপের) আমরা যেমন কাছাকাছি রয়েছি, তেমনি সময়ও হাতে আছে অনেক এবং ফুটবলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। প্রতিটি দিন ধরে ধরে এগোচ্ছি, এর বাইরে ভাবছি না।

মায়ামির হয়ে এমএলএস কাপ জয়ের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে মেসি বলেন, ক্লাব বড় করতে চাইলে শিরোপা জিততে হবে। এমএলএসে বাজে (২০২৩) একটি বছর পেছনে ফেলে এসেছে ক্লাব। আমি আসার পর লিগস কাপ জিতেছে, যেটা ক্লাবের প্রথম শিরোপাও। ব্যাপারটা অসাধারণ ছিল। এখন আমরা প্লেঅফ খেলতে মরিয়া এবং আশা করি, এমএলএসও জিততে পারব। ক্লাব ও ব্যক্তিগত জায়গা থেকে আমরা এটাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

আগামীকাল আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামবে মায়ামি। এই ম্যাচ নিয়ে মেসি বলেন, আমরা অনেক ভুল করেছি, যেগুলো পরিহার করতে পারি। প্লেঅফে এগুলো হতে পারে না, কারণ, ভুলের কারণে বাদ পড়তে হতে পারে। আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে এবং সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। (এমএলএস কাপ জয়ে) আমরা অন্যতম ফেবারিট হলেও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আছে। তারা ছাড় দেবে না এবং অন্য দলগুলো আমাদের সম্মান করে যেভাবে আমরা তাদের করি।


আরও খবর

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন মনিরুজ্জামান নামে এক আইনজীবী। সেইসঙ্গে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনাও চেয়েছেন তিনি।

বুধবার গণমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ ব্যাপারে আদেশ প্রার্থনা করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান।

এদিকে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত।

আদালতে এসে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, সারাদেশের মানুষের মতো তারও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয় এখনই কোনো সিদ্ধান্ত যেনো আদালত না নেয়। কারণ সরকার এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। সরকারের কাছে এটি এখন ১ নম্বর এজেন্ডা।

তিনি বলেন, যে কেউ কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সরকার জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এ সময় উদ্বেগ জানিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে না পারে। এছাড়া ইসকন ও সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপ আগামীকালের মধ্যে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




ঢাকায় হঠাৎ উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল!

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

রাজধানীর বাজারগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে বেশ কিছু দিন ধরেই। এবার সেই সংকট আরও বেশি ঘনীভূত হয়েছে। বাজারে এক ও দুই লিটারের বোতল প্রায় ৯০ শতাংশ উধাও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।

বিক্রেতাদের অভিযোগ, চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ তেল দেওয়া হচ্ছে তাদের। বাজারে কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া অন্য ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই কম।

কারওয়ান বাজারের মুদি দোকনি নোমান বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে চাহিদামতো বোতলজাত সয়াবিন তেল পাচ্ছি না। যার কারণে অন্য মালামাল বিক্রি করতেও সমস্যা হচ্ছে। মূলত দাম বাড়াতেই কোম্পানি ও ডিলাররা মিলে এমন কারসাজি করছে।

বাজারে তেল কিনতে আসা তোফায়েল বলেন, কয়েকটি দোকানে গিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাইনি। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও বিক্রি করছে না। বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে খোলা সয়াবিন কিনতে হচ্ছে।

আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে তেল সরবরাহ কমেছে। বিশ্ববাজারের হিসাবে লিটারে ১০ থেকে ১৩ টাকা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় আমদানি কমেছে ২০ শতাংশের মতো।

এ বিষয়ে ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল বলেন, মূল্য সংযোজন কর কমানোসহ নানা সুবিধা দেওয়ার পরও সরবরাহকারী কম্পানিগুলো তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনই ব্যবস্থা না নিলে এবারের রমজানে পরিস্থিতি আরও অস্বস্তিকর হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে দুই দফায় শুল্ক-কর কমায় সরকার। মূলত, কোনো পণ্যের ওপর শুল্ক-কর কমানো মানে ওই পণ্যের আমদানি বাড়বে এবং দাম কমবে। কিন্তু দেশের বাজারে পণ্যটির দাম কমার বিপরীতে উল্টো বাড়তে দেখা যায়।


