Logo
শিরোনাম

বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

বর্তমান মানসিক শক্তি ধরে রাখতে পারলে চলতি বিশ্বকাপে স্বাগতিক ভারত অপরাজিত থেকেই শিরোপা জয় করবে বলে মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আইকনিক ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডস।

অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মতো ক্রিকেট জায়ান্টদের মোকাবেলা করার পরও ভারত এই টুর্নামেন্টের অপরাজিত দল। প্রতিপক্ষ দলগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে টিম ইন্ডিয়া। এখন ট্রফি জয় থেকে মাত্র দুই ম্যাচে দূরে রয়েছে স্বাগতিক দল। আর বর্তমান মানসিকতা ধরে রাখতে পারলে তারাই শিরোপা জয় করতে পারবে বলে মনে করেন ভিভ রিচার্ডস।

আইসিসির ওয়বসাইটে এক কলামে রিচার্ডস লিখেছেন, এবারের আসরে ভারত মানসিকতা হচ্ছে পুরো টুর্নামেন্টেই এভাবে খেলবে। আমি তাদের ড্রেসিং রুমে থাকলে সকল উপায় ব্যবহার করে তাদের এভাবেই এগিয়ে নিতাম। পদ্ধতিটি এখন পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই কাজ করছে। এর পরিবর্তন ঘটলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ক্যারিবীয় কিংবদন্তী বলেন, আমার বিশ্বাস তারা (ভারত) অপরাজিত থেকেই শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হবে। এটি সত্যিকারার্থে চেষ্টা করার একটি বিষয়। সেখানে এখন আমরা ভালো করছি, সেমিফাইনালে বাজে খেলা হতে পারে- এমন আশঙ্কাও থাকতে পারে। এ ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে যেকোনোভাবেই তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

রিচার্ডস বলেন, মানসিক শক্তি এমন একটি বিষয় যা বিরাট কোহলির সাফল্যে দারুণ অবদান রাখছে। এটি তাকে দুর্দান্ত স্কোরার ও রেকর্ড নির্মাতায় পরিণত করেছে।

টুর্নামেন্টে কোহলির অসাধারণ রানের প্রত্যক্ষ সাক্ষী রিচার্ডস ভারতীয় এই তারকা ব্যাটারের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

আইসিসি কলামে রিচার্ডস বলেন, বিরাট একজন দক্ষ ক্রিকেটার। তবে অন্যদের কাছ থেকে তাকে আলাদা করেছে তার মানসিক দৃঢ়তা। তিনি সব সময় নিজেকে ধরে রেখেছেন এবং অতীতে যখন আমি তার সাথে কথা বলেছি তখন তার মানসিক দৃঢ়তার বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়েছে। যেটি তাকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে গেছে। খুব কম সংখ্যক খেলোয়াড় এমন দৃঢ়তা নিজের মধ্যে ধারণ করে রাখতে পারেন এবং নিজেকে এভাবে গড়ে তুলতে পারেন।

অনেকেই বছরের পর বছর ধরে আমাদের দুজনের মধ্যে তুলনা করে আসছে। এর কারণ মাঠের ভেতর আমাদের ব্যাটিং দৃঢ়তা। আমি বিরাটের সাহসিকতা পছন্দ করি। এমনকি লং অন ও লং অফে ফিল্ডিং করার সময়ও তার বোলারদের একজন যদি প্রতিপক্ষের ব্যাটারের প্যাডে বল দিয়ে আঘাত করেন তখনো তাকে দেখা যায় আপিল করতে। তিনি সব সময় খেলার মধ্যে থাকেন এবং আমি সব সময় এমন ব্যক্তিদের পছন্দ করি।

সূত্র : বাসস

 

 


আরও খবর



পাঁচবিবিতে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার - জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি::


৩০ আগষ্ট শুক্রবার ,বৈকাল ৪.০০ টায় পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে গোড়ণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ মুনছুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশাল এই কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা পেশ করেন জয়পুরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম কর্মপরিষদ সদস্য ও পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনা পেশ করেন পাঁচবিবি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ মোঃ সুজাউল করিম,উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আজিজুল হক ঠান্ডা,উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মোঃ আবু সুফিয়ান (মুক্তান),উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আবু রায়হান ও আওলাই ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ নূর হোসেন আকন্দ বাবু।

আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাঁচবিবি পূর্ব আর্দশ থানা শাখার সংগ্রামী সভাপতি হাফেজ মোঃ রুহুল আমিন,পাঁচবিবি পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বাশার, কুসুম্বা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আবু ইউসুফ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান,আওলাই ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ শহিদুল ইসলাম। 
আওলাই ইউনিয়নের ওলামা বিভাগের সভাপতি বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম।

