Logo
শিরোনাম

বিশ্বকাপ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

 ডিজিটাল রিপোর্ট:


দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই শুরুর আগে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা।

ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার (১৭ মে) বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় হাউসটনের জর্জ বুশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল এয়ারপোর্টে পৌঁছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

এর আগে বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাত ১.৪০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেই দলে ছিলেন স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটার, ট্রাভেলিং রিজার্ভ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা।

দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে পরিবারকে নিয়ে হাজির হন তাসকিন–সৌম্য ও লিটন দাসরা। যেখানে টাইগার সমর্থকদের ভিড়ের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এ সময় কেউ তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেলফির আবদার মিটিয়েছেন, আবার কেউবা শুভকামনা জানিয়েছেন বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করার আশায়।

দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে অধিনায়ক শান্ত বলছিলেন, ‘বাংলাদেশের সবাই নিশ্চয়ই ভালো প্রত্যাশা করে, আমিও করি।

আমার মনে হয়, আমরা যদি সুন্দরভাবে ছোট ছোট চিন্তা করে আগাই, তাহলে ভালো হবে। আমরা যে গ্রুপে আছি, সেটাকে খুব সহজ বলব না। গ্রুপ পর্বটা পার করতে পারলে ভালো হবে।

এরপর দেখা যাবে। আশা তো করছি এবার ভালো কিছু হবে। প্রস্তুতি ও সমন্বয় মিলিয়ে মনে হচ্ছে, আমাদের দলটা খুব ভালো। তবে নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলাটা জরুরী। আশা করছি, এবার সবাই সেটা করবে।’


আগামী ২ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তবে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে ৭ জুন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শান্তর দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে।

১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরবর্তীতে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ।

 


আরও খবর



বিজয়ের ৫৪ বছর আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের সব মানুষ চিরকাল গর্ববোধ করবে যে দিনটির জন্য, সেটি আজকের এই দিন—১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাম সংযোজিত করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। আজ মহান বিজয় দিবস।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন এ দেশের ঘুমন্ত নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর ট্যাংক-কামানের মতো ভয়ংকর মারণাস্ত্র নিয়ে গণহত্যার পৈশাচিকতায় মেতে উঠেছিল, তখন থেকেই শুরু হয়েছিল প্রতিরোধ সংগ্রাম। সে রাতে, অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান করেছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান।

দেশের বীর সন্তানেরা যুদ্ধের ময়দানে ছুটে গিয়েছিলেন শত্রুর মোকাবিলায়। জীবনের মায়া তাদের কাছে ছিল তুচ্ছ। তাদের ছিল না যুদ্ধের প্রশিক্ষণ, ছিল না কোনো উন্নত সমরাস্ত্র। বঙ্গবন্ধুর আহ্বান তাদের উজ্জীবিত করেছিল সাহসে, সংগ্রামে। আক্ষরিক অর্থেই যার কাছে যা ছিল, তা–ই নিয়েই দেশের বীর সন্তানেরা শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মরণপণ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন মুক্তির সংগ্রামে।

দীর্ঘ ৯ মাস শক্তিশালী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধ করেছিলেন দেশের সব ধর্ম, বর্ণ, ভাষার বীর সন্তানেরা। ৩০ লাখ মানুষের প্রাণ, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল সম্পদহানির মধ্য দিয়ে মুক্তির সংগ্রামে সফল হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ছিনিয়ে এনেছিলেন চূড়ান্ত বিজয়। জাতিকে মুক্ত করেছিলেন পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে।

ডিসেম্বরের কুয়াশাঢাকা বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিল স্বাধীনতার সূর্য, উড়েছিল লাল-সবুজ পতাকা। বাতাসে অনুরণন তুলেছিল অগণিত কণ্ঠের সুর ‘আমার সোনার বাংলা/ আমি তোমায় ভালোবাসি…’। আজকের দিনটি তাই একদিকে যেমন দেশের মানুষের কাছে চিরকাল, চিরগৌরব ও আনন্দের; তেমনি একই সঙ্গে স্বজন হারানোর বেদনাতেও নীল।