আরও খবর

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় নিখোঁজের ৮দিন পর এক শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত মৃতদেহ খন্ড উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর পত্নীতলার মুংরইল গ্রামের একটি ধান ক্ষেতের ভেতরের গর্ত থেকে মোস্তাফিজুর রহমান (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার দুপুর পর স্থানীয়রা ধান ক্ষেতের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাড় ও নাড়ি-ভুড়ি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পত্নিতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার করেন। 

নিহত শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান পত্নীতলা উপজেলার মুংরইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও মধইল বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

নিহত পরীক্ষার্থীর খালু মহব্বত আলী জান বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যার সময় আমার ভায়রার ছেলে মাগরিবের নামাজ পড়তে গ্রামের একটি মসজিদে যায়। নামাজ পড়ে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। দীর্ঘ সময় পরেও সে বাড়িতে না আসায় তার পরিবারের লোকজন মসজিদে খোঁজ নেন। সেখানে গিয়ে তাকে না পেয়ে সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়ি খোঁজখবর করতে থাকেন। এ পর্যন্ত তাকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পরেন। এরমধ্যে আজ দুপুরের পর স্থানীয়রা মাঠের মধ্যে কয়েকটি হাড় ও নাড়ি-ভুড়ি ছড়িয়ে থাকতে দাখেন। এরপর তারা সেখানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ধান ক্ষেতের ভেতরে একটি গর্ত দেখতে পায়। সেখানের মাটি সরিয়ে দেখে একটি অর্ধগলিত মৃতদেহ রয়েছে। এ খবর পেয়ে আমার ভায়রা ও শালিকা গিয়ে তার পড়নের শার্ট ও লুঙ্গি দেখে তাদের ছেলের মৃতদেহ বলে সনাক্ত করে। এব্যাপারে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুল বলেন, এ সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে নিহতের হাড়গোড় পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আইনি প্রকৃয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



আসছে নতুন ব্ল্যাক প্যান্থার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স আবারও ওয়াকান্ডায় ফিরতে প্রস্তুত। মানে, আবারও পর্দায় আসতে চলেছে ব্ল্যাক প্যান্থার। মার্ভেল স্টুডিও অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমা তৈরির কথা ঘোষণা করেনি। তবে অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটন গত মঙ্গলবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, সিরিজের তৃতীয় সিনেমা আসছে। সেখানে তিনি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করবেন।

অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল নাইনের টুডে শোতে ‘গ্লাডিয়েটর ২’ ছবির প্রচারের অংশ হিসেবে কথা বলতে গিয়ে ওয়াশিংটন এসব কথা বলেন। তিনি জানান, পরিচালক রায়ান কুগলার পরবর্তী ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমার জন্য তার জন্য একটি চরিত্র লিখছেন। তবে কবে নাগাদ সিনেমাটির কাজ শুরু হবে, সে নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি। আভাস দেননি, এতে অন্যান্য শিল্পী কারা থাকবেন সে ব্যাপারেও।

ভবিষ্যৎ কাজের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওয়াশিংটন বলেন, ‘জানি না আরো কত সিনেমা করতে পারব। তবে ক্যারিয়ারের এ সময় এসে শুধু সেরা পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। হয়তো খুব বেশি সিনেমা করা হবে না। কিন্তু এমন কিছু করতে চাই যা আমি আগে কখনো করিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ২২ বছর বয়সে ‘ওথেলো’ চরিত্রটিতে অভিনয় করেছি। এখন ৭০ বছর বয়সে আবারও সেটা করতে যাচ্ছি। তারপর আমি হ্যানিবাল চরিত্রে অভিনয় করব। আমি স্টিভ ম্যাককুইনের সঙ্গে একটি সিনেমা নিয়ে কথা বলছি, সেটাও বড় কাজ হবে। এরপর রায়ান কুগলার আমার জন্য পরবর্তী ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ ছবিতে একটি চরিত্র লিখছেন।

‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ মার্ভেলের অন্যতম সিগনেচার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালের ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমাটি চাডউইক বোসম্যান, লুপিতা নিয়ং’ও এবং মাইকেল বি. জর্ডানের অভিনয়ে শুধু সমালোচকদের প্রশংসাই লাভ করেনি বক্স অফিসেও বিশাল সাফল্য পেয়েছিল। ১.৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল সেই সিনেমাটি, যা ছিল অপ্রত্যাশিত।