এছারাও কর্মী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বাইতুলমাল সেক্রেটারী মোঃ শাহাজান আলী,ইউনিয়ন প্রচান বিভাগের সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ রুহুল আমীন,ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ রাশেদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,ক্ষমতাচ্যূত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশে বিরোধী মতের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সহ অসখ্য মানুষকে মামলা,হামলা,গুম করেছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এই দেশটাকে ধংশ করে দিয়েছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন করতে না পেরে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল অথচ আজ জনগণই তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এই জামায়াত-শিবিরই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। 

ডাক্তার মোঃ সুজাউল করিম বলেন - ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা বৃথা যেতে দেওয়া হবেনা।
ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন শেষে জনগণ প্রত্যাশা করছে সত্যিকার ন্যায়বিচার,শান্তি শৃঙ্খলা নিরাপত্তার এক বাংলাদেশ। সেখানে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় মানুষ জামায়াতের দিকে তাঁকিয়ে আছে।

উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আজিজুল হক ঠান্ডা বলেন,আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য জান ও মালের কুরবানীর দেওয়ার জন্য সর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে।

উপজেলা সেক্রেটারী মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার বলেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করা এটি একটি ফরজ ইবাদত। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য,দুনিয়াতে কল্যাণ ও পরকালে মুক্তি জন্য ইসলামী আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।
তিনি উপস্থিত সবাইকে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে বেগবান করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

ইউনিয়ন আমীর নূর হোসেন আকন্দ বাবু বলেন,হাসিনা-খালেদা,ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সব দেখা শেষ আগামীর দিন হবে ইসলামের বাংলাদেশ।

আরও খবর



পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাশরুম চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মো. আরিফুল ইসলাম ইরান - পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি::


পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাশরুম চাষ ও উৎপাদন উন্নয়ন প্রশিক্ষণ বিষয়ে একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে মহানন্দা ইকো কর্টেজ হলরুমে বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী বেসরকারি সংস্থা আশা এর আয়োজন করে।


তেঁতুলিয়া সদর ব্রাঞ্চের সহকারি ম্যানেজার জয়শংকর এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুভউদ্বোধন করেন মো. আসাদুজ্জামান, সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার, আশা তেঁতুলিয়া অঞ্চল, পঞ্চগড়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তেঁতুলিয়া সদর ব্রাঞ্চের ম্যানেজার নুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ তামান্না ফেরদৌস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাশরুম নানারকম পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ সবজ্বি জাতের একটি অর্থকরী ফসল।


মাশরুম মানবদেহের হৃদরোগ, ডাইবেটিস, ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ উপকারী সবজ্বি। কৃষি বিভাগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা আশা মাশরুম চাষবাদ, উৎপাদন ও উন্নয়ন বিষয়ে নতুন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষন প্রদান সহ  অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করলে এঅঞ্চলে মাশরুম চাষের নতুন দিগন্ত উম্মোচন হবে। তিনি অংশগ্রহণকারীদের মাশরুম চাষ বিষয়ে টেকনিক্যাল সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


কর্মশালায় মাশরুম চাষ ও উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে খায়রুল বাসার টিপু, সিনিয়র এগ্রি অফিসার (মাশরুম), আশা-রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা এবং মো. শিপু আলী, সফল মাশরুম উদ্যোক্তা, আদর্শ মাশরুম সেন্টার, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর, বিষদভাবে আলোচনা করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আশা’র সদস্য সহ বিভিন্ন পেশার ৩০ জন নারী-পুরুষ ও তরুন উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।



আরও খবর



ঢাকায় নৌ-দুর্ঘটনায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দুই জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ কাওছার আহম্মেদ - রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি::


মঙ্গলবার (৩ সেপ্টম্বর) রাত আনুমানিক ২টায় ঢাকার আশুলিয়ার রুস্তমপুর গুদারাঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড (সেনের হাওলা) গ্রামের বাসিন্দা শহিদ তালুকদার (৪০) এবং অপরজন একই গ্রামের ইউনুস প্যাদা (৪৫)। তারা ঢাকার রাফি অ্যান্ড হৃদয় নামের বালু তোলার বাল্কহেডের শ্রমিকের কাজ করত।
জানা গেছে, অবস্থানরত রাফি অ্যান্ড হৃদয় নামের বাল্কহেডটিকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি জাহাজ ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এ সময় বাল্কহেডটির মধ্যে ছিলেন শহিদ তালুকদার এবং ইউনুস প্যাদা। পরে সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

দুর্বিষহ এ ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা ইঞ্জিন মেস্তুরি ফিরোজ প্যাদা জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টা পর্যন্ত বাল্কহেড কাজ করা হয়। কাজ শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যাই। রাত আনুমানিক ২টার সময় হঠাৎ একটি বালুর জাহাজ এসে ধাক্কা দিয়ে আমাদের বাল্কহেডটি তলিয়ে দেয়। আমি উপরের কেবিনে ছিলাম। ডুবে যাওয়ার পর লাথি মেরে সাইট ভেঙে অনেক কষ্টে বের হই। কিন্তু নিচ তলায় কেবিনে থাকা স্টাফ ইউনুচ প্যাদা ও শহিদ তালুকদার আর বের হতে পারে নাই।

এ ঘটনায় রাঙ্গাবালী উপজেলা আমিরে জামায়াত মোহাম্মদ কবির আহম্মেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।

আরও খবর



বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনে নিহত শহীদদের স্বরণে নাগরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



 মাহাবুব হোসেন, কুমারখালী কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশত্যাগের আগে বহু ছাত্রজনতা হতাহত হয়। আন্দলোনে নিহত সেই সব শহীদদের স্বরণে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নাগরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ছাত্র-জনতার আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন স্থানীয় আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনের সম্মুখ যোদ্ধা ও সাবেক ছাত্রনেতা শাকিল আহমেদ তিয়াস।


এসময় শাকিল আহমেদ তিয়াস বলেন, ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাশাসক খুনী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিগত ১৬ টা বছর আন্দলোন সংগ্রাম করেছি,নিজের জীবন যৌবন অর্থকরী সব হারিয়েছি সর্বশেষ ছাত্র আন্দলোনে ঢাকাতে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে বহু প্রাণের বিনিময়ে দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। আমার আর কিছুই চাওয়া পাওয়ার নেয়। এখন শুধু এই স্বাধীনতা রক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনের কেন্দ্রীয় নেতা শায়ন আহমেদ রাফার সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন মো: নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সদস্য হাসানুর রহমান হাসান, কুমারখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সবেক সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, কুমারখালী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ছাত্র নেতা প্রজন্ম ফারুক, সাবেক ছাত্র নেতা আয়কর আইনজীবী সাকিবুর রহমান, পলাশ, নয়ন, লতিফ, রাজিব, রাশেদ, রকি, কাজল, নয়ন, সালাম, মুক্তার, শুভ, কুমারখালী কৃষক দলের সদস্য হারুন-অর-রশিদ প্রমূখ। 

এসময় বিভিন্ন এলাকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনে যোগদানকারী ছাত্র-জনতারা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বক্তরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে আবারও ছাত্র-জনতাকে রাজপথে সামনে থেকে রাষ্ট্র সংস্কারে অগ্রণী ভুমিকা পালন করার জন্য আহবান জানানো হয়। এছাড়াও দেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এই মুহুর্ত থেকে  আপামরসাধারণকে সোচ্চার করে বানভাসি মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য আর্থিক তহবিল সংগ্রহ করার কথা বলেন।

আরও খবর



দশ বছরেও আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচার না হওয়ায় বিএসপি চেয়ারম্যানের উদ্বেগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের শীর্ষস্থানীয় আলেম বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারীসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। যে কারণে দশ বছরেও শেষ হয়নি এই মামলার তদন্তকাজ। 


এদিকে দীর্ঘ দশ বছর পেরিয়ে গেলেও আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচারকার্য শেষ না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।


আগামিকাল ২৭ আগষ্ট (মঙ্গলবার ) আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকী (রহঃ) এর দশম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের শীর্ষস্থানীয় আলেম ও  বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর আল্লামা নূরুল ইসলাম ফারুকী ২০১৪ সালের ২৭ আগষ্ট রাতে অন্যায়ভাবে ঘাতকদের হাতে খুন হয়ে দীর্ঘ দশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকার এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে। 

এমনকি এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বিভিন্ন সময় দিন ধার্য করা হলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে বিভিন্ন অযুহাতে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা সদস্যরা দীর্ঘ সময় নিয়েও এই হত্যাকান্ডের জট খুলতে পারছে না।


সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, এই ধরনের হত্যাকান্ডের বিচার যথাসময়ে না হওয়ায় ২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান সহ বিভিন্ন জঙ্গি হামলার সৃষ্টি হয়েছে। তাই জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করা জরুরী।


বিএসপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচারকার্য সম্পাদনে সরকার আন্তরিক হলে এই ঘৃণ্য বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের জট খোলা সম্ভব।


আল্লামা শায়খ নূরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকান্ডের বিচারকার্য অনতিবিলম্বে সম্পন্ন করনে সরকার প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন হযরত শাহসূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী।


তিনি সর্বশেষ আল্লামা শায়খ নূরুল ইসলাম ফারুকীর বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে ফরিয়াদ করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের এইদিনে (২৭ আগস্ট) রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ফারুকীর ছেলে ফয়সাল ফারুকী মামলা দায়ের করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। তিনি চ্যানেল আইয়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘কাফেলা’ ও ‘শান্তির পথে’ এবং মাই টিভির লাইভ অনুষ্ঠান ‘সত্যের সন্ধান’ উপস্থাপনা করতেন। এছাড়া তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং একটি হজ্ব কাফেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্বের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের খতিবও ছিলেন। 


আরও খবর