জাতি আজ এই বিজয়ের আনন্দের দিনে গভীর কৃতজ্ঞতা ও পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর সন্তানদের। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভরে যাবে অগণিত মানুষের নিবেদিত শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বারবার গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথচলায় বাধাগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কখনোই থেমে যায়নি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন এ দেশের মানুষ দেখেছে, তা অচিরেই বাস্তবায়িত হবে বলে আমি মনে করি। বীরের দেশ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ।

জাতিকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর, আমাদের মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। আমরা পেয়েছি একটি সার্বভৌম দেশ, পবিত্র সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র ও লাল-সবুজ পতাকা। পেয়েছি স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে নিজেদের অস্তিত্ব আর মর্যাদা। বিজয়ের আনন্দঘন এ দিনে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাই বিজয়ের শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।

স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অর্জনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস। ’৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার যে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছিল, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে তা পূর্ণতা পায়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম ও কৃষি বিপ্লবের শুরু হয়। কিন্তু বিজয়ের পাঁচ দশক পার হলেও জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি এখনো অর্জিত হয়নি।

তিনি বলেন, বিজয়ের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সব জাতীয় নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা-বোন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। আমি আরও স্মরণ করি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরও। জাতি তাদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

ফিলিস্তিন ও লেবাননে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বশান্তিতে বিশ্বাসী। যুদ্ধ কোনো দেশের জন্য কাঙ্ক্ষিত নয়। বাংলাদেশ মনে করে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব। আন্তর্জাতিক সমস্যার মানবিক সমাধানে বাংলাদেশ সর্বদা আন্তরিক। ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিন ও লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরীহ-নিরস্ত্র জনগণের ওপর বর্বরোচিত বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের যেকোনো ন্যায্য অধিকার আদায়ে বাংলাদেশ সবসময় তাদের পাশে থাকবে। বাংলাদেশে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তন এবং এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কার্যকর অবদান রাখবে, এই প্রত্যাশা করি।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনেরা তাদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশে পাঠানোর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। জাতি তাদের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে। আমি আশা করি, বিশ্বমন্দা ও অর্থনীতির এই ক্রান্তিকালে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রাখবেন এবং দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখবেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তাই আসুন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখি। দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যাই, গড়ে তুলি উন্নত-সমৃদ্ধ এক নতুন বাংলাদেশ। মহান বিজয় দিবসে এই আমার প্রত্যাশা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, আজকের এই দিনে, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাই। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করছে।

বিজয় দিবসের বাণীতে তিনি বলেন, দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিজয় দিবস কেবল আমাদের গর্বের উৎস নয়, এটি আমাদের শপথের দিনও। শপথ আমাদের একতাবদ্ধ থাকার, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার।

বিজয় দিবসকে বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গৌরবময় ও স্মরণীয় দিন হিসেবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীনতার স্বাদ এবং জাতি হিসেবে নিজস্ব পরিচিতি। প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, লাখ লাখ শহীদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। প্রধান উপদেষ্টা ‘বিজয় দিবস ২০২৪’-এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

এদিকে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয়ভাবে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিনের শুরুতে অর্থাৎ, ভোর সকালে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা করা হবে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বিদেশি কূটনৈতিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।

মাসব্যাপী ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। এ উপলক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

এছাড়া, দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয়মেলা আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

বঙ্গভবনে অপরাহ্নে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এছাড়া, মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) ও বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে এবং চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ ঘাটে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরগুলো বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ট্রাম্প

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে আরও একবার স্থান পেয়েছেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে ২০২৪ সালের ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ৯ ডিসেম্বর সোমবার টাইম সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে। এরপর গতকাল ১২ ডিসেম্বর ভোরে ম্যাগাজিনটি ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ট্রাম্পের নাম ঘোষণা করে। ট্রাম্পকে এবার দ্বিতীয় বারের মতো ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালে তাকে প্রথমবারের মতো এই খেতাবে ভূষিত করা হয়।