বোসম্যান ২০২০ সালে ৪৩ বছর বয়সে মারা যান। তারপর ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সিক্যুয়েলটি প্রিয় অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে তৈরি হয়েছিল। এটি ওয়াকান্ডা এবং তার মানুষের গল্প চালিয়ে নেওয়ারও একটি উপায় ছিল। এটি বক্স অফিসেও সাফল্য অর্জন করে।


আরও খবর

রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪




ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। সেবা পেতে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর থেকে আঞ্চলিক অফিসগুলোতে বার বার ঘুরছেন নগরবাসী। অধিকাংশ কাউন্সিলর অফিসগুলোতেই স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। আঞ্চলিক  অফিসেও সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন নগরবাসী। জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুসনদসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো নিতে হয়রানি আর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। এতে উষ্মা প্রকাশ করছেন নগরের বাসিন্দারা।  

   

সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে,  গত ২৬শে সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের সব কাউন্সিলরকে অপসারণ করে সরকার। তাই কাউন্সিলরদের পরিবর্তে প্রতিটি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিব এবং সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্ড সচিবকে দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সরজমিন রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক কাউন্সিলর অফিস এখন বন্ধ রয়েছে। অসংখ্য অফিস সময়মতো খুলছে না। কাউন্সিলরদের অবর্তমানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও ঠিকমতো অফিস করছেন না। সকাল থেকে সেবাগ্রহীতারা অফিসগুলোতে গিয়ে অপেক্ষায় থাকেন।

এমনকি বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানেন না, জন্ম মৃত্যুসনদের সেবাগুলো তারা কোথায় পাবেন? ওয়ার্ড সচিবরা কোথায় বসেন সেটিও তারা জানেন না কেউ কেউ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশাল জনসংখ্যার বিপরীতে প্রশাসনিক বাড়তি দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছেন সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনেক ওয়ার্ড সচিবকে দুই ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, তাই তারা নাগরিক সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। লোকবল বাড়িয়ে নাগরিক সেবা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬২ ৬৩ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, দুপুর পেরিয়ে বিকাল হলেও সেখানে কাউন্সিলর অফিস বন্ধ। তার থেকে কিছু দূরে একটি দোকানে ওয়ার্ড সচিব এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে দায়িত্ব পালন করেন। গত আগস্ট সরকার পতনের পর ৬২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোস্তাক আহমেদ পলাতক রয়েছেন। সেখানে ওয়ার্ড সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. রিপন হোসেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, মৃত্যু সনদপত্র ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। অনেক জায়গায় অতিরিক্ত টাকা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে সেবা পাচ্ছেন  না তারা।

ডেঙ্গু মশা নিধনে কর্মচারীরা দায়িত্বে অবহেলা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মশক নিধনকর্মীরা নিয়মিত আসেন না। কিছু এলাকায় কয়েক মাস ধরে মশকনিধনকর্মীর দেখা মিলেনি- এমন অভিযোগও আছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ছেলের জন্মসনদ নিতে এসেছেন। কিন্তু নানা জটিলতায় জন্মসনদ পাচ্ছেন না। তরুণ উদ্যোক্তা রহমত উল্যাহ। স্বল্প পুঁজিতে অনলাইন ব্যবসা শুরুর স্বপ্ন তার। ঢাকা দক্ষিণ  সিটি করপোরেশনের ৬২ নং ওয়ার্ডের এই বাসিন্দা ট্রেড লাইসেন্স করাতে কার্যালয়ে দু’-একদিন পরপরই যাচ্ছেন এবং প্রতিবারই নিরাশ হয়ে ফিরছেন। তিনি বলেন, যিনি ট্রেড লাইসেন্সের কাজ করবেন, তাকে অফিসে পাইনি। গেলেই বলা হয়, তিনি আজ আসবেন না। সাজ্জাদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ওয়ারিশান সনদ নিতে আজকে ১৫ দিন ধরে ঘুরছি কিন্তু অফিসে লোক না থাকায় ওয়ারিশান সনদ পাচ্ছি না। শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী। তাই নিজেই এসেছেন ছেলের জন্মসনদ নিতে। গত এক মাস ধরে সিটি করপোরেশনে ঘোরাঘুরি করছেন। তিনি বলেন, আজকে এখানকার একজন আমাকে জন্মসনদ নেয়ার জন্য ডেকেছেন। তবে এখনো পাইনি। মাহতাব নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, আগে নিয়মিত কাউন্সিলর অফিস খোলা থাকলেও এখন তা হচ্ছে না। ফলে অনেকে জরুরি কাজে আসলেও ফিরে যেতে হয়। ৬২ নং ওয়ার্ডের সচিব মো. রিপন বলেন, বর্তমানে কাউন্সিলর অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। একটা মৃত্যু সনদের জন্য মানুষকে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। মৃত্যু সনদের জন্য ধলপুরের আঞ্চলিক অফিসে গেলে তথ্যের অভাবে তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। ছাড়া স্থায়ী অথবা অস্থায়ী নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটের জন্য মানুষকে বিভিন্ন অজুহাতে ধলপুরের অফিস থেকে ফিরে আসতে হয়।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খিলগাঁওয়ের আঞ্চলিক অফিসে সেবা নিতে গিয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম।নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। মেয়ের জন্মসনদে নামের বানান সংশোধনের জন্য কয়েকদিন ধরে ঘোরাঘুরি করছেন। শফিকুল ইসলাম বলেন, তার মেয়ের জন্মসনদে নামের বানান ভুল আসায় আমাকে চার দিন আসতে হয়েছে। আজ হয়তো আমার কাজটা হবে। তার মতো অসংখ্য সেবাপ্রত্যাশীদের দেখা যায় খিলগাঁওনং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে সেবা নিতে। খিলগাঁওনং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব রেজাউল করিম বলেন, এখানে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে না। যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে এখানে সেবা নিতে আসাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

ষাটোর্ধ্ব রহিমা বেগম ঢাকা উত্তর সিটির ৪৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার বয়স্ক ভাতার খোঁজ নিতে কাউন্সিলর অফিসে গিয়েছিলেন। এর আগেও দুদিন এসে ফিরে গিয়েছেন। বয়স্ক ভাতার কোনো তথ্য পাননি। আক্ষেপ করে রহিমা বেগম জানিয়েছেন, বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন তিনি। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে কার্ড নেয়ার জন্য কাউন্সিলর অফিসে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনদিন ধরে কার্ড নিতে এসে ফিরে গিয়েছেন তিনি। রহিমা বেগম বলেন, দুইবার আসছিলাম কার্ড নিতে। কিন্তু এখানে কাউকে পাই নি। অফিস বন্ধ পাইছি। আজকে তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়েছিলাম। এখন  অফিস খুলেছে। কিন্তু কার্ড কখন  দেবে জানি না। রহিমা বেগমের মতো অন্তত ২৫ জন এসেছেন কাউন্সিলর অফিসের কার্যালয়ে। তাদের সবার অভিযোগ একইরকম।

গত আগস্টের পর থেকে কাউন্সিলর পালিয়ে যাওয়ার পর অফিসের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এতে  ৪৯ নং ওয়ার্ড অন্তর্গত কাওলা, আশকোনা, গাওয়াইর এলাকার সেবাগ্রহীতারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই কার্যালয় খুব কম সময়ই খোলা হয়। সেবার জন্য সরাসরি উত্তরার আঞ্চলিক কার্যালয়ে যেতে হয়। সরজমিন দেখা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কাউন্সিলর অফিসে এসেছিলেন সিটি করপোরেশনের মশকনিধনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ছাড়া আর কোনো কর্মকর্তাকে অফিসে দেখা যায়নি। বর্তমানে কাউন্সিলর অফিসের জায়গায় গড়ে উঠেছে হরেক রকমের দোকানপাট, হোটেল, রেস্তরাঁ ইত্যাদি। ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত অঞ্চল-৭ এর নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সচিব মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে যারা সেবা নিতে আসছেন তারা খুব খুশি মনে সেবা নিচ্ছেন। তারা সেবা নিতেই যায়। আমাদের নতুন ওয়ার্ডগুলোতে সচিব পদ ছিল না। কিন্তু সেখানে কাজ থেমে নেই। ৪৯ নং ওয়ার্ড আমাদের নতুন ওয়ার্ড, সেখানেও সচিব ছিল না। 


আরও খবর

ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