এদিকে ‘ডেইলি মেইল জানিয়েছে’ ওয়াল স্ট্রিটে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের ঘণ্টা বাজানোর মাধ্যমে ট্রাম্প এই উৎসব উদযাপন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুবাদে ২০২৪ সালে বছর জুড়েই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণাকালে দুই দফা হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি।

বছরের শেষ দিকে অর্থাৎ গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ এক মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ এক মাদক কারবারি কে আটক করেছে।

জানাযায়,ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ এর নেতৃত্বে, থানা পুলিশের এস আই,রাকিব ও শাহানুর সহ মাদক উদ্ধার কারী একটি চৌকস টিম বুধবার ২৫ (ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাড়ে ছয়টায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সদরের চন্দ্র খানা মৌজার কদম তলা মোড়ে অভিযান চালিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল সহ মাদক কারবারি অটো চালককে হাতে নাতে আটক করে। আটক ওই মাদক কারবারি নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণা নন্দ বকসি গ্রামের মৃত: বজলে রহমানের ছেলে, হাবিবপুর রহমান (২২)।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, ফুলবাড়ী উপজেলায় মাদক নির্মূলে থানা পুলিশ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। আটককৃত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আগামীকাল কাল সকালে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।


আরও খবর



সৌদির তাপমাত্রা ফের শূন্য ডিগ্রির নিচে নামবে

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রিরও নিচে নেমে আসবে সৌদি আরবের কয়েকটি জায়গার। কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা -৪ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি কাবু হবে দেশটির উত্তরাঞ্চল। যার মধ্যে রয়েছে তাবুক, আল জউফ, উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত ও উত্তর মদিনা। আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এমন আবহাওয়া পরিলক্ষিত হবে।

সৌদিতে ইতিমধ্যে বেশ শীত পড়েছে। আজ শনিবার থেকে যে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হচ্ছে এর প্রভাবে তাবুক, আল জউফ এবং হেইলের তাপমাত্রা -৪ ডিগ্রিতে নামবে।

গত কয়েকদিন ধরে সৌদিতে আলোচনা চলছে, এবার দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হবে। তবে জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের মুখপাত্র হুসেইন আল কাহতানি গত বুধবার জানান, এসব তথ্য গুজব।

মরুর দেশ সৌদিতে গ্রীষ্মকালে পরিলক্ষিত হয় অসহনীয় তাপমাত্রা। বিশেষ করে জুন-জুলাই মাসে সূর্যের তাপে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। আর শীতকালে তাপমাত্রা নেমে আসে শূন্যের কোঠায়। চলতি বছর হজ মৌসুমে দেশটিতে তাপমাত্রা এতই বেশি ছিল যে, মক্কায় হজ করতে গিয়ে ১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।


আরও খবর



নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা অর্পণ করে এই সরকার সরে যাবে

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বতীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে এই সরকার সারে যাবে, তবে দশ বছর পরে যেন ছাত্ররা আবার রাস্তায় নামতে না হয়, আর যে ছাত্ররা বুকের রক্ত দিতে না হয় সে দিকে রাজনীতিবিদদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময়ের শুরুতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা জীবন উৎসর্গ করেছে তাদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।

তিনি আরও বলেন, একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বতীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়েছে। যারা বিজয় অর্জন করেছে তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কাজ করতে হবে। সবকিছু একদিনে সমাধান করা সম্ভব নয়। সবাই সহযোগিতা করলে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে চূড়ান্তভাবে একটি নিরপেক্ষ এবং সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর।

নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল করিম এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোঃ জাহিদ হোসেন, এমআরডিআই-এর অ্যাডভাইজার মোঃ সাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (বিইপিআরসি) চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার কমোডর মোঃ খালিদ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (বেলাব-রায়পুরা) সার্কেল আফসান আল আলম, সহকারী কসিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাজমুল হোসেনসহ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর